ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

জনমনে আতঙ্ক হঠাৎ বেড়েছে চুরি-ছিনতাই

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৭ পিএম
হঠাৎ বেড়েছে চুরি-ছিনতাই
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ময়মনসিংহে অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালককে হত্যা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। দিনে কিংবা রাতে সুযোগ পেলেই সড়কে চলাচলকারীদের পথ আটকে গলায় কিংবা তলপেটে ছুরি ধরে টাকা ছিনতাই করা হচ্ছে। এতে দিন দিনই বাড়ছে আতঙ্ক।

গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার বাগান এলাকার কলাবাগান থেকে রাকিব মিয়া নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাকিব উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোনাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়ার ছেলে। ভালুকা উপজেলার মেজরভিটা এলাকা থেকে ভাড়া নিয়ে বের হয়ে হত্যার শিকার হন রাকিব। এদিন রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার গোপালনগর মধ্যপাড়া এলাকায় চালক নাজিম উদ্দিনকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে যাত্রীবেশে একটি দল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাজিমকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।

২০ জানুয়ারি সকালে মুক্তাগাছার তারাটি ইউনিয়নের বিরাশী গ্রামে একটি পতিত জমি থেকে অটোরিকশা চালক শামীম মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া শ্বাসরোধে হত্যার পর স্থানীয় মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের মরদেহ ফসলি জমি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ১০ জানুয়ারি ভালুকা উপজেলার বাটাজোর বাজারে হৃদয়-সুজয় জুয়েলার্সের মালিক দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় গেলে চোরচক্র দোকানের সামনে ছাতা ও চাদর ধরে শাটার খোলে আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০০ ভরি রুপাসহ নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দোকানের মালিক হৃদয় চন্দ্র কর্মকার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। গত ১৭ জানুয়ারি ভোরে নগরীর বাসাবাড়ী রোডের টাঙ্কপট্টি এলাকায় কিরন জুয়েলার্স নামে একটি দোকানের সামনে চাদর দিয়ে ঢেকে তালা কেটে প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫০ ভরি রুপার গহনা চুরি করে নিয়ে যায় একটি চক্র।

ময়মনসিংহ নগরীর জামতলা এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি ছিনতাইয়ের পাশাপাশি চুরি বেড়েছে। রাতে রিকশা দিয়ে চলাচল করা যাত্রীদের বেশি টার্গেট করা হচ্ছে। সুযোগ পেলেই গলায় কিংবা তলপেটে ছুরি ধরে সবকিছু নিয়ে চলে যাচ্ছে। প্রশাসনের জোড়ালো অভিযান না থাকার কারণেই জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে।’ নগরীতে নিয়মিত অটোরিকশা চালান রাজিব মিয়া। তিনি বলেন, ‘একের পর এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেশির ভাগ চালকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাই অনেকে রাতে অটোরিকশা চালাচ্ছেন না, আবার অনেক চালকের সন্দেহ হলে দূরে কোথাও যাত্রী নিয়েও যাচ্ছেন না।’

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘জুয়েলার্সের দোকানে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় এরই মধ্যে দুলাল মিয়া ও আমির হোসেন ওরফে মোটা আমির নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, জুয়েলারি দোকান থেকে অভিনব কায়দায় চুরি হওয়া ৩০ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে সাড়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। চোর চক্রের সদস্য মানিক মিয়া, রুবেল মিয়া, ইয়াছিন আরাফাত সোহেল ও জসীম নামের চারজনকে গ্রেপ্তার কর হয়েছে। চুরি, ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, সম্প্রতি ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে এরা আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে আবারও অপরাধে জড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মো. মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, অনেক চালক বেশি ভাড়ার লোভে রাতে গাড়ি চালাতে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। তাই সড়কে রাত ১২টার পর অটোরিকশা চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রী উঠানোর ক্ষেত্রে চালকদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, স্বর্ণালংকার চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রটি শীতের সকালকে বেছে নিচ্ছে। এ সময় জনসমাগম কম থাকায় সাত থেকে আটজনের দল মিলে চালায় অপতৎপরতা। চক্রটির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে থানাসহ গোয়েন্দা পুলিশ।

