ঢাকা ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সিলেট নার্সিং কলেজ শর্ত না মানায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধা!

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
শর্ত না মানায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধা!
সিলেট নার্সিং কলেজ হোস্টেল। ছবি : খবরের কাগজ

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সিলেট নার্সিং কলেজের আবাসন সমস্যার কোনো সমাধান না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আটকে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২৬ মে) বিএসসি পুরাতন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের রিটেক পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার্থীরা কলেজে গেলে তাদের পরীক্ষা না নিয়ে সেখানে তাদের ক্লাস টিচার সুমা রানী দত্ত বলেন, ‘সিনিয়রদের চাপে অন্য শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। তারা কলেজের সব সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি আছে লিখে আবেদনপত্র দিতে হবে। যদি তারা এ ধরনের আবেদন না দেয় তাহলে তাদের রিটেইক পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না এবং ফেল করিয়ে দেওয়া হবে।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনা বেগম।

এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক ও অমানবিক শর্ত না মানায় গতকাল শনিবার (২৫ মে) বিএসসি ইন নার্সিং চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল, দ্বিতীয় এবং প্রথম বর্ষের রিটেক ভাইবা পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বারবার পরীক্ষায় ফেল দেবেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ হোস্টেল ত্যাগের যে নোটিশ দিয়েছেন তা বাতিলের কথা বললেও ওই নোটিশ এখনো বাতিল করা হয়নি এবং শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় হয়নি বলে এখনো হোস্টেলে অবস্থান করছেন বলে জানান।

পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ, পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি নার্সিং কোর্সের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “আজ কলেজ কর্তৃপক্ষ মিটিং করেছে। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে কয়েকজন ছাত্রী অংশ নেয়। সেই মিটিংয়ে আমাদের বলতে গেলে হেনস্থা করা হয়েছে। জোরপূর্বক তাদের দেওয়া বিভিন্ন শর্ত মানতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ে হোস্টেলে থাকার সমস্যা সমাধানের কথা বললেই আমাদের ম্যাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে বলো, ডিজি মাকসুরা নূরকে গিয়ে বলো নতুন হোস্টেল চালু করে দিতে’।”

তারা বলেন, ‘গত ২৪ মে কলেজে লোকাল অথোরিটি এবং স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে শিক্ষকরা মিটিংয়ে বসেন। তখন আমরা হোস্টেলের সব শিক্ষার্থী এক সঙ্গে কলেজে যাই। কিন্তু কনফারেন্স রুমে মাত্র ৪ জনকে ঢুকতে দেওয়া হয়। ওখানে আবাসন সমস্যা নিয়ে কথা উঠে। বলা হয় যে কিছুদিনের মধ্যে জাইকা প্রজেক্টের দেওয়া হোস্টেল হ্যান্ডওভার নেওয়া হবে। তার আগ পর্যন্ত কলেজ যেভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ওইভাবে শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে। ভেতরে শিক্ষার্থী যারা ছিলেন তাদের দিয়ে ২৩ তারিখের আন্দোলনের জন্য ক্ষমা চাওয়ানো হয় এবং এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয় যে তারা সেখানে বাধ্য হয়েই শিক্ষকদের কথা মেনে নেয়। ওই মিটিংয়ে বলা হয়, হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে রাজি এই মর্মে এবং ২৩ তারিখ আমরা উনাদের কাজে বাধা দিয়েছি তার জন্য ক্ষমা চেয়ে আবেদন করতে হবে। আমাদের প্রতিনিধিরা এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানোর পর আমরা কেউ এই আবেদন দিতে রাজি হইনি। কিন্তু কলেজ থেকে বারবার ফোন কলের মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গতকাল আমরা তাদের কাছে সম্মানসূচক ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছি এবং এই মর্মে দরখাস্ত দিয়েছি যে, ন্যায়সঙ্গত ও শিক্ষার্থীসুলভ সিদ্ধান্তে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করব। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের দরখাস্ত গ্রহণ করেনি এবং বারবার ফোন কলের মাধ্যমে চাপ দেওয়া হয় যেন আমরা তাদের অযৌক্তিক দাবি মেনে নেই। আমরা তাদের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নই, তাই আর কোনো আবেদন দেইনি। তারা তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে কিন্তু আমরা এতগুলো শিক্ষার্থী যে গাদাগাদি করে থাকছি এতে তাদের টনক নড়ছে না।’ 

তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতিদিন হিট স্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে। এই গরমে রুমে ৪ জনের জায়গায় ৮ জন থাকলে আমরাও মারা যাব। এতে কলেজ কর্তৃপক্ষের হয়তো কিছু যাবে আসবে না। আমাদের অভিভাবক এই জায়গায় পড়াশোনার জন্য পাঠিয়েছেন। যেখানে আমাদের থাকার জায়গারই সংকট এই পরিবেশে আমরা পড়াশোনা করব কীভাবে? কলেজে কর্তৃপক্ষ নানাভাবে আমাদের চাপ দিচ্ছে। রিটেক ভাইবা পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছেন। আমাদের পরীক্ষায় ফেল করানোর ও ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দিচ্ছেন তারা।’

