ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে শুরু হয়েছে ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ।’
এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যেন সবার সামনে বাংলাদেশের প্রাচীন খাদ্য-ঐতিহ্য পুনর্জাগরিত করা যায়।
এই আয়োজনটি ঢাকা রিজেন্সির অন্যতম উদ্যোগ। এর মাধ্যমে অতিথিরা স্থানীয় খাবারের বৈচিত্র্য এবং স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন- পুরান ঢাকার বাখরখানি, চট্টগ্রামের মেজবান মাংস, রাজশাহীর চাপাটি, খুলনার চুইঝাল, কক্সবাজারের লইট্টা ভাজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কালাইয়ের রুটি, চাটগাঁওয়ের কালাভুনা এবং সিলেটের সাতকড়া মাংসসহ আরও নানারকম মুখরোচক খাবার।
এ ছাড়া মিষ্টি-মন্ডার ভেতরে নাটোরের কাঁচাগোল্লা, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, বরগুনার চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, মেহেরপুরের রসকদম্ব, সঙ্গে থাকছে হরেকরকমের ভর্তা।
ঢাকা রিজেন্সির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর (কারেন্ট ইন চার্জ) শাহিদ হামিদ এফআইএইচ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু একটি খাবার উৎসব আয়োজন নয়, বরং বাংলাদেশের খাবার সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা। আমরা আশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশের খাবারের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।’
সব শেফের তত্ত্বাবধানে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, চেয়ারম্যান, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিজেন্সির নির্বাহী পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কারেন্ট ইন চার্জ) শাহিদ হামিদ এফআইএইচ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি অতিথি ও ফুড ক্রিটিক্স, বিভিন্ন দূতাবাস ও অ্যায়ারলাইন্সের বিশিষ্ট অতিথিরা।
ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারে সাজানো এই বিশাল আয়োজনে খাবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৯৯৯ (জনপ্রতি)। সঙ্গে সিলেক্টেড কার্ড হোল্ডার পাচ্ছেন বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি!! ঢাকা রিজেন্সির লয়াল্টি প্রোগ্রাম- প্রিমিয়ার ক্লাব মেম্বাররা ব্যুফে ডিনারে পাবেন অগ্রাধিকার।
ঢাকা রিজেন্সির গ্র্যান্ডডিওস রেস্টুরেন্টে এই উৎসবটি ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অতিথিরা এই ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। সঙ্গে থাকবে ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক।
এই আয়োজন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০১৭১৩৩৩২৬৬১ নম্বরে অথবা ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন।
বিজ্ঞপ্তি/পপি/