ঢাকা ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৩৯২(ক) তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।

সভায় পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. মহসিন মিয়া, কামরুল হক মারুফ, মো. গোলাম মরতুজা এবং শেখ আশ্বাফুজ্জামান।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তাজুল ইসলাম এবং কোম্পানি সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ ইস্তেনচার বিল্লাহ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

উন্নত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হুয়াওয়ে আইএএএস ব্যবহার করবে ইজিসিবি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
উন্নত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হুয়াওয়ে আইএএএস ব্যবহার করবে ইজিসিবি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

হুয়াওয়ের ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (আইএএএস)’ ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় এক বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি)। অবকাঠামোগত সুবিধাকে সেবা হিসেবে ব্যবহারের এই প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যবস্থায় সহায়তা করবে। চলতি সপ্তাহে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সদর দপ্তরে ইজিসিবি এবং হুয়াওয়ের স্থানীয় সহযোগী ওমেগা এক্সিম লিমিটেড-এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইজিসিবি-এর সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড হেড অব আইসিটি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান খান এবং ওমেগা এক্সিম লিমিটেড-এর ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল মাকসুদ বেগ। হুয়াওয়ে এবং এই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তির আওতায় হুয়াওয়ের আইএএএস-এর মাধ্যমে ইজিসিবি-এর ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআর) প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য হোস্ট করা হবে। এটি একটি সুরক্ষিত ও প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থার জন্য তৈরি করা হয়েছে যা ডেটা ব্যাকআপ, রেপ্লিকেশন, নিয়মিত রিকভারি টেস্টিংয়ের পাশাপাশি কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত তথ্য পুনরুদ্ধারের সুবিধা নিশ্চিত করবে। এর ফলে ইজিসিবির ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে এবং প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে সাহায্য করবে। 

ওমেগা এক্সিম লিমিটেড স্থানীয় পর্যায়ে হুয়াওয়ের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি ক্লাউড-ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প পরিচালনা, ইজিসিবি কর্মীদের প্রশিক্ষণ, চুক্তির সময়কালে রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় নিয়মনীতি অনুসরণের দায়িত্বে থাকবে।
 
অনুষ্ঠানে মো. রাশেদুজ্জামান খান বলেন, আমরা সব সময় দেশের এবং জনগণের জন্য সেরা মানের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো আধুনিকায়ন করা আমাদের এটি প্রধান লক্ষ্য। সম্পূর্ণভাবে মূল্যায়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা দেখেছি যে, হুয়াওয়ের আইএএএস-ই সবচেয়ে উপযুক্ত। এর দক্ষতা অতুলনীয় এবং অভিজ্ঞতাও বিশ্ব মানের। 

আবদুল্লাহ আল মাকসুদ বেগ বলেন, আমরা হুয়াওয়ের ক্লাউড সল্যুশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার জন্য হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের নানা ধরনের সেবা বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতের প্রয়োজন মেটাতে অত্যন্ত উপযোগী। হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবার মান ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে আমাদের গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক। ইজিসিবিকে এই শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তারাও হুয়াওয়ে ক্লাউড ও আমাদের বিশেষ সেবার সুফল পাবে। 

এই চুক্তি সম্পর্কে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ক্লাউড বিজনেসের ডিরেক্টর ঝং ইউবিং বলেন, ক্লাউড প্রযুক্তিতে আমাদের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কার্যকর সমাধান দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থানীয় প্রয়োজনের সঙ্গে মিল রেখে আমরা বিশ্বমানের সেবা দিতে চাই। ইজিসিবিকে এই যাত্রায় সহায়তা দিতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, তারা আমাদের কাছ থেকে উন্নত সেবার অভিজ্ঞতা পাবে।

আইসিটি খাতে হুয়াওয়ের ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অত্যাধুনিক পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গত চার বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাবলিক ক্লাউডের বাজারে হুয়াওয়ের সেবার ব্যবহার ২০ গুণ বেড়েছে। এই অঞ্চলের সেরা পাঁচটি পাবলিক ক্লাউড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হুয়াওয়ের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। হাইব্রিড ক্লাউডে শীর্ষস্থান ধরে রেখে হুয়াওয়ে ক্লাউড স্ট্যাক থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও হংকংয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে।

