ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

ঘরেরবাজার ও গ্রামীণফোনের চুক্তি: রমজান হোক স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
ঘরেরবাজার ও গ্রামীণফোনের চুক্তি: রমজান হোক স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের অন্যতম সুপরিচিত এবং বিশ্বস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ঘরেরবাজারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে গ্রামীণফোন।

ঘরেরবাজার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে সংগৃহীত নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং উচ্চমানসম্পন্ন সব খাবার গ্রাহকদের দোরগোড়ায় সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এজন্য জিপি স্টার গ্রাহকদের জন্য রমজান উপলক্ষে নিয়ে আসা হয়েছে বিশেষ সুবিধা।  

রমজান মাস হলো আত্ম-অনুসন্ধান, তাক্বওয়া এবং একাত্মতার মাস। এই মাসটিকে অর্থবহ করতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এটিকে লক্ষ্য রেখেই, জিপি স্টার গ্রাহকরা ঘরেরবাজারের স্বাস্থ্যকর খাদ্য সামগ্রীর ওপর পাবেন বিশেষ মূল্য ছাড়।  

ঘরেরবাজারের সিইও মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ‘গ্রামীণফোন ও ঘরেরবাজারের সম্পর্ক আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ উপস্থাপন করছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, উভয় অংশের গ্রাহকরাই এই বিশেষ মূল্য ছাড়ে লাভবান হবেন।’

গ্রামীণফোনের পার্টনারশিপ মার্কেটিংয়ের প্রধান মুনিয়া ঘানি বলেন, ‘ঘরেরবাজারের সঙ্গে কাজের সূচনা আমাদের জন্য আনন্দের। একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আমাদের অনলাইন গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করবে এবং তা উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই লাভজনক হবে।’

অনুষ্ঠানে ঘরেরবাজারের সিইও মো. নাজমুস সাকিব ও গ্রামীণফোনের হেড অব ব্র্যান্ড ও মার্কেট কমিউনিকেশনসের মো. ইফতেখার আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

বিজ্ঞপ্তি/দিনা/

কমিউনিটি ব্যাংকের উদ্যোগে ‘রিস্ক সামিট’ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
কমিউনিটি ব্যাংকের উদ্যোগে ‘রিস্ক সামিট’ অনুষ্ঠিত
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে রিস্ক সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সম্প্রতি কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

সামিটে কমিউনিটি ব্যাংকের পোর্টফোলিওর সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্ণনা, রিস্ক-এর বর্তমান অবস্থা, রিস্ক-এর আসন্ন হুমকি, প্রভিশন স্ট্যাটাস, ঋণ পোর্টফোলিওর বিভিন্ন ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

সামিটে অংশ নেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানরা।

অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাদাত দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী, হেড অব সিআরএম অ্যান্ড হেড অব স্যাম হাসি রানী বেপারী, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং অ্যান্ড হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম, হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমানসহ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স-স্কয়ার হাসপাতালের চুক্তি

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স-স্কয়ার হাসপাতালের চুক্তি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং স্কয়ার হসপিটালস লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

চুক্তি অনুসারে, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ক্লায়েন্ট/পলিসিধারীরা হাসপাতালের  পরিষেবাগুলোতে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবেন। 

বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মনিরুল আলম এবং স্কয়ার হসপিটালের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. এছাম এবনে ইউসুফ ছিদ্দিক উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সদস্যদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

মাসিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ফ্রেশ অনন্যা-পিএজিএসবির আলোচনা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
মাসিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ফ্রেশ অনন্যা-পিএজিএসবির আলোচনা
ফ্রেশ অনন্যা এবং পিএজিএসবি’র প্যানেল আলোচনা

নারীদের মাসিক চলাকালে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ফ্রেশ অনন্যা এবং পিএজিএসবি’র প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে এ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে দৈনিক আমাদের সময়।

মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি এবং দীর্ঘদিনের সামাজিক ট্যাবু ভাঙার উদ্দেশ্যে ‘টুগেদার ফর এ মেনস্ট্রুয়েশন-ফ্রেন্ডলি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এই সেমিনারটির আয়োজন করা হয়।

সেমিনারটির পৃষ্ঠপোষক ছিল দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ এবং পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট গাইনিকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএজিএসবি)।

পিএজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক কোহিনূর বেগম এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। 

