ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

শ্বেতপত্রের প্রেক্ষিতে সামিট গ্রুপের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
শ্বেতপত্রের প্রেক্ষিতে সামিট গ্রুপের প্রতিক্রিয়া

সম্প্রতি সরকারের শ্বেতপত্রে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শাসনকার্য সংক্রান্ত খসড়ার প্রেক্ষিতে সামিট গ্রুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

তারা বলছে, ‘সামিট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মানের করপোরেট সুশাসন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সর্বদা স্বচ্ছতাকে স্বাগত জানায়।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে খসড়া শ্বেতপত্রের সংস্করণ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। ওই নথিতে বলা হয়েছ, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা, গ্যাস আমদানির ওপর মাত্রাধিক নির্ভরশীলতা এবং স্থানীয় প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে অনীহা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

সামিট করপোরেশন লিমিটেড এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ সম্পর্কে শ্বেতপত্রে উল্লেখিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সামিটের প্রতিক্রিয়া-

১) খসড়া শ্বেতপত্রে সামিট গ্রুপকে একটি ‘বিশেষ বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্প আয়ের ওপর ছাড় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে উদ্ভূত আয়ের ওপর ছাড় উপভোগ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখিত ছাড়গুলো একটি বৃহত্তর নীতিগত উদ্যোগের অংশ যা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের  জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। মূলত ১৯৯৬ সালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতি’ তৈরি করা হয়েছিল। এই আইনের ফলশ্রুতিতে প্রায় ১০৪টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিভিন্ন ধরনের ছাড় শুধুমাত্র সামিট গ্রুপকে একচেটিয়াভাবে দেওয়া হয়নি বরং দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ও জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ ছিল সামগ্রিক একটি জ্বালানি  খাতভিত্তিক কৌশল।

২) শ্বেতপত্রে Other Common Malpractice সেকশন অভিযোগে বলা হয়েছে,  চুক্তি স্বাক্ষরের পর সামিটের সঙ্গে শর্তাবলী পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং বিশেষভাবে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যে সামিট মেঘনাঘাট ৩৩৫ ডুয়েল ফুয়েল পাওয়ার প্ল্যান্ট হেভি ফুয়েল অয়েল (HFO) থেকে হাইস্পিড ডিজেল (HSD) জ্বালানিতে পরিবর্তন করেছে। তবে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা হিট রেট পরিবর্তন করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সামিটের ব্যাখ্যা হলো- ওই সময় সরকারের জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) মূল চুক্তিতে উল্লেখিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় এবং এর পরিবর্তে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একটি সমঝোতার ভিত্তিতে বিকল্প জ্বালানি (হাইস্পিড ডিজেল) সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম চালু রাখা এবং প্রতিশ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সামিট মেঘনাট এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য ছিল। তবে মূল টেন্ডারের শর্তাবলী অনুযায়ী জ্বালানি তেল (হেভি ফুয়েল অয়েল) গ্রহণের জন্য আমরা এখনো প্রস্তুত।

সামিট করপোরেশনের অধীনে সামিট গ্রুপ মোট ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করে, যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ২৫৫ মেগাওয়াট। দেশের ১৭.৩ কোটি মানুষের জন্য মোট বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার (ইনস্টলড) প্রায় ১৭ শতাংশ।

৪) শ্বেতপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে বাংলাদেশ অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশরে (পেট্রোবাংলা) অধীনে প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ থাকা সত্ত্বেও সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) পরিচালনা করে, চড়া দামে এলএনজি সরবরাহ করছে। ফলে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে।

অথচ সামিটের এফএসআরইউ কখনই গ্যাস সরবরাহে দায়িত্বে ছিল না। সুতরাং সামিট এখন পর্যন্ত গ্যাস আমদানি বা সরবরাহ করেনি। সেই সময়ের অন্যান্য সব চুক্তি যেমন ওমানের ওকিউ ট্রেডিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্সিলারেট এনার্জির তুলনায় সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড এবং পেট্রোবাংলার মধ্যে স্বাক্ষরিত দীর্ঘমেয়াদী গ্যাস সরবরাহ চুক্তিটি ছিল সর্বনিম্ন মূল্যের। আমরা আবারও বলতে চাই, সামিট আজকে পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী (গ্যাস) সরবরাহ চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে কোনো গ্যাস আমদানি করেনি।

