ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

টঙ্গীতে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ উদ্বোধন

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
টঙ্গীতে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ উদ্বোধন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশন্স (GDHS) এবং তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) যৌথভাবে ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় টঙ্গীর তনিমা মেডিসিন হাউসে TIKA-এর সহায়তায় প্রথম ‘সুখী সেবা কেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বর্তমানে প্রতি ৬ হাজার ৫৭৯ রোগীর জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক এবং ২৩ হাজার রোগীর জন্য একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। দেশের ৬১ শতাংশ জনগোষ্ঠী গ্রামে বসবাস করলেও, মাত্র ২৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত। পাশাপাশি অসংক্রামক রোগে (NCDs) মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে মোট মৃত্যুর হার ৭০  শতাংশে পৌঁছেছে। 

এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়ও ক্রমাগত বাড়ছে। ২০০০ সালে যেখানে পরিবারের মাত্র ১৫ শতাংশ আয়ের ১০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করত, ২০১৬ সালে তা বেড়ে ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এ সংকট মোকাবিলায় GDHS অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্ম ‘সুখী’ চালু করা হয়েছে। 

‘স্বাস্থ্যসেবার সব সমাধান’ স্লোগানকে সামনে রেখে সুখী সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সুখী সেবা কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে রোগীরা পাবেন ২০ টাকায় ইনস্ট্যান্ট ডাক্তার পরামর্শ, বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ সেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা, ডায়াগনস্টিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ, নিকটস্থ সার্জারি রেফারেল এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ ও সহায়তা। 

প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ফার্মেসির সঙ্গে সুখী সেবা কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ৫০ হাজার ফার্মেসিতে সম্প্রসারণ করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টঙ্গীতে প্রথম ‘সুখী সেবা’ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশন্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) ড. আহমেদ আরমান সিদ্দিকী, প্রধান টেকনোলজি অফিসার (CTO) মোহাম্মদ সোলায়মান রাসেল, পার্টনারশিপ লিড, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ডা. ফাহরীন হান্নান। 

তুর্কিস কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির (TIKA) পক্ষ থেকে পরিচালক সেভকি মারথ বারিস, মুহাম্মদ আলী আর্মগান, সহকারী সমন্বয়ক  এবং পরিচালকের সহকারী মনজুর এলাহী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। সুখী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দেশে আধুনিক ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার যাত্রা শুরু হলো। আগামী দিনে এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

ওয়ালটনের নতুন অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব ওয়ালপ্যাড ৯জি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
ওয়ালটনের নতুন অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব ওয়ালপ্যাড ৯জি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নতুন ট্যাবলেট ‘ওয়ালপ্যাড ৯জি’ (WALPAD 9G)। 

অত্যাধুনিক ফিচারে সাজানো এই ট্যাব গ্রাহকদের দিচ্ছে শক্তিশালী স্পেসিফিকেশন, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যের এক চমৎকার সমন্বয়। 

অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ‘ওয়ালপ্যাড ৯জি’ ট্যাবটিতে ব্যবহৃত হয়েছে হেলিও জি৯৯ অক্টাকোর প্রসেসর, যার সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড ২ দশমিক ২ গিগাহার্টজ। 

এতে রয়েছে ৮ দশমিক ৬৮ ইঞ্চির এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, যা গ্রাহকদের দেবে মসৃণ ও প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স।

এই ট্যাবে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৪ জিবি এলপিডিডিআরফোর র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২ দশমিক ১ স্টোরেজ, যা টিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। 

মালি-জি৫৭ জিপিইউ থাকায় গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারে গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স হবে আরও উন্নত ও সাবলীল।

ছবি তোলা, ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও কল কিংবা অনলাইন মিটিং ও ক্লাস- সব কিছুর জন্য রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল ও ৫ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরার পাশাপাশি ডুয়াল স্পিকার, যা ভিডিও কনফারেন্স কিংবা সেলফির জন্য যথেষ্ট কার্যকর। 

দীর্ঘ সময় ব্যবহার নিশ্চিত করতে রয়েছে ৫ হাজার ১০০ এমএএইচ ব্যাটারির সঙ্গে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধাসহ ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। ফলে দ্রুত চার্জে দীর্ঘসময় কাজ করার অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।

নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটির জন্য এতে রয়েছে- ২জি, ৩জি ও ৪জি সাপোর্ট, ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৫ দশমিক ২, হাইব্রিড সিম স্লট এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। 

