
৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে বর্ষপূর্তি উদযাপন করে তারা।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী উদযাপনের সূচনা হয়, পরে বিকেলে বিশিষ্ট অতিথিরা দুটি মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন।
কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাশ প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধ ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে কেয়ার ১৯৪৯ সালে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কেয়ার বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ সরকারের বিশ্বস্ত উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, অংশীদার এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মিশেল নান এক ভিডিওবার্তায় সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘কেয়ারের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে এমনভাবে, যা পরিবর্তন ঘটানোর অন্যরকম একটি মান স্থাপন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সামনে আরও বড় পরিসরে আমাদের কার্যকলাপ চলমান থাকবে।’
দুপুরের পর দুটি সমসাময়িক সভায় ‘জলবায়ু সহনশীলতা’ ও ‘তৈরি পোশাক খাতে নারীদের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আলোচনা হয়।
কেয়ার এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর রমেশ সিং তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘কেয়ারে আমাদের লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য নির্মূলের জন্য একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক গঠন করা, যা আমাদের সাফল্যকে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে এশিয়া অঞ্চল এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড এসলিম্যান, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বিজ্ঞপ্তি/সালমান/