তিনি বলেন, ‘দেশের নারীদের একটি বিরাট অংশের এখনো মাসিক সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে- যা প্রায়শই লজ্জার বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘মাসিক জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ এবং এটি কখনই লজ্জার কারণ হওয়া উচিত নয়। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে চেষ্টা করব এই সামাজিক ট্যাবুগুলো ভাঙতে, যেগুলো বহুদিন ধরে নারীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘চিকিৎসক, পৃষ্ঠপোষক, গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বিশ্বাস করি-এই আলোচনা সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি ভবিষ্যতের প্রজন্মকে আরও সচেতন, সহানুভূতিশীল এবং স্বাস্থ্যবোধ সম্পন্ন করে তুলবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআই পরিচালক ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা বলেন, ‘যে সমাজে পুরুষ ও নারী জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গেই যুক্ত, সেখানে লজ্জা এখনো মাসিক সম্পর্কে আলোচনাকে ম্লান করে রাখবে, এটা কল্পনাতীত। এই নীরবতা ভাঙা, খোলামেলা মনোভাব পোষণ করা এবং নারীর স্বাস্থ্যের এই স্বাভাবিক দিকটি সকলের বোঝা এবং সম্মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সেমিনারে পিরিয়ড বিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন পিএজিএসবির মহাসচিব অধ্যাপক গুলশান আরা। 

তিনি বলেন, ‘মাসিক হলো একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা বোঝাপড়া এবং যত্ন সহকারে মোকাবিলা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন এবং সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমরা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন,‘মাসিক চলাকালীন যোনিপথের পিএইচ লেভেল পরিবর্তিত হয় এবং এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।’

ডা. তানিয়া রহমান মিতুলের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় প্রায় ৫০ জন ডাক্তার অংশগ্রহণ করেন। 

এ সময় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এমজিআই সিনিয়র জিএম (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের কিশোর ও স্কুল স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শামসুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কিশোর ও প্রজননস্বাস্থ্যের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. মঞ্জুর হোসেন, মনোবিজ্ঞানী আফসানা রহমান লিওনি, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাঈনুল আলম, হেড অব অনলাইন মঈন বকুল ও হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং সরোয়ার কবির শাকিল।

আলোচনায় বক্তারা পিরিয়ড-সংক্রান্ত বিভিন্ন জানা-অজানা, সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এবং সেগুলো কাটিয়ে উঠতে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনো স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার ফলে সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তী সময়ে বন্ধ্যাত্ব, এমনকি ক্যানসার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।

এই সামাজিক ট্যাবুগুলো ভেঙে একটি সুস্থ ভবিষ্যত গঠনের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই শক্তিশালী ও অর্থবহ প্যানেল আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বিজ্ঞপ্তি/

নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নে মাস্টারকার্ড ও শপআপ-এর ‘পড়শি’ প্রকল্প

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নে মাস্টারকার্ড ও শপআপ-এর ‘পড়শি’ প্রকল্প
গেটস ফাউন্ডেশন-এর সহায়তায় ‘পড়শি’ শীর্ষক একটি নতুন প্রকল্প চালু

নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করতে ‘মাস্টারকার্ড সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ ও কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘শপআপ’ সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে। এই উদ্যোগের আওতায় গেটস ফাউন্ডেশন-এর সহায়তায় ‘পড়শি’ শীর্ষক একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি মাস্টারকার্ড-এর বৈশ্বিক “স্ট্রাইভ” উদ্যোগের অংশ, যার উদ্দেশ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল রূপান্তর এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এক হাজার ৬০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের এমনভাবে সহায়তা করা, যাতে তারা সহজেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের (এফএমসিজি) সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন। 

এই উদ্যোগের ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবসায়ী নিয়মিতভাবে শপআপ অ্যাপ ব্যবহার করে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবেন।

মাস্টারকার্ড সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুভাষিনী চন্দ্রন বলেন, “শক্তিশালী ও সুস্থ সমাজ গঠনে ক্ষুদ্র ব্যবসার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা বেশি আয় করতে পারবেন এবং আজকের ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে আরও টেকসই, প্রতিযোগিতামূলক ও সফল হতে পারবেন।”

বাংলাদেশে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এমএসএমই)। দেশের মোট জিডিপির ২৫ শতাংশ এই খাতের অবদান রয়েছে, আর মোট কর্মসংস্থানের ৮৭ শতাংশ মানুষ কাজ করছেন এই খাতে। তবে এ ব্যবসাগুলো প্রায় ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ঘাটতির পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক কাঠামো ও চাকরির স্থায়িত্বের অভাবসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

যদিও নিবন্ধিত এমএসএমই-এর মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, যার বেশিরভাগই খুব ছোট আকারের; তবুও আরও অনেক নারী অনানুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসা চালান। এসব ব্যবসা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে; তারা পণ্য ও সেবা প্রদান করে এবং বিশেষ করে অন্যান্য নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “বাংলাদেশে নারীদের নেতৃত্বে পরিচালিত ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করলে যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি হয় এবং এর ইতিবাচক প্রভাব সমাজে ছড়িয়ে পড়ে- মাস্টারকার্ড সেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করে।” 

