ঢাকা ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি সোনা লুট

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি সোনা লুট
ছবি : খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মধ্যরাতে বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটকে রেখে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেছে এক দল ডাকাত। 

গতকাল সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়া আলীম আল রাজিম আকন্দের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কয়েড়া ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী আলীম বলেন, ‘বাসার পেছনে লোহার গ্রিল কেটে মধ্যরাতে বাসার ভেতরে ঢোকে ডাকাতরা। পরে শব্দ পেয়ে জেগে উঠে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আমার ও সন্তানদের মাথায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। স্ত্রীর কাছ থেকে আলমিরা ও লকারের চাবি চায় ডাকাতরা। কিন্তু চাবি দিতে না চাইলে ডাকাতরা আমাদের সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রাখে ও মারধর করে আহত করে। এরপর নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১৯ ভরি সোনার অলংকার লুটপাট করে তারা পালিয়ে যায়।’

আলীম আরও জানান, ডাকাতরা রাত ৪টার দিকে পালিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে চিৎকার করলে লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। এর আগে সকালে বিষয়টি ভূঞাপুর থানা-পুলিশকে জানানো হয়।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটির ব্যাপারে ভুক্তভোগী জানালে দ্রুত টহলরত পুলিশকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী কোনো অভিযোগ না করলেও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিয়ে আলোকচিত্র

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিয়ে আলোকচিত্র
খুলনা নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে একজন দর্শনার্থী ছবি তুলছেন। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনার শহিদ হাদিস পার্কের খোলা মাঠে বড় বড় অনেকগুলো বোর্ডে সাজানো ছিল নগরীর জলাবদ্ধতার ভোগান্তির চিত্র। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতার সময়কার ছবি ও গল্প এ বোর্ডগুলোতে জায়গা পেয়েছে।

এখানে রয়েছে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে থাকা ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভোগান্তির চিত্র। এ ছাড়া নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় কবরস্থানে দুই-তিন দিন পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকা সারি সারি কবরগুলোর ছবি দর্শনার্থীদের অনুভূতিকে নাড়া দিয়েছে। ছবিতে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ি, ময়লা-আবর্জনায় পানি নিষ্কাশন আটকে থাকার চিত্রও উঠে এসেছে। গল্পে গল্পে বলা হয়েছে জলাবদ্ধতার শিকার মানুষের ভোগান্তির কথা।
 
খুলনা শহরের জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী গত রবিবার শুরু হয়, শেষ হয় গতকাল মঙ্গলবার। আয়োজকরা জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যক্তি সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে আমাদের উদাসীন আচরণকে পরিবর্তন করতে হবে। টেকসই নগর উন্নয়নে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এখনো খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণযোগ্য অবস্থায় আছে।

আমরা যদি পরিকল্পনায় আর কোনো ভুল না করি, ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি না থাকে, সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করি তা হলে জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ইউএসএআইডির অর্থায়নে, জেএসআই, রিসার্চ অ্যান্ড টেনিং ইনস্টিটিউট, ব্র্যাক বাংলাদেশের সহযোগিতায় খুলনা সিটি করপোরেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জানা গেছে, খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে সিটি করপোরেশন প্রায় ৮২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করলেও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির সুফল মিলছে না। উপরন্তু, বিভিন্ন স্থানে ধীরগতির উন্নয়ন কাজ, খোঁড়াখুঁড়ি ও অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা উঁচু করায় শহরের কয়েক হাজার বাড়িঘর রাস্তার তুলনায় নিচে চলে গেছে। এতে বৃষ্টি হলেই ড্রেনের নোংরা পানি ওইসব বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। তখন নগরবাসীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

নাগরিক সংগঠন ‘খুলনা নাগরিক সমাজ’-এর সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই ডোবে খুলনা নগরী। উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। সারা বছর ধরেই সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। নগরজুড়ে ড্রেনেজব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হলেও জলাবদ্ধতার পুরানো ভোগান্তি রয়েই গেছে।’
 
এশিয়া রেজিলেন্ট সিটির প্রকল্প প্রধান ফারহানা আফরোজ বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্যই আলোকচিত্র ও ফটোভয়েস প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে ওই এলাকার জলাবদ্ধতার ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। কোথায় কোন সংকটের কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে শহরের জলাবদ্ধতার ছবি ফুটে উঠেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
 
