ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে ইস্টার্ন ব্যাংকের পার্টনারশিপ

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৬ এএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০০ এএম
জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে ইস্টার্ন ব্যাংকের পার্টনারশিপ
মঙ্গলবার জার্মান দূতাবাসে ইবিএল এবং ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মান দূতাবাস একটি পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ছবি: বিজ্ঞাপন

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) এবং ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মান দূতাবাস একটি পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জার্মান দূতাবাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার এবং ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার এই সংক্রান্ত একটি ‘জয়েন্ট ডিক্লারেশন অব ইন্টেন্ট’ স্বাক্ষর করেন।

চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমনের অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে ‘ইবিএল জলবায়ু পরিবর্তন কার্যক্রম এওয়ার্ড’ বিষয়ে উভয়পক্ষ পারষ্পরিক সহযোগিতা করবে।

প্রতি বছর এই এওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এর লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় কর্পোরেশন, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং জলবায়ু এক্টিভিস্টদের অসাধারণ নেতৃত্ব এবং তাদের দ্বারা গৃহীত সফল জলবায়ু প্রকল্প ও উদ্যোগকে উদযাপন ও স্বীকৃতি প্রদান।

জার্মান রাস্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, প্রশমন ও অভিযোজন শুধুমাত্র তখনই  ফলপ্রসূ হবে যখন সরকার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজ একযোগে কাজ করবে। এই প্রচেষ্টায় প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের একে অপরের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ। 

বাংলাদেশের এ জাতীয় প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে ইস্টার্ন ব্যাংকের এই উদ্যোগকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। ইবিএল দীর্ঘদিনের পার্টনার হিসেবে ইতোমধ্যে জার্মান উন্নয়ন কর্পোরেশনের বেসরকারি খাত কার্যক্রমের অধীনে ঋণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা লাভ করছে। জয়েন্ট ডিক্লারেশন অব ইন্টেন্ট সম্পাদনের মাধ্যমে এই সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জার্মানি ও ইস্টার্ন ব্যাংকের লক্ষ্য অভিন্ন। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন কার্যক্রম এওয়ার্ড উদ্যোগে জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলাটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের একটি বিষয়। আশা করি ভবিষ্যতেও আমরা জলবায়ু ইস্যু নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে সমর্থ হবো। এই এওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে আরও অনেক এক্টিভিস্টদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করতে চাই।’

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/

ইউল্যাব-গ্রামীণফোন সমঝোতা স্মারক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
ইউল্যাব-গ্রামীণফোন সমঝোতা স্মারক
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) ও গ্রামীণফোন (জিপি)’র সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এবং গ্রামীণফোন (জিপি) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমানের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইউল্যাব ক্যাম্পাসে শিক্ষা এবং পেশাগত সুযোগ বৃদ্ধি করতে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইউল্যাব ও গ্রামীণফোন।   

উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ইউল্যাবের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জুড উইলিয়াম হেনিলো এবং গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দা তাহিয়া হোসেন। 

এসময় গ্রামীণফোনের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড গভর্নেন্স প্রধান রিফাকাত রশীদ, স্ট্রাটেজিক এইচ আর পার্টনার (কমার্শিয়াল) প্রধান শারিনা তোফাজ্জল পিংকি এবং এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড এক্সপার্ট আশফাক হোসেন। 

অন্যদিকে, ইউল্যাব প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়জুল ইসলাম (অব.), গ্র্যাজুয়েট বিজনেস প্রোগ্রামের সহকারী অধ্যাপক ও পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ এবং কনসালট্যান্ট ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত ক্যারিয়ার সার্ভিসেস অফিস পরিচালক জেনিফার হোসেন।

সমঝোতা স্মারকের মূল উদ্দেশ্য প্রশিক্ষণ ও করপোরেট সম্পৃক্ততার মাধ্যমে যৌথ গবেষণা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময় এবং দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোতে উৎসাহিত করা। এ অংশীদারত্ব ইউল্যাবের সামগ্রিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয় পেশাগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবসায় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ। 

এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হান্নান খান, এমডিএস ও ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান মো. নাজমুস সায়াদাত, ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশনের প্রধান এ এ এম হাবিবুর রহমান, ট্রেড ফাইন্যান্স ডিভিশনের প্রধান আবু রুশদ ইফতেখারুল হক, হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশনের প্রধান মো. শাহরিয়ার খান, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ শোয়েবসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ব্যাংকের সব শাখার ব্যবস্থাপক এবং উপশাখার ইনচার্জ যুক্ত ছিলেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ বলেন, ‘সাময়িক তারল্য ব্যবস্থাপনায় যে অসুবিধা হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক নিশ্চয়তার মাধ্যমে সে সমস্যা থেকে শিগগিরই আমাদের উত্তরণ ঘটবে। আশা করি গ্রাহকরা তাদের চাহিদামতো লেনদেন করতে পারবেন।’ 