তিনি আরও বলেন, “এই ব্যবসাগুলোর আকার ছোট হলেও তারা স্থানীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং অন্য নারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করে। তাদের প্রয়োজন সঠিক প্রযুক্তি, দক্ষতা ও আর্থিক সচেতনতা, যা তাদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।”

গেটস ফাউন্ডেশনের উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এমি পেনিংটন বলেন, “বাজারে প্রবেশ ও ডিজিটাল ব্যবহারে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য খুবই জরুরি। নারীরা যখন পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন পুরো সমাজ ও অর্থনীতি উপকৃত হয়।”

মিল, ব্র্যান্ড ও প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে শপআপ পাড়ার ছোট দোকানগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে, যাতে তারা সহজেই নিয়মিত ও বৈচিত্র্যময় খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ পায়। শপআপ-এর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্থানীয় মানুষের অর্ডার গ্রহণ ও পরিচালনা করতে পারেন এবং সাশ্রয়ী দামে পণ্য সরাসরি গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারেন। বর্তমানে, দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার এই ডিজিটালভাবে যুক্ত ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক থেকে উপকৃত হচ্ছেন।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা, ঘরে ঘরে বিক্রয় এবং আর্থিক সচেতনতা নিয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা শুধু ব্যবসা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবেন না, বরং আয়, সঞ্চয় এবং পুনঃবিনিয়োগ পরিচালনার মতো অর্থনৈতিক সক্ষমতাও গড়ে তুলবেন, অনেকের জন্য যা জীবনে প্রথমবারের মতো হবে।

শপআপ-এর প্রেসিডেন্ট মামুন রশীদ বলেন, “পড়শি শুধু একটি প্রকল্প নয়, বরং এটি গ্রামীণ নারীদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ধরণটাই বদলে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা। এই উদ্যোগ যেভাবে নারীদের সক্ষমতা তুলে ধরছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা গড়ে তুলছে, তা দেখে আমরা দারুণ আশাবাদী।”

একজন মাইক্রো রিটেইলার মাসে গড়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা (প্রায় ৮২ ডলার) আয় করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শপআপ-এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের হার দিন দিন বাড়ছে। ইতোমধ্যেই অনেক নারী উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, তাদের পারিবারিক আয় বেড়েছে। কেউ কেউ এই বাড়তি আয়ে সন্তানের স্কুল ফি, চিকিৎসার খরচ কিংবা ঘরের খাবারের মান উন্নত করতে সক্ষম হচ্ছেন।

রংপুরের নারী উদ্যোক্তা শাহিনা বলেন, “পড়শি টিম যখন আমাকে বলল ‘তুমি পারবে’, আমি সেটা বিশ্বাস করি। মাত্র এক মাসেই আমি ৬ হাজার টাকা আয় করি। এখন আমার নিজের দোকান আছে, আর জীবনে প্রথমবারের মতো আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগোচ্ছি।”

এই প্রকল্পে নারীদের লাস্ট-মাইল ডেলিভারির (গ্রাহকের বাসা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানো) কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থাও আরও মজবুত হচ্ছে, আর নারীদের ব্যবসা আরও দ্রুত বাড়ছে ও ডিজিটাল হচ্ছে।

মাস্টারকার্ড স্ট্রাইভ হলো মাস্টারকার্ড সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক সমাজসেবামূলক কর্মসূচি। এই উদ্যোগ বর্তমানে ৪৫টিরও বেশি দেশে চলছে এবং লক্ষ্য হচ্ছে ১ দশমিক ৮ কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ডিজিটাল প্রযুক্তি, মূলধনের সুবিধা, নেটওয়ার্ক ও দক্ষতা দিয়ে সহায়তা করা। বাংলাদেশে এই ‘স্ট্রাইভ’ প্রকল্পটি ক্যারিবু এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে মাস্টারকার্ড।

বিজ্ঞপ্তি/

গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন
এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন

গ্রামীণ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন। এর আগে তিনি বেসরকারি সংস্থা আশা ইন্টারন্যাশনালে পরিচালক হিসেবে ছিলেন।  

এ ছাড়া তিনি ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রামে বিভিন্ন নেতৃত্বমূলক পদে দায়িত্ব পালন করেন। 

২০০৫ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সাজ্জাদ হোসেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ও এমপিএ সম্পন্ন করেন।   

সাজ্জাদ হোসেন এশিয়া ও আফ্রিকাজুড়ে ১৬ বছরেরও অধিক সময় মাইক্রোফাইন্যান্স খাতে পেশাগত দক্ষতা রেখেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর দারিদ্র্যদূরীকরণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমকে তিনি আরও বেগবান করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি।