নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের নাইম ইসলাম ও শিফা খাতুন। তাদের একমাত্র সন্তান দুই বছর আট মাস বয়সী নন্দিতা তাহসিন নিধি। জন্মগতভাবেই নিধির হার্টে দুটি ছিদ্র। এবার নতুন করে ফুসফুসে ড্যামেজ ধরেছে। শিশুটির বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
রংমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি শিশুটির চিকিৎসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন নাইম। তবে এবার ডাক্তার সাফ জানিয়েছেন, শিশুটিকে বাঁচাতে ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে। এ জন্য লাগবে ৯ লাখ টাকা।
কী করবেন, তা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন ওই দম্পতি। ওদিকে অসুখের সমস্যায় দিন দিন ফিকে হচ্ছে শিশুটির হাসি।
শিশুটির মা শিফা খাতুন জানান, ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে তার মেয়ের চিকিৎসা চলছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। ওপেন হার্ট সার্জারি করতে প্রায় ৯ লাখ টাকার প্রয়োজন। শিশু নিধির বাবা পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। তার পক্ষে ৯ লাখ টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এমন অবস্থায় মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার আকুতি জানিয়ে মা শিফা খাতুন বলেন, ‘কোনো মা কী চায় তার সন্তান মারা যাক? অথচ দিনে দিনে আমার মেয়ে বিনা চিকিৎসায় নীরবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে! কোনো মা কী সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারে? আপনারা আমার মেয়েটাকে বাঁচান।’
শিশুর বাবা নাইম ইসলাম জানান, চিকিৎসক দ্রুত অপারেশন করার কথা বলেছেন। মেয়েকে বাঁচাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।