ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

উন্নয়ন ও মানবিক প্রচেষ্টার রূপান্তর ঘটাচ্ছে লোকালাইজেশন

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
উন্নয়ন ও মানবিক প্রচেষ্টার রূপান্তর ঘটাচ্ছে লোকালাইজেশন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সুন্দরবন কোয়ালিশনের আয়োজনে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্ট্রেনদেনিং ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স থ্রু দ্য এলসিএ মডেল: লেসনস ফ্রম বাংলাদেশ’স কোস্টাল রিজিওন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা।

এতে কোয়ালিশনের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন সুন্দরবন কোয়ালিশনের অন্যতম ফোকাল পারসন জহুরুল হাসান সোহেল এবং ধুলাসার উপকূল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক ও কোয়ালিশন সদস্য উম্মে হাফসা রিপা।

এতে কোয়ালিশনের কার্যক্রম গভর্নেন্স, জয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যান, কমপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন কোয়ালিশনের হোস্ট সংস্থা উত্তরণের হেড অব প্রোগ্রাম জাহিদ আমিন শাশ্বত সঞ্চালনায় ছিলেন দ্য শেয়ার ট্রাস্টের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ মাহফুজা মালা।

আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল বলেন, ‘আমরা লোকালাইজেশনকে নিজের মতো করে সংজ্ঞায়িত করি। নব্বইয়ের দশকে সংস্থাগুলো আমাদের কাছে প্রকল্প এনে বলত কী করতে হবে এবং কীভাবে অর্থ ব্যয় করতে হবে। এখন আর তা হয় না। বর্তমানে আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনুযায়ী নিজেরাই প্রকল্প জমা দিই। লোকালাইজেশন আইসিআরের মতো শুধুমাত্র একটি নীতি নয়, এটি মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করে, স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে এবং স্থানীয় সংস্থাগুলোকে তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেয়। আবার এটি স্থানীয় সংগঠন হিসেবে আমাদের নিজের প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করার জায়গা রয়েছে কিনা তাও নিশ্চিত করে। যদি এমন হয় তাহলে বলতে পারি লোকালাইজেশন কার্যকর হচ্ছে।’

নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার মো. শিবলি সাদিক বলেন, ‘যখন আমরা কোনো প্রকল্প গ্রহণ করি সেখানে কমপ্লায়েন্সের মতোই পার্টনারদের জন্য কিছু নিয়ম থাকে। এসব নিয়ম প্রায় কঠিন হয়। ফলে অনেক দক্ষ সংস্থার সঙ্গে চাইলেও কাজ করা সম্ভব হয় না। এটি অবশ্য ট্র্যাডিশনাল সমস্যা। বর্তমানে গ্লোবালি এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং আমরাও নিজেদের লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছি কি না তা ভাবছি। আমরা বর্তমানে উত্তরণ এবং ফ্রেন্ডশিপের সঙ্গে আরটিএফ (রিভার্সি দ্য ফ্লো) উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি এর মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে একটি কার্যকর ফ্রেমওয়ার্ক পাব। পাশাপাশি এই কর্মসূচির অধীনে আমরা কিছু জায়গায় সরাসরি অর্থায়ন করছি। অভ্যন্তরীণভাবে কী পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে।’

লোকালাইজেশনের বিকাশকে প্রাধান্য দিলেও এই আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা উন্নয়ন কার্যক্রমের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং দৃষ্টিকোণও নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা উল্লেখ করেন, দুর্যোগ, রাজনৈতিক ক্রাইসিস ও ফান্ড সংকটের মুখে লোকালাইজেশনের সুষ্পষ্ট ন্যারেটিভ প্রয়োজন। অপরদিকে কমিউনিটি-বেসড সংগঠনের ক্ষমতায়তনে আরটিএফ এবং এলসিএর মতো উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

