ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল শুরু
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) আয়োজনে ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল-২০২৪’ শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন ও ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান। 

সঞ্চালনায় ছিলেন ক্র্যাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মানিক।

উদ্বোধনের দিনে দাবা ইভেন্টের গ্রুপ পর্বের কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

ইনডোর ও আউটডোরে মোট ১১টি ডিসিপ্লিন ও ইভেন্ট থাকবে এবারের এই আয়োজনে।

ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- দাবা, ক্যারাম, স্পেডট্রাম, অকশন ব্রিজ, শ্যুটিং, ম্যারাথন, লুডু, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন।

এ ছাড়া এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যেসব সিনিয়র সদস্য অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তাদের মধ্যে ১০ জনকে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করছে ওয়ালটন। 

পাশাপাশি সদস্যদের স্ত্রীদের জন্য লুডু খেলার আয়োজন থাকছে।

ওয়ালটন-ক্র্যাব ক্রীড়া উৎসবের ইভেন্ট পার্টনার ওয়ালটনের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধিসহ ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধিসহ ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য
ব্র্যাক ব্যাংক। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় (এনপিএটি) পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ সমন্বিতভাবে ব্যাংকটি ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮২৮ কোটি। ব্যাংকিং খাতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি।  

একক (স্ট্যান্ডঅ্যালন) ভিত্তিতে ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্র্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকায়, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ। ব্যাংকিং খাতে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও ব্র্যাক ব্যাংক ব্যালেন্স শিটে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাভারেজের চেয়েও অনেক বেশি। এ সময় ব্যাংকটি এককভাবে গ্রাহক আমানতে ৩৪ শতাংশ এবং ঋণে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটির ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করে। ব্যাংকটির আর্থিক বিবরণীতে উঠে আসা উল্লেখযোগ্য সূচকগুলো এখানে তুলে ধরা হলো:

শক্তিশালী গ্রাহক-বেস এবং খাতভিত্তিক সহায়তা

২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের রিটেল ব্যাংকিং সেগমেন্টে সাড়ে তিন লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছে, যার ফলে ব্যাংকটির রিটেইল ব্যাংকিং সেগমেন্টে এখন মোট গ্রাহকসংখ্যা ১৩ লাখেরও বেশি। এই অর্জন পারসোনালাইজড ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটানোর ব্যাপারে ব্যাংকটির নিবেদিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর এসএমই খাত। ব্যাংকটি এই সেগমেন্টে এক লাখেরও বেশি নতুন সিএমএসএমই গ্রাহক যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, যা উদ্ভাবন ও তৃণমূল উদ্যোক্তাদের সহায়তার ব্যাপারে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এ ছাড়াও, ব্যাংকটি করপোরেট ব্যাংকিং সেগমেন্টে ক্লায়েন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে নয় হাজার। এভাবে ব্র্যাক ব্যাংকের করপোরেট ব্যাংকিং সেগমেন্ট দেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

কৌশলগত ডিজিটাল উদ্যোগ

২০২৪ সালেও ব্র্যাক ব্যাংক ডিজিটাল রূপান্তরযাত্রায় ধারাবাহিক বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। নতুন অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে ৭৭ শতাংশই খোলা হয়েছে ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট ওপেনিং প্ল্যাটফর্ম ইকেওয়াইসির মাধ্যমে। ২০২৪ সালের শেষে ব্যাংকটির আস্থা অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮ লাখ। এই ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপে ২০২৪ সালে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি লেনদেনের মাধ্যমে দেড় লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গ্রাহকদের সহজ, সুবিধাজনক ও নিরাপদ ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের ব্যাপারে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতি প্রতিফলন। 

সমাজের মানুষকে ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিতকরণ

ব্র্যাক ব্যাংকের গৃহীত উদ্যোগ আর্থিক সাফল্যের চেয়েও বেশি কিছু। ব্যাংকিং খাতে মোট জামানতবিহীন সিএমএসএমই ঋণের ৪৩ শতাংশই অর্থায়ন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটির ‘উদ্যোক্তা ১০১’ কর্মসূচির আওতায় দেশের ২১০ জন নারী উদ্যোক্তা বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা পেয়েছেন। ৯৭৯ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রামীণ উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। 

বৈশ্বিক খাতে অবদান এবং পরিবেশগত উন্নয়ন

রপ্তানিতে ২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানিতে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কার্যক্রম সম্পন্নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সবুজ কারখানা ও টেকসই প্রকল্পে অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক পরিবেশগত খাতে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। 

উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান

একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২৪ সালে কর প্রদানের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক সরকারের রাজস্ব কোষাগারে ১ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকার অবদান রেখেছে। 

নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ

দেশের আরও বেশি মানুষের কাছে সহজ ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করে চলেছে। ২৬৩টি শাখা ও উপশাখা, ৩২৯টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ১ হাজার ১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিস্তৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্কগুলো মধ্যে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সর্বাধিক বিস্তৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও উন্নত, সহজ, সুবিধাজনক ও উপভোগ্য ব্যাংকিং সেবা দিতে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

