ঢাকা ৩০ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বয়কটের প্রভাব : তরমুজ আছে, ক্রেতা নেই

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
বয়কটের প্রভাব : তরমুজ আছে, ক্রেতা নেই
ফেসবুকে বয়কটের ডাক দেওয়ায় ময়মনসিংহ শহরে তরমুজ বিক্রি কমেছে। নগরের চড়পাড়া মোড় এলাকা থেকে তোলা। খবরের কাগজ

বেশি দামে তরমুজ বিক্রির অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তরমুজ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে’ এভাবে নীরব প্রতিবাদ জানাতে হবে উল্লেখ করে তারা ১৫ দিন তরমুজ না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন। এর প্রভাব ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ শহরে পড়তে শুরু করেছে। শহরের বেশির ভাগ জায়গায় তরমুজের দোকানে বিক্রেতাদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। কিছু ক্রেতা তরমুজ কিনলেও তারা দাম বেশি রাখার অভিযোগ করেছেন। অনেকে আবার দরদাম করে ফিরে যাচ্ছেন। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, বয়কটের কারণে এবার তাদের লোকসান হয়েছে। অনেক তরমুজ পচে যাচ্ছে।

সরেজমিনে বিভাগীয় শহরের গাঙ্গিনাড়পাড়, স্টেশন রোড, দুর্গাবাড়ী রোড, নতুন বাজার, মিন্টু কলেজ গেট, চরপাড়াসহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, প্রায় সব বিক্রেতাই কমপক্ষে ৫০ টাকা কেজি ধরে তরমুজ বিক্রি করছেন। এক এক করে ক্রেতা আসলেও কেউ কিনছেন, আবার কেউ দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় অনেক ক্রেতা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। তবে বাধ্য হয়েই বিক্রেতাদের নিয়মে কিনছেন তারা। বাজারে যে পরিমাণ তরমুজ উঠেছে তার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।

নগরের গাঙ্গিনাড়পাড়ের কাঁচাবাজারে তরমুজ নিয়ে বসে ছিলেন বিক্রেতা ফরহাদ মিয়া। আশানুরূপ ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর জন্য অনেকে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে দিন দিন ক্রেতা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। এখন ৫০ টাকা কেজি হিসাবে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। তারপরও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। ডাকাডাকি করেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। তরমুজ পচে যাচ্ছে। এবার আমাদের লোকসান হচ্ছে।’

নগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজারে তরমুজ বিক্রেতা আসাদুল হক বলেন, ‘এখন যথেষ্ট গরম পড়েছে। আবার রমজান মাসও চলছে। ভেবেছিলাম দিন যত যাবে ক্রেতা বাড়বে। কিন্তু এখন উল্টো চিত্র।’ তিনি দাবি করেন, ‘কেজি দরে তরমুজ কিনলে ক্রেতারাই লাভবান হবেন। কারণ পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলে অনেক ক্রেতা ঠকে যায়।’

বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন ফাইজুল মিয়া। তরমুজ কেনা শেষ হলে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘একজনও পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছেন না। কেজি হিসেবে দামও কম না। তবু ছয় কেজি ওজনের একটি তরমুজ ৩০০ টাকায় কিনেছি। ৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করলে সব আয়ের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে কিনে খেতে পারবে।’

তরমুজ না কিনে পাশে দাঁড়িয়ে বেচাকেনা দেখছিলেন আবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে কেজি হিসেবে একটি তরমুজ কিনেছিলাম। তখন ওই তরমুজে মিষ্টির ছিটেফোঁটাও ছিল না। ছোট ছোট অনেক অপরিপক্ব তরমুজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম কমাচ্ছে না। দাম না কমলে তরমুজ আর কিনব না।’

রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন মধ্যবয়সী মনোয়ার হোসেন। তরমুজ কিনতে এসে দীর্ঘক্ষণ বিক্রেতার সঙ্গে দামাদামি করেন। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় তিনি শেষ পর্যন্ত কিনতে পারেননি। মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কী আজব বিক্রেতা। অনেকক্ষণ ধরে বলছি ৪০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করতে। কিন্তু ৫০ টাকার কম দিচ্ছে না। আমাদের মতো গরিব লোকরা তরমুজ খেতে পারছে না। তরমুজ এখন টাকাওয়ালা মানুষের খাবার।’

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘কেজি কিংবা পিস যে হিসেবেই হোক, বিক্রেতাদের একটি নির্দিষ্ট লাভেই তরমুজ বিক্রি করতে হবে। খবর পেয়েছি অনেক বিক্রেতা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে কিনে এনে ক্রেতাদের ঠকিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এজন্য আমরা অভিযান চালাব। কোথাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মেরিন ড্রাইভে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক নিহত

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
মেরিন ড্রাইভে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের উখিয়া উপজেলায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ড্যানিয়েল পল মেগ্রিন (৪৯) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পথচারী। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে আরিফ হোছাইন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ড্যানিয়েল পল মেগ্রিন নিজে মোটরসাইকেলে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি উখিয়ার উত্তর নিদানিয়া এলাকার বেলি শ্রিম্প হ্যাচারির সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় দুই পথচারী আহত হন। নিহত পল কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

অবশেষে জামিন পেলেন জামাল, ৪ শিশুর দায়িত্ব নিল জেলা প্রশাসন

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
অবশেষে জামিন পেলেন জামাল, ৪ শিশুর দায়িত্ব নিল জেলা প্রশাসন
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জামাল মিয়া জামিন পেয়েছেন। ছবি : খবরের কাগজ

অবশেষে আদালতের নির্দেশে ও মানবিক বিবেচনায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন গোপালগঞ্জের আলোচিত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার শিশুর বাবা জামাল মিয়া। তার চার সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ মামুন এই জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান জামাল। 

এর আগে লিগ্যাল এইডের কৌঁসুলি আইনজীবী শারমিন জাহান জামাল মিয়ার জামিনের আবেদন করেন।

এদিকে আদালতের নির্দেশনামতো জামালের চার সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার জামাল মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় পরিবারের সদস্যদের হাতে বিভিন্ন উপকরণ তুলে দেন ও জামালের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন।

এর আগে যমজ দুই কন্যাশিশুর জন্মের এক সপ্তাহের মাথায় মায়ের মৃত্যু হয়। তার কয়েক দিন পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান বাবা জামাল। এমন পরিস্থিতিতে যমজ দুই নবজাতক বোনসহ তিন বোনকে নিয়ে ১৩ বছর বয়সী সাজ্জাদ চরম বিপাকে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ। পরে স্বপ্রণোদিত হয়ে সেই শিশুদের দেখভালে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সমাজসেবা কার্যালয়কে নির্দেশ দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চান ও স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং সমাজসেবা কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শিশুদের খাওয়া-দাওয়া ও সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে আদেশ দেন।

এ বিষয়ে লিগ্যাল এইডের কৌঁসুলি শারমিন জাহান বলেন, ‘আমরা মানবিক বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে ধরি। পরে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ মামুন মানবিক কারণে আসামি জামাল মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জামাল মিয়া জেল থেকে মুক্তি পান।’

কোটালীপাড়ার ইউএনও শাহিনুর আক্তার জানান, ওই শিশুদের পরিবারের খোঁজখবর ও নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় খাদ্য ও শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়। শিশুদের স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত খোজঁখবর রাখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এক মাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম একসঙ্গে দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর সাত দিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর চার সন্তানের লালনপালন করছিলেন জামাল মিয়া। তার বড় ছেলে সাজ্জাদ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দিদার হত্যা মামলায় গত ৮ নভেম্বর রাতে জামালকে ধরে নিয়ে যায় কোটালীপাড়া থানা-পুলিশ। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয় জামালকে।

