ঢাকা ২ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

উন্নত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হুয়াওয়ে আইএএএস ব্যবহার করবে ইজিসিবি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
উন্নত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হুয়াওয়ে আইএএএস ব্যবহার করবে ইজিসিবি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

হুয়াওয়ের ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (আইএএএস)’ ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় এক বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি)। অবকাঠামোগত সুবিধাকে সেবা হিসেবে ব্যবহারের এই প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যবস্থায় সহায়তা করবে। চলতি সপ্তাহে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সদর দপ্তরে ইজিসিবি এবং হুয়াওয়ের স্থানীয় সহযোগী ওমেগা এক্সিম লিমিটেড-এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইজিসিবি-এর সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড হেড অব আইসিটি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান খান এবং ওমেগা এক্সিম লিমিটেড-এর ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল মাকসুদ বেগ। হুয়াওয়ে এবং এই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তির আওতায় হুয়াওয়ের আইএএএস-এর মাধ্যমে ইজিসিবি-এর ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআর) প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য হোস্ট করা হবে। এটি একটি সুরক্ষিত ও প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থার জন্য তৈরি করা হয়েছে যা ডেটা ব্যাকআপ, রেপ্লিকেশন, নিয়মিত রিকভারি টেস্টিংয়ের পাশাপাশি কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত তথ্য পুনরুদ্ধারের সুবিধা নিশ্চিত করবে। এর ফলে ইজিসিবির ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে এবং প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে সাহায্য করবে। 

ওমেগা এক্সিম লিমিটেড স্থানীয় পর্যায়ে হুয়াওয়ের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি ক্লাউড-ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প পরিচালনা, ইজিসিবি কর্মীদের প্রশিক্ষণ, চুক্তির সময়কালে রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় নিয়মনীতি অনুসরণের দায়িত্বে থাকবে।
 
অনুষ্ঠানে মো. রাশেদুজ্জামান খান বলেন, আমরা সব সময় দেশের এবং জনগণের জন্য সেরা মানের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো আধুনিকায়ন করা আমাদের এটি প্রধান লক্ষ্য। সম্পূর্ণভাবে মূল্যায়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা দেখেছি যে, হুয়াওয়ের আইএএএস-ই সবচেয়ে উপযুক্ত। এর দক্ষতা অতুলনীয় এবং অভিজ্ঞতাও বিশ্ব মানের। 

আবদুল্লাহ আল মাকসুদ বেগ বলেন, আমরা হুয়াওয়ের ক্লাউড সল্যুশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার জন্য হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের নানা ধরনের সেবা বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতের প্রয়োজন মেটাতে অত্যন্ত উপযোগী। হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবার মান ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে আমাদের গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক। ইজিসিবিকে এই শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তারাও হুয়াওয়ে ক্লাউড ও আমাদের বিশেষ সেবার সুফল পাবে। 

এই চুক্তি সম্পর্কে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ক্লাউড বিজনেসের ডিরেক্টর ঝং ইউবিং বলেন, ক্লাউড প্রযুক্তিতে আমাদের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কার্যকর সমাধান দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থানীয় প্রয়োজনের সঙ্গে মিল রেখে আমরা বিশ্বমানের সেবা দিতে চাই। ইজিসিবিকে এই যাত্রায় সহায়তা দিতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, তারা আমাদের কাছ থেকে উন্নত সেবার অভিজ্ঞতা পাবে।

আইসিটি খাতে হুয়াওয়ের ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অত্যাধুনিক পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গত চার বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাবলিক ক্লাউডের বাজারে হুয়াওয়ের সেবার ব্যবহার ২০ গুণ বেড়েছে। এই অঞ্চলের সেরা পাঁচটি পাবলিক ক্লাউড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হুয়াওয়ের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। হাইব্রিড ক্লাউডে শীর্ষস্থান ধরে রেখে হুয়াওয়ে ক্লাউড স্ট্যাক থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও হংকংয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে।

হুয়াওয়ে ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিষেবা এবং স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য হলো সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া।

বাংলাদেশে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতকে সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ে ক্লাউড সলিউশন, ডিজিটাল পাওয়ার সলিউশন ও মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে এবং দেশের প্রায় প্রতিটি খাতে আইসিটি অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালনে, বিশেষ করে প্রতিভা বিকাশে হুয়াওয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা পালন করে আসছে। 

দেশের আইসিটি অবকাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ে একটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সবসময় এর সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। 
হুয়াওয়ে, বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য।

 

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ বিতরণ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ বিতরণ
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতাধীন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির (ইডিপি) সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক ও প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এসআইসিআইপি-পিআইইউ মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডেপুটি নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক মো. মাহফুজুল আলম খান, যুগ্ম সচিব ও ডেপুটি নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক (প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট-৩) সায়েদা আমিনা ফাহমীন, উপসচিব ও সহকারী নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক (প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট-৬) মাহমুদা আক্তার, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা হোসেন এবং এসএমই ও কৃষি বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান মো. আবদুর রহিমসহ ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন নতুন উদ্যোক্তার মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয় এবং প্রতীকীভাবে ৫ জন নির্বাচিত উদ্যোক্তাকে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৫০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। 

