ঢাকা ২ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নে মাস্টারকার্ড ও শপআপ-এর ‘পড়শি’ প্রকল্প

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নে মাস্টারকার্ড ও শপআপ-এর ‘পড়শি’ প্রকল্প
গেটস ফাউন্ডেশন-এর সহায়তায় ‘পড়শি’ শীর্ষক একটি নতুন প্রকল্প চালু

নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করতে ‘মাস্টারকার্ড সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ ও কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘শপআপ’ সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে। এই উদ্যোগের আওতায় গেটস ফাউন্ডেশন-এর সহায়তায় ‘পড়শি’ শীর্ষক একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি মাস্টারকার্ড-এর বৈশ্বিক “স্ট্রাইভ” উদ্যোগের অংশ, যার উদ্দেশ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল রূপান্তর এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এক হাজার ৬০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের এমনভাবে সহায়তা করা, যাতে তারা সহজেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের (এফএমসিজি) সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন। 

এই উদ্যোগের ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবসায়ী নিয়মিতভাবে শপআপ অ্যাপ ব্যবহার করে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবেন।

মাস্টারকার্ড সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুভাষিনী চন্দ্রন বলেন, “শক্তিশালী ও সুস্থ সমাজ গঠনে ক্ষুদ্র ব্যবসার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা বেশি আয় করতে পারবেন এবং আজকের ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে আরও টেকসই, প্রতিযোগিতামূলক ও সফল হতে পারবেন।”

বাংলাদেশে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এমএসএমই)। দেশের মোট জিডিপির ২৫ শতাংশ এই খাতের অবদান রয়েছে, আর মোট কর্মসংস্থানের ৮৭ শতাংশ মানুষ কাজ করছেন এই খাতে। তবে এ ব্যবসাগুলো প্রায় ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ঘাটতির পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক কাঠামো ও চাকরির স্থায়িত্বের অভাবসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

যদিও নিবন্ধিত এমএসএমই-এর মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, যার বেশিরভাগই খুব ছোট আকারের; তবুও আরও অনেক নারী অনানুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসা চালান। এসব ব্যবসা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে; তারা পণ্য ও সেবা প্রদান করে এবং বিশেষ করে অন্যান্য নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “বাংলাদেশে নারীদের নেতৃত্বে পরিচালিত ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করলে যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি হয় এবং এর ইতিবাচক প্রভাব সমাজে ছড়িয়ে পড়ে- মাস্টারকার্ড সেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করে।” 

তিনি আরও বলেন, “এই ব্যবসাগুলোর আকার ছোট হলেও তারা স্থানীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং অন্য নারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করে। তাদের প্রয়োজন সঠিক প্রযুক্তি, দক্ষতা ও আর্থিক সচেতনতা, যা তাদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।”

গেটস ফাউন্ডেশনের উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এমি পেনিংটন বলেন, “বাজারে প্রবেশ ও ডিজিটাল ব্যবহারে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য খুবই জরুরি। নারীরা যখন পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, তখন পুরো সমাজ ও অর্থনীতি উপকৃত হয়।”

মিল, ব্র্যান্ড ও প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে শপআপ পাড়ার ছোট দোকানগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে, যাতে তারা সহজেই নিয়মিত ও বৈচিত্র্যময় খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ পায়। শপআপ-এর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্থানীয় মানুষের অর্ডার গ্রহণ ও পরিচালনা করতে পারেন এবং সাশ্রয়ী দামে পণ্য সরাসরি গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারেন। বর্তমানে, দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার এই ডিজিটালভাবে যুক্ত ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক থেকে উপকৃত হচ্ছেন।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা, ঘরে ঘরে বিক্রয় এবং আর্থিক সচেতনতা নিয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা শুধু ব্যবসা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবেন না, বরং আয়, সঞ্চয় এবং পুনঃবিনিয়োগ পরিচালনার মতো অর্থনৈতিক সক্ষমতাও গড়ে তুলবেন, অনেকের জন্য যা জীবনে প্রথমবারের মতো হবে।