পুণ্যস্নানে ৪০১ তীর্থযাত্রী, পাস পারমিট মিলছে না অন্যদের

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
পুণ্যস্নানে ৪০১ তীর্থযাত্রী, পাস পারমিট মিলছে না অন্যদের
দুবলার চরে রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে দল বেঁধে রওনা হন তীর্থযাত্রীরা। ছবি: খবরের কাগজ

সুন্দরবনের দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে ৪০১ জন তীর্থযাত্রী রওনা হয়েছে।  

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে বুড়িগোয়ালীনি ও কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে ১২টি ট্রলারে করে ৪০১ জন তীর্থযাত্রী রওনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়া তীর্থযাত্রী বহনকারী ট্রলারসহ অন্যান্য নৌযানে কোনো অবৈধ মালামাল বহন না করার অভিযান পরিচালনাসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীগণদের আইডিকার্ড যাচাই করে পাস পারমিট দেওয়া হয়।

এসময় ওই অভিযানে তিনজন মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে সনাক্ত করে তাদেরকে নৌযান হতে নামিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। 

এবিষয়ে জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে কেবল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বনবিভাগ পাস পারমিট দিয়েছে। শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়া মুসলিম ধর্মবলম্বীদের কোনোভাবেই রাসপূজায় যাওয়ার সুযোগ নাই। তাই তাদের নৌযান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের বনবিভাগের সদস্যগণ তল্লাশি চালিয়ে যাদেরকে শনাক্ত করেছেন তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার মো. জিল্লুর রহমান (৪৪), সাতক্ষীরা সদরের কাজী ইসমাইল হোসেন (২৬) ও সাতক্ষীরা কুকরালী গ্রামের শেখ আতিকুর রহমান (২৭)।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ জে এড হাছানুর রহমান জানান, ১৪ অক্টোবর সকাল থেকে রাস উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেশন অফিস থেকে পূণ্যার্থীদের অনুমতিপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় বন বিভাগের সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। রাস উৎসবে যাওয়ার ছলে কেউ যাতে অবৈধভাবে সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ বা হরিণ ও বন্যপ্রাণী শিকার করতে না পারে, সে জন্য কঠোর নজরদারি রয়েছে। এজন্য বনরক্ষীরা নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, তিথি অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন আলোরকোলে রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। বনবিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল এসব এলাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে জানিয়েছে বন বিভাগ।

মাহফুজ/এমএ/

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে জলমহাল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ইউপি সদস্যের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গোয়াকারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ জানায়, ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য নজরুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য ও একটি জলমহাল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলাম তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে পাটি বাঁধ (মাছ ধরার ফাঁদ) দেয়। এসময় তাতে বাধা প্রদান করে আমিনুল ইসলাম ও তার লোকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাজল সরকার/মাহফুজ/এমএ/

 

সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ পিএম
সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রংপুর সেক্টর এবং বিএসএফের ধুবরী সেক্টরের কমান্ডারদের মধ্যে সীমান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিজিবির রংপুর সেক্টরের আওতাধীন কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) এর অধীন সোনাহাট স্থলবন্দরে এ সীমান্ত সমন্বয় সভা শুরু হয়। সভায় বিজিবির ১৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রংপুর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ, পিএসসি। বিএসএফের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ধুবরী সেক্টরের ডিআইজি শ্রী আশুতোশ শার্মা, পিএমএমএস।

সমন্বয় সভায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্তের নিরীহ ও নিরস্ত্র জনগণের ওপর হামলা বন্ধ করা, চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা তৈরী না করা এবং কাঁটাকারের বেড়া নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্নিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুপুর ২টা পর্যন্ত সীমান্ত সমন্বয় সভা চলে।

সভায় বিজিবির কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান, লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম ও অন্যান্য স্টাফ অফিসারগণ এবং বিএসএফের ধুবরী সেক্টর অধীন ১৯, ৩১ এবং ১৫০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কবৃন্দ ও স্টাফ অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।

মওলা সিরাজ/মাহফুজ/এমএ/