ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিয়া খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রাজিয়াকে হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার মালগাঁও গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন এবং কানারি গ্রামের মো. এনতাজুল।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রেজিয়া খাতুনকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দেন আসামিরা। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রেজিয়ার মুখ চেপে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন দেলোয়ার ও এনতাজুল।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত সোমবার জেলার পীরগঞ্জের কানাডি এলাকায় বাড়ির পাশের আমবাগান থেকে রেজিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রেজিয়া বেগম তার ছেলের বউ ফেন্সি আক্তার ও তার নাতি জুবায়ের আল মাহমুদের সঙ্গে একই বাড়িতে বাস করতেন। তার ছেলে জুলফিকার আলী নারায়ণগঞ্জে চাকরি করেন। গত সোমবার রাত ১টার দিকে ঘরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ছেলের বউ ফেন্সিসহ অন্য আত্মীয়রা আশপাশে খোঁজ করেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন সকালে ওই গ্রামের কয়েকজন কৃষক খেতে যাওয়ার সময় আমবাগানে রেজিয়ার লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।