ঢাকা ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪

বিয়ের ৪ দিনের মাথায় লাশ হলেন নববধূ

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
বিয়ের ৪ দিনের মাথায় লাশ হলেন নববধূ
ছবি : খবরের কাগজ

সাজানো বাসরঘরে ঝুলছে ফুলের মালা। শুকনো ফুল থেকে বের হচ্ছে সুগন্ধ। সে ঘরের মেজে ও দেয়ালে লেগে আছে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। আর ফুলশয্যার বিছানায় পড়ে আছে নববধূর নিথর দেহ। 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে ওই নববধূকে গলা কেটে হত্যা করে তারই স্বামী। 

নিহতের নাম তছলিমা (২২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। তার স্বামী হামিদুল ভূঁইয়া আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।

পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, ছয় মাস আগে পারিবারিকভাবে তছলিমার সঙ্গে সৌদি প্রবাসী হামিদুল ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। ১০/১২ দিন আগে হামিদুল দেশে আসেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেন। বিয়ের পর দিন থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হামিদুল ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর বুকের বাম পাশে আঘাত করেন। পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ওই সময় হামিদুল তার বড় ভাই হানিফকেও আঘাত করেন। হানিফের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা হানিফকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। হত্যার পর পরই স্বামীসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

সুইজারল্যান্ড ফেরা হলো না মিজানুরের, ট্রাকচাপায় গেল প্রাণ

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ১২:২১ পিএম
সুইজারল্যান্ড ফেরা হলো না মিজানুরের, ট্রাকচাপায় গেল প্রাণ
ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ট্রাকের চাপায় মিজানুর রহমান (৪০) নামে এক সুইজারল্যান্ড প্রবাসী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-দোহার রোডের বাঘড়ার মোড় খানবাড়িসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মিজানুর রহমান দোহারের সাতভিটা গ্রামের মৃত ওলি খালাসির ছেলে। এক মাস আগে তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। আগামীকাল শনিবার (৮ জুন) তার সুইজারল্যান্ডে ফেরার কথা ছিল।

আহত আল আমিন (৩৮) নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে দোহারে যাওয়ার পথে ওভার টেকিং করার সময় শাহ সিমেন্টের দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে মোটরসাইকেলের দুই ব্যক্তির একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন ও অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ সেকান্দর হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘সাইড দিতে গেলে দুই গাড়ির মাঝখানে পড়ে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ শ্রীনগর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।’

মঈনউদ্দীন/ইসরাত চৈতী/ 

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১১:১২ এএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ১১:১২ এএম
নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মো. দ্বীন ইসলাম (২৩)। তিনি নাওড়া এলাকার বিল্লাত হোসেনের ছেলে। 

আহতরা হলেন নাওড়া এলাকার জাহিদ মিয়া, মো. সোহেল, শাহিন, জাহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রাজীব, হোসেন মিয়া, নাজমুল প্রধান, জেসমিন, ইভা, ওয়াসিম  ও সাখাওয়াত। 

আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জমির ব্যবসা ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোশাররফ হোসেনের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জেরে প্রায় সময়ই দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়।

গত মঙ্গলবার মোশাররফ তার এক স্বজনের জানাজায় অংশ নিতে এলাকায় এলে প্রতিপক্ষের লোকজন মোশাররফের ওপর হামলা করে। এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি এবং বিকেল থেকে হেলমেট মাথায় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। 

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘নাওড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ছিলেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে  রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অন্তত ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এলাকা এখন শান্ত আছে।’

নিহত দ্বীন ইসলামের চাচা নাজমুল প্রধান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করেই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০০ থেকে ৪০০ লোক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মোশাররফ হোসেন ও নাজমুল প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়। মোশাররফের লোকজন হামলায় বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মিজানুর রহমান ও তার সমর্থকরা শর্টগান ও পিস্তলের গুলি ছোড়ে। 

মিজানুরের ছোড়া গুলিতে দ্বীন ইসলাম আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন তিনি।