লোকালাইজেশন নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করা অন্যতম আন্তর্জাতিক সংগঠন স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাজিদ রায়হান বলেন, ‘লোকালাইজেশন ধারণাটি এসেছে গ্লোবাল নর্থ থেকে। ফলে এর স্পষ্ট ন্যারেটিভ প্রয়োজন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দুর্যোগ, রাজনৈতিক সংকট এবং যুদ্ধ বাড়ছে। একই সঙ্গে কমে আসছে ফান্ড। তাই আমাদের এই সীমিত ফান্ড আরও কার্যকরভাবে কীভাবে ব্যবহার করা যায় এবং কমিউনিটি বেসড সংগঠনগুলোর কীভাবে ক্ষমতায়ন করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। আরটিএফ এবং এলসিএর মতো প্রকল্পগুলো লোকালাইজেশনের ন্যারেটিভ তৈরির প্রচেষ্টা। এই প্রকল্পগুলো লোকালাইজেশনকে স্থানীয়রা কীভাবে দেখে তা বুঝতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে ফান্ড কীভাবে ব্যয় হবে, কীভাবে পার্টনারশিপ গড়ে তোলা যাবে এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা যাবে।’

ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্যে রয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী এবং ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের সহায়তা করা। লোকালাইজেশন নিয়ে আলোচনায় আমরা সক্ষমতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি পেয়েছি। আমরা এসব বিষয়েও কাজ করি। আসলে আমরা সবাই ঝুঁকি ভাগাভাগি করি এবং নির্দিষ্ট প্রকিউরমেন্ট অনুযায়ী কাজ করি। আমাদের লক্ষ্য হলো দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করা এবং ঘাটতি কমাতে মেন্টরিং দেওয়া।’

লোকালাইজেশনে আরও জোর দিতে নীতি সংস্কার, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ফান্ডিং মডেলের সুপারিশও করেন বিশেষজ্ঞরা। এ সব পদক্ষেপ কমিউনিটিগুলোকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় অগ্রাধিকার অনুযায়ী টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বড় পরিবর্তন ঘটাচ্ছে লোকালাইজেশন বা স্থানীয়করণ।

এই পদ্ধতি নিজেদের উন্নয়নে স্থানীয় মানুষদের আরও বেশী শক্তিশালী করছে এবং উন্নয়ন অংশীদারদের আবহমান সহায়তা প্রদানের পদ্ধতিসমূহের বিপরীতে আরও সহজ ও কার্যকরি পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।

বাংলাদেশে শেয়ার ট্রাস্টের লোকাল কোয়ালিশন অ্যাক্সিলারেটর (এলসিএ) উদ্যোগের মাধ্যমে সুন্দরবন কোয়ালিশন এই পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এই কোয়ালিশনের মূল লক্ষ্য হলো কমিউনিটি ও কমিউনিটি-বেসড সংগঠনগুলোর (সিবিও) মাধ্যমে মানুষদের ক্ষমতায়ন করা।

২০২২ সালে উত্তরণ, সিএনআরএস, জাগো নারী এবং আভাস একত্রিত হয়ে সুন্দরবন কোয়ালিশন গঠন করে। এই জোটের আওতায় সুন্দরবন অঞ্চলের চারটি জেলার ১২টি সিবিও কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবেলায় দক্ষ কমিউনিটি গড়ে তোলা এবং স্থানীয় মানুষের মাধ্যমেই সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা ও সমাধান নিশ্চিত করা।

সুন্দরবন কোয়ালিশনের মাধ্যমে গত তিন বছরে শ্যামনগর, কয়রা, কলাপাড়া ও তালতলীর মতো সুন্দরবন অধ্যুষিত এলাকায় প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার মানুষের জীবনে পরিবর্তন এসেছে।

এই কোয়ালিশনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক তাদের সরাসরি অর্থায়নের কৌশল। এতে মোট বাজেটের ৮০ শতাংশ  কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবং ২০ শতাংশ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় হয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থার তুলনায় পরিচালন ব্যয় কমেছে ৩২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/

আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার আজ শেষ দিন

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার আজ শেষ দিন
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে শুরু হয়েছিল তিন দিনের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০২৫’। বাংলাদেশ মনিটর কর্তৃক আয়োজিত জনপ্রিয় এই পর্যটন মেলার এটি ২০তম আসর।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মো. সুহাদা ওথমান এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০২৫ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) এস এম লাবলুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মোহাম্মদ শামসুল করিম, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাফকাত হোসেন, ফার্স্টট্রিপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হাসনাইন রফিক।

