ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

ঢাকায় এনসিসি ব্যাংকের ৫ শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
ঢাকায় এনসিসি ব্যাংকের ৫ শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এনসিসি ব্যাংক কাওরানবাজার, পান্থপথ, উত্তরা, মিরপুর এবং বনানী শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করেছে।

সম্প্রতি এই উইন্ডো পাঁচটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম।

এ সময় এসইভিপি ও কাওরানবাজার শাখার হেড অব বিজনেস অ্যান্ড ব্রাঞ্চ এম.এম এমরানুল হক, ইভিপি ও চিফ অব ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন আবুল কাসেম মো. ছফিউল্লাহ, ইভিপি ও উত্তরা শাখার হেড অব বিজনেস অ্যান্ড ব্রাঞ্চ কার্তিক সেন, ইভিপি ও বনানী শাখার হেড অব বিজনেস অ্যান্ড ব্রাঞ্চ মো. আমজাদ হোসেন, ইভিপি ও এনসিসি ইসলামিক ব্যাংকিং গুলশান শাখার হেড অব বিজনেস অ্যান্ড ব্রাঞ্চ মো. মাসুদুর রহমান, এসভিপি ও পান্থপথ শাখার হেড অব বিজনেস অ্যান্ড ব্রাঞ্চ মুহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম, এসভিপি ও মিরপুর শাখার হেড অব বিজনেস অ্যান্ড ব্রাঞ্চ মো. মাহফুজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট শাখার অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম বলেন, এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম ও অর্থব্যবস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আমরা ঢাকার গুলশানে এবং চট্টগ্রামের মুরাদপুরে দুইটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা খোলার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে ৩২টি শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করেছি। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে আমাদের সব শাখা এবং উপ-শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের শরীআহ্ সুপারভাইজরি কমিটির দিক নির্দেশনায় সম্পূর্ণ শরীআহ্ বিধি অনুসরণে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি যা গ্রাহকদের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।

এ সময় তিনি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের এনসিসি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান।

বিজ্ঞপ্তি/মেহেদী/

সনি-স্মার্টের শোরুম এখন মাদারীপুরে

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
সনি-স্মার্টের শোরুম এখন মাদারীপুরে
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এবার মাদারীপুরে চালু হলো সনি-স্মার্টের ৩০তম শোরুম। ফলে মাদারীপুর সদর এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের হাতের নাগালে এল জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনির জেনুইন ইলেকট্রনিকস পণ্য ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবা। বাংলাদেশে জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনির অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর স্মার্ট টেকনোলজিস্ (বিডি) লিমিটেড, দেশব্যাপী পরিচিতি সনি-স্মার্ট নামে।

রবিবার (৬ জুলাই) সদর উপজেলার মিলন হল রোডের ভুইয়া বাড়ির মোড়ে শোরুমটি উদ্বোধন করেন সনি-স্মার্টের জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব সেলস সারোয়ার জাহান চৌধুরী এবং সনি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার প্রধান রিকি লুকাস। 

এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জুয়েল, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুর সনি-স্মার্ট শোরুম থেকে প্রথম ২৫ জন গ্রাহক সনি ব্রাভিয়া ৪৩ ইঞ্চি (৪৩এক্স৭৫কে) টিভি কিনলে স্মার্ট ইয়ারবাডস এবং ৫০ ইঞ্চি (৫০এক্স৭৫কে) টিভি কিনলে স্মার্ট ইয়ারবাডস ও অ্যান্ড্রয়েড এয়ার-মাউস বিনামূল্যে লুফে নিতে পারবেন।