শপআপ-এর প্রেসিডেন্ট মামুন রশীদ বলেন, “পড়শি শুধু একটি প্রকল্প নয়, বরং এটি গ্রামীণ নারীদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ধরণটাই বদলে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা। এই উদ্যোগ যেভাবে নারীদের সক্ষমতা তুলে ধরছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা গড়ে তুলছে, তা দেখে আমরা দারুণ আশাবাদী।”

একজন মাইক্রো রিটেইলার মাসে গড়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা (প্রায় ৮২ ডলার) আয় করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শপআপ-এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের হার দিন দিন বাড়ছে। ইতোমধ্যেই অনেক নারী উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, তাদের পারিবারিক আয় বেড়েছে। কেউ কেউ এই বাড়তি আয়ে সন্তানের স্কুল ফি, চিকিৎসার খরচ কিংবা ঘরের খাবারের মান উন্নত করতে সক্ষম হচ্ছেন।

রংপুরের নারী উদ্যোক্তা শাহিনা বলেন, “পড়শি টিম যখন আমাকে বলল ‘তুমি পারবে’, আমি সেটা বিশ্বাস করি। মাত্র এক মাসেই আমি ৬ হাজার টাকা আয় করি। এখন আমার নিজের দোকান আছে, আর জীবনে প্রথমবারের মতো আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগোচ্ছি।”

এই প্রকল্পে নারীদের লাস্ট-মাইল ডেলিভারির (গ্রাহকের বাসা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানো) কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থাও আরও মজবুত হচ্ছে, আর নারীদের ব্যবসা আরও দ্রুত বাড়ছে ও ডিজিটাল হচ্ছে।

মাস্টারকার্ড স্ট্রাইভ হলো মাস্টারকার্ড সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক সমাজসেবামূলক কর্মসূচি। এই উদ্যোগ বর্তমানে ৪৫টিরও বেশি দেশে চলছে এবং লক্ষ্য হচ্ছে ১ দশমিক ৮ কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ডিজিটাল প্রযুক্তি, মূলধনের সুবিধা, নেটওয়ার্ক ও দক্ষতা দিয়ে সহায়তা করা। বাংলাদেশে এই ‘স্ট্রাইভ’ প্রকল্পটি ক্যারিবু এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে মাস্টারকার্ড।

বিজ্ঞপ্তি/

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ বিতরণ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ বিতরণ
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতাধীন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির (ইডিপি) সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক ও প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এসআইসিআইপি-পিআইইউ মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডেপুটি নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক মো. মাহফুজুল আলম খান, যুগ্ম সচিব ও ডেপুটি নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক (প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট-৩) সায়েদা আমিনা ফাহমীন, উপসচিব ও সহকারী নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক (প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট-৬) মাহমুদা আক্তার, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা হোসেন এবং এসএমই ও কৃষি বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান মো. আবদুর রহিমসহ ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন নতুন উদ্যোক্তার মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয় এবং প্রতীকীভাবে ৫ জন নির্বাচিত উদ্যোক্তাকে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৫০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। 

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ব্যাংকের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য পণ্যমেলা, যেখানে ইডিপি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন উদ্যোক্তার স্টল স্থান পায়। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তশিল্প, ফ্যাশন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্য প্রদর্শিত হয়, যা অতিথি, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সবার মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দেয়।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এসআইসিআইপির সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে উদ্যোক্তারা বিকশিত হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে দৃশ্যমান অবদান রাখতে পারবে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক বিশ্বাস করে, এ ধরনের উদ্যোগ দেশব্যাপী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের অবদানকে আরও সুদৃঢ় করবে।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

মোহাম্মদপুরে ইয়াডিয়ার নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
মোহাম্মদপুরে ইয়াডিয়ার নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক টু-হুইলার ব্র্যান্ড ইয়াডিয়া, ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাদের ফ্ল্যাগশিপ শোরুমের উদ্বোধন করেছে। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ শোরুমের উদ্বোধন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে স্কুটারগুলোর আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে ছিল নানা প্রদর্শনী ও কার্যক্রম। 

