ঢাকা ৩ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন : ঠাকুরগাঁওয়ে ২ আ.লীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
উপজেলা নির্বাচন : ঠাকুরগাঁওয়ে ২ আ.লীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল
কামরুল হাসান খোকন ও আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী

আগামী ২১ মে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে জেলায়। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগেরই চার নেতা। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি ও একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অংশ নিয়েছেন নির্বাচনে। 

নির্বাচনে মানুষকে কাছে টানতে বিভিন্ন নির্বাচনের সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে নানা রকম মন্তব্য করছেন নেটিজনরা। 

এক বক্তব্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান খোকন বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম, সাড়া নেই। মানুষদেরকে টেনেও আমরা ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারি না, কারণ ভোটের ওপরে যে বিশ্বাস মানুষের এটা উঠে গেছে, ভোটের প্রতি বিশ্বাস নেই। ভোট হচ্ছে কিন্তু ভোটকেন্দ্রে সারা দিনে দুই-চারটা লোক ভোট দিতে যাচ্ছে, সারা দিনে দুই শত আড়াই শত ভোট কাস্ট হচ্ছে একটি সেন্টারে। ভোটার আছে ধরেন ২২০০ থেকে তিন হাজার। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার যখন সমস্ত বাক্স এনে গুনছে তখন দেখা যাচ্ছে ভোট কাস্ট হয়েছে ৩১৬৬ ভোট। এতগুলো ভোট কোথা থেকে এল?’

তিনি বলেন, ‘সারাদিন ভোটের দেখা নাই কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় দেখা যাচ্ছে তিনি সর্বাধিক ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এই কারণেই এই যে মিথ্যে চালাকবাজি, ধান্দাবাজি চালবাজি করে আমরা যে ভোটটা করছি এ কারণে ভোটের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নাই। ভোট দিতে মানুষ যায় না। এই অবস্থা সৃষ্টির জন্য আমি নিজে আওয়ামী লীগ করি আমরা দায়ী মনে করি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। একটি গণতান্ত্রিক দেশের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ থাকবে, বিএনপি থাকবে, জাতীয় পার্টি থাকবে নানান দল থাকবে। কিন্তু আমরা এমনভাবে রাজনীতি করছি যে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ নেই।’

সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্যে সমালোচনা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। 

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখর কুমার রায় বলেন, ‘এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত অযৌক্তিক বক্তব্য একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কারণ হচ্ছে উনি ভালো করেই জানেন উনার পদবিটা কি, উনি কোথা থেকে এসেছেন। উনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কি না বা প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে বিশ্বাসী কি না। যদি হন তা হলে এ রকম কথা তো মানায় না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সাবলীলভাবেই হয়েছে। জনগণ ভোট দিয়েছে এবং ভোট গণনা হয়েছে ঠিকমতো। উনার মতো ব্যক্তির কাছ থেকে এ রকম বক্তব্য আশা করা যায় না। হয়তো বা ভুল বলেছে নয়তোবা আবেগের বসে এ রকম বলে ফেলেছেন।’

জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ইন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় তিনি হতাশার জায়গা থেকেই এই কথাগুলো বলেছেন। এটা নিঃসন্দেহে সমর্থনযোগ্য না এবং বাস্তবতাও এর মধ্যে নাই। ৩০০-কে ৩০০০ দেখানো হয়েছে এটা আমার কাছে মনে হচ্ছে খুব বাড়াবাড়ি করে বলা হয়েছে। এটা হতাশা থেকে বলেছে, এটার প্রতিবাদ করা উচিত। এটা অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে।’ 

এ বিষয়ে কামরুল হাসান খোকন বলেন, ‘ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে এটা আমি অস্বীকার করতে পারি না। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করতেই এমন বক্তব্য দিয়েছিন।’ 

অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না ঠাকুরগাঁওয়ে আপনাদের ঠাঁই হবে না। ওই রমেশ সেনকে রুহিয়া থেকে এই টিটু দত্তই নিয়ে এসেছিল। আবার বিদায় করে দেব। ওই অটো পাস এমপি কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেনি। ওই অটো পাস এমপি কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়ে বিভ্রান্ত করে ফেলেছে।’

তার এই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়া ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ  বক্তব্য ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা অবিলম্বে ওই প্যানেল মেয়রকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। 

প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন। 

এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘চারজন প্রার্থীই আমাদের দলীয় প্রার্থী। আমরা শুনেছি তিনি একজন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। এ কারণে ক্ষোভ থেকে আমি এমন বক্তব্য দিয়েছি।’ 

সাবেক এমপি বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০০ পিএম
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ এএম
সাবেক এমপি বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
মঈন উদ্দিন খান বাদল

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের সাবেক কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সেলিনা খান। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। 

সেখানে তিনি লেখেন, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী আজ দুপুরে গাড়ি নিয়ে এসে মঈন উদ্দিন খান বাদলের পৈতৃক ভিটার কবরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। ...এখন কবরেও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।’ 

