নাটোরে ছাতনী গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহিদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টায় বধ্যভূমিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞা।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় শহিদ পরিবারের সন্তান দুলাল সরকারের সভাপতিত্ব আরও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মকছেদ মোল্লাসহ অনেকে।
শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দুলাল সরকার জানান, ১৯৭১ সালের ৪ জুন নাটোরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি ‘রেড লেটার ডে’। এ দিন ছাতনীতে ঘটে গণহত্যা। সেদিন নাটোর শহর ও শহরতলীর বেশ কয়েকটি গ্রাম এবং রাজশাহীর তাহেরপুরের ৩৭০ জন নিরীহ মানুষকে গলাকেটে করে হত্যা করা হয়।
কুখ্যাত রাজাকার আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় সকাল থেকে শুরু হয় ওই হত্যাযজ্ঞ। এর আগের দিন ছাতনী, বনবেলঘড়িয়া, বড়গাছা, গোকুলপুর, পণ্ডিত গ্রাম, শিবপুর, ভাটপাড়া, হাড়িগাছা, রঘুনাথপুর এলাকার শতশত মানুষকে ধরে এনে স্মৃতিফলক সংলগ্ন বাগানে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
জেলা প্রশাসক নাছের ভুঞা জানান, জেলা পরিষদের অর্থায়নে বধ্যভুমিতে পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। ছাতনী গণহত্যায় শহিদদের জীবন উৎসর্গ এক বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক ঘটনা। ওই সকল শহিদদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আগামী প্রজন্মর কাছে শহিদদের স্মৃতিগাঁথা যাতে পৌঁছে সে জন্য গণহত্যার ইতিহাস, স্মৃতিকথা ও শহিদদের পরিচিতিসহ অবদান লিপিবদ্ধ করতে হবে।
কামাল মৃধা/জোবাইদা/অমিয়/