ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

গলায় কই মাছ আটকে এক ব্যক্তির মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ এএম
গলায় কই মাছ আটকে এক ব্যক্তির মৃত্যু
কই মাছ গলায় আটকে মারা যান মিয়া চাঁন। ছবি: খবরের কাগজ

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে কই মাছ ধরতে গিয়ে গলায় আটকে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মহিষাশুড়া ইউনিয়নে বালুসাইর গ্রামে মাছ ধরতে গিয়ে গলার ভেতরে ঢুকে যায় কই মাছটি। পরে সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মৃত ব্যক্তির নাম মিয়া চাঁন (৪৮)। তিনি বালুসাইর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত. তারব আলীর ছেলে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক আলাল উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে নালায় বৃষ্টির পানিতে কই মাছ দেখতে পেয়ে প্রথমে একটা মাছ ধরছে মিয়া চাঁন। এ সময় রাখার পাত্র না থাকায় কই মাছটি কামড় দিয়ে রাখেন। পরে কই মাছটি পিছলে গলায় ঢুকে যায়। প্রথমে তিনি নিজেই অনেকে চেষ্টা করেন মাছটি বের করতে। পরে ব্যর্থ হয়ে নরসিংদী হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজনরা। সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা গেলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন তারা।

মহিষাশুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি কাওছার আহমাদ ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘গলায় কই মাছ ঢুকে একজন লোক মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ঝড়-বৃষ্টির কারণে যেতে পারিনি। তবে মৃতের বাড়িতে আমাদের প্রতিনিধি রয়েছে।’

শাওন খন্দকার/অমিয়/

রাউজানে ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
রাউজানে ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ পিয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাবু। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে আবারও গুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে পুকুর পাড়ে ফেলে গেছে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ পিয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাবুকে (৩৮) চট্টগ্রাম শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

পিয়ার মোহাম্মদ রাউজান সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের খানখানাবাদ গ্রামের হাফেজ মাওলানা নুর মোহাম্মদের পুত্র এবং রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। 

পিয়ার মোহাম্মদের মা মোরশেদা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার ছেলে রোজা রেখে পুকুর সেচের কাজ দেখতে বের হয়। ১১টার পর খবর পান তার ছেলেকে কে বা কারা গুলি করে ফেলে গেছে। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের উত্তর গুজরা গ্রামের শ্রী শ্রী অন্নদা ঠাকুর আদ্যপীঠ রামকৃষ্ণ সংঘ মন্দির সংলগ্ন পুকুর পাড়ে এই গুলির ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারি কাজের চাঁদাবাজি নিয়ে এই ঘটনা ঘটতে পারে স্থানীয়দের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। আবার কেউ কেউ ধারণা করছেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া হযরত চাঁদ শাহ (রা.) এর বার্ষিক ওরসকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটতে পারে। 

অন্নদা ঠাকুর আদ্যপীঠ রামকৃষ্ণ সংঘ মন্দিরের পুরোহিত তপন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, মন্দিরের সামনের পুকুরে ঘাট নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ এসেছে। উপ-ঠিকাদার হিসেবে পিয়ার মোহাম্মদ কাজটি করার জন্য পুকুরের পানি সেচের কাজ তদারক করতে পুকুর পাড়ে আসার আসার পথে তাকে গুলি করে ফেলে দিয়ে গেছে। ঘটনার সময় তারা সেখানে ছিলেন না। তবে মন্দিরের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও পুলিশ নিয়ে গেছে।  

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫-৬ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় কোনো আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

মাহফুজ

ঠাকুরগাঁওয়ের হারিয়ে যাওয়া ১৩ নদীর সন্ধান, পুনঃখননের দাবি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ের হারিয়ে যাওয়া ১৩ নদীর সন্ধান, পুনঃখননের দাবি
ছবি: খবরের কাগজ

একসময় ঠাকুরগাঁও জেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলো ছিল প্রাণচাঞ্চল্যের প্রতীক। লঞ্চ, ট্রলার আর মাছ ধরার নৌকার কোলাহলে মুখরিত এসব নদী এখন শুধুই স্মৃতি। গত ৫০ বছরে অন্তত ১৩টি নদ-নদী মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক অনুসন্ধানে এই হারিয়ে যাওয়া নদীগুলোর অস্তিত্বের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম যাকারিয়া জানান, বর্তমানে জেলার চিহ্নিত নদীর সংখ্যা মাত্র ১৪টি। নতুন করে পাওয়া ১৩টি নদীর তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি প্রকল্প অনুমোদন হয়, তবে নদীগুলো দখলমুক্ত করে পুনঃখনন করা হবে।’

জেলার বিভিন্ন এলাকায় হারিয়ে যাওয়া নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে- রশিয়া, হাতুরি, জলই, পুনর্ভবা, মরা গোগরা, চাড়াল বান্দ, নহনা, আমান-ধামান, কাহালাই, বাগমারা, সারডুবি, মরাটাঙ্গন ও ভক্তি নদ। অধিকাংশ নদী শুকিয়ে ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে, কোথাও আবার সংকীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে।