এবারের পর্যটন মেলায় ইউএই, ইরান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, জর্ডান, ভারত এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের ৫০টির অধিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যটন সংস্থা, এয়ারলাইন, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল ও রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত অন্যান্য কোম্পানি।

মেলা চলাকালীন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ভিজিটরদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার ঘোষণা করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের ১০টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এয়ার টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্যছাড় প্রদান করছে। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফার্স্টট্রিপ দেশের ভেতরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং এয়ার এস্ট্রায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি টিকিট কিনলে আরেকটি ফ্রি টিকিট পাচ্ছেন। এ ছাড়া অন্য অংশগ্রহণকারীরাও দেশ-বিদেশের এয়ার টিকিট, হোটেল ও রিসোর্ট রুম, ভ্রমণ প্যাজেক ইত্যাদির ওপর আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেওয়া হয়েছে। 

এবারের আসরে টাইটেল স্পন্সরের ভূমিকা পালন করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। কো-স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফার্স্টট্রিপ এবং ট্রাভেল কোম্পানি আকিজ এয়ার। মেলার এয়ারলাইন পার্টনার জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ব্যাংকিং পার্টনার মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

জোবাইদা/

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের হোটেল সি প্যালেসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তপন চৌধুরী এবং স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবদুল্লাহ আল জাবেদ এবং প্রতিষ্ঠানের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর শততম জন্মবার্ষিকী স্মরণ করার মাধ্যমে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের সূচনা হয়।

এ সময় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তপন চৌধুরী বলেন, ‘বাবার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মূল্যবোধ স্কয়ার গ্রুপকে এখনো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উৎকর্ষ, উদ্ভাবন ও বিশ্বমানের পথে।’

আন্তর্জাতিক মানের খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড- রাঁধুনী, রুচি, চাষী, চপস্টিক ও আরাম-এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৩০টিরও বেশি দেশে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করছে।

বিক্রয় সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরী তার বক্তব্যে উদ্ভাবনী উৎকর্ষতা, ভোক্তাকেন্দ্রিক পরিষেবা ও বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি সব সদস্যকে সঠিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা সুচারুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে থাকতে বিশেষ উৎসাহ দেন।

এ ছাড়া তিনি গ্রাহক এবং ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে বিক্রয় ও সেবার মান বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন।

সম্মেলনে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ৭টি নতুন পণ্য বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়, যা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বৈচিত্র্য আরও বাড়াবে এবং পরিবর্তনশীল ভোক্তা চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

উৎসবের আমেজ নিয়ে শুরু হওয়া এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সেলস অফিসার, টেরিটরি সেলস অফিসার, এরিয়া সেলস ম্যানেজার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার ও অন্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনের শেষ অংশে স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী ২০২৪ সালের সেরা পারফরমারদের স্বীকৃতি দেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন পারফরমার্স অব দ্য ইয়ার পুরস্কার।

বিজ্ঞপ্তি/সুমন/

গ্লো অ্যান্ড লাভলী ব্রাইটেনিং ফেস সিরামের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
গ্লো অ্যান্ড লাভলী ব্রাইটেনিং ফেস সিরামের মোড়ক উন্মোচন
‘গ্লো অ্যান্ড বিয়ন্ড বাই গ্লো অ্যান্ড লাভলী’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী নারী ইনফ্লুয়েন্সাররা। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গ্লো অ্যান্ড লাভলীর নতুন ইনোভেশন গ্লো অ্যান্ড লাভলী ব্রাইটেনিং ফেস সিরামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এতে আমন্ত্রণ জানানো হয় ফারহানা বিথি, সুনেহরা তাসনিম, ঈশায়া তাহসীন, ইশরাত জাহিনসহ দেশের জনপ্রিয় প্রায় ৪০ জন নারী ইনফ্লুয়েন্সারদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্লো অ্যান্ড লাভলীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাবিলা নূর এবং হোস্ট হিসেবে ছিলেন সারাহ আলম। 

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল উইন্টার গার্ডেনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