এ সময় অতিথি ও আগ্রহী ক্রেতারা সরাসরি স্কুটার চালিয়ে দেখার (টেস্ট রাইড) সুযোগ পেয়ে দারুণ আনন্দিত হন।  

ইভেন্টের বিশেষ আকর্ষণগুলো- উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, লাইভ প্রোডাক্ট ডেমো ও টেস্ট রাইড এবং এক্সক্লুসিভ লঞ্চ অফার ও উপহারসামগ্রী। 

পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী এই বৈদ্যুতিক স্কুটারগুলো দেশের বাজারে এনে রানার যে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসিত হয়েছে সবার কাছে। নতুন স্টোরটি বাংলাদেশি গ্রাহকদের স্টাইলিশ, টেকসই এবং কর্মক্ষমতাভিত্তিক অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক গতিশীলতা সমাধান প্রদানের প্রতি ইয়াডিয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতীক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন রানার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজরুল মু. ইস., চিফ বিজনেস অফিসার আবু হানিফ, ইয়াদিয়ার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার ওয়েন এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসির অন্য সিনিয়র কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিল জিপিএইচ ইস্পাত

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিল জিপিএইচ ইস্পাত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অনুদান দিয়েছে। 

কোম্পানির ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) থেকে এই অর্থ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুদান হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে চেক গ্রহণ করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। জিপিএইচ ইস্পাত-এর পক্ষে অনুদানের চেক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান এবং গ্রুপ চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এইচ এম আশরাফ-উজ-জামান এফসিএ।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পোন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনঃনিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, শিল্পের উন্নয়ন ও শ্রমিক কল্যাণ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই অনুদান প্রদানের মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত প্রমাণ করেছে যে, তারা একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে শ্রমিকদের সঠিক উন্নয়নের অংশীদার করতে বদ্ধপরিকর, যা তারাই নিজেদের শ্রম ও প্রচেষ্টায় গড়ে তুলছেন। বিজ্ঞপ্তি

ইউসিটিসির ইএলএল বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
ইউসিটিসির ইএলএল বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম (ইউসিটিসি)-এর ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য (ইএলএল) বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (১৩ জুলাই) এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।

নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, বিভাগীয় সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যৎ নির্দেশনার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে এই আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জাহিদ হোসেন শরীফ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর সালাহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. জিয়াউল হক।

প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং বিভাগীয় শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। তারা গঠনমূলক চিন্তা, একাডেমিক অঙ্গীকার এবং সাহিত্যের মাধ্যমে প্রগতিশীল মানসিকতা গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

প্রফেসর ড. জাহিদ হোসেন শরীফ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তারা যেন নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সুযোগ-সুবিধা সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগায়। 

রেজিস্ট্রার প্রফেসর সালাহউদ্দিন আহমেদ একাডেমিক জীবনে সততা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিভাগীয় প্রধান মো. জিয়াউল হক নবাগতদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভাগীয় ভিশন ও একাডেমিক রোডম্যাপ তুলে ধরেন। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার আলোকে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনে উৎকর্ষ সাধনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে, যা তাদের এক নতুন একাডেমিক যাত্রার সূচনায় অনুপ্রেরণা যোগায়।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্টের তালিকায় টানা তিন বছর শীর্ষে হুয়াওয়ে

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্টের তালিকায় টানা তিন বছর শীর্ষে হুয়াওয়ে
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেশাদারত্বের সঙ্গে তারযুক্ত ও তারহীন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) অবকাঠামো সেবা দেয়ার জন্য গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্টের ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে ‘লিডার’ গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে হুয়াওয়ে। টানা তিন বছর ধরে হুয়াওয়ে এই অবস্থান ধরে রেখেছে। আর এ বছর উত্তর আমেরিকার বাইরের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই জায়গা পেয়েছে তারা। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি নিজস্ব মানসম্মত পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রযুক্তি খাতের সরবরাহকারীদের মূল্যায়ন করে গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্ট। এই মূল্যায়ন প্রধানত দুটি অক্ষের ওপর ভিত্তি করে হয়। একটি হলো, পরিপক্ব দূরদৃষ্টি এবং আরেকটি হলো কাজ পরিসমাপ্তি ক্ষমতা। এখানে খাতবিষয়ক জ্ঞান, উদ্ভাবন, পণ্য ও সেবার গুণগত মান ও মূল্য, গ্রাহক অভিজ্ঞতা, বিক্রয় প্রক্রিয়া এমন অনেক বিষয় বিবেচনা করা হয়। তাই এই স্বীকৃতি উদ্ভাবন ও গ্রাহককেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক সমাধানের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি এর উন্নত পণ্য, বিশ্বব্যাপী পরিষেবা সহায়তা ও দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের বিষয়স্বরূপ।

বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সংযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থা, অ্যাপ্লিকেশন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করছে। এই অগ্রগতি ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০ জিবিপিএসের ওয়্যারর্ড এবং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। এটি স্মার্ট ক্যাম্পাস, মোবাইলভিত্তিক আর্থিকসেবা ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।

হুয়াওয়ে ২০২৫ সালে এই খাতে প্রথম ফাইভ-রেডিও ওয়াই-ফাই ৭ অ্যাক্সেস পয়েন্ট (এপি) নিয়ে আসে। এটি ইন্টেলিজেন্ট ডিজিটাল প্রি-ডিস্টরশন (ডিপিডি) এবং ইন্টেলিজেন্ট কোঅর্ডিনেটেড শিডিউলিং অ্যান্ড স্পেশিয়াল রিইউজের (আইসিএসএসআর) মতো প্রযুক্তিগুলিকে একীভূত করে ওয়াই-ফাই ৭-এ ওয়াই-ফাই ৮-এর উদ্ভাবন যুক্ত করেছে। এর ফলে আরও উন্নত ওয়্যারলেস সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াই-ফাই, আইওটি এবং সেন্সিং প্রযুক্তিকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে হুয়াওয়ে ব্লাইন্ড-স্পট মুক্ত সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সেবার সার্বিক খরচ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে।   

ওয়াই-ফাই শিল্ড প্রযুক্তিকেও আরও শক্তিশালী করেছে হুয়াওয়ে। এটি বর্তমানে ১৩টি এপি মডেলে কাজ করে। এগুলো আবাসস্থল ও বাইরের স্থান থেকে শুরু করে আইওটি ও বহুসংখ্যক ডিভাইস রয়েছে এমন জায়গায় ব্যবহারযোগ্য। এর সিকিওর টার্মিনাল অ্যাক্সেস, ফাইন-গ্রেইনড পলিসি কনট্রোল ও ওয়াই-ফাই চ্যানেল স্টেট ইনফরমেশন (সিএসআই) সেন্সিংয়ের মতো ফিচারগুলো সুরক্ষা নিশ্চিত। 

অডিও/ভিডিও, ক্লাউড ডেস্কটপ ও অফিসে দলবদ্ধ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য হুয়াওয়ে ব্যবহার করছে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রযুক্তি, যেমন- আইস্যাক (iSAC), আইশিডিউলার (iScheduler) এবং আইফ্লো (iFlow)। পাশাপাশি ভিআইপি ফাস্টপাস এবং পার-প্যাকেট পাওয়ার কন্ট্রোল প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সেবায় সর্বোচ্চ মানের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ম্যাপ ও নেটমাস্টার এআই এজেন্টযুক্ত ‘ওয়ান ম্যাপ, ওয়ান ব্রেইন’ আর্কিটেকচারের মাধ্যমে এটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যভিত্তিক কাজ, সাধারণ ভাষায় নির্দেশ দেওয়ার সুবিধা এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ওয়্যারলেস সমস্যা সমাধানের সুবিধা থাকায় এটি মাত্র একজন ইঞ্জিনিয়ারকে ১০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারীর একটি ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক দক্ষভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

ভবিষ্যতেও হুয়াওয়ে গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে এবং এআই-চালিত ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ককে আরও উন্নত করবে। অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে হুয়াওয়ে নতুন প্রজন্মের এমন ‘এআই ক্যাম্পাস’ গড়ে তুলতে চায় যা নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে, পরিচালনার দক্ষতা বাড়াবে এবং এআই যুগে সবার সাফল্য নিশ্চিত করবে।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/