ঢাকা ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভোটের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
ভোটের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী
সৈয়দ মুজাহিদ আলী

মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদে পরাজিত হওয়ার আড়াই বছর পর আদালতে গিয়ে বিজয়ী হলেন সৈয়দ মুজাহিদ আলী। ভোট পুনর্গণনা করে তাকে ১০৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করেন আদালত।

গত ৩০ এপ্রিল মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুমিনুল হকের আদালত এই রায় দেন। তবে বিষয়টি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টিউবওয়েল প্রতীকের সৈয়দ মোজাহিদ আলী ও ফুটবল প্রতীকের মো. আবু সুফিয়ান। কিন্তু ভোট গণনার পূর্বে প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা অভিনব কায়দায় ফলাফল ঘোষণা করে কেন্দ্র থেকে চলে যান। এতে ৯৮ ভোটের ব্যবধানে সৈয়দ মুজাহিদ আলীকে পরাজিত দেখানো হয়। এরপর মুজাহিদ আলী মৌলভীবাজার নির্বাচনি আদালতে মামলা করেন। বিচারক মুমিনুল হক দীর্ঘ বিচারকার্য সম্পাদন করে ব্যালেটগুলো তলব করেন এবং প্রকাশ্যে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আদালতে ভোট পুনরায় গণনা করেন। এতে দেখা যায়, টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পড়েছে ৬৮০টি ও ফুটবল প্রতীক পড়েছে ৫৭৭ ভোট। এই গণনায় কেউ কোনো আপত্তি না করায় আদালত টিউবওয়েল প্রতীকের সৈয়দ মোজাহিদ আলীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

আদালত আরও ঘোষণা করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফুটবল প্রতীকে মো. আবু সুফিয়ান বেআইনিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত প্রিসাইডিং অফিসার খালিশপুর মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. ইলয়াছ আলী, রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোতাহের বিল্লাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাদী আদালতের মাধ্যমে ভোট পুনরায় ভোট গণনা করে সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন। বিবাদী বেআইনিভাবে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অভিনব এই ভোট কারচুপির বিষয়টি উদ্ঘাটন হয়েছে।’

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ২ কোটি ১৩ লাখ

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ২ কোটি ১৩ লাখ
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও মহাসড়কে কোন যানজট দেখা যায়নি।

বুধবার (১১ জুন) যমুনা সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে ৩১ হাজার ৯৯৮টি যানবাহন। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা।

ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকে শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার পূর্বমুখী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ২৮৬টি এবং এদিক থেকে টোল আদায় হয়েছে ৯৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫০ টাকা। অন্যদিকে পশ্চিমমুখী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৭১২টি এবং আদায় হয় এক কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫০ টাকা।

এদিকে সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে এখনো যানজটের কোনো বড় ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি। হাইওয়ে পুলিশ, টোল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

ঢাকাগামী মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, আগামী রবিবার থেকে প্রায় সরকারি-বেসরকারি সব অফিস আদালত খোলা। তাই আগের তিন দিন সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে মানুষের চাপ বাড়বে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজটের শঙ্কা নেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

সিরাজুল ইসলাম/অমিয়/

সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরও ৭০ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১১:৩১ এএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরও ৭০ জনকে পুশইন
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে আরও ৭০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

বুধবার (১০ জুন) রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও ছাতক সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব পুশইন করে।

৪৮ বিজিবি সূত্রে জানা যায়,  পুশইনের ঘটনায় মোট ৭০ জনকে আটক করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। এর মধ্যে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর বিওপির মোকামপুঞ্জি সীমান্তে ১৭ জন ও মিনাটিলা বিওপির মিনাটিলা সীমান্তে ২৩ জন। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ সীমান্তে মোট ১৩ জন। সুনামগঞ্জের ছাতকের নোয়াকোট বিওপির সীমান্তে মোট ১৭ জন। 

আটকদের মধ্যে- পুরুষ ২২ জন, নারী ১৮ জন ও শিশু ৩০ জন। তাদের মধ্যে ৪৩ জন কুড়িগ্রাম জেলা ও ২৭ জন লালমনিরহাটের নাগরিক। তারা গত কয়েকবছর থেকে ভারতে অবৈধভাবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করে বসবাস করেছিল। 

৪৮ বিজিবির সিইও লে. কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শাকিলা/পপি/

চট্টগ্রামে কোরবানির বর্জ্যে দূষণ, হুমকির মুখে হালদা

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
চট্টগ্রামে কোরবানির বর্জ্যে দূষণ, হুমকির মুখে হালদা
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় কোরবানির পশুর চামড়া ও বর্জ্য খালে ফেলে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল। এ ঘটনায় শুধু তেরপারী খাল নয়, দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীও মারাত্মক দূষণের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ জুন) ফটিকছড়ি উপজেলার ১৫ নম্বর রোসাংগিরী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তেরপারী ব্রিজ এলাকায় তেরপারী খালে পশুর চামড়ার বর্জ্য ফেলে দূষণের বিষয়টি নজরে আসে পরিবেশ অধিদপ্তরের। 