শুরু থেকেই গ্লো অ্যান্ড লাভলী সকল নারীদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। গ্লো অ্যান্ড লাভলী সবসময়ই নারীদের সঙ্গে থেকে তাদের কথা বলে। সৌন্দর্য রক্ষায় এই ব্র্যান্ডটি প্রতি বছরই নতুন নতুন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নারীদের উপহার দিয়ে আসছে। গ্লো অ্যান্ড লাভলী নারীদের স্কিন কেয়ারের সঙ্গে আলট্রা ব্রাইট গ্লো’র কথা মাথায় রেখেই প্রথমবারের মতো এনেছে গ্লো অ্যান্ড লাভলী ব্রাইটেনিং ফেস সিরাম। স্কিন কেয়ারের বিশেষ উপাদান নায়াসিনামাইডের সঙ্গে এই সিরাম দিবে ৪ গুণ বেশি গ্লো, মানে ‘আলট্রা ব্রাইট গ্লো’।   

বিকেল ৩টার পর থেকেই অনুষ্ঠানে ইনফ্লুয়েন্সারদের আড্ডা জমে ওঠে। তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন সাবিলা নূর ও সারাহ আলম। গ্লো অ্যান্ড লাভলীর শুরুর দিকের গল্প, নারীদের পাশে থাকার গল্প ও  ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে স্কিন কেয়ার এনগেজমেন্টের মধ্য দিয়ে গ্লো অ্যান্ড লাভলীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাবিলা নূর  সবার মাঝে অ্যানাউন্স করেন নতুন প্রোডাক্ট গ্লো অ্যান্ড লাভলী ব্রাইটেনিং ফেস সিরাম-এর নাম।

স্কিন কেয়ারের এই নতুন প্রোডাক্টির নাম ঘোষণার পর থেকেই ইনফ্লুয়েন্সারদের মাঝে গুঞ্জন তৈরি হয়। অনুষ্ঠানে প্রোডাক্ট প্রকাশের পর থেকেই ইনফ্লুয়েন্সাররা এটির উপাদান নিয়ে কথা বলতে থাকেন এবং বিভিন্ন কন্টেন্ট বানাতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে এই ইভেন্টের প্রোডাক্ট টেস্টিং বুথে ইনফ্লুয়েন্সাররা সিরাম টেস্ট করে রিভিউ কন্টেন্টও তৈরি করেন। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, মিউজিক ও আড্ডায় জমে ওঠেছিল Glow & Beyond by Glow & Lovely-র সন্ধ্যা।

সাবিলা নূর প্রোগ্রামে আসা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের মতামত জানতে চান। সেই সঙ্গে ট্রেন্ডসেটার ইনফ্লুয়েন্সারদের স্কিন কেয়ার কন্টেন্ট নিয়ে সামনের দিনগুলোর প্ল্যান সম্পর্কে জানতে চান। তাদের সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ গল্প ও একসঙ্গে ডিনার শেষে সবার সঙ্গে গ্রুপ ছবি তুলে ইভেন্টের ইতি টানেন। গ্লো গার্লদের একসঙ্গে একছাদের নিচে দেখে সাবিলা নূর জানান, তারাই সামনের দিনের ট্রেন্ডসেটার। এই ব্যাপারটা ভীষণ উৎসাহিত করেছে আমাকে। নতুন এই প্রোডাক্টটি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কিন কেয়ারে সিরাম এখন অন্যতম উপাদান। তাই স্কিন কেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো গ্লো অ্যান্ড লাভলী। যেহেতু সিরাম সবার পক্ষে সবসময় ইউজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাই গ্লো অ্যান্ড লাভলী ব্রাইটেনিং সিরাম সবার হাতের নাগালের মধ্যে এনে সবাইকে চমকে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ গ্লো অ্যান্ড লাভলীকে।

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাবিলা বলেন, ‘এই ব্র্যান্ডটির সঙ্গে যুক্ত হবার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এটি সবসময় নারীদের কথা বলে। নারীদের চাহিদা ও স্বপ্নের কথা ভেবে কাজ করে যাচ্ছে গ্লো অ্যান্ড লাভলী। 