এ ছাড়া মিলছে জাপানের আরেক বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড শার্পের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ এবং স্মার্ট এলইডি টিভি, ফ্রিজ ও ডিপ-ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনসহ সনি-স্মার্টের সব পণ্য আকর্ষণীয় মূল্যে কেনার সুবিধা। সেই সঙ্গে ডাবল সেভিংস, নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে বিনা সুদে ইএমআই সুবিধা, জিপি স্টার ও নগদ অফার এবং জি-কেয়ার কার্ডের অধীনে দেশজুড়ে নানা স্বাস্থ্যসেবা, বেটার মিল, ক্লাউড কফি, স্যাফরন সুইটসের সব শাখায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যে বিশেষ মূল্যছাড়সহ আরও নানা সুবিধা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জেনুইন মূল্যে জেনুইন পণ্য এবং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের ইলেকট্রনিকস বাজারে দৃঢ় প্রত্যয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে সনি-স্মার্ট। মাদারীপুরের এই শোরুমটি সনি-স্মার্টের ৩০তম শোরুম। দ্রুত সময়ে শোরুম সংখ্যা অর্ধশতকের মাইলফলক পেরুবে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সনি-স্মার্টের জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব সেলস সারোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, দেশের সনি লাভাররা প্রায় সময়ই আসল সনি পণ্য কিনতে গিয়ে ঠকে যান। ক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হোন সেই সমস্যা সমাধানে সনি-স্মার্ট দিচ্ছে জাপানের জেনুইন সনি পণ্যের নিশ্চয়তা। একইসঙ্গে আমরাই বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা সনি পণ্যে ডিজিটাল ওয়ারেন্টি সেবা দিচ্ছি। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য জেনুইন সনি পণ্যের পাশাপাশি নিশ্চিত হচ্ছে বিক্রয়োত্তর সেবা।

তিনি আরও বলেন, জি-ফাইভ পলিসি মেইন্টেন করে আসল পণ্যের সঙ্গে সঠিক মূল্যে প্রকৃত সেবার নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা। আমাদের সঙ্গে যৌথ পথচলার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনির প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলেকট্রনিকস পণ্যের ক্রেতাদের হৃদয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থান গড়ে নিয়েছে সনি-স্মার্ট। আজ মাদারীপুরে সনি-স্মার্টের যে শোরুম চালু হলো, এখান থেকে মাদারীপুর সদর ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জেনুইন সনি পণ্যের এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সনি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার প্রধান রিকি লুকাস বলেন, দেশের ইলেকট্রনিকস পণ্যের বাজারে প্রবেশের পর থেকেই গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে সনি-স্মার্ট। অল্প সময়ের ব্যবধানে সারা দেশে কাস্টমার-ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব সম্ভব হচ্ছে সনি-স্মার্টে সুদৃঢ় ব্যবসায়িক নীতির কারণে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আইসিটি পণ্য বাজারজাতকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। বিশ্বের প্রায় ১০০টিরও অধিক ব্র্যান্ডের আইসিটি পণ্য বাজারজাত করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর জাপানের বহুজাতিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সনির ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিষেবা বাংলাদেশে বাজারজাত করতে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয় স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। বর্তমানে দেশজুড়ে ৩০টি শোরুম, ২১০টিরও বেশি পার্টনার শোরুম ও আড়াই হাজারের বেশি আইটি পার্টনারদের মাধ্যমে জেনুইন সনি পণ্য সরবরাহ করছে সনি-স্মার্ট।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা নির্ধারণে এলো ‘ব্রেইনকাউন্ট’

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা নির্ধারণে এলো ‘ব্রেইনকাউন্ট’
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের আউটডোর বিজ্ঞাপন খাতে প্রথমবারের মতো অডিয়েন্স মেজারমেন্ট এবং মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এসেছে ব্রেইনকাউন্ট।

এ প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগের মাধ্যমে বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা নিয়মিতভাবে পরিমাপ করা যাবে। যা ব্র্যান্ড ও অ্যাজেন্সিগুলোকে দ্রুত ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

মার্কেটিং এবং টেকনোলজিকাল পেশাজীবীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আউটডোর বিজ্ঞাপনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নতুন যুগের সূচনা করেছে।

বাংলাদেশে আউটডোর বিজ্ঞাপন খাতে প্রতিবছর প্রায় পাঁচশত কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়। দেশজুড়ে ১২ হাজারের বেশি বিলবোর্ড ও ডিজিটাল স্ক্রিন থাকা সত্ত্বেও এতদিন বিজ্ঞাপনের ফলাফল নির্ভরযোগ্যভাবে পরিমাপের কোনও কার্যকর ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বিজ্ঞাপনদাতাদের অনুমান ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নিতে হতো।

দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ব্রেইনকাউন্ট নিয়ে এসেছে আধুনিক ডেটা বিশ্লেষণভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। এখানে ডেটা সায়েন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি ডিভাইস ও অন্যান্য প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা জানতে পারবেন, কোন এলাকার কোন বিলবোর্ড কেমন ফলাফল দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপন প্রচারের সময়ই প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপনের কৌশলে পরিবর্তন আনার সুযোগও তৈরি হয়েছে। 