এদিকে কেসিসি কর্মকর্তারা বলছেন, রূপসা ও ভৈরব নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের সময় শহরের পানি নামতে পারে না। ফলে জোয়ারের সময় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীন উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় সেখানে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়। কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। পরিকল্পিত শহর গড়তে হলে নাগরিকদের সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
 
এদিকে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে খুলনা শহরের দৃশ্যমান জলাবদ্ধতার ছবি ফুটে উঠেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

যুবদল কর্মী হত্যায় আটক ছাত্রদল নেতা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
যুবদল কর্মী হত্যায় আটক ছাত্রদল নেতা
গ্রেপ্তার শামীম রেজা ও মেহেদী হাসান। ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় যুবদল কর্মী পিয়াল হাসানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এবার ছাত্রদল নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন র‍্যাব-৬ এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তাররা হলেন ঝিকরগাছা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোবারকপুর গ্রামের শামীম রেজা ও একই গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মেহেদী হাসান।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) র‍্যাব-৬ কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রাসেল আহমেদ জানান, গত সোমবার রাতে খুলনার চুকনগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার বেনাপোল সীমান্ত ও মোবারকপুর গ্রাম থেকে আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার করে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ।
 
গত শনিবার (৯ নভেম্বর) দেড়টার দিকে নিহত যুবদল কর্মী পিয়াল বাজারে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পৌর শহরের মিতালী হল রোড এলাকায় তাকে হত্যার উদ্দেশে আসামিরা বোমা নিক্ষেপ করেন। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকলে সেখানে আসামিরা দা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিয়ালের গলা, হাতে, পায়ে ও পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলা করলে মামলাটি নিয়ে র‍্যাব-৬ সদস্যরা ছায়া তদন্তে নামেন। পরবর্তী সময়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালানো হয়।
 
কমান্ডার রাসেল জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি শামীম রেজা ঢাকার উদ্দেশে পালানোর জন্য খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে যান। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসান ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও মূলত ছাত্রদল নেতা শামীমের পরিবারের সঙ্গে নিহত পিয়ালের পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত ৫ আগস্ট ঝিকরগাছা বাজারে আধিপত্যের বিস্তার নিয়ে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে যুবদলের কর্মী পিয়াল হাসানের বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে পিয়ালের নেতৃত্বে কয়েকজন শামীমের বাবা কামরুল ইসলামকে ছুরি মেরে জখম করেন। ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় পিয়ালসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। দেড় মাস কারাভোগ করে গত ৮ নভেম্বর জামিনে মুক্ত হন তারা। পরদিন ৯ নভেম্বর পিয়াল রেলস্টেশন এলাকায় শামীমের কাছে গিয়ে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে আসেন।

নিহত পিয়ালের ভাই সুমন হাসান বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। শামীমের বাবা আহত হওয়ার ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে পিয়াল শামীমের কাছে মাপ চাইতে যান। কিন্তু শামীম মাপ না করে তার লোকজন ডেকে আমার ভাইকে হত্যা করেছেন। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।’
 
এদিকে হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে উপজেলা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম রেজার সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পদত্যাগ করা শিক্ষককে ফেরাতে ‘অর্থের বিনিময়ে’ বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
পদত্যাগ করা শিক্ষককে ফেরাতে ‘অর্থের বিনিময়ে’ বিক্ষোভ
নারায়নগঞ্জ

প্রভাব বিস্তার, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পদত্যাগে বাধ্য হন রূপগঞ্জের ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল মোল্লা। টাকার বিনিময়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী তার পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করেন।

মঙ্গলবার ( ১২ নভেম্বর) দুপুরে পদত্যাগ করা ওই শিক্ষকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী স্থানীয় লোকজন নিয়ে স্কুলের ভেতরে আন্দোলনের চেষ্টা করে। এর আগে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিতব্য দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি ও গালিগালাজ করে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেয় তারা। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি।

ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীন বলেন, ‘গত ১৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও ভুলতা স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল মোল্লা পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত শুরু করেন তিনি।

এলাকার লোকজনসহ শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে আন্দোলনসহ নানা অপকর্ম করাচ্ছেন আব্দুল আউয়াল মোল্লা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দশম শ্রেণির পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের ৬ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মেয়েদের অশ্লীল কথা বলে হল থেকে বের করে দেন। এ নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।’

