ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাগুরার শ্রীপুরে নাশকতা মামলায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
মাগুরার শ্রীপুরে নাশকতা মামলায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ছবি : খবরের কাগজ

মাগুরার শ্রীপুরে নাশকতা, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে জাতীয় দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ শেখ (৩২) সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। 

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তারকৃত সবাই বিএনপির সক্রিয় কর্মী এবং নাশকতার সাথে জড়িত।

সাংবাদিকের স্ত্রী রেশমা বেগম ও তার পরিবারের দাবি, তিনি সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত। রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। এলাকার লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। 

সাংবাদিকের  ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে শ্রীপুরের সাংবাদিক মহল।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন, উপজেলার মহেশপুর গ্রামের নাজমুল শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৯), মাঝাইল গ্রামের সৈয়দ আব্দুল মালেকের ছেলে শওকত কামাল রাজু (৩৭), রায়নগর গ্রামের হাফিজার শেখের ছেলে রবিউল শেখ (৩৬), একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে মহব্বত হোসেন (৪৫), বরালিদহ গ্রামের খোন্দকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান (৩৫), ঘাসিয়াড়া গ্রামের আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে সুজা উদ্দীন (৪৫)।

এদিকে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। শ্রীপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার প্রেক্ষিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ছবি: খবরের কাগজ

দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্ধশতাধিক গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা।

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.) এর তত্ত্বাবধানে তার উত্তরাধিকারী হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মাওলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজের ইমামতি করেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রায় ২০০ বছর ধরে হানাফি মাযহাবের নিয়ম অনুসরণ করে হজের পরদিন ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন। এ ছাড়াও তারা বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদুল ফিতর ও চান্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে আসছেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফের সূত্রমতে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরাণগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুঁইছড়ি, আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসকামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়া উপজেলার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতি, সীতাকুন্ড উপজেলার মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, মিরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারী আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া থেকে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে মির্জাখীল দরবার শরীফে এসেছেন পল্লীচিকিৎসক মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের নিয়ম অনুসরণ করে প্রায় ২০০ বছর ধরে পবিত্র হজের পরদিন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় এ বছরও আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করছি। নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাত শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বাড়িতে গিয়ে পশু কোরবানি দিব ইনশাআল্লাহ।

মির্জাখীল দরবার শরীফের মেজ শাহাজাদা মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান এবং হজ পালনের খবর সচিত্র অবগত হয়ে তথা এই বছর শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ প্রদত্ত হজের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা হতে দেখে-শুনেই দেশ-বিদেশে সিলসিলায়ে আলিয়া জাঁহাগীরিয়া মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা আজ শুক্রবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

প্রায় ২০০ বছর আগে মির্জাখীল গ্রামে হজরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাঁগীর (র.) হানাফি মাযহাবের নিয়মে পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালনের ফতোয়া দেন।

অমিয়/

কালিহাতীতে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
কালিহাতীতে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় উত্তরবঙ্গগামী অজ্ঞাত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে একজন এবং বাসের ছাদ থেকে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ইন্নিবাড়ি ও নাগবাড়ি এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রেনের ছাদ থেকে হটাৎ অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে এই ঘটনায় ট্রেনটি থামেনি। রেলওয়ে পুলিশ দীর্ঘ সময় পরও লাশের খোঁজ নেয়নি। লাশটি রাস্তার পাশেই পড়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, নাগবাড়ি এলাকায় পাবনাগামী বাসের ছাদ থেকে রানা নামে একজন নিহত হন। তার বাড়ি পাবনা বলে জানা গেছে। 

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, বাসটি সখীপুর হয়ে কালিহাতী দিয়ে পাবনা যেতে চেয়েছিল। পথে তার শরীর খারাপ হওয়ায় বাসের ছাদে বসলে সেখান থেকে পড়ে মারা যান তিনি।

অমিয়/

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল আজহা

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল আজহা
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

৯৭ বছর ধরে এই দরবার শরীফসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে এভাবেই উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দরবার শরীফের দুটি ঈদগাঁহ্ মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীরা ঈদের নামাজে অংশ নেন।

ঈদের নামাজের প্রথম জামাত সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় অনষ্ঠিত হয়। এই জামাতে ঈমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।

এরপর দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে সকাল ৮টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের শান্তি ও সুরক্ষা এবং দেশের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। 

পরে দরবার শরীফ ও আশপাশের এলাকায় আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করেন লোকজন।

গোপালগঞ্জে থেকে প্রথমবারের মতো চাঁদপুর দরবার শরীফে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে আসা মুসল্লি সাইফ বলেন, আমি সাদ্রা দরবার শরীফে এই প্রথম ঈদের নামাজ আদায় করেছি। আমার এখানে এসে ভালোই লাগছে।

ঈদ জামাতে আসা স্থানীয় যুবক ইমাম হোসেন বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিনটি ছিল সারা পৃথিবীর জন্য আরাফার দিন। যা বাংলাদেশের জন্য বা অন্য কোনো দেশের জন্য আলাদা নয়। যেমন কেয়ামত সারা দুনিয়ায় একদিনেই হবে। সে হিসেবে গতকাল ছিল আরাফার দিন, আর আজ ঈদুল আযহার দিন। সেই কারণে আমরা ঈদ উদযাপন করছি।

এদিকে পাশের উপজেলা ফরিদগঞ্জের টোর মুন্সীর হাট, সাচনমেঘ ও উভরামপুর গ্রামের একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়াও হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তর উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এই দরবার শরীফের অনুসারীদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

তবে এসব এলাকায় সরকার ঘোষিত তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন এমন মুসল্লির সংখ্যাও কম নয়। তারা শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানি দেবেন।

স্থানীয় তথ্য মতে, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এই রীতি তার অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একইসঙ্গে উদযাপন করে আসছেন। যার ফরে এখন সারাদেশেই এই পীরের অনুসারী সংখ্যা বাড়ছে।

চাঁদপুর জেলায় যেসব গ্রামে আজ ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে সেগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানি এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম।

ফয়েজ আহমেদ/অমিয়/

গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাপড়ীগঞ্জ এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দম্পতি হলেন- মো.আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও তার স্ত্রী শারমিন বেগম (৩৩)।

তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলকুরী গ্রামে।

তারা ঢাকার গাজীপুরে এলাকায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। চাপড়ীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে সড়কের বিটে ঝাঁকুনি লেগে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় একটি ট্রাক তাদের দুইজনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।

ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ মানুষ ট্রাকটি আটক করেন। পরে তারা ঢাকা-রংপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে অন্তত ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানযটের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে একই স্থানে অন্তত ১৫টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অন্তত ৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালেও ওই এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবারের কাছে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা এলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ট্রাকটি আটক করে থানায় আনা হয়েছে। 

রফিক খন্দকার/অমিয়/

প্রাণের টানে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:২৫ এএম
প্রাণের টানে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদযাত্রায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে আজও নিজ গন্তব্যে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। পদ্মা সেতুর কল্যাণে এই পথে এবারের ঈদযাত্রাও বিড়ম্বনাহীন ও নিবিঘ্ন।

শুক্রবার (৬ জুন) ভোর থেকে ওই এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের অধিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। 

যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় যানবাহনগুলোকে টোল পরিশোধ করতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজায় কিছুটা বিলম্ব হলেও টোল পরিশোধ করে নিবিঘ্নে যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু পারি দিতে পারছে।

দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্যও দেখা গেছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে নিজ গন্তব্যে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এ যেন এক অন্য অনুভূতি।

অমিয়/