২০২৪ অর্থবছরে ব্র্যাক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স

•    সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২০২৩ সালের ৪ দশমিক ৩০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪ সালে ৬ দশমিক ৯৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

•    শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) আগের বছরের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪ দশমিক ১১ টাকায় উন্নীত হয়েছে। 

•    শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ২০২৩ সালের ৩৭ দশমিক ০৫ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৯১ টাকায়। 

•    ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তিতে ব্র্যাক ব্যাংকের লোন পোর্টফোলিও বেড়েছে ২০ শতাংশ, যেখানে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাভারেজ ছিল ৭ শতাংশ। 

•    এ সময় গ্রাহক আমানত ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাভারেজ ছিল ৭ শতাংশ।

•    সমন্বিত রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ) যথাক্রমে ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। 

•    ঋণ প্রবৃদ্ধি, দক্ষ তহবিল ব্যবস্থাপনা এবং বেশি নন-ফান্ডেড আয়ের ফলে ইন্টারেস্ট আয়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। এর ফলে ২০২৪ সালে মোট সমন্বিত আয় ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

•    ব্যাংকের কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানবসম্পদ, প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের ফলে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মোট সমন্বিত পরিচালন ব্যয় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

•    বিশেষ করে আন্ডাররাইটিং, মনিটরিং এবং রিকভারির ওপর জোর দেওয়ার ফলে নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) ২০২৩ সালের ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ সালে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ হয়েছে। 

প্রবৃদ্ধিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক রেগুলেটরি ক্যাপিটাল বৃদ্ধির প্রতি জোর দিয়েছে। সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২০২৪ সালে ব্যাংকটির রেগুলেটরি ক্যাপিটাল ৭ হাজর ১৪৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৫ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা।

২০২৪ অর্থবছরের এই অসাধারণ অর্জন সম্পর্কে মন্তব্য করে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালে আমাদের এই অর্জিত সাফল্য গ্রাহক, সমাজ ও দেশের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে আমরা উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।’

তিনি আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সকল স্টেকহোল্ডারদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংক এখন এক আস্থার নাম। কর্পোরেট সুশাসন, কমপ্লায়েন্স এবং মূল্যবোধ-নির্ভর ব্যাংকিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক রোল-মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এমন অর্জনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রতি- তাদের অবিচল আস্থার জন্য, আমাদের পরিচালনা পর্ষদের প্রতি- তাদের ধারাবাহিক দিকনির্দেশনার জন্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি-- চ্যালেঞ্জিং সময়েও তাদের দূরদর্শী রেগুলেটরি দিকনির্দেশনার জন্য।’

আর্থিক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: https://www.bracbank.com/en/investor-relations#financialStatements 

তাওফিক/ 

ওয়ালটনের এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন খুলনার মিঠুন দত্ত

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
ওয়ালটনের এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন খুলনার মিঠুন দত্ত
এসি কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক মিঠুন দত্তের হাতে তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, ওয়ালটনের সিএমও জোহেব আহমেদ এবং ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান তানভির। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এবার বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের তৈরি ইউরোপের ঐতিহ্যবাহী এসিসি ব্র্যান্ডের এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন খুলনার খালিশপুরের জুয়েলারি ব্যবসায়ি মিঠুন দত্ত। পেলেন ১০ লাখ টাকা। দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় কিস্তিতে এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে মিঠুন দত্তের পরিবার। 

এর আগে চলতি সিজনে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির, নেত্রকোণার খোকন মিয়া, রাজধানীর শনির আখড়ার আলী মর্তুজা ও সিলেটের কানাইঘাটের কাওসার আহমেদ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে খুলনার খালিশপুরে চিত্রালী শ্রমিক ময়দানে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে মিঠুন দত্তের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ এবং ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান তানভির।

আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারো মিলিয়নিয়ার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। এছাড়া রয়েছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় মিঠুন দত্ত গত ১৬ এপ্রিল খালিশপুর ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় ৯৫ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের দুই টনের এসিসি ব্রান্ডের একটি এসি কেনেন। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত এসির মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর তার মোবাইলে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি মেসেজ যায়।  

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মিঠুন দত্ত জানান, মেসেজ পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে ওয়ালটন থেকে ফোন করে জানালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হন।

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাব এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সাধারণ ক্রেতাদের এমন বিশাল সুবিধা দেওয়া ওয়ালটনের সেবামূলক ও মহৎ এক উদ্যোগ। এতে ক্রেতাদের মধ্যে দেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহ ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আমার হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দিলো ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এই টাকা দিয়ে জমি কিনব।’

ওয়ালটনের সিএমও জোহেব আহমেদ বলেন, ওয়ালটন শুধু ব্যবসা করে না। মানুষের মুখে হাসিও ফোটাতে চায়। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশত গ্রাহক মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। পুরস্কারের এসব অর্থে ইতোমধ্যেই অনেক সাধারণ মানুষের জীবন আমূল বদলে গেছে। এভাবেই ওয়ালটন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে।

