
ট্রাফিক আইন অমান্য করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে মায়ের ওষুধ কেনার কথা বলে অনুনয়-বিনয় করার বিষয়টি সাজানো ও পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। পরে তিনি পুলিশের পা ধরে মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন বলে অনুনয়-বিনয় করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন জেলা পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, ‘গত রবিবার দুপুর ১টায় শহরের কালীবাড়ি এলাকায় টিআই আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ট্রাফিক বিভাগ চেকপোস্টের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় এক যুবকের হেলমেট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তাকে জরিমানা করা হয়। পরে ২০ মিনিট পর ওই মোটরসাইকেলচালক এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এসে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে জেরা করে এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে কৌশলে ওই ব্যক্তি আইন অমান্যকারী ব্যক্তি ট্রাফিক পুলিশের পা ধরে মায়ের চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন বলে অনুনয়-বিনয় করার পরিস্থিতি তৈরি করে, যা পুরোটাই ছিল সাজানো এবং পূর্বপরিকল্পিত। এ সময় ট্রাফিক ওই ব্যক্তির কাছে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যায়নি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ব্যক্তির ধারণ করা ভিডিওর অংশবিশেষ শেয়ার করা হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে যা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রচারিত সংবাদটি সঠিক নয়। পুলিশকে জনগণের চোখে হেয়প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাটক সাজিয়ে এটি প্রচার করা হচ্ছে। এটি শুধু পুলিশের বিরুদ্ধে জনগণের বিরূপ মনোভাব প্রচারের অপচেষ্টা মাত্র।’ তাই জনসাধারণকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, মো. আসাদুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লার সভাপতি মনসুর আলীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক।
নবীন/সালমান/