কুকুরের ধাওয়া খেয়ে গাছের মগডালে ওঠে বসে মেছো বাঘ। গত সোমবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাঘটি দেখতে কয়েকটি গ্রামের উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল।
জানা গেছে, ভাঙ্গায় ৫০ ফুট একটি কড়ই গাছের ওপরে বসা মেছো বাঘ দেখার পর থেকে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, সোমবার রাতের কোনো একসময় বাঘটি গাছ থেকে নেমে আত্মগোপনে চলে গেছে। কখন তাদের বাড়িঘরে হামলা হয়, এই ভেবে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী। তবে গত সোমবার ফরিদপুর থেকে বন বিভাগের একটা দল বিকেলে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। বাঘটি আরও ওপরে ওঠে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান শেষ করেন তারা।
এলাকাবাসী জানান, গত রবিবার রাতে বেশ কয়েকটি কুকুরকে ঘেউ ঘেউ করতে শোনা যায়। এদের তাড়া খেয়ে বাঘটি গাছে আশ্রয় নেয়। সকালে রাস্তা দিয়ে স্থানীয় লোকজন যাওয়ার সময় অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান রানার বাগানে কোড়ই গাছের ৫০ ফুট ওপর সেটি দেখতে পায় তারা। পরে খবরটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে একনজর দেখার জন্য শত শত মানুষ ভিড় করে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এসআই রাকিব বলেন, ‘৯৯৯ থেকে কল পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কোনো জায়গা থেকে উদ্ধারের সফলতা আসেনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম কুদরত এ খুদা বলেন, ‘এলাকাবাসী গাছে বাঘ দেখার সংবাদ পেয়ে আমি ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস এবং ভাঙ্গা থানাকে অবহিত করেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের এসব পশু উদ্ধারে কিছু বিধিনিষেধ আছে।’
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মো. আবু জাফর জানান, সাপ, ব্যাঙ, বাঘ এগুলো উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের নিষেধ আছে। এজন্য আমরা কিছু দূর গিয়ে ফেরত এসেছি। এটার দায়িত্ব বন বিভাগের।’
ভাঙ্গা বন বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা ফারুক সরদার জানান, ফরিদপুর থেকে একটা দল মেছো বাঘ উদ্ধার করতে এসেছিল। বাঘটির গলা থেকে রশি ফসকে গেলে সেটি গাছের ৫০ থেকে ৬০ ফুট ওপরে ওঠে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেলে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়।’