ফেনীতে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
ফেনীতে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন তমাল। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে বাসের ধাক্কায় মহিউদ্দিন তমাল (২৫) নামে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের ফুলগাজী উপজেলার বন্ধুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তমাল ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। তমাল ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ষষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, তমাল বিকেলে মোটরসাইকেলে করে ফেনী শহর থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তমালের বন্ধু মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দুপুরে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে বোনের বাসায় খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।’

ফুলগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল করিম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এখনও এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তোফায়েল/তাওফিক/ 

তেলবাহী জাহাজের চালককে হত্যার অভিযোগে মামলা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
তেলবাহী জাহাজের চালককে হত্যার অভিযোগে মামলা
মোস্তফা কামাল

চট্টগ্রামে তেলবাহী জাহাজের চালক মোস্তফা কামালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ তুলে হালিশহর থানায় মামলা করা হয়েছে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোস্তফা কামালের বড় ভাই রফিক উদ্দিন এ মামলা করেন। তার দাবি, নিজের ভাতিজাকে ‘ইঞ্জিনচালক’ পদে বসাতে মোস্তফা কামালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন ওই জাহাজের মাস্টার রমজান আলী খোকন।

মোস্তফা কামাল তেলবাহী জাহাজ এমটি মার্কেন্টাইল ট্যাংকারের ইনচার্জ ড্রাইভার ছিলেন।

পুলিশ ও লাইটার জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্র জানায়, গত ২৪ এপ্রিল রাতে তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর ২৭ এপ্রিল সকালে হালিশহর এলাকায় সাগর থেকে ওই জাহাজের চালক মোস্তফা কামালের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় হালিশহর থানায় মামলা হয়েছে। তবে মামলার তদন্ত করছে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশ।

বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি নবী আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাহাজের ইঞ্জিনচালক থাকেন ভেতরে। সেখান থেকে তার লাফ দেওয়ার সুযোগ নেই। মাস্টার রমজান আলী খোকন ও তার সহযোগীরা নিজ এলাকা হাতিয়ায় অর্থাৎ সুবিধামতো জায়গায় গিয়ে চালক নিখোঁজের ঘোষণা দিয়েছেন।’ 

নবী আলম আরও বলেন, ‘হাতিয়ায় কেউ সাগরে পড়ে মারা গেলে তার লাশ যাবে লক্ষ্মীপুরের রামগতির দিকে। সেই লাশ কখনোই চট্টগ্রামে দিকে আসবে না। লাশটি সাগরে পড়েছে কমপক্ষে তিন দিন আগে। যে কারণে লাশ ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে। চামড়া ওঠে গেছে। এসব লক্ষণ দেখে আমরা বুঝতে পারছি, চালককে চট্টগ্রামেই হত্যা করা হয়েছে। পরে তারা চট্টগ্রামেই লাশ ফেলে দিয়েছে। মূলত রমজান তার ভাতিজাকে প্রধান চালক পদে বসাতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।’   

এ বিষয়ে মোস্তফা কামালের বড় ভাই মাস্টার রফিক উদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারণ জাহাজে এমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি যে, চালক সাগরে পড়ে যাবে।’

আমি নিজেও জাহাজের একজন মাস্টার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চালকরা জুতা ছাড়া রুম থেকে বের হন না। আমার ভাইয়ের কেবিনে জুতা পড়ে আছে। ওই জাহাজে যে ১০-১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তার বেশির ভাগই মাস্টারের আত্মীয়-স্বজন। তারা চান না ওই জাহাজে তাদের বাইরে কেউ কাজ করুক। মোস্তফা কামাল কিছুদিন আগে বিষয়টি আমার সঙ্গে শেয়ার করেছে। তখন আমি তাকে অন্য জাহাজে চাকরি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। চাকরি নেওয়ার আগেই তাকে হত্যা করা হলো। মামলার পর রমজানসহ ছয়জনকে হাতিয়া পুলিশ আটক করেছে। নৌ-পুলিশ তাদের আনতে গেছে।’

