ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

দুই কৃষি ব্যাংক একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম
দুই কৃষি ব্যাংক একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) একীভূতকরণের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দুটি ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানানো হয়।

রাজশাহীর বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক দুটি একীভূতকরণের প্রতিবাদে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যাংকটিকে একটি লোকসানি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হচ্ছে। এর পেছনে যারা জড়িত তারা উত্তরাঞ্চলের ভালো চান না।

মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক বলেন, প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যাংককে আপনারা দুর্বল একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করছেন, সেটা আমরা করতে দেব না। যদি আমাদের কথা না শোনেন তাহলে আমরা রাজশাহীতে প্রতীকী হরতাল করবো, ধর্মঘট করবো। গাড়ি-ঘোড়া দোকানপাট বন্ধ রাখবো, তারপরও যদি আপনারা না মানেন তাহলে আমরা উত্তরাঞ্চলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেব।

এ সময় সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের কৃষি বাঁচাতে হলে আমাদের এই কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে বাঁচাতে হবে। এই ষড়যন্ত্র যারা করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে এই অঞ্চলের মানুষ মুখ থুবড়ে পড়বে।

সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি রাজশাহীর ব্যাংক আমরা রাজশাহীতে রাখতে চাই। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককের চেয়ে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি। উত্তরাঞ্চলের মানুষের আস্থার জায়গা এই কৃষি ব্যাংক। এটাকে কোনোভাবেই একটি দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে দেওয়া যাবে না।

রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক সাদরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে কবি অধ্যাপক রুহুল আমীন প্রামাণিক, সাবেক মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খানসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে এতে অংশ নেন- বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী জেলা শাখা, রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি, রাজশাহী সিটি (ক্ষুদ্র) পাদুকা ব্যবসায়ী মালিক সমবায় সমিতি, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাজশাহী জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ, রাজশাহী জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি, রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ, তরুণ ও উদীয়মান উদ্যোক্তা, রাজশাহী মহানগর শ্রমীকলীগ, রাজশাহী জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড, রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড নেতৃবৃন্দ।

এনায়েত করিম/এমএ/

ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
ফরিদপুরে পুকুরে ভাসছিল কৃষকের মরদেহ
কৃষক মুক্তার হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মুক্তার হোসেন (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শহরের ডিআইবি বটতলার সরদারপাড়া সড়কের বদরের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি একই এলাকার মৃত আব্দুর রাশেদ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা সকালে পুকুরে ভাসতে দেখে মুক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেন। 

তবে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তার আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার হার্টে তিনটি রিং পড়ানো ছিল। সকালে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সঞ্জিব/পপি/

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী খুন, পাহাড়ি তরুণী গুলিবিদ্ধ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাহাড়ি এক তরুণী।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইউপিডিএফ কর্মীর নাম, সুবি ত্রিপুরা (৩৫)। তিনি মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি নারী নিহত সুবি ত্রিপুরার বোন তারাবতী ত্রিপুরা (২০)। 
 
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সভাপতি সন্তু লারমাকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ। বুধবার দুপুরে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, 'বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শক্তি ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেএসএস সন্তু গ্রুপের ১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাইন্দংয়ের হেডম্যান পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফ সদস্য সুবি ত্রিপুরা নিহত হন। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে তারাবতী ত্রিপুরা কপালে জখম হয়ে আহত হন।'

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ঘটনাস্থল অতি দুর্গম হওয়ায় এখনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।'