এ ছাড়া রয়েছে জিপিএস, জি-সেন্সর, লাইট সেন্সর, হল সেন্সর এবং কম্পাসের মতো প্রয়োজনীয় সেন্সর সাপোর্ট।

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, ‘আমরা সবসময় গ্রাহকচাহিদাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে পণ্য বাজারজাত করে থাকি। নতুন ‘ওয়ালপ্যাড ৯জি’ ট্যাবটির কনফিগারেশন এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যা গ্রাহকদের জন্য হবে পাওয়ারফুল পারফরম্যান্সে বাজেট ফ্রেন্ডলি সলিউশন।’ 

বর্তমানে ওয়ালপ্যাড ৯জি ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মাত্র ১৬ হাজার ৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে সব ওয়ালটন প্লাজায়। 

এ ছাড়া ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://waltondigitech.com/products/tablet/android-tab/walpad-9g) ভিজিট করে অনলাইনে সরাসরি অর্ডার করার সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহকরা। গ্রে রঙের ট্যাবটির সঙ্গে থাকছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি এবং দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য আফটার-সেলস সার্ভিসের নিশ্চয়তা।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি নছরুল কাদির

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি নছরুল কাদির
চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. নছরুল কাদির। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. নছরুল কাদির চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি আগামী চার বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. নছরুল কাদিরকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন এবং আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। তার নিয়োগের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর।

প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যেকোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন।

এর আগে, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদ পূরণ করতে ৯ জনের নামপ্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর উপাচার্য অনুপম সেন পদত্যাগ করেন। এতদিন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি শূন্য ছিল।

বিজ্ঞপ্তি/সুমন/

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ
বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ

পারিবারিক আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পত্তির উত্তরাধিকার, সন্তানের অভিভাবকত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণ, বিয়ে এবং বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সব ধর্মের নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ।

পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ময়না তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটক দ্রুত এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বঞ্চনার অবসানের সঙ্গে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হবে বলে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও বিভিন্ন আদিবাসী নারীরা সম্পত্তির উত্তরাধিকারসহ সবক্ষত্রে পুরোপুরি অধিকারবঞ্চিত হওয়ায় হিন্দু আইন সংশোধনের ব্যাপারে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এটা করা সম্ভব।

জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তাবসহ কমিশনের সুপারিশে অনেকগুলো অসামান্য ভাল প্রস্তাবনা আছে, যা বাস্তবায়িত হলে দেশ উপকৃত হবে।

এর সঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের পূর্বঘোষিত ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনটি সরকারের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের ১১ দফা-

১. হিন্দু উত্তরাধিকার আইন
প্রচলিত হিন্দু আইন সংশোধন করে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে  লিঙ্গ বৈষম্যের সম্পূর্ণ অবসান ঘটানো প্রয়োজন। আমাদের প্রস্তাব, পিতামাতার সম্পত্তিতে সন্তানরা (লিঙ্গপরিচয় নির্বিশেষে) সমান অধিকার পাবেন। একই সঙ্গে স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রী এবং স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামী এক সন্তানের সমপরিমাণ উত্তরাধিকার পাবেন। সন্তান, স্বামী বা স্ত্রীর অবর্তমানে পরবর্তী উত্তরাধিকারী নির্ণয়ের প্রশ্নে পারিবারিক সম্পর্কের অন্যান্য সর্বস্তরে লিঙ্গসমতার নীতি কার্যকর হবে। নারী, পুরুষ বা লিঙ্গ স্বাতন্ত্র্য হওয়ার কারণে কেউ অধিকার বঞ্চিত হবেন না।

২. বসতভিটা সংরক্ষণ
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বসতভিটা ও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা হিসেবে হিন্দু আইনে নির্ধারিত (লিঙ্গপরিচয় নির্বিশেষে) সপিন্ড, সাকুল্য ও সমানোদক তালিকার অন্তর্গতরা ক্রম অনুযায়ী অগ্রাধিকার পাবেন। সম-অধিকারপ্রাপ্ত শরিকদের অনাপত্তি ছাড়া হিন্দু আইনের আওতাভুক্ত নয় এমন কারও কাছে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বসতভিটা ও বাড়ি বিক্রয় করা যাবে না।

