পুঁজিবাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও প্রায়োগিক পরিচালনা সম্পর্কে অবহিত হতে এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)-এর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি দল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) কার্যালয় পরিদর্শন করে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) চট্রগ্রামের আগ্রাবাদে শিক্ষার্থীরা সিএসই এ কার্যালয় পরিদর্শন করে।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী ও বিনিয়োগ শিক্ষার অংশ হিসেবে সিএসই প্রতিনিয়তই এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানিয়ে আসছে ও আয়োজন করছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সিএসই কর্তৃপক্ষের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চিফ রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মাদ মাহাদি হাসান, সিএফএ হেড অফ লিস্টিং কমপ্লায়েন্স, ক্লিয়ারিং এন্ড সেটেলমেন্ট একেএম শাহরোজ আলম, ম্যানেজার, ট্রেক, আদনান আব্দুর রাকিব।
অধিবেশনটি পরিচালনা করেন হেড অফ ট্রেনিং এন্ড এওয়্যারনেস জনাব এম সাদেক আহমেদ। এতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)-এর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক, ডক্টর সিরাজুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, ড. নাজনিন জাহান চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক, মো. রিজোয়ান হাসান, সহকারী অধ্যাপক, মঞ্জুরুল আলম মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক, আরিফুল হক, প্রভাষক, আতিকুর রহমান এবং প্রভাষক, তানিয়া সুলতানা।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মাদ মাহাদি হাসান, সিএফএ, বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় এখনো অনেক পিছিয়ে। এর উন্নয়ন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন চলমান। তবে পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ামক হচ্ছেন বিনিয়োগকারী এবং এই বিনিয়োগকারীদেরকে শিক্ষিত করার কাজটি সবসময়ই চলমান থাকবে, কেননা এর উদ্দেশ্য হচ্ছে একদিকে যেমন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিনিয়োগকারীরা আমাদের বাজারে আসছে তাদেরকে প্রস্তুত করা অন্যদিকে যারা ইতোমধ্যে বাজারে আছেন তাদেরকে নতুন পরিবর্তন নিয়ে জানানো, সচেতন করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে আরও দক্ষ করা।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে মনে রাখতে হবে যে, তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানের মধ্যে একটি সমন্বয় খুব জরুরি, সেজন্য প্রয়োজন বেশি বেশি প্রশিক্ষণ ও প্রায়োগিক কোর্সে অংশগ্রহণ। অর্থাৎ এই ধরনের পরিদর্শন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুঁজিবাজার এবং এর কার্যক্রমের বিস্তারিত জ্ঞান নিয়ে যত বেশি বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে যুক্ত হবেন, ততই আমাদের বাজার সমৃদ্ধ হবে। একই সঙ্গে ইনভেস্টমেন্টের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তারা গ্রহণ করবে যা বাজার ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে নতুন প্রোডাক্টের জন্য নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমানে প্রচলিত প্রোডাক্ট সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। এছাড়াও আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, বিনিয়োগ ঝুঁকি এবং পুঁজিবাজারের সাথে সম্পর্কিত রিটার্ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে সম্যক ধারনা প্রদান করা হয় এবং নিজেদেরকে আগামী দিনে পুঁজিবাজারের একজন যোগ্য ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপগুলো শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করার ব্যাপারে আলোচনা করা হয় । এছাড়া সিএসইতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ এবং চলমান অগ্রগতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদেরকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে জানানো হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সামগ্রিক ধারনা প্রদান করতে ও প্রয়োগিক পরিচালনা বিষয়ে অবহিত করতে এম সাদেক আহমেদ তার উপস্থাপনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে সহমত পোষণ করেন যে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য এ ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম প্রায়ই অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন যা আমাদের পুঁজিবাজারকে আরও বেগবান করবে। বিজ্ঞপ্তি