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ব্যাংকের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য পণ্যমেলা, যেখানে ইডিপি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন উদ্যোক্তার স্টল স্থান পায়। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তশিল্প, ফ্যাশন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্য প্রদর্শিত হয়, যা অতিথি, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সবার মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দেয়।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এসআইসিআইপির সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে উদ্যোক্তারা বিকশিত হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে দৃশ্যমান অবদান রাখতে পারবে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক বিশ্বাস করে, এ ধরনের উদ্যোগ দেশব্যাপী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের অবদানকে আরও সুদৃঢ় করবে।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

মোহাম্মদপুরে ইয়াডিয়ার নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
মোহাম্মদপুরে ইয়াডিয়ার নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক টু-হুইলার ব্র্যান্ড ইয়াডিয়া, ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাদের ফ্ল্যাগশিপ শোরুমের উদ্বোধন করেছে। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ শোরুমের উদ্বোধন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে স্কুটারগুলোর আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে ছিল নানা প্রদর্শনী ও কার্যক্রম। 

এ সময় অতিথি ও আগ্রহী ক্রেতারা সরাসরি স্কুটার চালিয়ে দেখার (টেস্ট রাইড) সুযোগ পেয়ে দারুণ আনন্দিত হন।  

ইভেন্টের বিশেষ আকর্ষণগুলো- উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, লাইভ প্রোডাক্ট ডেমো ও টেস্ট রাইড এবং এক্সক্লুসিভ লঞ্চ অফার ও উপহারসামগ্রী। 

পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী এই বৈদ্যুতিক স্কুটারগুলো দেশের বাজারে এনে রানার যে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসিত হয়েছে সবার কাছে। নতুন স্টোরটি বাংলাদেশি গ্রাহকদের স্টাইলিশ, টেকসই এবং কর্মক্ষমতাভিত্তিক অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক গতিশীলতা সমাধান প্রদানের প্রতি ইয়াডিয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতীক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন রানার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজরুল মু. ইস., চিফ বিজনেস অফিসার আবু হানিফ, ইয়াদিয়ার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার ওয়েন এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসির অন্য সিনিয়র কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিল জিপিএইচ ইস্পাত

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিল জিপিএইচ ইস্পাত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অনুদান দিয়েছে। 

কোম্পানির ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) থেকে এই অর্থ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুদান হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে চেক গ্রহণ করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। জিপিএইচ ইস্পাত-এর পক্ষে অনুদানের চেক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান এবং গ্রুপ চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এইচ এম আশরাফ-উজ-জামান এফসিএ।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পোন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনঃনিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, শিল্পের উন্নয়ন ও শ্রমিক কল্যাণ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই অনুদান প্রদানের মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত প্রমাণ করেছে যে, তারা একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে শ্রমিকদের সঠিক উন্নয়নের অংশীদার করতে বদ্ধপরিকর, যা তারাই নিজেদের শ্রম ও প্রচেষ্টায় গড়ে তুলছেন। বিজ্ঞপ্তি

ইউসিটিসির ইএলএল বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
ইউসিটিসির ইএলএল বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম (ইউসিটিসি)-এর ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য (ইএলএল) বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (১৩ জুলাই) এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।

নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, বিভাগীয় সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যৎ নির্দেশনার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে এই আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জাহিদ হোসেন শরীফ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর সালাহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. জিয়াউল হক।

প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং বিভাগীয় শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। তারা গঠনমূলক চিন্তা, একাডেমিক অঙ্গীকার এবং সাহিত্যের মাধ্যমে প্রগতিশীল মানসিকতা গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

প্রফেসর ড. জাহিদ হোসেন শরীফ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তারা যেন নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সুযোগ-সুবিধা সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগায়। 

রেজিস্ট্রার প্রফেসর সালাহউদ্দিন আহমেদ একাডেমিক জীবনে সততা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিভাগীয় প্রধান মো. জিয়াউল হক নবাগতদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভাগীয় ভিশন ও একাডেমিক রোডম্যাপ তুলে ধরেন। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার আলোকে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনে উৎকর্ষ সাধনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে, যা তাদের এক নতুন একাডেমিক যাত্রার সূচনায় অনুপ্রেরণা যোগায়।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্টের তালিকায় টানা তিন বছর শীর্ষে হুয়াওয়ে

