কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে গণভবনের ভেতরে ও বাইরে যেটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিজেদের উদ্যোগে মেরামত করতে চাই হাউজিং প্রতিষ্ঠান স্বপ্নধরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও তারা তাদের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে একথা জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। তারপর গণভবনে ঢুকে পড়েন অসংখ্য মানুষ। একইভাবে জাতীয় সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও দেখা যায় জনতার ঢল। এ সময় উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে অনেকেই গণভবন ভাঙচুর করেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গণভবনের কাঠামো, রঙ, ইলেকট্রিক লাইন, লাইট, ফ্যান এবং আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস।
একপর্যায়ে গণভবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায় সাধারণ মানুষ। অবশ্য পরবর্তী সময়ে সেসব জিনিস ফেরত দিয়েছেন অনেকেই। তবে গণভবন এক রকম ধ্বংসস্তূপেই পরিণত হয়েছে। আর তাই দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থেকেই স্বপ্নধরা গণভবনকে আবারও আগের মতো কাঠামোগত মেরামত করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেছে, এমনকি ট্রাফিক কন্ট্রোলের মতো কাজেও নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে তারা। শিক্ষার্থীদের এ রকম প্রশংসনীয় উদ্যোগ দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছে স্বপ্নধারা। ‘আমাদের গণভবন, আমরা সাজাব’ স্লোগান নিয়ে কাজ করতে চায় স্বপ্নধরা।”
এ বিষয়ে স্বপ্নধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ উর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পারলে আমরা কেন পারব না। আমাদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে। আর গণভবন আমাদেরই সম্পদ। সেটা ঠিক করার দায়িত্ব আমাদেরই! এ দায়িত্ব আসলে সবার।’
অন্যান্য দেশীয় ব্র্যান্ডকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই এগিয়ে আসলে ও একসঙ্গে কাজ করলে আমরা আমাদের দেশটা ঠিক করতে পারব, এটা ছাত্র-জনতা প্রমাণ করেছে।’
বিজ্ঞপ্তি/সালমান/