তবে মিজানুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীর সঙ্গে মোশাররফের লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। এতে মোশাররফের এক লোক নিহত হয়েছে এমনটা জেনেছি। আমি গ্রামে ছিলাম না, তাই ঘটনার বিস্তারিত বলতে পারব না।’ 

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।’ 

এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিল্লাল হোসাইন/সাদিয়া নাহার/

ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল মা-ছেলের

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১০:৫২ এএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ১০:৫২ এএম
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল মা-ছেলের
ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- একই গ্রামের হেলাল উদ্দিন মাস্টারের স্ত্রী শিরিনা খাতুন (৫৫) ও তার ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ শিমুল (২২)। শিমুল রাশিয়ায় একটি মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন। দুই দিন আগে ছুটি পেয়ে রাশিয়া থেকে বাড়ি এসেছিলেন।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান। 

তিনি বলেন, ‘সকালের দিকে বৃষ্টি হয়েছিল। ওই বৃষ্টিতে শিমুলের পরিবারের একটি পুকুরের সেচমোটর বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। দুপুরে শিমুল সেই মোটরটি চালু করতে গেলে বিদ্যুৎস্পর্শে হয়ে ছটফট করতে থাকেন। এ সময় টের পেয়ে মা শিরিনা খাতুন ছেলেকে বাঁচাতে গেলে দুজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।’ 

ওসি বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পর্শে মা ও ছেলের মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।’

কামরুজ্জামান মিন্টু/ইসরাত চৈতী/  

একে একে পেট থেকে বেরোল সুচ, কাঠি, বেল্ট, কলম

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
একে একে পেট থেকে বেরোল সুচ, কাঠি, বেল্ট, কলম
ছবি : খবরের কাগজ

কলম না খাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেও কথা রাখতে পারলেন না পিকা সিন্ড্রোম রোগে আক্রান্ত সিরাজগঞ্জের মোতালেব হোসেন (৪১)। গত বছর পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে জেলার শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন বেলকুচির দৌলতপুরের আবদুর রহিমের ছেলে মোতালেব। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার পেটে কলম সদৃশ অনেকগুলো বস্তু দেখতে পান। সেই সময় চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দুই দফা এন্ডোস্কপিক সার্জারির মাধ্যমে একে একে বের করা হয় ২৩টি কলম। 

কিন্তু এবারের ঘটনা আরও ভয়াবহ। গত ‌৩ মে আবারও পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন এই যুবক। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক বুঝতে পারেন, আবারও তিনি একই কাজ করেছেন। তবে চিকিৎসকরা এবার কলম ছাড়াও আরও ধারালো বস্তু দেখতে পান মোতালেবের পেটে। গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দফায় এন্ডোস্কপিক সার্জারির মাধ্যমে মোতালেবের পেট থেকে মোট ছয়টি লম্বা বস্তু বের করেন শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ও এন্ডোস্কপিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও তার দল। এর মধ্যে রয়েছে তাঁতকলে সুতা বুননের তিনটি লোহার মোটা সুচ, একটি লম্বা বাঁশের কাঠি, একটি প্লাস্টিক বেল্ট ও একটি কলম। তবে এত ধারালো বস্তু কীভাবে তিনি গিলে খেতে পারলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক। তবে বর্তমানে তিনি অনেকটাই স্বাভাবিক আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে মোতালেবের পেট থেকে ২৩টি কলম বের করা হয়েছিল। কিন্তু এবার তাঁতকলে সুতা বুননের তিনটি লোহার মোটা সুচ, একটি লম্বা বাঁশের কাঠি, একটি প্লাস্টিক বেল্ট ও একটি কলম বের করা হয়েছে। বর্তমানে মোতালেব কিছুটা সুস্থ আছেন, খাবার খাচ্ছেন।’  

এ ব্যাপারে মোতালেব হোসেন জানান, প্রথম দফায় পেট থেকে ২৩টি কলম বের করার পর কলম না খাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের পর আর এমন কাজ না করার অঙ্গীকার করেন তিনি। 

