কর্মক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজুকো ভূঁইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে জাপানি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কাইজেন ও ৫-এস নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র থেকে ২০ জন করপোরেট এক্সিকিউটিভ অংশ নেন। এই সেশনে কাইজেন ও ৫-এস পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যা কর্মব্যবস্থাপনার মৌলিক দুটি স্তম্ভ। অংশগ্রহণকারীরা এ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন এবং সেখানকার কর্মীদের কাছ থেকে নিভিন্ন ধারণা নেন।
জাপানিজ শব্দ কাইজেনের অর্থ ‘ক্রমাগত উন্নতি’, যা গুণমান ও কর্মক্ষমতাকে ইঙ্গিত করে। এই ধারণাটি কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, বর্জ্য হ্রাস এবং গুণগত মানোন্নয়নের জন্য ধাপে ধাপে পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে বৈশ্বিক শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
৫-এস বলতে পাঁচটি জাপানি নীতিকে বোঝানো হয়েছে; সেইরি (সর্ট বা বাছাই), সেইতন (সেট ইন অর্ডার বা সঠিকভাবে সাজানো), সেইসো (শাইন বা পরিচ্ছন্নতা), সেইকেতসু (স্ট্যান্ডার্ডাইজ বা মান বজায় রাখা) এবং শিতসুকে (সাসটেইন বা অভ্যাস বজায় রাখা)। এই পাঁচটি নীতি কর্মক্ষেত্রে সার্বিক উৎপাদনশীলতা ও নিরাপত্তায় সেরা মান নিশ্চিত করে।
এ প্রসঙ্গে জেট্রোর সিনিয়র ডিরেক্টর শেখ মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘কাইজেন ও ৫-এস ব্যবস্থাপনা পুনরায় পর্যালোচনা করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ ছিল। এ ধরনের কর্মপদ্ধতি ব্যবসার প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্রমাগত উন্নতিতে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। সেশনটি ছিল একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারখানা পরিদর্শন করে দেখেছি, বাংলাদেশেও আদর্শ ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ হচ্ছে। কর্মীদের থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাও ছিল অসাধারণ। সেশনটি উপভোগের পাশাপাশি নতুন অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।’
কাজুকো ভূঁইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি তারেক রাফি ভূঁইয়া জুন বলেন, ‘দৈনন্দিন কাজকর্মে কাইজেন ও ৫-এস পদ্ধতি কেবল দক্ষতাই বৃদ্ধি করে না, বরং প্রতিষ্ঠানে সার্বিক কর্মপরিবেশ উন্নত করে তোলে। এই সেশনে অংশগ্রহণকারীরা পণ্য ও সেবার মানোন্নয়নে দায়িত্ব পালন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে আমি মনে করি, যা এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারের প্রতিযোগিতা ধরে থাকতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বিজ্ঞপ্তি/সালমান/