ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

বরগুনায় কোটি টাকার তক্ষক উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
বরগুনায় কোটি টাকার তক্ষক উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

বরগুনার পাথরঘাটায় অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩টি তক্ষক উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকার ইউসুফ মৃধার বসতঘর থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তক্ষক ৩টি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউসুফ মৃধা ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তক্ষকের ব্যবসা করে আসছিলেন।

পাথরঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে যাই। তবে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী-স্ত্রী পালিয়ে যান। পরে ওই বসতঘর থেকে তিনটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়। যার কথিত বাজারমূল্য তিন কোটি টাকা।’  

মহিউদ্দিন অপু/ইসরাত চৈতি/ 

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা
চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত গরমে মানুষের হাসফাঁস অবস্থায়। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষ পড়েছে হাঁসফাঁস অবস্থায়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৮ শতাংশ, যা গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। 

শহরের রেলগেট এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা আব্দুল মান্নান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই অতিরিক্ত তাপে সারাদিন রাস্তায় ভ্যান চালানোটা খুবই কষ্টকর। গরম আর ঘামে চোখে অন্ধকার দেখা দেয়। তবু তো চালাতে হয়, পেটের দায়ে।’

দিনমজুর গফুর হোসেন বলেন, ‘রোদের তাপ এত বেশি যে কাজ করতে গেলে শরীর জ্বলতে থাকে। পানি খেয়েও তৃষ্ণা মেটে না, ক্লান্তি যেন ঘাড়ে চেপে বসে আছে।’

পথচারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাইরে একটু বের হলেই মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। রাস্তার মধ্যে দাঁড়াতে কষ্ট হয়, ঘামে জামাকাপড় ভিজে একেবারে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ (বুধবার) বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরম কম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

মিজানুর/পপি/

সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখা আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: খবরের কাগজ

‘সিলেট বিভাগজুড়ে চলছে পাহাড়-টিলা কেটে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের হিড়িক। কখনো রাতের আঁধারে, কখনো দিনে প্রকাশ্যে পাহাড়-টিলার চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করছে সংঘবদ্ধ ভূমিখেকোরা। কোথাও হাউজিংয়ের নামে, কোথাও রিসোর্ট নির্মাণে প্রভাবশালীরা জড়িয়ে পড়ছেন এ কাজে। যা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসন।’

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখা আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এভাবে পাহাড়-টিলা কাটা চলতে থাকলে সিলেট বিভাগের ভূ-প্রকৃতি সম্পূর্ণভাবে বদলে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে প্রাকৃতিক ছড়ার প্রবাহ। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেবে পানির ভয়াবহ সংকট।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে ধরা সিলেট শাখার আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য দেন সিলেটের পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক ও ধরার সদস্য সচিব আব্দুল করিম কিম।

কর্মসূচিতে ধরার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সিলেট বিভাগের মধ্যে বর্তমানে পাহাড়-টিলা ধ্বংসে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট জেলা। জৈন্তাপুরের পঞ্চাশের পাহাড়মালা, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাটে পাহাড়-টিলা কর্তন হচ্ছে পাথর উত্তোলনে। যা এখন খনিজ সম্পদ আহরণ নামে অভিহিত হচ্ছে। হাজার কোটি কোটি টাকার পাথর আহরণের কারণে এই পাহাড়-টিলার বিনাশ থামছে না।’

সংগঠনটি জানায়, ‘সিলেটের গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় স্রেফ জলাভূমি ভরাট ও মাটি বিক্রির জন্য টিলা কাটে একদল লোক। এরা টিলা বিনাশের জন্য টিলার মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।’

সিলেট সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনভুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্নস্থানে টিলা কাটা চলছে। সিলেট মহানগরীর আশপাশ এলাকার টিলাখেকোরা অতীতেও টিলা ধ্বংসে বিগত সরকারের সময়ের রাজনৈতিক পাণ্ডাদের আশ্রয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। সরকার পরিবর্তনেও এদের প্রভাব ও স্বভাবের পরিবর্তন হয়নি। এই সিন্ডিকেট টিলা নিশ্চিহ্ন করার কাজ সহজ করে দেয়। এদের পরিবেশ বিধ্বংসী সূক্ষ্ম বুদ্ধির কাছে পরিবেশ অধিদপ্তর নামের সরকারী প্রতিষ্ঠান আসলে ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দার।

সংগঠনির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকা সাক্ষীগোপালের মতো। জেলা প্রশাসনকে সিলেটের পাহাড়-টিলা ধ্বংসের দায় নিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ধরা সিলেট শাখার আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি সিলেটের বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় পাহাড়-টিলা কাটা রোধে শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। উপজেলা পর্যায়ে অনেক সৎ ও সাহসী তরুণ কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদেরকে পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপ জোরালো করতে সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।’

সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল বাছিত শেরো বলেন, ‘সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার একাধিক উপজেলায় পাহাড়-টিলা বিনাশের তথ্য সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আবার বিভিন্নস্থানে অভিযানও হচ্ছে। কিন্তু  এসব অভিযান শেষে যে দায়সারা মামলা হয়, তাতে পাহাড়-টিলা নিশ্চিহ্ন করার ধ্বংসলীলা থামে না।’

সিলেটের পাহাড়-টিলা রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলার কমরেড উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৫ জুলাই এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সিলেটের পাহাড়-টিলা কাটা রোধে জেলার পাহাড়–টিলা এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকির নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের উপপরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে ছয় মাস পরপর উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছিল। হাকিম নড়লেও হুকুম নড়ে না। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। যা আদালতকে অবজ্ঞা করা বলেই প্রতীয়মান হয়।

পরিবেশকর্মী রেজাউল কিবরিয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পাত্র সমাজ কল্যাণ পরিষদের (পাসকপ) প্রধান নির্বাহী আদিবাসী নেতা গৌরাঙ্গ পাত্র, সাবেক ছাত্রনেতা ও ধরার অন্যতম সংগঠক মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (ওয়েস), ভূমিসন্তান বাংলাদেশের আশরাফুল কবির, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী সাদিকুর রহমান সাকী, আইনজীবী অরূপ শ্যাম বাপ্পী ও রাতারগুল গ্রামের অধিকারকর্মী মিনহাজ আহমেদ প্রমুখ।

সুমন/

নিজে বাঁচতে যাত্রীদের খালে ফেলে দিলেন অটোরিকশাচালক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
নিজে বাঁচতে যাত্রীদের খালে ফেলে দিলেন অটোরিকশাচালক
দুই যাত্রীসহ খালে ফেলে দেওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের হালিশহরে নিজে বাঁচতে নিয়ন্ত্রণ হারানো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ দুই যাত্রীকে খালে ফেলে দিয়েছেন চালক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হালিশহর থানার সামনের খালে এ ঘটনা ঘটে। 

হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালিশহর থানার সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি অটোরিকশা উল্টে খালে পড়ে যায়। চালক লাফ দিয়ে রাস্তায় অক্ষত থাকে। কিন্তু যাত্রীসহ গাড়িটি খালে পড়ে যায়। মূলত সেই চালক নিজে বাঁচতে গাড়িটি খালে ফেলে দেয়। পরে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।

অটোরিকশাচালক স্থানীয়দের জানান, একটি ছোট বাচ্চা তার মায়ের হাত থেকে ছুটে দৌড়ে রিকশার সামনে চলে আসে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে রিকশাটি উল্টে যায়।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটির। এ সময় তিনি লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। কিন্তু গাড়িতে থাকা দুই যাত্রী পড়ে যান খালে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা যাত্রী ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। তবে কারও নাম-পরিচয় আমরা জানতে পারিনি।

সুমন/

পিরোজপুরে ৫ লাখ টাকার চিংড়িপোনা ছিনতাই

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
পিরোজপুরে ৫ লাখ টাকার চিংড়িপোনা ছিনতাই
পিরোজপুর সদর থানা। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের সদর উপজেলার বেকুটিয়া সেতু টোল প্লাজায় চিংড়িপোনা পরিবহনকারী একটি মাইক্রোবাস থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চিংড়িপোনা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা বলে জানান মাইক্রোবাস চালক চঞ্চল চাকলাদার। তিনি এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়ার একটি হ্যাচারী থেকে বাগেরহাটের ব্যবসায়ীরা ১৮২ পলি গলদা চিংড়ি রেনু পোনা মাইক্রোবাসে (খুলনা মেট্রো-ছ-১১-০০৩৩) করে বাগেরহাটের ফকিরহাটে নিয়ে যাচ্ছিল। ভোর ৫টার দিকে পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতু টোলপ্লাজায় পৌছা মাত্র অজ্ঞাত ১০-১২ জন লোক মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ীর গতিরোধ করে চালককে জিম্মি করে এবং পৌরসভার বড় খলিশাখালী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়। এর পর চালককে ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাসে থাকা পোনাগুলো ছিনতাই করে, যার বাজার মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া চালকের কাছে থাকা ৬ হাজার টাকাও তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

এ ব্যাপরে সদর থানার ভারপ্রাপ্দ কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আমরা এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

হাসিবুল/তাওফিক/ 

চট্টগ্রামে রিকশাচালক-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
চট্টগ্রামে রিকশাচালক-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
রিকশাচালক-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এবং কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রিকশা বন্ধে অভিযানে নামলে উভয়পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ব্যাটারিচালিত রিকশাবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে নগর পুলিশের ডিসি উত্তর, এডিসি (জনসংযোগ) এবং চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিনকে কল করা হলে তারা কেউ সাড়াই দেননি। 

চলতি এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম নগরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে ২ হাজার ৮৯৬টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ ও ডাম্পিং করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে চালকদের মধ্যে ক্ষোভ দানা তৈরি হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

পপি/