হুয়াওয়ে ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিষেবা এবং স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য হলো সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া।

বাংলাদেশে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতকে সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ে ক্লাউড সলিউশন, ডিজিটাল পাওয়ার সলিউশন ও মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে এবং দেশের প্রায় প্রতিটি খাতে আইসিটি অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালনে, বিশেষ করে প্রতিভা বিকাশে হুয়াওয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা পালন করে আসছে। 

দেশের আইসিটি অবকাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ে একটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সবসময় এর সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। 
হুয়াওয়ে, বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য।

 

টেকনো ক্যামন ৪০ সিরিজের সঙ্গে এবারের ঈদ হবে আরও উপভোগ্য

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
টেকনো ক্যামন ৪০ সিরিজের সঙ্গে এবারের ঈদ হবে আরও উপভোগ্য
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে স্মার্টফোন এখন আর কেবল গ্যাজেট নয়। কাজের জায়গা, ক্লাসরুম, ক্যামেরায় ছবি তোলা এমনকি ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে এটি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠেছে। কিন্তু এখন শুধু ফোন থাকাই যথেষ্ট নয়। ফোন আপনার কাজের গতির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে পারছে কি না, চাহিদা বুঝতে পারছে কি না বা ব্যস্ততা কমাতে পারছে কি না, তা-ই এখন আসল চ্যালেঞ্জ। আর এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোকে নিজেদের পণ্য ও ডিভাইস ডিজাইন করতে হয়, ফোনে যুক্ত করতে হয় অত্যাধুনিক ফিচার ও টেকনোলজি। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে টেকনো’র ক্যামন সিরিজ।  
       
সামনে ঈদ। এবার ঈদে কেবল আলাপে নয়, অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে টেকনো। এবার স্মার্টফোন দিয়ে জীবনকে সহজ করে তোলা আসলেই সম্ভব হবে। স্মার্ট টুলস, নান্দনিক ডিজাইন ও সমৃদ্ধ পারফরম্যান্স, সবকিছু এমন এক দামে আসছে, মনে হবে যেন ঠিক উপহার। ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে আর কী লাগে!   

ব্যাংকার রহিম সালেহ ঢাকায় থাকেন। ক্লায়েন্ট কল আর মিটিংয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন তিনি, তাও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে। তিনি বলেন, ‘ক্যামন ৪০ প্রো-এর স্মার্ট এআই কল অ্যাসিস্ট্যান্ট আমার জীবন বাঁচায়। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ দূর করে, কলে কী কী আলোচনা হয়েছে তার সামারাইজ করে দেয় যেন আমি মূল প্রসঙ্গে মনোযোগ দিতে পারি, এমনকি ইন্টারন্যাশনাল টকগুলো ট্রান্সলেশন করে দেয়। এমনকি চলার পথে থাকলেও ১২০ হার্জ অ্যামোলেড ডিসপ্লের কারণে, রিপোর্ট বা ক্লায়েন্ট ডেটা স্ক্রল করা আসলেই অনেক সাবলীল হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং থাকায়, বিরতির সময় ফোন দ্রুত চার্জ হয়, ফলে, পরের কলের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকা যায়।’ 

চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা আয়েশা তাইয়েব ক্যামন ৪০ দিয়ে পোশাক ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘অর্ডার বাড়লে এআই স্টুডিও ক্যামেরা আমাকে প্রফেশনাল মানের প্রোডাক্ট শট তৈরি করতে সহায়তা করে, আর এজন্য কোনো সহকারীও নিতে হয় না আমার। এটা ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে দেয়, রিয়েল টাইমে কালারকে সমৃদ্ধ রাখে। ৬.৭৮ ইঞ্চির বড় স্ক্রিনে আমি মাল্টিটাস্ক করতে পারি; ইনভেন্টরি অ্যাপ চেক করি, গ্রাহকদের উত্তর দিই, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ম্যানেজ করি। ফোনে হেলিও জি১০০ প্রসেসর ও ১৬ জিবি র‍্যাম থাকায় একাধিক অ্যাপ চালালেও কোনো ল্যাগ হয় না।’ আর শক্তিশালী ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ফাস্ট চার্জিংয়ের কারণে ব্যস্ত দিনেও তাকে ব্যাটারি শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাবিলা জামান ক্যামন ৪০-কে তার পড়াশোনার সঙ্গী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘হাতে লেখা নোটের ছবি তুলে তা মুহূর্তেই ওয়ার্ড ডকুমেন্টে, পিডিএফ বা এক্সেলে পরিণত করে, যা আমার অনেক সময় বাঁচায়। আবার, প্রাইভেট ইনফো-ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লার করে দেয় অ্যাসিস্ট্যান্ট। এছাড়াও, রাতভর পড়াশোনার সময় আমার চোখকে আরাম দেয় এর প্রাণবন্ত অ্যামোলেড স্ক্রিন; ব্যাটারিও বেশ দীর্ঘস্থায়ী। এটি এমন একটি পোর্টেবল স্টাডি পার্টনার, যা আমাকে কখনো হতাশ করেনি।’