সদর উপজেলার ভেলাজান এলাকার প্রবীণ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৬৫) বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখেছি, এই নদীতে লঞ্চ চলত। এখন শুধু স্মৃতিতে রয়ে গেছে।’
সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ও বালিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সারডুবি নদ এখন প্রায় মৃত। পাউবোর সদর উপজেলার কার্য সহকারী শফিউজ্জামান জানান, এই নদীর ৭০ শতাংশ জমিতে এখন চাষাবাদ হয়, বাকি অংশ সংকীর্ণ খালে রূপ নিয়েছে।

পীরগঞ্জ উপজেলার কাহালাই নদ প্রায় পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে। পাউবোর পীরগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা শারাফাত হোসেন বলেন, নদীর ৭৫ শতাংশ জায়গায় চাষাবাদ হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল হামিদ (৫০) বলেন, আগে এই নদীর পানি সেচের জন্য ব্যবহার করা হতো। এখন নদী না থাকায় চাষাবাদেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সৃজন’-এর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দখল, দূষণ এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে নদীগুলো বিলীন হয়েছে। অনুসন্ধান করলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, কৃষিনির্ভর অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে ১৩টি নদীর পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একসময় এসব নদী ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। যদি নদীগুলো পুনরুদ্ধার করা যায়, তাহলে শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের জীবনও ফিরে পাবে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য।

নবীন হাসান/মাহফুজ 

 

পাংশায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় শিশু নিহত, আহত ২

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
পাংশায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় শিশু নিহত, আহত ২
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ভ্যানযাত্রী ইসরাত (৪) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার বড় বোন সুমাইয়া (১৮) ও ভ্যানচালক হেলাল গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে রাজবাড়ী-কু‌ষ্টিয়া আঞ্চ‌লিক সড়‌কের পাংশা মৈশালা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইসরাত উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের সুজানগর গ্রামের দুলাল মাস্টারের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া ও তার ছোট বোন ইসরাত মৈশালা বাসস্ট্যান্ড থেকে ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিল। পথে রাজবাড়ী থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার পেছন থেকে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইসরাত। এ ছাড়া সুমাইয়া ও ভ্যানচালকও গুরুতর আহত হন।

পাংশা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ বলেন, প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তানসু সুমা বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আহত সুমাইয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সুমন/মেহেদী/

রাজশাহীতে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
রাজশাহীতে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর একটি ভাড়া বাসা থেকে হেলেনা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা রেললাইনের পাশের বস্তির ওই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

নিহত হেলেনা আক্তার নগরীর নামো ভদ্রা রেল লাইন সংলগ্ন এলাকার নায়েক আলীর মেয়ে এবং আলমগীর হোসেন ওরফে রয়েলের স্ত্রী। পুলিশ ওই নারীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, হেলেনা রয়েলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বস্তির এক কক্ষের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। এই বিয়ের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার চলাচল ছিল না।

এদিকে হেলানাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার মা ও ভাই।

তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, সকাল ৯টার দিকে বস্তির এক লোক থানায় ফোন করে ঘরে আগুনে পোড়া মরদেহ পড়ে থাকার কথা জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের ঘরে তেমন আসবাবপত্র নেই। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে পুরো শরীর ঝলসে গেছে। পাশে শুধু একটা মশারিতে পোড়া চিহ্ন দেখা গেছে। আর কিছু পোড়েনি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হেলেনার আগের স্বামীর এক ছেলে আছে। সে একটি মাদরাসার আবাসিকে থাকে। দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হেলেনা একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। যে ঘরে তারা থাকতেন তার পাশের ঘরে আরেক প্রতিবন্ধী নারী থাকেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন আগুন লাগলে হেলেনার চিৎকার করার কথা। এ রকম কোনো চিৎকার তিনি শোনেননি। হেলেনার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তারা দাবি করছেন হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনার স্বামীকে খুঁজছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করা হচ্ছে তিনি পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে নিহত হেলেনার স্বজনেরা যদি হত্যা মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে। তবে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।

মেহেদী/

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা যুবদল নেতা মারা গেছেন

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা যুবদল নেতা মারা গেছেন
নিহত যুবদল নেতা রাশেদ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্থানীয় যুবদল নেতা রাশেদ মাহমুদ চিকিসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত করা হলেও শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। রাশেদ হাসান সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক।  

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিলাদুন-নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই উপজেলা বিএনপি সভাপতি পল্লী চিকিৎসক এমএ হান্নান বাটালুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল আরেক বিএনপি নেতা নেতা মাজেদুর রহমানে জুয়েলের সমর্থকদের। এ বিরোধের জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা এলাকায় রাশেদ হাসানের ওপর ১৫/২০ জন হামলা করে। গুরুতর আহত রাশেদ হাসানকে বগুড়ায় শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তিনি মারা যান।

সোনাতলা উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক মো. জিয়াউল হক লিপ্পন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য মামলা দায়ের করা হবে। রাশেদকে হত্যার ঘটনায় পাকুল্লা ইউনিয়নে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও কর্মীরা অভিযোগ করে কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার বিষয়টি আগেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবিহিত করা হয় কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা দাবি করেন রাশেদ হাসানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার কোনো অভিযোগ নেই।

হাসিবুর রহমান বিলু/মাহফুজ