নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, গত দুই বছরে এ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকঋণ নিয়ে গণমাধ্যমে সব খবর প্রচার হয়েছে তাতে প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। প্রতিষ্ঠান চাইলে ছয় মাসের মধ্যে সব ব্যাংকঋণ পরিশোধ করতে পারে। এমন পরিমাণ মূলধন প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর পবার বড়গাছি এলাকায় নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পার্টনারস মিট-২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।
দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে নাবিল গ্রুপ বড় আমদানিকারক হয়ে উঠেছে জানিয়ে কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের খাদ্য ও কৃষিপণ্য সরবরাহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটি গম, মসুরডাল, মটরডাল ও সয়াবিন মিলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশের মোট গম আমদানির ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, মসুরডালের ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মটরডালের ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ হয়েছে নাবিল গ্রুপের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, ‘নৈতিকতা ও গুণগত মানে আপসহীন নাবিল গ্রুপ পণ্য আমদানি ছাড়াও কিছু ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে চাল উৎপাদনে এ গ্রুপ দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নাবিল গ্রুপ বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রুপটির দৈনিক চাল উৎপাদনের সক্ষমতা ১ হাজার ৩৬৪ টন।’
নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও বলেন, ‘কৃষি শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নাবিল গ্রুপ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে চলেছে। দেশের ফুড বিজনেস, এগ্রি বিজনেস, ট্রেডিং সেক্টর এবং সার্ভিস সেক্টর নিয়ে কাজ করা নাবিল গ্রুপের ২০টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, নওগাসহ দেশের প্রায় ১ লাখ মানুষের রুটি-রোজগারের প্রত্যক্ষ সহযোগী নাবিল গ্রুপ।’
তিনি বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে নাবিল গ্রুপের আমদানি করা পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১২১ কোটি ডলার। ফলে ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করা শিল্প গ্রুপটি এখন বিলিয়ন ডলার বা শতকোটি ডলার ক্লাবের অন্যতম সদস্য। আর এ অর্জনের ভাগিদার কোম্পানির সকল কর্মকর্তা ও ডিলাররা।’
দেশের তরুণ এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘তারা ব্যবসার পাশাপাশি ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ চেইনকে মসৃণ রাখার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে ডিমসহ পোলট্রিপণ্য, চাল ও অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
অনুষ্ঠানে প্রশাসন ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সহস্রাধিক পার্টনার/ ডিলার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।