সাজানো বাসরঘরে ঝুলছে ফুলের মালা। শুকনো ফুল থেকে বের হচ্ছে সুগন্ধ। সে ঘরের মেজে ও দেয়ালে লেগে আছে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। আর ফুলশয্যার বিছানায় পড়ে আছে নববধূর নিথর দেহ।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে ওই নববধূকে গলা কেটে হত্যা করে তারই স্বামী।
নিহতের নাম তছলিমা (২২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। তার স্বামী হামিদুল ভূঁইয়া আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, ছয় মাস আগে পারিবারিকভাবে তছলিমার সঙ্গে সৌদি প্রবাসী হামিদুল ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। ১০/১২ দিন আগে হামিদুল দেশে আসেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেন। বিয়ের পর দিন থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হামিদুল ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর বুকের বাম পাশে আঘাত করেন। পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ওই সময় হামিদুল তার বড় ভাই হানিফকেও আঘাত করেন। হানিফের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা হানিফকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। হত্যার পর পরই স্বামীসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’