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত করছে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশ।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানার সাব ইন্সপেক্টর কামাল উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লাশ ফুলে চামড়া ওঠে গেছে, তাই আঘাতের চিহ্ন ছিল কি ছিল না, তা বুঝার উপায় নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর আসল তথ্য জানা যাবে। তবে নিহতের পরিবার এবং জাহাজ শ্রমিকরা যে সন্দেহ করছেন, তা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।’ 

ভুট্টাখেত থেকে রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ভুট্টাখেত থেকে রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার
রিকশাচালক ইয়াসিন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ভুট্টাখেত থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় করিমগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়ায় সলিম ফকির মাজারের কাছে দিনাবাড়ি বন্দে ভুট্টাখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

ইয়াসিন মিয়া (২১) নামের এই রিকশাচালকের বাড়ি করিমগঞ্জ পৌরসভার চরপাড়া এলাকায়। তিনি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ‘রবিবার (২৭ এপ্রিল) তিনি রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। রাতে বেপারিপাড়া মোড় থেকে টহলরত পুলিশ তার রিকশাটি উদ্ধার করে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ভুট্টাখেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনেন।’

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করার সময় আশপাশে ইয়াবা এবং গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

মিতু/তাওফিক/ 

ডাকাতিয়ায় নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০১ পিএম
ডাকাতিয়ায় নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজ কলেজছাত্র আপনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর শহরের গুনরাজদী এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে সৌম্য দ্বীপ সরকার আপন (১৭) নামে নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ সেতুর পূর্বে নদীর খেয়াঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস চাঁদপুর নৌ ইউনিটের টিম লিডার আলী আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আপনের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে খবর দেন। এর পর ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।’

এর আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে নদীতে গোসল করতে নেমে সাঁতার কেটে যাওয়ার সময় বাল্কহেডের প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে তলিয়ে যান আপন।

আপন শহরের মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা। তারা বাবা মানিক রঞ্জন সরকার হাজীগঞ্জ উপজেলার মেনাপুর বালিকা উচ্চি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আপন শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

ফয়েজ/তাওফিক/

সিলেটে দুই নদীর পানির সমতল মান বেড়েছে, বন্যার শঙ্কা নেই

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ এএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
সিলেটে দুই নদীর পানির সমতল মান বেড়েছে, বন্যার শঙ্কা নেই
সিলেটের চেঙ্গের খাল নদীর ফাইল ছবি।ছবি: মামুন হোসেন

প্রাক-বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও নদনদীর পানি স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। এ ধারাবাহিকতায় সিলেটের নদনদীর পানিও অল্প অল্প করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানির সমতল মান কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই পানি বৃদ্ধিতে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সিলেটের কোনো নদীর পানি প্রাক-বর্ষাকালের ডেঞ্জার লেভেল অতিক্রম করেনি। তবে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্ট ও ধলাই নদীর কমলগঞ্জ পয়েন্টে পানির সমতল মান কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমে পানির ডেঞ্জার লেভেল থাকে ৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় পানি ছিল ২ দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন রবিবার ওই পয়েন্টে পানি ছিল ২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার এবং শনিবার ছিল ২ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার।

ধলাই নদীর কমলগঞ্জ পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমে পানির ডেঞ্জার লেভেল থাকে ১৯ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। সোমবার সকাল ৯টায় এখানে পানি ছিল ১৪ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। রবিবার ছিল ১৪ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার এবং শনিবার ছিল ১৪ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার।

এই দুই নদীর নির্ধারিত পয়েন্ট ছাড়া সিলেটের অন্য সব নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে।

এদিকে, সিলেট বিভাগে কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টিপাত চলছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৯২ মিলিমিটার এবং সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম বলেন, ‘এই প্রাক-বর্ষা মৌসুমে ধীরে ধীরে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এই পানি মূলত ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও দেশের অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়ে। সিলেটের সব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার অনেক নিচে রয়েছে। শুধু দুটি নদীর পানির সমতল মান একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা স্বাভাবিক। এই হারে পানি বাড়লেও বন্যার কোনো শঙ্কা নেই। বরং কয়েকদিন পর পানি কমতেও শুরু করতে পারে।’

তাওফিক/