
পবিত্র রমজান মাসে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার তাদের সাফল্যের চতুর্থ বছর উদযাপন করেছে। এই বিশেষ দিনে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল বিগত চার বছর ধরে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা এবং দক্ষ পেশাদার কর্মীদের মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানটি ব্লাড ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, থাইরয়েড ক্যান্সার, হাড়ের ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার, কলোরেক্টাল ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি নিউরোলজি, গ্যাস্ট্রএন্টারোলজিসহ এক ছাদের নিচে সবরকম স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ঢাকার অভ্যন্তরীণ সেরা ক্যান্সার হাসপাতাল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। চার বছরে হাসপাতালটি কেবল অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজন করেনি বরং সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত মানের ক্যান্সার চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
ইফতার মাহফিলের মিলনমেলায় সবাই হাসপাতালের চার বছরের পথচলার বিভিন্ন স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। রমজান মাসের পবিত্রতা ও তাৎপর্য এই উদ্যাপনকে আরও মহিমান্বিত করে তোলে, যা প্রতিষ্ঠানের মানবিক মূল্যবোধ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাকে সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলে।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সাকিফ শামীম। অনুষ্ঠানে তিনি হাসপাতালের বিগত চার বছরের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত চার বছর ধরে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল বাংলাদেশের মানুষের জন্য সর্বোত্তম ক্যান্সার সেবা প্রদানে নিবেদিত ছিল। ক্যান্সার জয় করার যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল, এই বর্ষপূর্তি সেই পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সব কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং রোগীদের আস্থা ও ভালোবাসাই এই অর্জন সম্ভব করেছে। আমরা আগামীতেও অত্যাধুনিক চিকিৎসা এবং মানবিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীদের পাশে থাকব।’
তার এই বক্তব্য হাসপাতালের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় এবং রোগীদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের প্রতিফলন ঘটায়।
ইফতার মাহফিলে হাসপাতালের সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মীরা এই অনুষ্ঠানে একত্র হয়ে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং হাসপাতালের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এই মিলনমেলা শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং এটি ছিল হাসপাতালের একটি পরিবারের মতো বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই একযোগে হাসপাতালের সাফল্যের জন্য নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এই সম্মিলিত অংশগ্রহণ হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেখানে প্রতিটি সদস্যই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে সমানভাবে নিবেদিত।
বিজ্ঞপ্তি/সুমন/