যশোরের চৌগাছা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাই, মা ও বাবার মারধরে রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের বাড়িতে মারধরের ঘটনা ঘটে।
রেজাউল উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের আয়তাল হকের ছেলে। নিহতের দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ আয়তাল হক ও মা সালেহা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এদিকে ছোট ভাই ইসরাফিল ওরফে মনি সকালে তার চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে চৌগাছা কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী সুমি খাতুন এবং রেজাউলের চাচা আয়নাল হক জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে খোলা জায়গা থেকে লাকড়ি ঘরে আনা নিয়ে সুমি ও শাশুড়ি সালেহা বেগমের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সাইমন এবং তার ছোট ভাই মনিরের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরে মনি, মা সালেহা ও বাবা আয়তাল একত্রে রেজাউলকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। এতে রেজাউল অসুস্থ হয়ে পড়লে বড়খানপুর বাজারের গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুস সালামকে ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে রেজাউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নিহতের বাবা-মা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এইচ আর তুহিন/জোবাইদা/অমিয়/