সিলেটের একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট নির্মাতা আরিফ হোসেনও ক্যামন ৪০ প্রো’র ফ্ল্যাশস্ন্যাপ টেকনোলজি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যামন ৪০ প্রো’র ৫০ মেগাপিক্সেল ফ্ল্যাশস্ন্যাপ ক্যামেরা অসাধারণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। চলন্ত অবস্থাতেও খুব সুন্দর ছবি তোলা যায়। ছবি তোলার সময় ক্যামেরার এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোর ভারসাম্য বজায় রাখে; এই বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। বিভিন্ন এআই ফিচার থাকার কারণে আমি সহজেই স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে আমার তোলা ছবিগুলো এডিট করতে পারি। এই ফোনে ফার্স্ট চার্জিংয়ের সুবিধা ও দুর্দান্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ রয়েছে; ফলে আমি আরও বেশি সময় বাইরে নিশ্চিন্তে কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারি।’

এতো সব দুর্দান্ত ফিচার থাকা সত্ত্বেও, ক্যামন ৪০ সিরিজের ডিভাইসের মূল্য খুব বেশি না। এই ঈদ-উল-আজহায়, ৮ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজ-সহ ক্যামন ৪০ ফোনের মূল্য মাত্র ২২ হাজার ৪৯৯ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায়। নিজের ফোনে প্রো অভিজ্ঞতার জন্য আপনি কিনতে পারেন ক্যামন ৪০ প্রো, যার মূল্য মাত্র ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।
 
এই সিরিজে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ১২০ হার্টজ আল্ট্রা-স্মুথ অ্যামোলেড ডিসপ্লে, হেলিও জি১০০ আল্টিমেট প্রসেসর, ১৬ জিবি র‍্যাম (মেমোরি ফিউশন সহ) এবং ৫২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। এসব ফিচার ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করবে সেরা পারফরম্যান্স।  
  
ক্যামন ৪০ সিরিজের মতো ডিভাইস এখন আর কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এগুলো আধুনিক যুগের মানুষদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। অত্যাধুনিক এই ডিভাইসগুলো আপনার সহকারী, ক্যামেরা ক্রু, বন্ধু এবং শেখার মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে। এই ফোন হাতে থাকলে আপনি হয়ে ওঠবেন আরও স্মার্ট, জীবনে আসবে গতি।

বিজ্ঞপ্তি/

ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রি
রাজধানীর এক ওয়ালটন প্লাজায় ফ্রিজ দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: সংগৃহীত

দুয়ারে ঈদুল আযহা, কোরবানি ঈদ। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদে নতুন ফ্রিজ কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন ইলেকট্রনিক্সের শোরুমে। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দেশের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড ওয়ালটন ফ্রিজ। সেরা দামে সেরা মানের পছন্দের ফ্রিজ কিনতে সিংহভাগ ক্রেতাই ভিড় করছেন ওয়ালটনের শোরুমে। ব্যাপক ক্রেতা সমাগমে দেশব্যাপী ওয়ালটন শোরুমগুলোতে পড়েছে ফ্রিজ কেনার হিড়িক।

ঈদের আগে শোরুমগুলোতে ফ্রিজ বিক্রির উৎসব চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বাগেরহাট, বগুড়া, সিলেট, ফেনী, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়োজিত ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার, পরিবেশক ও অঞ্চল প্রধানরা।

এদিকে ঈদ উপলক্ষে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারও মিলিয়নিয়ার’- স্লোগানে সারা দেশে চলছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-২২। এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও আছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার। ইতোমধ্যে এই সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৫ জন ক্রেতা। অসংখ্য ক্রেতা পেয়েছেন লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।

ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক জানান, প্রতিবছরের মতো এই ঈদেও ফ্রিজের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য ওয়ালটনের। দেশের সিংহভাগ ক্রেতাই আস্থা রাখছেন দেশের নাম্বার ওয়ান রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড ওয়ালটনে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজে অ্যাডভান্সড আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সমৃদ্ধ বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যবহার। পাশাপাশি ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকেরা পাচ্ছেন দেশজুড়ে বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। এরই প্রেক্ষিতে বরাবরের মতো এবারও ঈদ উৎসবে পছন্দের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনতে শোরুমগুলোতে ক্রেতা ভিড় বেড়েছে ব্যাপক।

ঈদ বাজারে সকল শ্রেণি, পেশা ও আয়ের ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের ৩ শতাধিক মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। এসব মডেলের সহস্রাধিক কালারের ফ্রিজ রয়েছে। এসব ফ্রিজের দাম ১৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।

ওয়ালটনের ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ালটনের রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার্ভিস এক্সপার্টস টিম ও আইএসও সনদপ্রাপ্ত কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট। এর আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত ৯০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সবচেয়ে কম সময়ে সর্বোচ্চ লেভেলের বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করা হচ্ছে। 


বিজ্ঞপ্তি/

 

 

সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ জুন

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ জুন
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৬ জুন শুক্রবার সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে তাঁর যশোরের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল এবং এতিখানায় খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

২০১৭ সালের ৬ জুন বিচারপতি লতিফুর রহমান ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৩৬ সালের পয়লা মার্চ যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রথমে ইংরেজি সাহিত্যে এবং পরবর্তীতে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। 

১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে লতিফুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯১ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০০১ সালের পয়লা জানুয়ারি তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

অবসরে থাকাবস্থায় ২০০১ সালের ১৫ জুলাই বিচারপতি লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন।

বিস্কুট-ব্রেডের ওপর বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি শিল্পমালিকদের

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
বিস্কুট-ব্রেডের ওপর বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি শিল্পমালিকদের
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বিস্কুট ও ব্রেডের ওপর আরোপিত বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএবিবিএমএ)। তারা বলছে, এই বাড়তি ভ্যাটের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে সাধারণ মানুষের খাদ্য ব্যয়ের ওপর।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর দিলকুশায় জীবনবীমা টাওয়ারে অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘বিস্কুট ও ব্রেড দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য একটি সহজলভ্য খাদ্য। অথচ চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই পণ্যগুলোর ওপর ভ্যাট কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরং আগের মতো ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বহাল রাখা হয়েছে, যা এই খাতকে অলাভজনক করে তুলছে।’

তিনি আরও জানান, জানুয়ারি ২০২৫-এ এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিস্কুটসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। পরে বিস্কুটের ক্ষেত্রে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হলেও অন্য সব কৃষিপণ্য এখনো উচ্চ ভ্যাটের আওতায় রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষি উদ্যোক্তা ও সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ শ্রমশক্তি কৃষির সঙ্গে জড়িত, অথচ জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান মাত্র ১১-১২ শতাংশ। কৃষকের আয় বাড়াতে হলে তাদের উৎপাদিত ফসল প্রক্রিয়াজাত করে মূল্য সংযোজন করতে হবে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতেই ভ্যাট কমানো জরুরি।’

বক্তারা বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ভোক্তার নাগালে থাকা খাদ্যপণ্যে কর না বাড়িয়ে বরং কমাতে হবে। তা না হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও সংকটে পড়বে।’

তারা আরও বলেন, জাইকার সহায়তায় তৈরি হওয়া ‘অ্যাগ্রো প্রসেসিং পলিসি’ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ওই নীতিমালার আওতায় উদ্যোক্তারা মাত্র ৫ শতাংশ সুদে বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ পাওয়ার কথা থাকলেও এখনো কার্যকর কোনো সুবিধা পাননি।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বাজেট পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশে আনা হলে সাধারণ মানুষের জন্য বিস্কুটের দাম সাশ্রয়ী থাকবে এবং স্থানীয় শিল্পে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের নতুন অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি/এমএ/