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্টের তালিকায় টানা তিন বছর শীর্ষে হুয়াওয়ে
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেশাদারত্বের সঙ্গে তারযুক্ত ও তারহীন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) অবকাঠামো সেবা দেয়ার জন্য গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্টের ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে ‘লিডার’ গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে হুয়াওয়ে। টানা তিন বছর ধরে হুয়াওয়ে এই অবস্থান ধরে রেখেছে। আর এ বছর উত্তর আমেরিকার বাইরের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই জায়গা পেয়েছে তারা। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি নিজস্ব মানসম্মত পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রযুক্তি খাতের সরবরাহকারীদের মূল্যায়ন করে গার্টনার ম্যাজিক কোয়াড্রেন্ট। এই মূল্যায়ন প্রধানত দুটি অক্ষের ওপর ভিত্তি করে হয়। একটি হলো, পরিপক্ব দূরদৃষ্টি এবং আরেকটি হলো কাজ পরিসমাপ্তি ক্ষমতা। এখানে খাতবিষয়ক জ্ঞান, উদ্ভাবন, পণ্য ও সেবার গুণগত মান ও মূল্য, গ্রাহক অভিজ্ঞতা, বিক্রয় প্রক্রিয়া এমন অনেক বিষয় বিবেচনা করা হয়। তাই এই স্বীকৃতি উদ্ভাবন ও গ্রাহককেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক সমাধানের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি এর উন্নত পণ্য, বিশ্বব্যাপী পরিষেবা সহায়তা ও দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের বিষয়স্বরূপ।

বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সংযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থা, অ্যাপ্লিকেশন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করছে। এই অগ্রগতি ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০ জিবিপিএসের ওয়্যারর্ড এবং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। এটি স্মার্ট ক্যাম্পাস, মোবাইলভিত্তিক আর্থিকসেবা ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।

হুয়াওয়ে ২০২৫ সালে এই খাতে প্রথম ফাইভ-রেডিও ওয়াই-ফাই ৭ অ্যাক্সেস পয়েন্ট (এপি) নিয়ে আসে। এটি ইন্টেলিজেন্ট ডিজিটাল প্রি-ডিস্টরশন (ডিপিডি) এবং ইন্টেলিজেন্ট কোঅর্ডিনেটেড শিডিউলিং অ্যান্ড স্পেশিয়াল রিইউজের (আইসিএসএসআর) মতো প্রযুক্তিগুলিকে একীভূত করে ওয়াই-ফাই ৭-এ ওয়াই-ফাই ৮-এর উদ্ভাবন যুক্ত করেছে। এর ফলে আরও উন্নত ওয়্যারলেস সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াই-ফাই, আইওটি এবং সেন্সিং প্রযুক্তিকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে হুয়াওয়ে ব্লাইন্ড-স্পট মুক্ত সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সেবার সার্বিক খরচ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে।   

ওয়াই-ফাই শিল্ড প্রযুক্তিকেও আরও শক্তিশালী করেছে হুয়াওয়ে। এটি বর্তমানে ১৩টি এপি মডেলে কাজ করে। এগুলো আবাসস্থল ও বাইরের স্থান থেকে শুরু করে আইওটি ও বহুসংখ্যক ডিভাইস রয়েছে এমন জায়গায় ব্যবহারযোগ্য। এর সিকিওর টার্মিনাল অ্যাক্সেস, ফাইন-গ্রেইনড পলিসি কনট্রোল ও ওয়াই-ফাই চ্যানেল স্টেট ইনফরমেশন (সিএসআই) সেন্সিংয়ের মতো ফিচারগুলো সুরক্ষা নিশ্চিত। 

অডিও/ভিডিও, ক্লাউড ডেস্কটপ ও অফিসে দলবদ্ধ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য হুয়াওয়ে ব্যবহার করছে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রযুক্তি, যেমন- আইস্যাক (iSAC), আইশিডিউলার (iScheduler) এবং আইফ্লো (iFlow)। পাশাপাশি ভিআইপি ফাস্টপাস এবং পার-প্যাকেট পাওয়ার কন্ট্রোল প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সেবায় সর্বোচ্চ মানের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ম্যাপ ও নেটমাস্টার এআই এজেন্টযুক্ত ‘ওয়ান ম্যাপ, ওয়ান ব্রেইন’ আর্কিটেকচারের মাধ্যমে এটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যভিত্তিক কাজ, সাধারণ ভাষায় নির্দেশ দেওয়ার সুবিধা এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ওয়্যারলেস সমস্যা সমাধানের সুবিধা থাকায় এটি মাত্র একজন ইঞ্জিনিয়ারকে ১০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারীর একটি ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক দক্ষভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

ভবিষ্যতেও হুয়াওয়ে গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে এবং এআই-চালিত ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ককে আরও উন্নত করবে। অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে হুয়াওয়ে নতুন প্রজন্মের এমন ‘এআই ক্যাম্পাস’ গড়ে তুলতে চায় যা নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে, পরিচালনার দক্ষতা বাড়াবে এবং এআই যুগে সবার সাফল্য নিশ্চিত করবে।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/