প্ল্যাটফর্মটির সাহায্যে বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের বিনিয়োগ কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা যাচাই করতে পারবেন। পাশাপাশি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞাপনের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণও সহজেই করতে পারবেন।

ব্রেইনকাউন্টের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ মার্কেটার তাওহীদুর রহমান তাপস বলেন, 'বিশ্বের সবকিছু যখন তথ্যনির্ভর হয়ে উঠছে, তখন আমাদের দেশের আউটডোর বিজ্ঞাপন খাতটি চলছিল কোনো তথ্যের সহায়তা ছাড়াই। ব্রেইনকাউন্ট সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন এনেছে। বিলবোর্ড বা আউটডোর বিজ্ঞাপন অনেকদিন থেকেই ব্র্যান্ডগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে এতদিন এর কার্যকারিতা প্রমাণের সুযোগ ছিলনা। ব্রেইনকাউন্ট এ খাতে ডেটাকে যুক্ত করেছে। বিজ্ঞাপনদাতারা এখন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।'
'মিডিয়া মালিকদের জন্যও ব্রেইনকাউন্ট নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। কোন এলাকায়, কোন বিলবোর্ড কতটা দৃশ্যমান, এখন তার সঠিক তথ্য পাবেন তারা। ফলে নতুন লোকেশন নির্বাচন কিংবা ক্লায়েন্টের সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ভরযোগ্য তথ্য ব্যবহার করা যাবে। ডেটাভিত্তিক এই প্রমাণ মিডিয়া মালিকদের সেবা ও মূল্য নির্ধারণে আরও স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করবে।'

ব্রেইনকাউন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সফল টেক উদ্যোক্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, 'বিশ্বব্যাপী, অডিয়েন্স মেজারমেন্ট ব্র্যান্ডগুলোর পরিকল্পনা, ব্যয় এবং ক্যাম্পেইনের ফলাফল মূল্যায়ন পদ্ধতিকে পরিবর্তন করে দিয়েছে,। ডেটা সায়েন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডিজিটাল আর্কিটেকচার ব্যবহার করে, বিশ্ববাজারগুলো আউটডোর বিজ্ঞাপনকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে। যার ফলে থ্রিডি বিলবোর্ড, ইন্টারঅ্যাকটিভ আউটডোর কমিউনিকেশন এবং রিয়েল-টাইম বিজ্ঞাপন ডেলিভারি সিস্টেমের মতো উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। এই উন্নত পদ্ধতিগুলো মাথায় রেখে, আমরা ব্রেইনকাউন্ট তৈরি করেছি যাতে বাংলাদেশেও এ সক্ষমতা আনা যায়, যা আউটডোর বিজ্ঞাপনের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে অডিয়েন্স মেজারমেন্ট ও মনিটরিং কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ না থেকে আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। নতুন নতুন সেবা নিয়ে আসার মাধ্যমে আউটডোর বিজ্ঞাপনের খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ব্রেইনকাউন্ট। অডিয়েন্স মেজারমেন্ট চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের আউটডোর বিজ্ঞাপন খাত একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে - যেখানে প্রতিটি বিজ্ঞাপন পরিমাপযোগ্য, কৌশলগুলো আরও স্মার্ট, এবং প্রতিটি ইম্প্রেশন গুরুত্বপূর্ণ।'

বিজ্ঞপ্তি/মেহেদী/

মধুমতি ব্যাংকের অর্থায়ন এবং সিও- এর সহযোগিতায় ১০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
মধুমতি ব্যাংকের অর্থায়ন এবং সিও- এর সহযোগিতায় ১০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

মধুমতি ব্যাংক পিএলসির অর্থায়নে এবং সিও (Socio Economic Health Education Organization) এর সহায়তায় ৫০০ প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে প্রকাশ্যে ১০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ ও পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

গত ৩ জুলাই ঝিনাইদহের চাকলাপাড়া এলাকায় অবস্থিত সিও কনভেনশন সেন্টারে এ কর্মসূচি করা হয়।

