ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার জন্মনিবন্ধন করতে না পেরে সন্তানকে হত্যা

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫ এএম
জন্মনিবন্ধন করতে না পেরে সন্তানকে হত্যা

কুষ্টিয়া শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে নিহত রেজাউল করিম মধুর স্ত্রী শেফালী খাতুন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিকেলে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, আরেকটি অপমৃত্যুর অভিযোগে মামলা। ছেলে মুগ্ধকে হত্যার অভিযোগে তার মা শেফালী খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রেজাউল তার ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে পারছিলেন না। তাই তাকে কোনো স্কুলেও ভর্তি করানো যায়নি। ছেলের জন্মনিবন্ধন করাতে কালক্ষেপণ হওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। এ কারণেই তাকে (ছেলে) হত্যার পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রেজাউল এলাকায় ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিত।’

গত শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে রেজাউল করিম ওরফে মধু (৩৮) ও তার ৭ বছর বয়সী ছেলে মুগ্ধ হোসাইনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ছেলেকে হত্যার পর রশিতে ঝুলে তার বাবা আত্মহত্যা করেছেন। লাশ দুটির ময়নাতদন্ত করে গতকাল দুপুরে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিকেলে বাবা-ছেলের জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন হয়।
 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিম শহরের আলফা মোড় এলাকার বাসিন্দা। আট বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শেফালী খাতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে তার নাম ছিল মধুসূদন রায়। রেজাউলের ছেলে মুগ্ধ হোসাইন। মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় রেজাউলের গয়না তৈরির ছোট একটি দোকান ছিল। সর্বশেষ তিনি এক বন্ধুর দোকানে কাজ করতেন।

মধুর শাশুড়ি বিলকিচ খাতুন বলেন, ‘মেয়ে শেফালী খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার বাড়িতেই ছিল। মেয়ের জামাই খুবই ভালো মানুষ। তার কাছে কেউ কোনো টাকা-পয়সাও পায় না বরং সে টাকা পেতে পারে।’ শনিবার দুপুরে মুগ্ধকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন রেজাউল। ছেলেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন বলে স্ত্রীকে জানান। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও ছেলেকে নিয়ে ফিরে না আসায় শেফালী তাদের ভাড়া বাসায় যান। ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে তিনি ডাকাডাকি করেন। এরপর সাড়া-শব্দ না পেয়ে জানালার ছিদ্র দিয়ে স্বামী-সন্তানকে রশিতে ঝুলতে দেখেন। তখন তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।’

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিফতাহুল জন্নাত (১০) ওই এলাকার জমির উদ্দিনের মেয়ে এবং সানজিদা হোছাইন ইমু (৮) নবী হোছাইনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। জন্নাত কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ও ইমু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। 

এদিকে স্থানীয় সিকদারপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মওলানা ফুরকান উদ্দিন জানান, জন্নাত ও ইমু সকালে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে উঠানে খেলছিল। খেলার ছলে সবার অজান্তে পুকুরে ডুবে যায় তারা। পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন তারা। তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তারা। এ সময় আহাদ জামান (৬) নামের এক শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে শিশুটি।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

সালমান/

 

ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের
আলমগীর শেখ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের যুবক আলমগীর শেখ (৩৫) ভারতে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভে কথা বলার অভিযোগে তাকে আটক করে ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
 
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রবিবার রাত ৮টায় ভারতে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

আলমগীর শেখ পাটগ্রাম পৌর শহরের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যটন ভিসায় ভারত যান আলমগীর হোসেন। ভারতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। পরে বিষয়টি নিরাপত্তা আধিকারিকদের নজরে আসে। পরে আলমগীরকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে আটক করা হয়। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে তার ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। 

আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রার তাজমহলে গিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন।’

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ায় ৪৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল হয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হওয়ায় লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ওইদিন বেলা ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৯টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মোট ১৭টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

আসাদ জামান/জোবাইদা/অমিয়/

সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক
৪৮ বিজিবির অভিযানে আটক ভারতীয় মহিষ ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের চালান। ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মহিষ ও পৃথক অভিযানে ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিজিবি এ অভিযান পরিচালনা করে।

পরের দিন রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪৮ বিজিবির অধীন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা ব্রিজের সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করা হয়। 

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবির আওতাধীন শ্রীপুর এবং বাংলাবাজার বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১৬৬ পিস ভারতীয় স্মার্ট মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে­ এবং সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৬টি ভারতীয় মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের টের পেয়ে মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।

জোবাইদা/অমিয়/

ময়মনসিংহে মাদকসম্রাজ্ঞী সুরমা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
ময়মনসিংহে মাদকসম্রাজ্ঞী সুরমা গ্রেপ্তার
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে সুরমা বেগম (৩৮) নামে এক মাদকসম্রাজ্ঞীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের ইসলামবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সুরমা বেগম একই এলাকার লিটন মিয়ার স্ত্রী। তিনি শহরে অনেকের কাছে মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, সুরমা বেগম দীর্ঘদিন যাবত শহরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তিনি মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৩টি মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি পলাতক ছিলেন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সুরমা বেগমকে জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদক কারবারে সক্রিয় অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/