ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

খুলনায় ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনে বক্তারা সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই
খুলনায় ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইন

দেশের সব নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হলে তরুণ নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা। এছাড়া দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (১১ নভেম্বর) খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত ‘নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে তারুণ্যের প্রত্যাশা ও সুপারিশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রধান সারা মোনামি হোসেন বলেন, ‘তরুণরাই পারে দেশের পরিবর্তন আনতে, তরুণদের প্রত্যাশা পূরণ করতে সমাজের সবাইকে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে, তরুণদেরও ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করে সৎ এবং মানবিক গুনসম্পন্ন হতে হবে।’

এ সময় একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সরকারি ও বেসরকারি খাতসহ ব্যক্তিগতভাবে সবার অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খুলনা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল কবির বলেন, তরুণদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এই পরিবর্তনকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশর প্রত্যেক নাগরিকের যেন সমান অধিকার নিশ্চিত হয়, সেজন্য তরুণদের কাজ করতে হবে।

সমস্যা সমাধান ও অধিকার আদায়ে সবাইকে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে খুলনার ছাত্র-প্রতিনিধি সাইফ নেওয়াজ বলেন, সামাজিক কিংবা নাগরিক অধিকার আদায়ে সবাইকে সম্মিলিত স্বরে আওয়াজ তুলতে হবে। দুর্নীতি-অনিয়ম যদি কোনোভাবে নাগরিক জীবনযাপনে বাধার তৈরি করে তা রুখে দিতে সবাইকে এক হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

সমাজ পরিবর্তনে তরুণদের প্রাণশক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে বলে সভায় মন্তব্য করেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজির প্রভাষক মো. মতিউর রহমান।

ইউএসএআইডির স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় আলোচনা, নাট্য প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ক্যাম্পেইনটির আওতায় www.amiojittechai.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে নাগরিকদের দাবি ও মতামত।

অনুষ্ঠানে আলোচনাসভা ছাড়াও ইন্টারেক্টিভ থিয়েটার, কুইজ ও ভিডিও মেসেজ প্রতিযোগিতা এবং ক্যাম্পেইনের রিল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সমকালীন বিভিন্ন ইস্যুর সমাধান নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। 

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের খুলনা রিজিওনের সিনিয়র ম্যানেজার রুবায়েত হাসান, প্রতিষ্ঠানিটির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আশরুপা হক চৌধুরী ও কমিউনিকেশন অফিসার সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/

পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ওয়ালটনের

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ওয়ালটনের
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর গুরুত্বারোপের আহ্বান জানিয়েছে ইলেকট্রনিকস ব্র‌্যান্ড ওয়ালটন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে ওয়ালটন আয়োজিত একক বৃহৎ শিল্পমেলা ‘ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন বা এটিএস এক্সপো-২০২৪’ এর দ্বিতীয় দিনে “স্থানীয় উৎপাদনকে শক্তিশালীকরণ: ইলেকট্রনিক্স শিল্পে বাংলাদেশের উত্থান” শীর্ষক এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং বিজনেস কো-অর্ডিনেটর টু ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান এবং কেইডি সল্যুশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান।

প্যানেল আলোচনায় ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুম বলেন, ‘যেকোনো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির টেকসই উন্নতি নির্ভর করে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) কর্মকাণ্ডের ওপর। দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের উন্নতি সাধনেও আরঅ্যান্ডআই এর কোনো বিকল্প নেই। এ খাতে স্থানীয় উৎপাদকদের প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে।’

তিনি জানান, ওয়ালটন শুরু থেকেই রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তাই ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আরঅ্যান্ডআই সেন্টার ও টিম। ওয়ালটনের প্রতিটি পণ্যের জন্য পৃথক আরঅ্যান্ডআই টিম কাজ করছে। বর্তমানে ওয়ালটনের আরঅ্যান্ডআই টিমে দেশি-বিদেশি অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী আড়াই হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী কাজ করছেন। তারা নিরলস গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ পরিবেশবান্ধব নতুন নতুন মডেলের পণ্য উৎপাদন করছেন। তাদের গবেষণার ফলশ্রুতিতে ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন ও কমপোনেন্টস উৎপাদন করছে ওয়ালটন।