ভিন্নধর্মী অ্যারেঞ্জমেন্ট এবং ইভেন্ট প্ল্যান অনুষ্ঠানটিতে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। গ্লো অ্যান্ড লাভলীর সাদা ও পিংক রঙের থিমের আবহ ছিল পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে। ট্রেন্ডসেটার ইনফ্লুয়েন্সাররা, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাবিলা নূর এবং সারাহ আলমের উপস্থাপনায় এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়। গ্লো অ্যান্ড লাভলী ব্রাইটেনিং ফেস সিরামের মোড়ক উন্মোচনের এই ইভেন্টের ছবি, ভিডিও ক্লিপস তৈরি করতে শুরু থেকে আমন্ত্রিত ছিলেন সবার পরিচিত স্পেস মিডিয়া প্রোডাকশন থেকে সাইফ এবং টিম। সবশেষে সাবিলা নূর ইউনিলিভার বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয় । 

বিজ্ঞপ্তি/মাহফুজ

বইমেলায় সাজ্জাদুর রহমানের ‘ব্র‍্যান্ড কারিগর’

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
বইমেলায় সাজ্জাদুর রহমানের ‘ব্র‍্যান্ড কারিগর’
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ -এ প্রকাশিত হয়েছে তরুণ লেখক এবং সাংবাদিক সাজ্জাদুর রহমান শুভর ক্যারিয়ারভিত্তিক বই ‘ব্র‍্যান্ড কারিগর-আধুনিক ব্র‍্যান্ডিং কৌশল’। বইটি প্রকাশ করেছে সাহিত্যদেশ প্রকাশনা। প্রচ্ছদ একেছেন শিল্পী সোহানুর রহমান অনন্ত।

ব্র‍্যান্ড কারিগর বইটি সম্পর্কে সাজ্জাদুর রহমান শুভ বলেন, সময়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কর্মক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে, নতুন নতুন কম্পিটেশন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি মার্কেটে টিকে থাকতে হয় অব্যশই পার্সোনাল ব্র‍্যান্ডিং, নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে, জানতে হবে সঠিক কমিউনিকেশন ও স্টোরি টেলিং। এছাড়া আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবকিছু। তাই আমার ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে, বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে ব্র‍্যান্ড কারিগর বইটি প্রকাশ করেছি। যেখানে ব্র্যান্ডিংয়ের সমন্বিত বিষয় এবং আধুনিক কৌশলগুলো সহজ ভাষায়, বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যা পাঠকদের ক্যারিয়ার এবং বিজনেসকে নিয়ে যাবে এক অনন্য চূড়ায়।

শুভ'র বইটি নিয়ে সাহিত্যদেশের প্রকাশক শফিক সাইফুল বলেন, ক্যারিয়ার এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নিয়ে অনেক বই আছে। এই প্রথম আমরা ব্র‍্যান্ডিংয়ের সমন্বিত সকল আধুনিক কৌশল নিয়ে ব্র‍্যান্ড কারিগর বইটি প্রকাশ করেছি, যা বইমেলা ছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি বইটি পাঠক প্রিয়তার শীর্ষে জায়গা করে নেবে। বিজ্ঞপ্তি

পেসার রুবেল হোসেনের ইয়ামাহা শো-রুম পরিদর্শন খুলনা টাইগার্সের

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম
পেসার রুবেল হোসেনের ইয়ামাহা শো-রুম পরিদর্শন খুলনা টাইগার্সের
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

জাতীয় দলের সাবেক পেসার রুবেল হোসেনের ‘ইয়ামাহা শো-রুম রুবেল এক্সপ্রেস’ পরিদর্শন করেছেন খুলনা টাইগার্সের পুরো টিম। গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের পুরো টিম হাজির হয় রুবেল এক্সপ্রসে।

পেসার রুবেল হোসেন যিনি বর্তমানে জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহার একজন ডিলার হিসেবে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। ব্যবসায়ী হলেও ক্রিকেটের সঙ্গে তার সম্পর্কটা রয়েছে আগের মতোই। এবার বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলছেন তিনি। কিন্তু সতীর্থদের তার নিজের শো-রুম দেখার আমন্ত্রণ জানাতে ভুলেননি তিনি। 

ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স রোস, পাকিস্তানের মুহাম্মাদ নেওয়াজ, অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বসিস্তসহ বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান জয় ও অন্যান্য তারকা খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন। পুরো শো-রুম তারা ঘুরে দেখেন তারা। এ সময় ইয়ামাহার মতো একটি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য তারা রুবেল হোসেনের প্রশংসা করেন।

বিজ্ঞপ্তি/মাহফুজ