পোস্টে তিনি একাধিক ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে দেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কবরের ওপর আগুন জ্বলছে। তা ছাড়া ভাঙচুরের চিহ্ন রয়েছে কবরে। 

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন সেলিনা খান। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতকারী কবরে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘটনার সত্যতাও পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলমান।’  

মঈন উদ্দিন খান বাদল ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর সারোয়াতলীতে। সেখানেই তাকে কবর দেওয়া হয়।  

সালমান/

কিশোরগঞ্জে ৪ দাবিতে শিল্পীদের গণজমায়েত

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
কিশোরগঞ্জে ৪ দাবিতে শিল্পীদের গণজমায়েত
৪ দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীরা। ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, একগুঁয়ে ও দুর্নীতিবাজ জেলা কালচারাল অফিসারের অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জে শিল্পীদের গণজমায়েত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শহরের সৈয়দ নজরুল চত্বরে জেলার সর্বস্তরের শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীরা জমায়েত হন। শতাধিক শিল্পী জমায়েত হয়ে কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন, পথনাটক, বক্তৃতায় অংশ নেন এবং কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

দুপুরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং তাদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেন।

তাদের দাবিগুলো হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, একগুঁয়ে ও দুর্নীতিবাজ কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের অপসারণ এবং তার দুর্নীতির জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত কাজ সম্পাদন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বার্থে আন্দোলনকারীদের একজনকে সমন্বয়ক/প্রতিনিধি হিসেবে রেখে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন। পুরোনো সব সদস্যপদ বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত শিল্পীদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং শিল্পকলার গত দুই বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ।

আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক ইফতেখার হোসেন সাকিব বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে আমরা কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের শিল্পীদের নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু কালচারাল অফিসার নানাভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দমে যাবার পাত্র নই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাবি পূরণে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে গড়িমসি করে, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।’

এ বিষয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, তিনি শিল্পকলার ডিজিকে বিষয়গুলো অবগত করবেন এবং এসব দাবি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

তাসলিমা মিতু/সালমান/

 

গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড : স্থানীয় এমপিসহ ১৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড : স্থানীয় এমপিসহ ১৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গোপালগঞ্জ সদর থানা

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদারকে হত্যার ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১ হাজার ৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও আজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ঘটনার পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। 

সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম ছাড়াও অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি নাজমা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজম।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরের সঙ্গে বাদীর স্বামী শওকত আলী দিদার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়ায় দোলা পেট্রলপাম্পের সামনে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। এ সময় শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে লাশ রাস্তার পাশে ঢালে রেখে যান।

ওসি আরও জানান, ঘটনার পর মামলা না হলেও এরই মধ্যে ১২ জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারে এদের কারও নাম থাকলে তাকে এই মামলার আসামি হিসেবে গণ্য করা হবে।

সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মায়ানমারের ২ নাগরিক আটক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মায়ানমারের ২ নাগরিক আটক
জব্দ করা স্বর্ণ, টাকা ও মোবাইল ফোন। ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফে সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণালংকার ও বার এবং নগদ টাকাসহ মায়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় ১০টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন, মায়ানমারে মংডু শহরের বাসিন্দার মো. হাফিজুর রহমান (২৮) ও মো. আনোয়ার (৩০)।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) আওতাধীন টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম দিকে পৌরসভা অলিয়াবাদ এলাকার এক বাড়িতে লুকায়িত রয়েছে এমন খবরে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের দুইটি ব্যাগসহ মায়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করা হয়।

পরে দুটি ব্যাগ থেকে সাড়ে ১০ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি টাকা, আড়াই লাখ মায়ানমারের মুদ্রা এবং ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। 

এসব স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, নগদ টাকা এবং মায়ানমারের মুদ্রা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারি শাখায়) জমা রাখা হবে এবং আটক দুইজনকে স্বর্ণ চোরাচালানের নিয়মিত মামলার করে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

ট্রাকে বালুচাপা দেওয়া ২ কোটি টাকার ভারতীয় কাপড় জব্দ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
ট্রাকে বালুচাপা দেওয়া ২ কোটি টাকার ভারতীয় কাপড় জব্দ
সিলেটের কানাইঘাটে বিজিবির অভিযানে জব্দ করা দুই কোটি টাকার ভারতীয় কাপড়। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেট অঞ্চলে সীমান্তে চোরাচালানবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার ভারতীয় কাপড়ের চালান। কানাইঘাটের সুরইঘাটে একটি বালুভর্তি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে এই ভারতীয় কাপড় জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। 

জানা গেছে, ওই স্থান দিয়ে বালুভর্তি একটি ট্রাক যাওয়ার সময় বিজিবির টহলদল ট্রাকটিকে চ্যালেঞ্জ করে থামায়। পরে ট্রাকটি তল্লাশি করে বালুর নিচে রাখা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, ধুতি, থান কাপড় এবং অন্যান্য মালামাল জব্দ করে।

উদ্ধার মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এসব মালামাল তামাবিল শুল্ক অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

জোবাইদা/অমিয়/