অনুষ্ঠানে আমিন খান বলেন, গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি দেশীয় পণ্য কেনায় আগ্রহী করে তুলতে ওয়ালটন দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। ওয়ালটন এখন বাংলাদেশের একটি গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ ও আস্থা অর্জনের পাশাপাশি বিশ্বের অর্ধ-শতাধিক দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ ডিভিশনাল অফিসার নুরুল ইসলাম ও আল মাহফুজ খান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আব্দুল হান্নান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার রাজীব ফেরদৌস, এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, এসি সেলস মনিটরিংয়ের শাহরিয়ার আলম ও খালিশপুর ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার রবিন মিয়াসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।

বিজ্ঞপ্তি/



ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন ফজলুল আজিম

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন ফজলুল আজিম
সিস্টেম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল আজিম

রিয়েল এস্টেট খাতে অবদানের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন সিস্টেম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল আজিম। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লর্ড ব্যারোনেস পলাউদ্দিনের আমন্ত্রণে পার্লামেন্টে আয়োজিত এক বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। 

সফরের অংশ হিসেবে, আগামী ১৪ মে লন্ডনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভদের নিয়ে আয়োজিত একটি অভিজাত ডিনারেও তিনি অংশ নেবেন। যেখানে তিনি সিস্টেম গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

মোহাম্মদ ফজলুল আজিম আগামী ১২ মে চট্টগ্রাম থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সফরের সময়ে তিনি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক বৈঠকে মিলিত হবেন, যা ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতি এবং সিস্টেম গ্রুপের সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

ঢাকায় প্রপার্টি ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগের সূচনা: যাত্রা শুরু করল শান্তা প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
ঢাকায় প্রপার্টি ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগের সূচনা: যাত্রা শুরু করল শান্তা প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট
রাজধানী ঢাকায় যাত্রা শুরু করল শান্তা প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল শান্তা প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (SPML)। এটি শান্তা হোল্ডিংসের নতুন স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিট (SBU), যা রাজধানীর আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ‘ফোরাম’-এ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে SPML-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এই ইউনিটের লক্ষ্য, সম্পত্তি ব্যবস্থাপনাকে আরও পেশাদার ও সমন্বিত করে ঢাকার প্রপার্টি মার্কেটে সেবা ও মানের একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করা।

ঢাকার নগরায়ণের চিত্র দ্রুত বদলাচ্ছে- উচ্চ ভবন, প্রিমিয়াম আবাসন ও আইকনিক স্থাপনা যুক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। এই আধুনিকায়নের সঙ্গে সমন্বিত প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট সেবার চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ। ঠিক এমন সময়েই শান্তা হোল্ডিংস তাদের ভবিষ্যতমুখী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে SPML প্রতিষ্ঠা করেছে।

SPML প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ‘Elevating Experiences’- অর্থাৎ প্রতিটি সম্পত্তির সর্বোচ্চ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারকারীর জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এর সেবার মধ্যে রয়েছে- ইন্টিগ্রেটেড ফ্যাসিলিটিজ ম্যানেজমেন্ট, লিজ ও রেন্টাল ব্যবস্থাপনা, সেকেন্ডারি প্রপার্টি ক্রয়-বিক্রয়ের সমন্বিত সেবা। 

এসব সেবার মাধ্যমে SPML দ্রুতই প্রপার্টি মালিক ও ভাড়াটিয়াদের জন্য নির্ভরযোগ্য একক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তা হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মোনির উদ্দিন, পরিচালক সাইফ খন্দকার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম হাবিবুল বাসিত, পরিচালক এম আনিসুল হক, এবং SPML-এর মহাব্যবস্থাপক মি. রেজাউর রহমান খান।

শান্তা হোল্ডিংস জানায়, শুধু আইকনিক স্থাপনা নির্মাণ নয়, বরং সম্পত্তির যত্নে পেশাদার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নই তাদের মূল লক্ষ্য। SPML-এর যাত্রা সেই প্রতিশ্রুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: shantapml.com

তাওফিক/তাওফিক/ 

এসএওসিএল-এর পরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদ আর নেই

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
এসএওসিএল-এর পরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদ আর নেই
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) পরিচালক ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট (ম্যাক) মঈন উদ্দিন আহমেদ (রনি) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরদিন রবিবার তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

মঈন উদ্দিন আহমেদ স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজউদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠ পুত্র।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ও-লেভেল ও এ-লেভেল সম্পন্ন করেন। এরপর তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর সময়ে কোম্পানিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আসে। দেশের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।

পেশাগত জীবনের পাশাপাশি মঈন উদ্দিন আহমেদ সামাজিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন। তিনি গুলশান ইয়ুথ ক্লাবসহ একাধিক ক্লাব ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, এক নাতি ও এক নাতনিকে। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।