এ কর্মসূচির সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছে মধুমতি ব্যাংক পিএলসি। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল ক্ষুদ্র কৃষকদের পুঁজি গঠনে সহায়তা এবং তাদের কৃষি কার্যক্রম সম্প্রসারণে উৎসাহ দেওয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিউল আজম।

অনুষ্ঠানে তিনি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ঋণের গুরুত্ব আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। তিনি এ উদ্যোগকে প্রান্তিক কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রশংসা করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এর পরিচালক দেবাশীষ সরকার। যিনি কৃষি অর্থায়নে ব্যাংকসমূহের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এ ছাড়া অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেলিম রেজা, অতিরিক্ত উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ; মধুমতি ব্যাংকের পক্ষে জাহিদ আল মুনতাসির, প্রধান, এসএমই ডিভিশন; মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্যবস্থাপক, ভিআইপি রোড শাখা।

অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন সিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন এবং কৃষি বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও কৃষকের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময় করেন।

কৃষকরাও তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সময়োপযোগী ব্যাংক অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান, পাশাপাশি ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞপ্তি/মেহেদী/

টিসিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে রূপালী ব্যাংক এমডির সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
টিসিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে রূপালী ব্যাংক এমডির সৌজন্য সাক্ষাৎ
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্যক্রমে অন্যতম সহায়তাকারী সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এবং টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর টিসিবি ভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় সম্পর্ক জোরদার করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। 

অনুষ্ঠান শেষে টিসিবির পক্ষ থেকে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা উত্তরের মহাব্যবস্থাপক শেখ মুনজুর করিম, টিসিবির অর্থ ও হিসাব বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রবিউল মোর্শেদ এবং টিসিবি ভবন করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান মো. আবুল হোসেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

ভিসার ‘ক্যাশলেস সাভার’ কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
ভিসার ‘ক্যাশলেস সাভার’ কর্মসূচির উদ্বোধন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ডিজিটাল পেমেন্ট সেবায় বিশ্বব্যাপী অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান ভিসা, এসএসএল কমার্সের সহযোগিতায় ‘ক্যাশলেস সাভার’ নামে একটি পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। সাভার নিউ মার্কেটে অনুষ্ঠিত এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে রাজধানী ঢাকার বাইরে সাভার অঞ্চলে ভিসা কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল লেনদেনকে আরও গতিশীল করা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ খান।

এ সময় ভিসা বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ, এসএসএল কমার্সের পরিচালক রায়ান এস ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও তার দল মার্কেটের কয়েকটি খুচরা দোকান পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা ভিসা কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করেন এবং ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার বাড়ানোর কৌশল নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

‘ক্যাশলেস সাভার’ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে কার্ডে লেনদেনের সুবিধা আরও বিস্তৃত হলো। ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ ধাপে ধাপে দেশের আরও অনেক এলাকায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ ভিশনের সঙ্গে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। ডিজিটাল, নিরাপদ ও সুবিধাজনক লেনদেন ব্যবস্থার প্রসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অঙ্গীকারকে এই কর্মসূচি আরও শক্তিশালী করে তুলবে। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ খান বিভিন্ন এলাকায় এই কার্যক্রম বিস্তারের আহ্বান জানান এবং অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত সম্পৃক্ত থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

ভিসার কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) সাব্বির আহমেদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো সবার জন্য সর্বত্র লেনদেনের সর্বোত্তম পদ্ধতি প্রদান করা। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা গ্রহণ করে জনসাধারণ উপকৃত হতে পারে। ‘ক্যাশলেস সাভার’-এর মাধ্যমে আমরা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা দিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণ নগদবিহীন লেনদেনের সুবিধা নিতে পারবেন। ফলে স্থানীয় অর্থনৈতিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে বলে আমি মনে করি।” 

বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ খান বলেন, “ঢাকার বাইরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন সেবা সম্প্রসারণ ও উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে ভিসা আয়োজিত ‘ক্যাশলেস সাভার’ একটি সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ ধরনের কর্মসূচি দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফলভাবে সম্প্রসারণের মাধ্যমে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ গঠনের পথ সুগম হবে। নগদ নির্ভরতা হ্রাস করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও কার্যকর লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় নীতিগত সহায়তা দিয়ে আসছে। সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।”

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/