অন্যদিকে, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের আগামী ২৯ মে ফরম ফিলাপ করার কথা। কিন্তু হোস্টেলের সমস্যা সমাধান না হওয়ায় অনেকেই বাড়িতে চলে গেছেন। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারির বেশ কয়েকজন ছাত্রী জানান, মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের ৪৪ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় তলার হলরুমে ২৫ জনের জায়গায় থাকছেন। এই গরমে তাদের অবস্থা খুব শোচনীয়। হোস্টেলে ওরা রুম পায়নি, আর কোনো রুমে উঠার মতো জায়গা নেই।

তারা বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি নিয়ে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা করে দেননি। তাই সবাই বাসায় চলে গেছি এবং জানিয়ে দিয়েছি হলরুমে থাকবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ যতদিন না এই সমস্যার সমাধান করবেন আমরা হোস্টেলে আসবে না।’

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনা বেগম খবরের কাগজকে বলেন, ‘কারও কোনো পরীক্ষা বন্ধ করা হয়নি। যাদের যে তারিখে পরীক্ষা সে তারিখেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।’ 

আজ বিএসসি পুরাতন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের রিটেক পরীক্ষা কেন নেওয়া হয়নি এই প্রশ্নে কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষা আগামীকাল নেওয়া হবে।’ 

শাহিনা বেগম বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। নতুন একটি বিল্ডিংয়ে ছাত্রীদের শিফট করতে হলে হেড অফিস থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। প্রজেক্টের বিল্ডিং, তাই এটি হস্তান্তরে জন্য বেশ কিছু রিপ্রেজেন্টিভ লাগে। আগামীকাল একাডেমিক শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে যা করার করবেন।’

প্রসঙ্গত, সিলেট নার্সিং কলেজ হোস্টেলে আছেন কলেজের পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ, পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি নার্সিং কোর্স ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্রী। হোস্টেলের এই আবাসন সমস্যা চলছে প্রায় ৫-৬ বছর ধরে। দায়িত্বশীলরা দীর্ঘদিন ধরে নতুন বিল্ডিংয়ে ছাত্রীদের দেই দিচ্ছি বলে আশার বাণী শুনিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করছেন না।

হোস্টেলের চার তলা ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় তিনটি হলরুম আছে। সেগুলোতে নার্সিংয়ের ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা থাকেন। মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা দ্বিতীয় তলার হলরুমে থাকেন, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার হলরুমে থাকেন বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা। ভবনের প্রথম তলায় রান্নাঘর ও খাবার ঘরের পাশাপাশি কয়েকটি থাকার কক্ষও রয়েছে।

দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়ও থাকার কক্ষ আছে। এই কক্ষগুলোতে এই চার প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষ (পুরাতন), দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীরা থাকেন। প্রতিটি কক্ষে চারজন করে থাকার ধারণক্ষমতা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এসব কক্ষে ছয়জন ছাত্রী গাদাগাদি করে থাকছেন। এই ছয়জনের মধ্যে চারজন সিনিয়র, একজন পুরাতন প্রথম বর্ষের ছাত্রী বেডে থাকছেন এবং হলরুমে জায়গা না হওয়ায় সব রুমে ফ্লোরে একজন জুনিয়রকে (নতুন প্রথম বর্ষ) থাকার জন্য দেওয়া হয়েছে। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে, চারজনের ধারণক্ষমতার রুমে আটজন করে থাকতে। যা মানছেন না হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।

সালমান/

জামালপুরের শাহনাজ এখন তুহিন

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
জামালপুরের শাহনাজ এখন তুহিন

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে শাহনাজ আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীর শারীরিক পরিবর্তন হয়ে যুবকে রূপান্তরিত হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে তুহিন হক।

উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

তুহিনের পরিবার জানায়, পরিবারে দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে শাহনাজ ছোট। পারিবারিক প্রয়োজনে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন শাহনাজ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ধীরে ধীরে তার শরীরে পুরুষ সুলভ পরিবর্তন দেখা দেয়। শারীরিক পরিবর্তনের সময় শাহনাজের জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যবেক্ষণের পর চলতি বছরের মার্চ মাসে পরিবার নিশ্চিত হয়, শাহনাজ পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছেন।

তুহিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঢাকায় অবস্থানের সময় আমার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। বিব্রতকর বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখলেও পরে বাধ্য হয়ে পরিবারের কাছে খুলে বলি। তবে আমি এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। এতে আমার কোনো সমস্যাও হচ্ছে না কিংবা কোনো দুঃখও নেই।’