সভায় যুগোপযোগী দেশীয় শিল্পবান্ধব পলিসি নির্ধারণের উপর গুরুত্বারোপ করে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামরুল হাসান বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের জন্য প্রয়োজন ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ। এতে দ্রুত এগিয়ে যাবে দেশীয় শিল্প। এক্ষেত্রে ওয়ালটন বিশাল উন্নতি সাধন করেছে।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়ার মধ্যে সমন্বয় সাধনে বিশাল গ্যাপ রয়েছে, যা দূর করতে হবে। দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিগুলোর উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে ইন্ডাস্ট্রি পরিচালিত ইন্টার্নশিপ ও গবেষণাসহ নানা কাজে সংযুক্ত করতে হবে। এতে ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, তেমনি ইন্ডাস্ট্রি পাবে দক্ষ জনশক্তি। এভাবে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া মিলে গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে।

বেস্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে গত ৫০ বছরে বড় একটা বিপ্লব হয়েছে। এই রেভ্যুলেশনে ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে ছিলো ওয়ালটন। বিশাল ঝুঁকি নিয়ে ওয়ালটন ওই সময়ে ইলেকট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস খাতের প্রায় শতভাগ পণ্য দেশেই উৎপাদন করছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান।

সভায় দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এতে দেশে থাকা ম্যানুফ্যাকচারারগণই লাভবান হবেন। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) খাতেও উন্নতি করতে সক্ষম হবে। আমাদের অভ্যন্তরীণ উন্নতির জন্য আরঅ্যান্ডডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই আমাদের বিনিয়োগ খুবই কম। এসব দিকে উন্নতি করতে পারলে ইলেকট্রনিক্স খাতে আমাদের দেশও দ্বিতীয় চায়না হতে পারবে শিগগিরই।’

কেইডি সল্যুশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনে দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক এগিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ওয়ালটন। পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশেই নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে নানাধর্মী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য যেমন:এয়ারকন্ডিশনার, ফ্রিজ, লিফট, টিভি, ফ্যান তৈরি করছে ওয়ালটন। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ওয়ালটনের এসব পণ্য।

উল্লেখ্য, ওয়ালটনের উৎপাদিত ৫০ হাজারের অধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন ও কম্পোনেন্টস দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যাক্তা ও ক্রেতাদের নিকট তুলে ধরার মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে এটিএস এক্সপোর। মেলায় দেশীয় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে ওয়ালটন।

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/এমএ/

টেক ট্রিপের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
টেক ট্রিপের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইউএস-বাংলা গ্রুপের উদ্যোগে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ‘টেক ট্রিপ লিমিটেড’ তাদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন করেছে।
 
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) টেক ট্রিপ তাদের এয়ারলাইনস অংশীদার ও অতিথিদের নিয়ে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন করে।

২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে টেক ট্রিপ। ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন বাজারে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটি তার গ্রাহকদের সর্বোত্তম পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি শিল্পের শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর মধ্যে তুর্কি এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজ, ইউএস বাংলা, এয়ার অ্যাস্ট্রা, এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাই দুবাই এবং সালাম এয়ারসহ অনেক এয়ারলাইস ডিলে প্রবেশাধিকারসহ তথ্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে গ্রাহকদের।

বিজ্ঞপ্তি/সুমন/পপি/

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ফার্মেসি বিভাগ ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের অগ্রগতি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।

সম্মেলনটির সহ-আয়োজকের দায়িত্বে আছে ইন্দোনেশিয়ার ইউনিভার্সিটি সুমাতার উতারা এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান।

সম্মেলনে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ ১০টি দেশের গবেষক ও শিক্ষকরা অংশ নেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউএপির স্কুল অব মেডিসিনের ডিন অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা আগামী দুদিন ১০টি দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কার্যকর আলোচনা এবং ভাবনার আদান-প্রদান করতে উন্মুখ। তারা এই সম্মেলনের বৈশ্বিক গুরুত্বকে তুলে ধরবেন।’

এ ছাড়া ইউএপি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান স্থপতি মাহবুবা হক তার বক্তব্যে বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

মো. সাইদুর রহমান ফার্মাসিউটিক্যাল এবং স্বাস্থ্যসেবায় স্থায়ী উন্নয়ন অর্জনের বিষয়টি তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা ও উদ্ভাবনের আদান-প্রদান করতে সমবেত হয়েছি। শিক্ষার্থীরাই এই নতুন যুগে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম।’