গ্রাহকদের তাদের আমানত নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে ব্যাংকের প্রতি আস্থা রাখতে অনুরোধ জানান তিনি। পাশাপাশি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক খুব শিগগিরই স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরে আসছে উল্লেখ করে তিনি গ্রাহকদের চাহিদামতো লেনদেন করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের আরেকটু ধৈর্য ধরে ব্যাংকের পাশে থাকার এবং নির্দ্বিধায় আমাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে লেনদেন করার আহ্বান জানাই।’

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

ভেজাল-নিম্নমানের বদলে রিমার্ক-হারল্যানের অথেনটিক প্রসাধনী পাচ্ছেন ক্রেতারা

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
ভেজাল-নিম্নমানের বদলে রিমার্ক-হারল্যানের অথেনটিক প্রসাধনী পাচ্ছেন ক্রেতারা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশে দীর্ঘদিন ধরেই কসমেটিকস পণ্য উৎপাদিত হলেও এসবের মানোন্নয়নে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এতে ভোক্তাস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হলেও সেদিকে কোন তোয়াক্কা ছিল না সনাতনী কোম্পানিগুলোর। বরং ক্রেতাদের পকেটের টাকা হাতিয়ে মুনাফা অর্জনই ছিল এসব উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। রহস্যজনক কারণে এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও তেমন কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এ সুবাদে বিপুল অংকের টাকা চলে গেছে বিদেশে। 

তবে দেরিতে হলেও আন্তর্জাতিক পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠান। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো স্থানীয় বাজারে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত পণ্য বাজারজাতকরণে এরই মধ্যে তারা সাড়াও ফেলেছে বেশ। তাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ-এর এফিলিয়েটেড ব্র্যান্ডগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে সর্বোৎকৃষ্ট পণ্য উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও তাদের নানা চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে এগুতে হচ্ছে।

তারা বলেন, সনাতনী কোম্পানিগুলো পণ্যের চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন তৈরি, সম্প্রচার এবং মার্কেটিং খাতে বিনিয়োগ করে বাজার সম্প্রসারণে যতোটা উদ্যোগী, পণ্যের মান বাড়াতে ঠিক ততোটা পিছিয়ে। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে, কয়েকটি নতুন কোম্পানি, যারা এরই মধ্যে দেশে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং সম্বলিত পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে এসছে। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ ট্যাগযুক্ত পণ্যের মান’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ আলোচক এবং খাত সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য বলছে, ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস ইন্ট্রাস্ট্রি (এফএমসিজিআই) সেক্টরের আকার উল্লেখযোগ্য হারে বড় হয়েছে, যা একে দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পগুলোর মধ্যেও একটি করে তুলেছে। বর্তমানে এ বাজারের আকার প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হয়ে উঠবে। রাজস্ব খাতে এটি প্রত্যাশিত, ২০২৭ সালের মধ্যে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ১৬ শতাংশেরও বেশি।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথাকথিত ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির মতো করে কোন কোন কোম্পানি বাংলাদেশের বাজার থেকে শুধু মুনাফাই লুটেছে। কিন্তু ক্রেতাস্বার্থ বিবেচনায় নেয়নি। ফলে দেশের মানুষ বিদেশে থেকে কসমেটিকস ও খাত সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো নিয়ে আসেন। কারণ তারা মনে করেন, বিদেশি পণ্য এ দেশে উৎপাদিত পণ্যের চাইতে উন্নত।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, বাজার নিম্নমানের কসমেটিকস পণ্যে সয়লাব হলে তা মানুষের জীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে। ভুয়া পণ্য ব্যবহার করে অনেকে এরই মধ্যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য পরিবারেও দিন দিন আর্থিক সঙ্কট বাড়ছে। এজন্য দেশে বিশ্বমানের কসমেটিকস ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদনের বিকল্প নেই। এতে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়বে। রিমার্ক-হারল্যানসহ যে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে গুণগত মান বজায় রেখে অথেনটিক পণ্য দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভোক্তা অধিদপ্তরও তাদের পাশে থাকবে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী তথ্য দেন, দেশে প্রসাধনী এবং ব্যক্তিগত যত্নের সামগ্রীর বার্ষিক বাজার এখন প্রায় ৯০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশা করা হচ্ছে যে ২০২৭ এ ৮ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে। তবে বাংলাদেশের প্রসাধনী খাত ব্যাপকভাবে আমদানি নির্ভর। প্রসাধনী শিল্পের রাসায়নিকের ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। বিশেষত, মোট আমদানিকৃত কসমেটিক পণ্যের প্রায় ৪১% ভারত থেকে আসে। এ অবস্থার পরিবর্তনে মানসম্মত দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের কোন বিকল্প নেই।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিআই’র পরিচালক ইসহাকুল হোসেন সুইট বলেন, স্কিন কেয়ার, কসমেটিকস ও হোম কেয়ার খাতে রিমার্ক-হারল্যানের মতো দেশীয় কোম্পানি এগিয়ে আসায় তারা বিশেষভাবে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তাদের মতো প্রতিষ্ঠান মানসম্মত অথেনটিক পণ্য উৎপাদন করায় ক্রেতাদের মাঝে দেশীয় পণ্য ব্যবহারে আগ্রহও বাড়ছে। 

