ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

শার্শা থানা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
শার্শা থানা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
সভাপতি আব্দুস সবুর-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম

যশোরের শার্শা থানা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মো.আব্দুস সবুর (নিউজ স্টার টিভি) সভাপতি ও নজরুল ইসলাম (দৈনিক খবরের কাগজ) সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে নাভারণ সাতক্ষীরা মোড় সংগঠনটির কার্যালয়ে ৩৫ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।
 
এর আগে গত রবিবার (৯ জুন) সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের সম্মতিক্রমে তিন বছরের জন্য এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি আল মামুন (দৈনিক মানবজমিন), সহসভাপতি আশরাফুল সরদার (দৈনিক যায়যায়দিন), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান জিকো (দৈনিক কলম কথা), সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম (দৈনিক তাজা খবর), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তানজীর মহসিন  (দৈনিক আমাদের নতুন সময়), অর্থ সম্পাদক রায়হান সোবহান (বার্তাকণ্ঠ), শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান শিমুল, আইনবিষয়ক সম্পাদক আওরঙ্গজেব, দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ইসলাম রয়েল (দৈনিক সত্যপাঠ), ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর সাত্তার মল্লিক, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক রফিকুল ইসলাম, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ইকরামুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ। 

সদস্যরা হলেন, আবু হাসনাত রুবেল, সাজ্জাত আলম, সাদ্দাম হোসেন, তুহিন হোসেন, সুমন হোসেন, মফিজুর রহমান, জালাল উদ্দিন, মিলন রহমান, কবির হোসেন, লিটন হোসেন, সোহেল হোসেন, ইমন হোসেন, সাগর হোসেন, ভুবন হোসেন, তুহিন হোসেন, কামরান হোসেন, শাওন হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাজহারুল ইসলাম বাবু।

কমিটির উপদেষ্টারা হলেন- আলহাজ মহসিন মিলন, আসাদুজ্জামান আসাদ ও আলমগীর হোসেন।

সভায় গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে প্রেসক্লাবের সদস্যদের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। এছাড়া জনগণের কল্যাণে নিবেদিত সাংবাদিকতার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এই প্রেসক্লাবের একতা এবং ঐতিহ্যকে সমন্বিত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

নজরুল ইসলাম/অমিয়/

বাঁশখালী উপকূলে ভেসে এল অজ্ঞাত মরদেহ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
বাঁশখালী উপকূলে ভেসে এল অজ্ঞাত মরদেহ
বাঁশখালীর সাগর উপকূলে ভেসে আসা অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বঙ্গোপসাগর উপকূলে অজ্ঞাত এক পুরুষের মরদেহ ভেসে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামের পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকার সাগরতীরে মরদেহটি ভেসে আসে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সকালে সাগরপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, একটি মরদেহ ভেসে এসেছে। যার গলায়, চোখে ও বিশেষ অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি যেন জোয়ারের স্রোতে ভেসে না যায় সেজন্য রশি দিয়ে ব্লকের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তার পরনে লুঙ্গি ও গেঞ্জি রয়েছে। 

স্থানীয়দের ধারণা, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এটি কোনো জেলের মরদেহ নয়। তাকে স্থলে খুন করে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। এখনও পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী বেড়িবাঁধ এলাকার পাশে একজন পুরুষ ব্যক্তির মরদেহ ভেসে এসেছে মর্মে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম ঠিকানা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।’

তাছাড়া মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি সাইফুল ইসলাম।

শফকত/তাওফিক/ 

নোয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের গুলিতে যুবদলকর্মী নিহত

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
নোয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের গুলিতে যুবদলকর্মী নিহত
নিহত যুবদলকর্মী মো. শাকিল। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মো. শাকিল (২৮) নামে এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ছাড়া নিহতের ছোট ভাই শুভকে (২৫) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়ানী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গঙ্গাবর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবদল কর্মী এলাকার মো. সোলাইমান খোকনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন থাই মিস্ত্রি ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাঁচ অস্ত্রধারী লাবিব নামে এক যুবককে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় পাশের দোকানে চা-পানরত শাকিল, শুভসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ও কোপাতে থাকে। এতে শাকিল গুলিবিদ্ধ ও শুভ ছুরির আঘাতে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী অপহরণকারী ও হামলাকারীদের আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ  তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আটক অভিযুক্তরা হলেন, বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম (২৪), জীবন (২৪) ও মনির (২২)।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহতদের হাসপাতালে নেয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইকবাল/তাওফিক/ 