ইউপিএর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
 
সম্মেলনে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ফার্মেসি কাউন্সিলের সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদ এবং ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুল হক, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আইরিন দেওয়ান এবং সচিব ড. শিহাব উদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলনে প্ল্যানারি বক্তা, আমন্ত্রিত বক্তা, পোস্টার উপস্থাপক এবং মৌখিক উপস্থাপকরা বিভিন্ন গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও আকর্ষণীয় প্ল্যানারি সেশনে অংশ নেন।

৯টি গুরুত্বপূর্ণ সিম্পোজিয়ামে ফার্মাসিউটিকস, ফার্মেসি শিক্ষা, বায়োটেকনোলজি, সংক্রামক রোগ, ক্যানসার গবেষণা, মহামারি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা নিয়ে আলোচনা হয়।

আগামী ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে পুরস্কার বিতরণী এবং গালা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনটি শেষ হবে।

বিজ্ঞপ্তি/নাইমুর/পপি/

কনকর্ড আর্কিটেক্টস-মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চুক্তি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পিএম
কনকর্ড আর্কিটেক্টস-মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চুক্তি
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কনকর্ড আর্কিটেক্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডেকোর লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

কনকর্ড আর্কিটেক্টস অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডেকোর লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি।

সম্প্রতি চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তির আওতায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রাহকরা কনকর্ড আর্কিটেক্টসের যেকোনো সেবায় বিশেষ মূল্যছাড় উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়া কনকর্ড আর্কিটেক্টসের সেবা নিলে ঢাকার আশুলিয়ায় রিসোর্ট আটলান্টিস অথবা চট্টগ্রামের ফয়ে’স লেক রিসোর্টেসহ কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানির বিভিন্ন সেবায় মূল্যছাড় উপভোগ করবেন গ্রাহকরা।

কনকর্ড আর্কিটেক্টসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার অনুপ কুমার সরকার এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের হেড অব রিটেইল বিজনেস তাহসিন শহিদ এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কনকর্ড আর্কিটেক্টসের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার মো. নাজমুল ইসলাম, হেড অব ডেভেলপার অ্যান্ড ভেন্ডর রিলেশনশিপ খন্দকার ফয়জুল্লা সামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হেড অব রিটেইল লেন্ডিং আশরাফুজ্জামানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। 

নাইমুর/

বিআইবিএমের অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডির বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
বিআইবিএমের অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডির বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা
ব্র্যাক ব্যাংক

বিআইবিএমের অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেনের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যায় সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘বিআইবিএমের টাস্কফোর্স অনুষ্ঠানে আমি ব্যাংকিং খাতে নাজুক অবস্থার জন্য আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ের বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির অভাবের কথা উল্লেখ করি। ব্যাংকিং খাত নিয়ে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হোয়াইট পেপারেও জবাবদিহি ও সুশাসনের ঘাটতির কথা ওঠে এসেছে। গভর্নরও ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলেছেন।’    

তিনি বলেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা, যারা বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নেই, পদের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি, পদোন্নতি ও বদলির জন্য সুপারিশ করতেন। তৎকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অতি অল্পসংখ্যক সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।’ 

ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে নানা অনিয়ম করেছেন, তারাই নানা তদবিরে জড়িত ছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতো। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ৫ আগস্টের পর তাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকজনই ইতোমধ্যে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, হাতেগোনা কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তাই অত্যন্ত সৎ, মেধাবী এবং চৌকস। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে এবং ব্যাংকিং খাতকে সুশৃঙ্খল এবং নিয়মের মধ্যে পরিচালিত করতে তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষ্ঠাবান ও মেধাবী কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, অভিজ্ঞ ও বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্যারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল ও পেশাদার কর্মকর্তারা দেশের ব্যাংক সেক্টরকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করবেন।’ 

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ও অপব্যাখ্যা করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এ ধরনের ভুলভাবে উপস্থাপিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’  

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সম্প্রতি আমার দেওয়া বক্তব্যে কেউ মর্মাহত হয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি কাউকে আহত বা কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি। শুধুমাত্র অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো টাস্কফোর্স সেমিনারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।’

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/