৩. ধর্মান্তরিত ব্যক্তির উত্তরাধিকার
হিন্দু আইন অনুযায়ী ধর্ম ও জাতিচ্যুত ব্যক্তি পূর্বপুরুষের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার হারান। একই নিয়মে কেউ সনাতন, বৌদ্ধ, জৈন বা পরম্পরাগত ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু আইনের আওতার বহির্ভূত অন্য কোনো ধর্মে চলে গেলে তিনি উত্তরাধিকার হারাবেন। তিনি পূর্বপুরুষের ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনাচরণ ও পরিবার ত্যাগের সঙ্গে পূর্বপুরুষের সম্পত্তিতেও অধিকার ত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবেন। ফলে তিনি হিন্দু আইনের আওতাধীন কোনো ব্যক্তির সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবেন না। সব ধর্মের ক্ষেত্রেই বর্তমানে এ ব্যবস্থা চালু আছে। এ ব্যাপারে সংসদে প্রণীত সংবিধিবদ্ধ আইন না থাকলেও দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য স্বতন্ত্র পারিবারিক আইন চালু থাকায় ধর্মান্তরিতরা সম্পত্তির উত্তরাধিকার পান না। দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, ধর্ম, সংস্কৃতি, পরিবার এবং সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিষিদ্ধ করে সংসদে সুস্পষ্ট সংবিধিবদ্ধ আইন পাস করা প্রয়োজন।

৪. বিবাহ নিবন্ধন
বৈবাহিক সম্পর্কের আইনগত ভিত্তি সুদৃঢ় করা, আগত বা অনাগত সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং নানাবিধ জটিলতা নিরসনের জন্য হিন্দু আইনের অন্তর্ভুক্ত সব নাগরিকের দাম্পত্য সম্পর্কের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

৫. বহুবিবাহ নিয়ন্ত্রণ
বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে পুরুষরা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বহুবিবাহ করতে পারেন। এর কোনো আইনগত নিয়ন্ত্রণ নেই। এ ব্যবস্থা উন্নত সভ্যতা ও জীবন-সম্পর্কের প্রতিকূল। বিশেষ কিছু ব্যতিক্রমী বাস্তবতায় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে একাধিক বিবাহ অনুমোদিত হতে পারে। এ ছাড়া বহুবিবাহের স্বেচ্ছাচার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

৬. বিবাহ বিচ্ছেদ
ধর্মশাস্ত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারীর পুনর্বিবাহের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু আইনে নারীদের একবার বিয়ে হলে তাদের জন্য কখনো কোনো অবস্থাতেই বিচ্ছেদ নিয়ে আবার বিয়ে করার অনুমতি নেই। ফলে অনেক নারীর জীবন দুর্বিষহ ও বিপন্ন হচ্ছে। ভগ্ন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ পুরুষদের জন্যেও প্রয়োজনীয়। কিন্তু আইন না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে অনেকে অবৈধপন্থা অনুসরণ করছেন এবং তাতে আইনের চোখে ‘অবৈধ সন্তান’ উৎপাদন হচ্ছে। তাই প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনগত বৈধতা প্রদান এবং সেজন্য সুস্পষ্ট সংবিধিবদ্ধ আইন প্রণয়ন জরুরি।

৭. বর্ণবৈষম্য রোধ
সমাজ বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় দেশের হিন্দু সমাজের মধ্যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র ও বিভিন্ন উপবর্ণের নারী-পুরুষেরর মধ্যে অসবর্ণ বিবাহ হরহামেশাই ঘটছে। কিন্তু এসব বিয়ের আইনগত বৈধতা নেই। অবৈধ বিয়ের সন্তানরাও আইনত ‘অবৈধ’ বিবেচিত হয়। অবৈধ সন্তানের পৈত্রিক সম্পত্তিতে অধিকার নড়বড়ে থাকে। এগুলো মানবের প্রতি অবিচারমূলক অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। তাই ব্রিটিশ আমলে প্রণীত Hindu Marriage Disabilities Removal Act 1946 সংশোধন করে অসবর্ণ বিবাহের আইনগত বৈধতা প্রদান প্রয়োজন।

৮. দত্তক আইন
হিন্দু আইনে সন্তান দত্তক নেওয়া বৈধ হলেও স্বামীর অনুমতি ছাড়া নারী ও লিঙ্গবৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর দত্তক নেওয়ার অধিকার নেই। ছেলে দত্তক নেওয়া যায়, কিন্তু মেয়ে সন্তান দত্তক নেওয়া যায় না। প্রতিবন্ধী শিশুকে এবং ভিন্ন গোত্রের বা ভিন্ন বর্ণের শিশুকে দত্তক নেওয়া যায় না। এরকম নানাবিধ বৈষম্য নিরসন করে আধুনিক, উন্নত ও মানবিক দত্তক আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।