মোতালেবের মা লাইলি বেগম জানান, অস্বচ্ছল সংসারে মানসিকভাবে অসুস্থ সন্তান মোতালেবকে নিয়ে দিশেহারা তিনি। দীর্ঘদিন আগে তার স্বামী মারা গেছেন। দুই ছেলে আর দুই মেয়ের মধ্যে মোতালেব সবার বড়। মাঝে মধ্যে মোতালেব তাঁত কারখানায় কাজ করেন, আর সে সময় সবার গোপনে এসব বস্তু খায়।

কচুরিপানার চাপে ভে‌ঙে গেল সেতু, ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
কচুরিপানার চাপে ভে‌ঙে গেল সেতু, ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি
ছবি : খবরের কাগজ

টাঙ্গ‌াইলের গোপালপু‌রে ঝিনাই নদীর ওপর নি‌র্মিত সেতুর মাঝখানে একাংশ কচুরিপানার চাপে ভে‌ঙে প‌ড়ে গে‌ছে। এতে যোগা‌যোগব‌্যবস্থা বন্ধ হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের বনমালী-জাম‌তৈল সড়‌কের। গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দি‌কে গোপালপুর উপ‌জেলার বনমালী এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর সেতু‌টি ভে‌ঙে প‌ড়ে। 

এদি‌কে সেত‌ু‌টি ভে‌ঙে যাওয়ার পর স্থানীয় নদী‌তে জ‌মে থাকা পানার ওপর দি‌য়ে ঝুঁকি নি‌য়ে পা‌য়ে হেঁটে নদী পারাপার হ‌চ্ছে। 

জানা গে‌ছে, উপ‌জেলার নগদা শিমলার বনমালী এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ১৯৯৬ সা‌লে সেতু‌টি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ‌্য ৪০ মিটা‌র এবং ৫ ফু‌ট প্রস্থ। নদী‌তে পা‌নি বাড়ার কার‌ণে পানাগু‌লো এক‌ত্রিত হ‌য়ে সেতুর পিলারে জমাট বাঁধে। সেতুর পিলা‌রের নি‌চে মা‌টি না থাকায় তীব্র নদী‌তে স্রোত ও পানার চা‌পে সেতুর মাঝখা‌নের প্রায় ২০ মিটার অংশ ভে‌ঙে নদী‌তে প‌ড়ে যায়। বা‌কি অংশটুকুও ঝুঁকি‌তে র‌য়েছে। এতে স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছে। 

নগদাশিমলা ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের সদস‌্য আয়নাল হক ব‌লেন, ‘নদী‌তে পা‌নি আসার আগেই সেতু‌টির নি‌চে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার ক‌রা হয়। ‌এভা‌বেই গত পাঁচ বছর ধ‌রে ক‌রে‌ছি। কিন্তু হঠাৎ ক‌রে সেতুর মাঝখানে কিছু অংশ ভে‌ঙে প‌ড়ে‌ছে নদী‌তে। এতে করে আশপাশের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘সেতু ভে‌ঙে যাওয়ার পর লোকজন নদী‌তে জ‌মে থাকা পানার ওপর দি‌য়ে হেঁটে নদী পার হ‌চ্ছে। মানুষ আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করছে।’

গোপালপুর উপ‌জেলা এল‌জিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফাত্তাউর রহমান ব‌লেন, ‘সেতু‌টি ২৯ বছরের পুরোনো। সেতুর প্রস্থ ৫ ফুট। স্থানীয়‌দের যাতায়া‌তের স্বা‌র্থে ঝিনাই নদীর ওপর সেতু‌টি নির্মাণ করা হ‌য়। পুরোনো হওয়ায় সে‌টি সংস্কা‌রের উপ‌যোগী ছিল না। সেখা‌নে নতুন ক‌রে সেতু নির্মা‌ণের জন‌্য প্রস্তাবনা পাঠা‌নো হ‌বে।’

টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ধরনের খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’