অধিদপ্তর জানায়, কোরবানির পর চামড়া ও অন্যান্য বর্জ্য সরাসরি খালের মধ্যে ফেলা হয়েছে, যা খালের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত করেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও প্রমাণ পাওয়ার পর, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ১০-১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, দূষণ নিয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তিনি চট্টগ্রাম অফিসকে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তেরপারী খালটি রাউজানে গিয়ে হালদা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এর ফলে তেরপারী খালের দূষণ সরাসরি হালদা নদীর পরিবেশকেও হুমকির মুখে ফেলছে।

থানায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার যানবাহন

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ এএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
থানায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার যানবাহন
ঢাকার ধামরাই থানা চত্বরে নষ্ট হচ্ছে জব্দ করা যানবাহন। খবরের কাগজ
ঢাকার ধামরাই থানা চত্বরে রোদ-বৃষ্টিতে ও খোলা আকাশের নিচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে জব্দ করা প্রায় কোটি টাকার যানবাহন।
 
সড়ক দুর্ঘটনা, চোরাইপণ্য, মাদকদ্রব্য বহন ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহনসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ধামরাই থানা পুলিশ জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছে মোটরসাইকেল, ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেট কার, মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। জব্দ করার পর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বা মামলার জটিলতার কারণে এসব যানবাহন অযত্নে থানা চত্বরে পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। এসব যানবাহন দেখলে মনে হয় অভিভাবকহীন। বছরের পর বছর পরে থাকার পরও কেউ নিতে আসছেন না এগুলো। ফলে  জব্দ করা এসব যানবাহন একদিকে যেমন ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে; অপরদিকে যন্ত্রাংশ বা ইঞ্জিন, কোনো গাড়ির হেডলাইট, চাকাও খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছে।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, থানা চত্বরে বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে কোটি টাকার যানবাহন নষ্ট হচ্ছে। 
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ট্রাক, মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নানা ধরনের যানবাহন থানা প্রাঙ্গণে পড়ে রয়েছে। জব্দ করা যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি। দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় রাখা এসব যানবাহনে মরিচা ধরে জরাজীর্ণ ও বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। যানবাহনের মধ্যে ঘাস গজিয়েছে। বর্তমানে ৬০টি মোটরসাইকেল ও ৪০টির মতো অন্যান্য যানবাহন পড়ে রয়েছে। এর আগেও অবহেলার কারণে জব্দ করা অনেক যানবাহন নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক যানবাহন। 
 
থানা সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ পণ্য পাচার, বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ছিনতাইসহ অপরাধীদের ব্যবহারের সময় যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও দুর্ঘটনাকবলিত ও চোরাই গাড়ি জব্দ করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, এসব যানবাহনের বেশির ভাগই রেজিস্ট্রেশন বা বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আবার  মামলার জটিলতার কারণে আটকে আছে বেশির ভাগ যানবাহন। আদালতের অনুমতি না থাকায় জব্দ করা কোটি টাকার এসব যানবাহন নিলামে বিক্রিও করা যাচ্ছে না। এতে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় বছরের পর বছর এসব যানবাহন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এদিকে জব্দ করা এসব যানবাহন আলামত হিসেবে থানায় সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। নষ্ট হয়ে পড়ছে প্রায় সব যানবাহন। বর্তমানে এসব যানবাহন নিয়ে ধামরাই থানা পুলিশও সমস্যার মধ্যে রয়েছে। একদিকে থানা প্রাঙ্গণের জায়গা দখল করে রয়েছে, অপরদিকে থানার পরিবেশও নষ্ট করছে। দীর্ঘদিন এসব যানবাহন পড়ে থাকার কারণে ঘাস গজিয়েছে যানবাহনের মধ্যে। শুধু তাই নয়, সাপ বা বিষধর প্রাণীও থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন থানা কর্তৃপক্ষ।
 
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, থানায় অনেক গাড়ি পড়ে আছে। এসব গাড়ি বিক্রি করে দিলে একদিকে যেমন থানার পরিবেশ বাঁচবে, অন্যদিকে সরকারও কোটি টাকা রাজস্ব পাবে।
 
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে থানায় জব্দ হওয়া প্রায় ৬০টি মোটরসাইকেল ও ৪০টির মতো প্রাইভেট কার, ট্রাক, মিনি ট্রাক রয়েছে। এসব জব্দ করা যানবাহনের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এসব যানবাহন থানার পরিবেশ নষ্ট করছে। থানা চত্বরের একটি বড় অংশ দখল করে পড়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব যানবাহন নিলাম ও ধ্বংসের জন্য আদালতে আবেদনও করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি এবং আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

করিমগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
করিমগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বাড়ির পাশে গর্তের পানিতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের পিটুয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইয়াসমিন (৮) পিটুয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং তাইয়্যিবা (৯) একই এলাকার রাসেল মিয়ার মেয়ে। নিহত দু’জনই স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল এবং তারা দুইজন সম্পর্কে চাচাতো বোন।

স্বজনরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই বোন মিলে বাড়ির পাশে গর্তে জমে থাকা পানিতে গোসল করতে যায়। ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন পানিতে নেমে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পানির নিচে কাঁদার মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় তাদের দুই বোনকে পায়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি বলেন, দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাদীউর রশিদ তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তাসলিমা আক্তার মিতু/মাহফুজ