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল আলম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় উত্তেজিত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল আউয়াল মোল্লার চক্রান্তের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, ‘আউয়াল মোল্লা স্কুলের ভেতরে ক্যান্টিন ও টেইলার্স ভাড়া দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের আয়ের প্রায় ১৯ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও জানা গেছে, আব্দুল আউয়াল মোল্লা, উমা ম্যাডাম, আক্তার মোল্লা, আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সাবেক এমপির প্রভাব খাটিয়ে জোর করে ও স্বাক্ষর জাল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল মোল্লা পদত্যাগ করেছেন। তার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আন্দোলন সংগ্রাম করে কোনো লাভ হবে না।’

কীর্তনখোলা থেকে পুলিশের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
কীর্তনখোলা থেকে পুলিশের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পুলিশ পরিদর্শকের স্ত্রী আলো রানি মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের কাশিপুরের ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর আলো রানি মজুমদার নামে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।

কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এই লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের সদর থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার। আলো রানি মজুমদার (৩৭) বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার নরেরকাঠি গ্রামের কৃষ্ণকান্ত মজুমদারের মেয়ে। তার স্বামী অনুপ রায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তারা নগরীর কাশিপুর পাসপোর্ট অফিসের পাশে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। স্বজনরা জানান, আলো রানি মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন।

বরিশাল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘৯৯৯-এ খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই মো. আসাদুল আল গালিব জানান, সোমবার রাতে বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ। রাতে খবর পেয়েছেন, লঞ্চ থেকে এক নারী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে।

পুলিশের এএসপির বিরুদ্ধে জায়গা দখলের সত্যতা পেল প্রশাসন

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ এএম
পুলিশের এএসপির বিরুদ্ধে জায়গা দখলের সত্যতা পেল প্রশাসন
চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় পুলিশের এক এএসপি’র বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিবেশির জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের সত্যতা পেয়েছে উপজেলা ভূমি প্রশাসন। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শারবীন।

জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত এএসপি হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদের বাসিন্দা নুসরাত ইয়াছমিন টিসাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৭ মে চট্টগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নতুন ভূমি আইনে ফৌজদারি অভিযোগ (সি আর (৫০৪/২৪) মামলা করেন মোহাম্মদ শফিউল আজম চৌধুরী (৫৬)।

এদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক পাকা ঘর নির্মাণ কাজের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন ভুক্তভোগী শফিউল আজমের ভাই ডা. মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম চৌধুরী। শুনানি শেষে বিবাদীদের নির্মাণ কাজের ওপর আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য হাটহাজারী থানা ওসিকে নির্দেশ দেন। অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে।  

আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি বিরোধীয় জায়গা সরেজমিন তদন্ত করেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার সার্ভেয়ার।

প্রতিবেদনে হাটহাজারীর এসিল্যান্ড উল্লেখ করেন, বাদীর পুকুর ঘাটের কিছু অংশ ভেঙে বিবাদীরা পাকা ভবনের আরসিসি পিলার নির্মাণ করেছেন। বাদীর সীমানা দেয়াল ছাড়িয়ে আরও ছয় ফুটের একটি সানশেড নিমার্ণ করেছেন বিবাদীরা। এছাড়া বিবাদীরা বাদীর ৩৩৩ শতাংশ জমি দখলে নিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করে।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৮৭ সালের ১৪ আগস্ট ৪০০ একর জমি দাবি করেন বিবাদীরা। কিন্তু ওই দাগে ১৭০০ একর জমি বাদীর বাবা আবদুল জলিল ১৯৬৩ সালের ১৪ অক্টোবর ২৮২২ নম্বর রেজিস্ট্রি দলিলমূলে কিনেন। জলিলের নামেই বিএস খতিয়ান (৪৫০) চূড়ান্ত প্রচার হয়। 

অপরদিকে পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিবেশির জায়গা দখলের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গত ৮ নভেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছেন পিবিআই’র একজন ডিআইজি এবং সংস্থাটির জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিবিআই জেলা ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, তদন্তে পুলিশ কর্মকর্তা নুসরাত ইয়াছমিন টিসা প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবেশীর জায়গা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণের সত্যতা পায় পিবিআই। 

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা নুসরাত ইয়াছমিন টিসা’র পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ গ্রামের নাছির চৌধুরী বাড়িতে। তার বাবার নাম মৃত আবুল বাশর। অভিযোগকারী শফিউল আজিম চৌধুরীও একই বাড়ির বাসিন্দা।

এস এম ইফতেখারুল/জোবাইদা/