দিদারুল রাজু/জোবাইদা/

পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে মামলার হুমকি সমন্বয়কের
পরীক্ষায় ফেল করায় ইনচার্জকে হুমকি দেওয়া সমন্বয়ক মিজান রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরে নার্সিং পরীক্ষায় ফেল করায় পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের নামে মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ থেকে ভোল পাল্টে সমন্বয়ক হওয়া মিজান রহমান নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে এক বিষয় অকৃতকার্য হওয়ার পর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলার হুমকিসহ ওই ইন্সটিটিউটের অনেক ইনস্ট্রাক্টরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মিজান রহমাস সিরাজগঞ্জ জেলার তারাস উপজেলার আবু তালেবের পুত্র এবং পিরোজপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউে ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় জানান,  মিজান ৫ আগস্টের পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। এখনো প্রভাব খাটাচ্ছে। কোনো এক অদৃশ্য হাত তার পিছনে কাজ করছে। পরীক্ষার আগে মিজান দলবলসহ এসে পরীক্ষার হল ছেড়ে দেওয়াসহ তাকে পাশ করাতে হুমকি দেন। পরে পরীক্ষায় ফেল করলে আমার নামে মিথ্যাচার ও মামলাসহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।

নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা  যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত হয়। তাতে সমন্বয়ক মিজান এক বিষয় অকৃতকার্য হন। পরে তিনি প্রভাবশালী নার্স নেতা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়ের নামে মামলা করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটটির ইনস্ট্রাকটর প্রভা রানী বড়াল বলেন, ‘মিজানুর রহমান আমাদের নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী। গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট দেওয়ার পর থেকে সে বিভিন্নভাবে সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের দিয়ে ফোন দিয়ে পাশ করানোর ব্যাপারে হুমকি দেয়। সে যে বিষয়ে ফেল করেছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো টিচার পরীক্ষা নেয়নি। সাধারণ ঐ বিষয়ে বাইরের টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা টিচার হিসেবে কখনও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক সেটা চাইনা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মিজান সব সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের প্রভাব দেখাতো। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতো। গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি সমন্বয়ক বনে যান। তিনি পরীক্ষায় ফেল করে আমাদের ইনস্ট্রাক্টরদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। পড়ালেখায় পাশ-ফেল তো থাকবেই এটা কেন মানতে পারবেনা, এখানে কেন প্রভাব দেখাতে হবে। অবিলম্বে তাকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা উচিত এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল করা উচিত।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারা আমার শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা কোনো খারাপ কথাও আমি বলিনি। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু ফোনে বলবেন না বলে কল কেটে দেন।’

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
বালতিতে মেপে সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে, কারচুপির অভিযোগ
বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালীর বাউফলে মিটারের পরিবর্তে বালতিতে মেপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ফেয়ার প্রাইস ডিলার লিটন মৃধার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজার এলাকার সুবিধাভোগীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ডিলার চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন। 

জানা গেছে, কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়ের বাজারে ডিলার লিটন মৃধা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল মিটারের পরিবর্তে বালতি দিয়ে মেপে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে কেউ পাচ্ছেন ২৮ কেজি, আবার কেউ ২৯ কেজি। এ অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লিটন চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। 

পাকডাল গ্রামের সুবিধাভোগী রাজ্জাক মৃধা বলেন, ‘সকাল থেকে লিটন মৃধা বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছেন। এতে মাপে কম হচ্ছে। কেউ ২৮ কেজি, কেউ ২৯ কেজি পাচ্ছেন। চাল বিতরণের সময় কোনো ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।’ 

তবে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার লিটন। 

তিনি বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের সম্মতিতে দ্রুত বিতরণের জন্য বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছি। এতে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।’  

দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার মিটার ব্যবহার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন/পপি/

মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবির ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ছবি : খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলার লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ডিবির কনষ্টেবল আসিফউদ্দিনকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জেলা গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবির ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান আসছে গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার রাত ৮ টার দিকে লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বাজারে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের ১০ সদস্যের একটি টিম। এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলো উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাহমুদসহ একটি চক্র। উপস্থিতি টের পেয়েই ওই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের লোকজন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এ সময় ডিবির ৩ সদস্যকে মারধর করে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় লৌহজং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, 'মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশের সদস্যদের উপর অতর্কিতে ওই হামলা করে। আহতদের মধ্যে একজন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জোবাইদা/