৯. অভিভাবকত্ব আইন
সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদগত প্রতিকূলতায় শিশুর প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন।

১০. প্রতিবন্ধীদের অধিকার
বাংলাদেশে প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে বিকলাঙ্গ, দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, যৌন ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ রোগের মতো তথাকথিত দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পত্তির অধিকার পান না। এর নিরসন দরকার। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সবার সম্পত্তির সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বিধান ও অগ্রাধিকারভিত্তিক সুযোগ প্রদান জরুরি।

১১. সংখ্যালঘু সুরক্ষা
সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা জরুরি।

বিজ্ঞপ্তি/সুমন/

আরসিআরইউয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফিলিস্তিনে শহিদদের জন্য দোয়া

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
আরসিআরইউয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফিলিস্তিনে শহিদদের জন্য দোয়া
রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

‘সত্যের সন্ধানে’ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরসিআরইউ) ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভা এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি কলেজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং ইউনিটির কার্যালয়ের সামনের চত্বরে একটি বৃক্ষরোপণ করা হয়। 

এর পর হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবনের গ্যালারি রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী।

আরসিআরইউয়ের সভাপতি আবু সাঈদ রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান। 

ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. সেরাজ উদ্দিন, ইউনিটির শিক্ষক উপদেষ্টা ও দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সৈয়দ আলী আহসান, শিক্ষক উপদেষ্টা ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমত আলী, শিক্ষক উপদেষ্টা ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর দীর্ঘদিন ধরে যে মানবতাবিরোধী হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে, তা সভ্যতা ও মানবিকতার পরিপন্থি। একজন মুসলিম হিসেবে, একজন মানবতাবাদী মানুষ হিসেবেও এটি মেনে নেওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে সোচ্চার হওয়া জরুরি। রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি সময়োপযোগী বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’

প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেন, ‘রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির পথচলা সহজ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল সীমিত কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগ। আজ এই সংগঠনের সদস্যরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছে, যা আমাদের গর্বিত করে। শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতায় যুক্ত করে সত্য ও ন্যায়ের পথে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে আরসিআরইউয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’

শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. সেরাজ উদ্দিন বলেন, ‘সাংবাদিকতা হচ্ছে একটি দায়িত্বশীল পেশা। আরসিআরইউ তার সদস্যদের নৈতিকতা, দক্ষতা ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। রাজশাহী কলেজের ইতিহাসে এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্ম ছাত্রদের ভাবনার জগৎকে প্রসারিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।’

অনুষ্ঠানে ইউনিটির সাবেক প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রাকিবুল হাসান রাজিব, সাবেক সভাপতি বাবর মাহমুদ, সাবেক সভাপতি ও কমিটি উপদেষ্টা আব্দুল হাকিম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাদিসুর রহমান, আইটি এক্সপার্ট নাহিদ ইসলাম, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ওলিউর রহমান বাবু, রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালেদ বিন ওয়ালিদ আবির ও কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

এ সময় ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক সুজন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুল ইকরাম ফেরদৌস ইবতিদা, দপ্তর সম্পাদক  মো. শাহাদাত হোসেন, অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক আল সাকিব, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য ফারহানা ইয়াসমিন ছন্দা, সদস্য উম্মে সিদ্দিকা সুইটিসহ সহযোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে ভিত্তিহীন বলেছে মেঘনা গ্রুপ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২ এএম
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে ভিত্তিহীন বলেছে মেঘনা গ্রুপ

সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)। 

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) এমজিআইয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। 

শীর্ষস্থানীয় এই শিল্প গোষ্ঠী জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার সবকিছুই মিথ্যা। এমজিআই জানায়, ‘সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত কিছু বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন নজরে এসেছে। এমজিআই থেকে আমরা এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি এবং দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে বলছি, যেকোনো স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত- সেটি দেশি হোক অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হোক, আমাদের সব প্রচলিত আইন ও নিয়মকানুন মেনে চলার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করবে।’

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ‘আমরা অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা কঠোরভাবে অনুসরণ করে থাকি এবং নিয়মিত নিরপেক্ষ অডিট সম্পন্ন হয়ে থাকে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যাবে না।’

এমজিআই জানায়, কিছু অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি শিল্প গ্রুপকে অস্থিতিশীল করে তোলা। শিল্প গ্রুপটি সব স্টেকহোল্ডার, বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমগুলোকে বস্তুনিষ্ঠ ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করার অনুরোধ জানিয়েছে।