এ ছাড়া সামিট এফএসআরইউ পরিচালনায় কোনো বিশেষ ছাড় পায়নি। উপরন্তু সামিটের দৈনিক ট্যারিফ/চার্টার রেট মহেশখালীতে অবস্থিত অ্যাক্সিলারেট এনার্জির মালিকানাধীন ভাসমান এলএনজি টারমিনালের তুলনায় কম।

বাংলাদেশের দুটি এফএসআরইউর মধ্যে অ্যাক্সিলারেট এনার্জির এফএসআরইউটি হলো প্রথম। উল্লেখিত প্রণোদনাগুলো সামগ্রিক (এফএসআরইউ) শিল্পখাতের জন্য নির্ধারিত ছিল যা অ্যাক্সিলারেট এবং সামিট উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।

একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি সফল রেকর্ড রেখেছে। সামিট গ্রুপ বাংলাদেশে (সামিট করপোরেশন) ও সিঙ্গাপুরে (সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল) সর্বদা উভয় দেশের আইনকে সম্মান এবং অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে।

সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে আমাদের কার্যক্রম সব সময় দেশের আইন অনুসরণ করেছে। আমরা সততা এবং করপোরেট সুশাসনের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে পেরে গর্বিত।

সামিট আরও জানিয়েছে, জাতি গঠনের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে আমরা সব অংশীদারের সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা শ্বেতপত্র প্রণয়নকারী কমিটির সম্মানিত সদস্যদের যেকোনো প্রয়োজনে সংশোধনী বা ব্যাখ্যা জানতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগকারী হিসেবে সামিট গ্রুপ সব সময় তার কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করে চলেছে এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড: সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (এসপিআইএল) দেশের বৃহত্তম স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের মোট ইনস্টলড ক্যাপাসিটির ১৭ শতাংশ ও দেশের মোট ইনস্টলড ক্যাপাসিটির ৭ শতাংশ সরবরাহ করে। সামিট মোট ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) মালিকানা ও পরিচালনার দায়িত্বে আছে যা দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি পুনরায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত করতে সক্ষম।

এসপিআইএল একটি সিঙ্গাপুর নিবন্ধিত বেসরকারি কোম্পানি, যেখানে মুহাম্মদ আজিজ খানের পরিবারের ৭৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। ২০১৬ সালে এসপিআইএল বাংলাদেশে নিবন্ধিত সামিট করপোরেশন লিমিটেড (এসসিএল) অধিগ্রহণ করে, যা বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাত বিষয়ক শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) দ্বারা আর্থিকভাবে সমর্থিত ছিল। সামিট করপোরেশন বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো সম্পদের মালিকানা আছে। ২০১৯ সালে জাপানের বৃহত্তম পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি জেরা এসপিআইএলের ২২ শতাংশ অংশীদারত্ব গ্রহণ করে এবং বর্তমানে এটি এসপিএলের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার।

বিজ্ঞপ্তি/সুমন/ 

প্রাইম ব্যাংক ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
প্রাইম ব্যাংক ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দাতব‌্য কাজ পরিচালনা করতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি ব্যাংকের গুলশান করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তির আওতায়, প্রাইম ব্যাংক ‘সাদাকাহ্ জারিয়াহ্’ অ‌্যাকাউন্টের মাধ‌্যমে গ্রাহকরদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করবে এবং মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে বিনিয়োগ করবে, যা ইসলামী শরীয়াহসম্মত এবং নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য আর্থিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফা নির্ধারিত সময় ও নীতিমালার ভিত্তিতে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে প্রদান করা হবে। ঢাকা আহছানিয়া মিশন এই তহবিলকে শুধুমাত্র দাতব্য ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নাজিম এ. চৌধুরী এবং ঢাকা আহছানিয়া মিশন-এর প্রেসিডেন্ট অধ‌্যাপক ড. গোলাম রহমান-পিএইচডি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইবনে শাহরিয়ার, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের জেনারেল সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সরফুদ্দিন এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তি/মাহফুজ

 

ইউনিয়ন ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
ইউনিয়ন ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ২৪তম সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মু. ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ জাহিদুল ইসলাম, এফসিএ,  স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউদ্দিন আহমেদ কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন।

সভায় ব্যাংকের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

এছাড়াও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর কার্যক্রম আরও বেশি বেগবান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তি/এমএ/

 

ধানমন্ডিতে MR.DIY এর চতুর্থ স্টোর উদ্বোধন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
ধানমন্ডিতে MR.DIY এর চতুর্থ স্টোর উদ্বোধন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি/

গ্রাহকদের ব্যাপক সাড়ার পর, মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় হোম ইমপ্রুভমেন্ট ব্র্যান্ড MR.DIY আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের চতুর্থ স্টোর উদ্বোধন করেছে।

নতুন স্টোরটির অবস্থান ধানমন্ডি ,বারাকাত হ্যাভেন (১ম ও ২য় তলা), বাড়ি ৫৪, রোড ৪এ, সাতমসজিদ রোড, ঢাকা ১২০৯।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন যাত্রার সূচনা করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন MR.DIY বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তা সৈয়দ নূর আনোয়ার, হেড অফ অপারেশনস, মো. উমার ফারুক হোসেন, ওয়্যারহাউস ম্যানেজার, মো. মাসুদুর রহমান, ইমপোর্ট ম্যানেজার, মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, ফাইন্যান্স ম্যানেজার, মো. ফকরুজ্জামান , বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, মোহামাদ রিজাল, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, মো. রাহাত নবী, মার্কেটিং ম্যানেজার, মো. নাজির হোসেন, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার। যারা ফিতা কেটে স্টোরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সৈয়দ নূর আনোয়ার ফিতা কেটে MR.DIY এর বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ক্রেতাদের আরও ভালো সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন।

MR.DIY বিশ্বজুড়ে স্বল্পমূল্যে মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করে থাকে। যেখানে এক ছাদের নিচে গ্রাহকরা পাবেন প্রয়োজনীয় সবকিছু। MR.DIY তাদের 'Always Low Prices' নীতির প্রতি অটল থেকে গুণগতমান বজায় রেখে কম দামে পণ্য সরবরাহ করছে।

ধানমন্ডি স্টোরে ১০,০০০+ পণ্য রয়েছে। যা ১০টি প্রধান ক্যাটাগরিতে বিভক্ত: গৃহস্থালী পণ্য,  হার্ডওয়্যার সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক আইটেম, গাড়ির এক্সেসরিজ, ফার্নিশিং সামগ্রী, স্টেশনারি ও খেলাধুলার সরঞ্জাম, খেলনা ও উপহারসামগ্রী, কম্পিউটার ও মোবাইল এক্সেসরিজ, জুয়েলারি ও কসমেটিকস ও  পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের জন্য থাকছে কিছু না কিছু। যা একটি পরিপূর্ণ শপিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

২০০৫ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম স্টোর চালুর পর MR.DIY এখন মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ভারত, তুরস্ক, স্পেন, ভিয়েতনাম ও পোল্যান্ডে ৪,৫০০+ স্টোর পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে ২০২৪ সালের এপ্রিলে উত্তরার পলওয়েল কার্নেশন শপিং সেন্টার ও যমুনা ফিউচার পার্কে প্রথম দুটি স্টোর চালু করা হয়। এর পর সংযুক্ত হয় মিরপুর শাখা। 

MR.DIY ধানমন্ডি স্টোরের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রাহকদের আরও কাছে পৌঁছানোর যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।

গ্র্যান্ড ওপেনিং উপলক্ষে, ২০-২২ মার্চ পর্যন্ত চলবে বিশেষ অফার ও উপহার ক্যাম্পেইন! প্রথম দিকের ক্রেতারা যারা একক রশিদে ১,০০০ টাকা বা তার বেশি কেনাকাটা করবেন তারা MR DIY ফ্রি ছাতা উপহার পাবেন!

এ ছাড়া উদ্বোধনের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলতে Snap & Win কনটেস্টে অংশ নিয়ে জিতে নিতে পারবেন বিশেষ পুরস্কার!

MR.DIY ধানমন্ডি স্টোরে থাকা ফটো ফ্রেমের সঙ্গে ছবি তুলে MR.DIY Bangladesh এর পিন করা ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে সেই ছবি আপলোড করে #MRDIYBangladesh #Dhanmondi এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে সবচেয়ে সৃজনশীল ৫ জন বিজয়ী "মিস্ট্রি গিফট" পাবেন, এবং তারা স্টোর থেকে পুরস্কার সংগ্রহ করতে পারবেন।

নতুন ধানমন্ডি স্টোর ঘুরে আসুন এবং স্বল্পমূল্যে মানসম্মত পণ্য কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিন। 

অফার ও প্রোমোশনের বিস্তারিত জানতে MR.DIY বাংলাদেশকে অনুসরণ করুন:

ওয়েবসাইট: www.mrdiy.com/bd 
ফেসবুক: MR.DIY Bangladesh 
ইনস্টাগ্রাম: @mrdiy.bangladesh 
লিঙ্কডইন: MR.DIY Banglades h
টিকটক: @mrdiy.bangladesh
ইউটিউব: MR.DIY Bangladesh


