কৃষকদেরকে তাদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করলে হয়তো দাম কমে যাবে। কিন্তু এসব পণ্য আমদানি করলে আমাদের দেশের কৃষকরা ভাল দাম পাবেন না। এতে তারা নিরুৎসাহিত হবেন। তাই এসব পণ্যের মৌসুম আসলেই আমরা পণ্যগুলো আমদানি অনুমতি বন্ধ করে দিই। কাজেই কৃষকদেরকে তাদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। এটাই সরকারের পলিসি।’
রবিবার (১২ মে) নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ক্রেতা চাইবে কম দামে পণ্য কিনতে। কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে লাভ করতে হবে। কিন্তু কেউ যাতে অতি মুনাফা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ব্যবসা শুরু করতে কিছু সার্টিফিকেট লাগে। আবার আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রেও নানা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। আমদানির অনুমতিপত্র লাগে। আবার কোনো কোম্পানি বা সমিতি খুলতে গেলে রেজিস্ট্রার বা জয়েন রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে যেতে হবে। আমাদের যে ব্যক্তিতান্ত্রিক অর্থনীতি তা এসব কোম্পানির ওপর ভর করেই দাঁড়িয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো কোম্পানিগুলো ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে পারে। তবে বড় ব্যবসা করতে গেলে কোম্পানি খুলতে হবে। আগে একটা কোম্পানি খোলার ক্ষেত্রে দুজন ব্যক্তি লাগতো। ২০২০ সালের আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তিও একটি কোম্পানি খুলতে পারবেন। রপ্তানিকারক কোন কোন দেশে পণ্য রপ্তানি করলে ব্যবসায়ী লাভবান হবেন তা পরামর্শ দেওয়ার জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো রয়েছে।’
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব জসিম উদ্দিন, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক নাছরিন আক্তার, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম আকতার হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তারেক মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/