দেশের একমাত্র প্রাণিসম্পদ গবেষণার জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন ড. শাকিলা ফারুক।
রবিবার (১০ নভেম্বর) তিনি এ পদে যোগদান করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ইনস্টিটিউটের পোল্ট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাকিলা ফারুককে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ড. শাকিলা ফারুক তার দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশি মুরগির প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিজ্ঞানভিত্তিক পালন কৌশল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১০ সালে তিনি ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ২০২১ সালে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান।
তার কর্মজীবনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে ৬০টিরও অধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি দেশীয় জাতের লেয়ার স্ট্রেইন (ডিম পাড়া মুরগির জাত), বিএলআরআই লেয়ার-১ (শুভ্রা) ও বিএলআরআই লেয়ার-২ (স্বর্ণা) এবং দেশীয় আবহাওয়া উপযোগী মাংস উৎপাদনকারী মুরগির জাত বিএলআরআই মিট চিকেন-১ (সুবর্ণ) উদ্ভাবনে গবেষক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়াও তিনি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ‘দেশি মুরগি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন (২০১২- ২০১৮)’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছেন।
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সাফল্যের পরিচয় রাখায় ড. শাকিলা ফারুক ২০১৭ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার (বাগ) কর্তৃক স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে সততা ও দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৮ সালে বিএলআরআই কর্তৃক শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত হন। তিনি ২০০৩ সালে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা (JICA) কর্তৃক জাপানের ফুকুশিমায় পোল্ট্রি উৎপাদন ও পোল্ট্রি প্রজনন বিষয়ে তিন মাসের অধিক সময় প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
ড. শাকিলা ফারুক ১৯৭২ সালে কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে স্নাতক এবং ১৯৯৯ সালে ‘অ্যানিম্যাল ব্রিডিং অ্যান্ড জিনেটিকস’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘পোল্ট্রি ব্রিডিং’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাওফিক/অমিয়/