বিজ্ঞপ্তি/মেহেদী/

ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট নিয়ে গবেষণা করবে বুয়েট

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট নিয়ে গবেষণা করবে বুয়েট
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (MGI) ইউনিট ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (RISE) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoA) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর, নির্মাণ শিল্পে গবেষণা, উদ্ভাবন এবং উন্নত প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঢালাই স্পেশাল একটি R ক্যাটাগরির সিমেন্ট, যা প্রথম দুদিনের মধ্যে ২০ এমপিএ দৃঢ়তা অর্জন করে। উন্নত বিশ্বের ধারবাহিকতায় বাংলাদেশে এই সিমেন্ট প্রথমবারের মতো বাজারজাত করেছে MGI। এই সিমেন্টের ব্যবহার ও কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষ গবেষণা পরিচালনা করবে বুয়েটের RISE।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এবং বুয়েটের পক্ষে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (ডিরেক্টর, RISE, BUET)। 

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- চিফ সেলস অফিসার সঞ্জীব কুমার সাহা, সিনিয়র জিএম (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, সিনিয়র ডিজিএম (টিএসবিডি) সুদীপ্ত রায় এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (টিএসবিডি) বিদ্যুৎ কুমার বনিক। 

অন্যদিকে বুয়েটের প্রতিনিধিত্ব করেন ফ্যাকাল্টি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হেড অধ্যাপক ড. জাকারিয়া আহমেদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয় বিভাগের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং অধ্যাপক ড. তাহসীন রেজা হোসেন। 

এ ছাড়া উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত বক্তারা যৌথ গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে নির্মাণ খাতের অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। 

এ চুক্তির আওতায় ঢালাই স্পেশাল সিমেন্টের মাধ্যমে ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বুয়েটের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপিত হলো, যা দেশের নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

টেকনোর সাথে ঈদের খুশি জমবে বেশি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
টেকনোর সাথে ঈদের খুশি জমবে বেশি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

আর মাত্র কয়েকদিন পর এ দেশের মানুষ উদ্‌যাপন করবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান ঈদ। ঈদ মানেই আনন্দ। আর সে আনন্দ প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করলে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। ঈদ উদ্‌যাপনের এই আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে, স্মার্টফোন উদ্ভাবনে গ্লোবাল শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড টেকনো নিয়ে এসেছে আকর্ষণীয় ঈদ অফার।

এই ঈদে টেকনোর বেশ কিছু স্মার্টফোন অবিশ্বাস্য মূল্যে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ফোন কিনলেই থাকছে আকর্ষণীয় উপহার।

টেকনোর ক্যামন এবং স্পার্ক সিরিজ ইতোমধ্যে এর সেরা দামে সেরা ফিচার ও ডিউরেবিলিটি দিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। বিশেষ করে এই ব্র্যান্ডের ক্যামন ৩০ (১২জিবি), ক্যামন ৩০এস, স্পার্ক ৩০ এবং স্পার্ক ৩০সি ডিভাইসগুলো বেশ জনপ্রিয়।

'টেকনোর সাথে ঈদের খুশি জমবে বেশি' ট্যাগলাইনে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এই ফোনগুলোর যেকোনো একটি ফোন কিনলেই পাওয়া যাবে আকর্ষনীয় উপহার। এর মধ্যে থাকছে রিভো ইলেকট্রিক বাইক, টেকনো ফ্যান্টম ভি ফোল্ড২, ফ্যান্টম ফ্লিপ অথবা নগদ সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক জয়ের সুযোগ।

৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই অফারটি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে। একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে একবারই পুরস্কার জেতা যাবে।

উপহার জেতার এই দৌড়ে অংশগ্রহণ করতে, আপনার পছন্দের স্মার্টফোনটি কিনুন এবং রিটেইল কোড সংগ্রহ করুন। এর পর 
(TECNO&lt স্পেস IMEI1&lt স্পেস রিটেইল কোড) লিখে ২৬৯৬৯ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

এসএমএস পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাকে রিপ্লাই এর মাধ্যমে পুরস্কার সম্পর্কে জানানো হবে। অফারটি পেতে বিক্রেতাকে এসএমএসটি দেখিয়ে উপহার বুঝে নিতে পারবেন।

এই ঈদকে আনন্দময় ও স্মরণীয় করে রাখতে এখনই আপনার নিকটস্থ টেকনো আউটলেট ভিজিট করুন।

বিজ্ঞপ্তি/মেহেদী/