ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে বেড়েছে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩০ এএম
খাগড়াছড়িতে বেড়েছে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা

সরকারের ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৩টি জেলা ম্যালেরিয়াপ্রবণ। তার মধ্যে উচ্চঝুঁকিতে আছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। দেশের মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯০ শতাংশেরও বেশি তিন পার্বত্য জেলায় ঘটছে। 

খাগড়াছড়িতে আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত কিছু এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

২০২২ সালে খাগড়াছড়িতে ১৫৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সে বছর কেউ মারা যাননি। ২০২৩ সালে খাগড়াছড়ি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১৭ জনে। এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসে মৃত্যু হয় একজন রোগীর। ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সর্বমোট মারা গেছেন পাঁচজন। 

মাঝেমধ্যে কমলেও কোনো কোনো বছর আবার আকস্মিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রকোপ বৃদ্ধির পেছনে তিনটি বিশেষ কারণ রয়েছে বলে মনে করেন মাঠপর্যায়ের চিকিৎসক ও গবেষকরা। প্রকৃতি, মশা ও মানুষের আচরণে পরিবর্তন, সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমণ বেশি হওয়ার পরও প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে নজরদারির অভাব রয়েছে। কীটনাশকযুক্ত মশারি মশা প্রতিরোধে কাজ করছে না। 

তারা মনে করেন, পাহাড়ে ম্যালেরিয়া ছড়াতে বাইমাই নামের একটি অ্যানোফিলিস মশার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এরা আগে গভীর রাতে কামড়াত। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে অনেক সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ ছাড়া তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বৃষ্টির গতিপ্রকৃতি মশার বংশবৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখে চলেছে। কয়েক বছর ধরেই বর্ষার আগে ও পরে বেশি বৃষ্টিপাত এবং অস্বাভাবিক তাপমাত্রাও পাহাড়ে মশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। 

গত বছরের ডিসেম্বরে সাজেকের সীমান্ত সড়কের নির্মাণকাজ করতে গিয়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী যুবক মো. ফয়সাল। 

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাবের জানান, অসচেতনতার কারণে ওই একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাজেক সীমান্ত সড়কে নির্মাণকাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সময় তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। সেখানে চার-পাঁচ দিন জ্বরে ভোগার পরও সঠিক চিকিৎসা নেননি। এরপর ওই শ্রমিক ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা না করেই দীঘিনালায় এসে গ্রামের একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করেন। ফলে তার অবস্থা আরও জটিল হয়ে পড়ে। এরপর তিনি সিভিয়ার ম্যালেরিয়া নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করার আগেই মৃত্যু হয় তার। 

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাবের আরও বলেন, ‘মূলত অবহেলা ও অসচেতনতার কারণেই ওই একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই জ্বর হলে কিংবা ম্যালেরিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আসতে হবে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা করা হয় এবং পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। এসব কাজে ব্র্যাক আমাদের সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত মশারিও বিতরণ করা হয়।’ 

শরীয়তপুরে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
শরীয়তপুরে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
ছবি: খবরের কাগজ

শরীয়তপুরে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে পালং মডেল থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কমিটি নেই। পুরাতন কমিটি ২০২১ বিলুপ্ত করা হয়। এদিকে জেলায় কার্যক্রম গতিশীল করতে মঙ্গলবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে এইচ.এম জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও সোহেল তালুকদারকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ছবি: খবরের কাগজ

বিকেলে একটি পক্ষ কমিটি ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে বিজয় মিছিল করে। অপরদিকে আরেকটি পক্ষ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল দু’টির একটি পালং থানার সামনের গেটের সড়ক ও আরেকটি মিছিল পেছনের গেটের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন জেলায় কমিটি ছিল না, নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা আনন্দ মিছিল করেছিলাম, যারা কোনো সময়ই ছাত্রদল নেতা ছিল না, এ কমিটিতে তাদের নাম আসে নাই। আমরা যখন আনন্দ মিছিল করতেছিলাম, তখন তারা আমাদের মিছিলে হামলা করে এবং আমরা তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হই।

ছবি: খবরের কাগজ

এ কমিটির যুগ্ন-আহ্বায়ক ইসহাক সরদার বলেন, এ কমিটিতে যারা পদ পেয়েছে তারা অনেকেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ছিল না। অনেকে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে রাজনীতি করেছে। যারা পদবঞ্চিত হয়েছে, সবাই দুঃসময়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। এ কমিটির বিপক্ষে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করতে ছিলাম, তখন যুবদল, যুবলীগের হেমলেট বাহিনী এসে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা এ কমিটি মানি না, এ কমিটির কোনো কার্যক্রম আমরা শরীয়তপুর করতে দিব না।

এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে একটি ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সতর্ক থাকায় বিষয়টি দ্রুত কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রাজিব হোসেন রাজন/মাহফুজ

 

২ ভাতিজির প্রাণ গেল চাচার হাতে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
২ ভাতিজির প্রাণ গেল চাচার হাতে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার বিরুদ্ধে দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতদের মাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাঠালকান্দি গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার (২৭), তার ছোট বোন মাছুমা বেগম (২৫)। অপরদিকে অভিযুক্ত চাচার নাম মাসুক মিয়া।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে কাঠালকান্দি গ্রামের আবু মিয়া ও তার ভাই মাসুক মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মাসুক মিয়া বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করতে গেলে আবু মিয়ার স্ত্রী হাজিরা বেগম ও তার দুই মেয়ে শারমিন ও মাছুমা বেগম বাধা দেন।

এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করেন অভিযুক্ত মাসুক মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন ও মাছুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আহত আবু মিয়ার স্ত্রী হাজিরা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দুই বোনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আসামি গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।

পুলক পুরকায়স্থ/মাহফুজ

 

সিলেটে বৃষ্টি কমলেও থামেনি পাহাড়ি ঢল, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
সিলেটে বৃষ্টি কমলেও থামেনি পাহাড়ি ঢল, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে গত দুইদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও ভারতের পাহাড়ি ঢল থামেনি। যার ফলে সিলেট জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণের ফলে দ্রুত বাড়ছে সীমান্ত নদী কুশিয়ারার পানি। আর এই কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে সিলেটের জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা দিয়ে। তাই এই তিন উপজেলায় ইতোমধ্যে নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এলাকার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে এবং এই দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ভারতের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারার বাঁধে আরও ভাঙন দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। রবিবার (১ জুন) রাত থেকে সোমবার (২ জুন) সকাল পর্যন্ত জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামে প্রায় ১০০ ফুট, বাখরশাল গ্রামে ৫০ ফুট এবং খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল এলাকায় ৪০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়। এছাড়া আরও ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। যার ফলে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৫০টি গ্রাম।

অপরদিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গারজুর গ্রাম এলাকায় কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে ওই অঞ্চলের একাধিক গ্রাম ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার আশঙ্কায় বিয়ানীবাজারে ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদকে প্রধান করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

সুরমা, কুশিয়ারা নদী ছাড়াও সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী সারি, সারিগোয়াইন, ডাউকি, ধলাই ও লোভা নদীতে পানি বাড়ছে। ফলে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ উদ্বেবেগের সাথে দিনানিপাত করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য মতে, মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা তিনটায় কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জ উপজেলার আমলশিদ পয়েন্ট বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার, বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৬.৬ মিলিমিটার।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস খবরের কাগজকে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার ও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বিশেষ করে শিলচরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে যার ফলে সেই পানি আমাদের সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে নামছে। এজন্য সিলেটের কয়েকটি উপজেলার মানুষজন বন্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। যেহেতু সিলেটেও বৃষ্টিপাত কমে গেছে, আশা করছি আগামী দুই তিনদিনের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৯ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৯ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা থেকে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন চোরাচালানি পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার আমতলী এলাকায় বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এ সব পণ্য জব্দ করে। এ দিন দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাব্বার আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫ বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি দল বিজয়নগর উপজেলার আমতলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। 

অভিযানে ১৪০ পিস ভারতীয় সানস্ক্রিন ক্রিম, ৬ হাজার পিস আইভি ক্যানুলা এবং ৪৬ বাক্স বিভিন্ন প্রকার আগরবাতি জব্দ করা হয়। চোরাচালানি এ সব পণ্যের আনুমানিক মূল্য ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩০০ টাকা। জব্দকৃত পণ্য আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনে জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আজিজুল সঞ্চয়/মাহফুজ

 

আ.লীগ নেতার কারখানা থেকে কেএনএফের পোশাক উদ্ধার, ৩ জন রিমান্ডে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
আ.লীগ নেতার কারখানা থেকে কেএনএফের পোশাক উদ্ধার, ৩ জন রিমান্ডে
বায়েজিদ এলাকার একটি কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া ইউনিফর্ম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মালিনাকাধীন ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেড কারখানা থেকে কেএনএফ এর পোশাক তৈরি কাপড় জব্দের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর আগে সোমবার (২ জুন) রাতে কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। একইসঙ্গে গাড়িসহ কাপড়ের রোল জব্দ করা হয়। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২ এর বিচারক ইব্রাহিম খলিল এ আদেশ দেন। এর আগে বায়েজিদ থানার উপ-পরিদর্শক আরিফুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন আদালতের কাছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। 

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া তিন আসামি হলেন- আতিকুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক ও তৌহিদুল ইসলাম। এদের মধ্যে তারেকুল ইসলাম আবদুচ ছালামের আপন ভাই। আবদুচ ছালাম ৯ বছর আওয়ামী লীগের হয়ে সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। এছাড়াও সর্বশেষ বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৮ আসন থেকে তিনি একতরফাভাবে এমপি হন। 

জানা গেছে, সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহের অভিযোগে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেড কারখানায় কেএনএফ এর পোশাক তৈরি হচ্ছে এমন সন্দেহে সোমবার (২ জুন) রাতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় ৪ জনকে একটি গাড়িসহ আটক করা হয়। ওই গাড়িতে কাপড়ের রোল রয়েছে। 

এসময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চারজনের মধ্যে তারেকুল ইসলাম ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের পরিচালক। এটি আবদুচ ছালামের ওয়েল গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তিনি ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান।

গ্রেপ্তার অন্য তিনজন তৌহিদুল ইসলাম জামালুল ইসলাম ও মো. আতিকুর রহমান ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। পুলিশের ভাষ্য, তারা কেএনএফের ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৭ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানার এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানা থেকে ২০ হাজার ৩০০টি ইউনিফর্ম জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ২৬ মে দিবাগত রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়াহাট এলাকার একটি গুদাম থেকে আরও ১১ হাজার ৭৮৫টি সন্দেহজনক ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। ২৭ মে রাতে পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। 

মনির/মাহফুজ