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ- আইবিএফবি-এর সহসভাপতি এম এস সিদ্দিকী মনে করেন, দেশীয় শিল্পের প্রসারে সরকারকে দিতে হবে সব ধরনের সহায়তা। কারণ আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে দেশের কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান দেশে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করছে, তারা যেন বিশেষ নীতিসহায়তা পান, তাও নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে দেশীয় শিল্পের প্রসারে আগ্রহী হয়ে অনেকে এগিয়ে আসবেন।

বিএসটিআই এর উপপরিচালক মোরশেদা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি পণ্যের মান যেন নিশ্চিত হওয়ার পর বাজারজাত হয়। তাছাড়া নতুন পণ্যের বাজারজাত করণের আগে পণ্য, মোড়কসহ সকল বিষয়ের মান নিয়ে কাজ করছি। আমরা রপ্তানি যোগ্য পণ্যের মান নিশ্চিতকরণে জোর দিচ্ছি। সামগ্রিক উৎপাদনের ৩০% পণ্য বিএসটিআই মান সনদের আওতায় আনতে পেরেছে।

চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে দেশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদিত না হওয়ায় বিদেশি পণ্যের প্রতি মানুষের দুর্বলতা ছিল। এছাড়া বড় কোম্পানিগুলো দক্ষ মার্কেটিং ও সেলস পার্সনদের নিয়োগে বেশি গুরুত্ব দিলেও পণ্যের মানোন্নয়নে কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না। চটকদার বিজ্ঞাপন তৈরি, প্রচার ও পণ্য বিক্রিতেই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে। গবেষণা ও কারখানা ব্যবস্থাপনাসহ মৌলিক জায়গাগুলোয় তেমন কোন বিনিয়োগ হয়নি। এটি প্রকারান্তরে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। খুশির কথা যে, দেশে এখন মানসম্মত পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, তার প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহও বাড়ছে। সুতরাং দেশে উৎপাদিত গুণগত মানের পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস যেন বাড়ে সে উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। দেশে উৎপাদিত মানসম্মত ও অথেনটিক পণ্য ব্যবহারে মানুষের মধ্যে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মানুষ এখন দেশীয় পণ্য ব্যবহার করতে চায়। এক্ষেত্রে রিমার্ক-হারল্যানসহ দেশীয় কিছু কোম্পানি এগিয়ে আসায় তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি।

এ খাতের বাণিজ্য সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ কনজিউমার গুডস খাতে বড় বাজার হলেও পণ্য বিক্রেতাদের আন্তর্জাতিক মানের বিষয়টি আমলে নিতে দেখা যায়নি। মানহীন ও ভেজাল পণ্য কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হতেন। দীর্ঘদিন পর হলেও ভোক্তা অধিকার ভেজাল রোধে কাজ করছে। ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। চাহিদা তৈরি হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযিুক্তির পণ্যের। বেশ কিছু কোম্পানি এখন উন্নত ফর্মুলেশন-গবেষণা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগে এগিয়ে এসছে। 

স্কিন কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিনা হক মনে করেন, নকল ও ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে মানুষ স্কিন ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় মানসম্পন্ন পণ্য ব্যবহার করা। রিমার্ক ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যেসব পণ্য বাজারে আনছে, আশা করি দেশের মানুষ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসব পণ্য ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।

ড. সাকুন মাংগুত তার উপস্থাপনায় বলেন, আসলে বাংলাদেশের উচিত এখন পণ্য নয় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে বেশি নজর দেওয়া। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের আস্থা অর্জনে গবেষণায় জোর দেওয়ার জন্য তাগিত দেন। তিনি দেশি ব্র্যান্ডগুলোকে ডেভলপ করা এবং তার ধারাবাহিকতায় গুরুত্ব দেন। একই সঙ্গে ভোক্তার আস্থা অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা, পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। 

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

এনসিসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ ম্যানেজারদের সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
এনসিসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ ম্যানেজারদের সভা অনুষ্ঠিত
এনসিসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ ম্যানেজারদের সভা অনুষ্ঠিত

এনসিসি ব্যাংকের করপোরেট রিলেশনশিপ ম্যানেজারদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম শামসুল আরেফিন।

এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. রাফাত উল্লা খান, মো. মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসইভিপি ও সিআইও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ইভিপি ও হেড অব স্ট্রেটেজি অ্যান্ড ইমার্জিং বিজনেস মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হক এবং মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সৈয়দ হাসনাইন মামুনসহ প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান এবং ৩০টি করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক ও রিলেশনশিপ ম্যানেজাররা উপস্থিত ছিলেন। 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম. শামসুল আরেফিন ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং  রিলেশনশিপ ম্যানেজারদের সবুজ অর্থায়নে অগ্রাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় ব্যবসায় অর্থায়নের আহ্বান জানান।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/