তুহিনের বাবা শামসুল হক বলেন, ‘এটা আল্লাহর হাতে। আমাদের কারো কিছু করার নেই। এ ঘটনায় আমরা খুব খুশি।’

তুহিনের দুলাভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগে শাহনাজের জন্য পাত্র খুঁজতাম, এখন তুহিনের জন্য পাত্রী খুঁজতে হবে।’

নারী থেকে পুরুষ হওয়ার ঘটনা এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তুহিনকে একনজর দেখতে বাড়ির আশপাশে ভিড় করছেন বিভিন্ন গ্রাম ও উপজেলা থেকে আসা মানুষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী খবরের কাগজকে বলেন, ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত রূপান্তরের বাস্তবতা নেই। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।’

আসিফ/পপি/

আলীকদমে ঝরনায় গোসলে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যু, নিখোঁজ ২

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
আলীকদমে ঝরনায় গোসলে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ঝরনায় গোসল করতে গিয়ে শেখ জুবাইরুল নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা দুই পর্যটক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে উপজেলার মাতামুহুরী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শেখ জুবাইরুল ইসলাম নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা পাচুড়িয়া গ্রামের শেখ হিদায়েতুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

পুলিশ জানায়, গত ৯ জুন ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ৩৩ জনের একটি দল আলীকদম উপজেলার দুর্গম ক্যামসন পাড়া এলাকায় ভ্রমণে যান। সেখানে দুই রাতযাপনের পর বুধবার আলীকদম ফিরে আসার সময় শামুকঝিরি ঝরনায় গোসল করতে যান তারা। এ সময় জুবাইরুল-সহ দুই পর্যটক পিছনে পড়ে যান। পরে অন্যরা ফিরে আসলেও তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের বাজারপাড়ার তাহের মল্লিকের জমির পাশে মাতামুহুরী নদীর তীরে একটি লাশ ভেসে আসে। পরে স্থানীয়দের খবরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে জুবাইরুল ইসলামের সঙ্গে থাকা আরও দুই পর্যটক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা জহির উদ্দিন জানান, পর্যটক শেখ জুবাইরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে।

রিজভী রাহাত/অমিয়/

সালথায় নানাবাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
সালথায় নানাবাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বাহিরদিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বেলা ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ওই দুই শিশুর নাম তানহা ইসলাম (৭) ও আবু তালহা (৫)। তাদের পানি থেকে উদ্ধার করে দুপুর ১২ টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিলা আজাদ দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন।

পারিবারিক ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, তানহা ও আবু তালহা গত বুধবার তার মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি সালথা উপজেলার মতিয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে আবু তালহা কয়েকজন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নামে। এ সময় আবু তালহা পানিতে ডুবে যায়। আবু তালহার বোন তানহা দেখতে পেয়ে তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও পানিতে ডুবে যায়।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিলা আজাদ বলেন, ‘শিশু দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। তারপরও ইসিজি করে কনফার্ম হয়েছি। তারা মারা গেছে।’

সঞ্জিব দাস/সুমন/

রাজশাহীতে সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ: দুই বিএনপিকর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
রাজশাহীতে সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ: দুই বিএনপিকর্মী গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপির দুই কর্মী। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে দুই সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুই বিএনপিকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।

বুধবার (১১ জুন) রাত ৩টার দিকে রাজশাহী সেনানিবাসের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পুঠিয়ার ভাড়রা গ্রামের মো. সুজন এবং হাতিনাদা গ্রামের শাহিন আক্তার ওরফে খোকন। তারা বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার দুজনকে ভোরে পুঠিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামে সেনাসদস্য তরিকুল ইসলাম ও মো. আল-আমিনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। অভিযুক্তরা বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তরিকুল ইসলামের বাবা আবদুল হান্নান স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগপন্থি হিসেবে পরিচিত। তার দাবি, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার হামলা চালায়।

অন্যদিকে এদিন দুপুরে এলাকার একটি চায়ের দোকানে আবদুল হান্নানের ছেলে মো. তুষার তার মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে হাসাহাসি করছিলেন। এ সময় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিজের প্রতি কটাক্ষ হিসেবে ধরে নিয়ে তুষারকে মারধর করেন। পরে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাড়ির সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। একই সময় সেনাসদস্য আল-আমিনের বাড়ির জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর আবদুল হান্নান পুঠিয়া থানায় মামলা করেন।

এদিকে, হামলার ঘটনায় বুধবার রাজশাহী জেলা বিএনপি জরুরি সভায় উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা এবং বানেশ্বর ইউনিয়নের বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করে।

পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এনায়েত করিম/সুমন/

সরাইলে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
সরাইলে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ববিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল গ্রামের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাকশিমুল গ্রামের বাসিন্দা নূর আলম ও আবদুর রউফের মধ্যে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে সকালে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

সরাইল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজিজুল সঞ্চয়/অমিয়/