ঈশ্বরদীতে রেললাইন থেকে দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
ঈশ্বরদীতে রেললাইন থেকে দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার
নিহত বাদশা হোসেন। ছবি : খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদী শহরের উমিরপুর এলাকার ঈশ্বরদী-খুলনা রেললাইনের ওপর থেকে এক ব্যক্তির দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই মরদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী রেল থানা পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম বাদশা হোসেন (৫৫)। তিনি উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা গ্রামের মৃত দেলওয়ার হোসেনের ছেলে। এলাকায় তার ‘মিঠুন স্টোর’ নামে একটি দোকান রয়েছে।
 
পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিল।

নিহতের ছেলে মিঠুন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যুক্তিতলার ইপিজেড মোড়ে বাবার দোকান রয়েছে। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি জমি কেনা-বেচাও করতেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা  দোকান থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবা ফোন করে জানায়, চোখ বেঁধে তাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন ঈশ্বরদী থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং লিখিত অভিযোগ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বাবাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খবর পাই, রেললাইনের পাশে মোবাইলের আলো জ্বলছে। পরে সেখানে গিয়ে বাবার দ্বিখণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।’

মিঠুন বলেন, ‘আমার বাবাকে প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখা হয় আত্মহত্যা হিসেবে দেখানোর জন্য।’ 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী রেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদশা হোসেনের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘এটি আত্মহত্যা না হত্যা, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে।’ 

জাহাঙ্গীর/তাওফিক/ 

অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারালেন যুবদল কর্মী

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৩ পিএম
অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারালেন যুবদল কর্মী
মো. ইয়াছিন আরাফাত শাকিল

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মো. ইয়াছিন আরাফাত শাকিল (২৮) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি যুবদলের কর্মী বলে জানা গেছে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে একজনকে বাঁচাতে গিয়ে তাদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময়ে স্থানীয় এলাকাবাসী হামলাকারী তিনজনকে আটক করে গণধোলাই দেয়।

নিহত শাকিল একই গ্রামের মো. সোলাইমান খোকনের ছেলে এবং পেশায় একজন থাই মিস্ত্রি ছিলেন। আসন্ন কোরবানি ঈদে তার সৌদি যাওয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে তার ভিসাও এসেছে। 

নিহত শাকিলের ছোট ভাই শুভ জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে শাকিলসহ কয়েকজন ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারের ইসলামিয়া মার্কেটের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে পাঁচজন অস্ত্রধারী এসে লাবিব (২৩) নামে এক তরুণকে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে। শাকিলসহ আরও কয়েকজন তাদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে লক্ষ্য করে গুলি করলে শাকিল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তিনি এগিয়ে এলে তার ওপর হামলা করে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। 

হাসপাতালে উপস্থিত গঙ্গাবর এলাকার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী খালিদ হাসান বলেন, নিহত শাকিল যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি আরেকজনকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। 

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে গুলিতে নিহত শাকিল আরাফাত নামের এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন লোক। তার বুকে গুলির দাগ দেখা গেছে। লাশ মর্গে আছে। 

বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লা আল ফারুক দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নেত্রকোনায় জনবলসংকটে পশু প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
নেত্রকোনায় জনবলসংকটে পশু প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত
নেত্রকোনা

নেত্রকোনা জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১টি পদের মধ্যে ৬টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় অফিস সহকারীকে দিয়ে গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে। এতে গরুর প্রকৃত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। এ জন্য বাধ্যতামূলকভাবে অফিস সহকারী কামরুল ইসলামকে দিয়ে দৈনন্দিন কৃত্রিম প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এটি পশু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সময় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ১১ পদের মধ্যে  কর্মকর্তাসহ ৬টি প্রয়োজনীয় পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এতে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রাণীর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে হাঁস-মুরগি পালনের খামার। বাড়ছে গবাদিপশুর খামারের সংখ্যা। 

হাসপাতালটিতে জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না। ছুটির দিন ছাড়া প্রায়ই অন্তত ৩০টি গবাদিপশুর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন মালিকরা। জরুরি অবস্থায় অফিস সহকারীর পরামর্শ নিয়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা চালানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগে গবাদিপশু আক্রান্ত হলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। অনেক হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ করেছেন তারা। আর অনেক ক্ষেত্রে বারবার বীজ গ্ৰহণ করার পরও গাভি গর্ভধারণ করতে পারে না।

কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. মতিয়র রহমান জানান, উপজেলা হাসপাতালে সৃষ্ট পদের ১১টির মধ্যে ৬টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রেগুলার কমপক্ষে ২৯-৩০টি গাভিকে বীজ প্রদান করতে হয়। এ জন্য অফিসের সহকারী সহযোগিতা করেন। তবে সব ধরনের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।