ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অস্ত্রের মুখে গরুবোঝাই ট্রলার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, আটক ৪

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
অস্ত্রের মুখে গরুবোঝাই ট্রলার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, আটক ৪
ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে অস্ত্রের মুখে মারধর করে গরুবোঝাই ট্রলার ছিনতাইয়ের সময় চারজনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার মিরকাদিম এলাকায় নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ট্রলার ও লাঠিসোটা জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- মো. শুভ (২৬), আলিফ (২২), আকমল হোসেন (৪৫), মো. করিম (৩৬)। 

তাদের সবার বাড়ি মিরকাদিম পৌরসভা এলাকায়।

মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান খবরের কাগজকে বলেন, হাটে গরু সরবরাহ নিরাপত্তার জন্য মুন্সীগঞ্জে নৌপথে পুলিশের তদারকি চলছিল। দুপুরে অর্ধশত গরু নিয়ে হাটের উদ্দেশ্যে আসতে থাকা একটি ট্রলার আটকে অস্ত্রের মুখে মারধর করে ছিনতাইয়ের চেষ্টার খবর পেয়ে মিরকাদিম সংলগ্ন নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ট্রলার থেকে চারজনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় ট্রলারসহ লাঠিসোঁটা। 

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নৌপথের নিরাপত্তায় তদারকি অব্যাহত থাকবে।

মঈনুদ্দিন/পপি/অমিয়/

পলাশবাড়ীতে দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
পলাশবাড়ীতে দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নিজের বসতঘর থেকে রাসেল মিয়া (১৮) ও জুঁই খাতুন (১৫) দম্পতির গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাসেল মিয়া ওই গ্রামের জাকিরুল ইসলামের ছেলে ও পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন।

স্থানীয়রা বলেন, তিন মাস আগে প্রেম করে রাসেল-জুঁই বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আনন্দেই কাটছিল তাদের। কোনো ঝামেলা ছিল না। প্রতিদিনের মতো সোমবার (২ জুন) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে রাসেলের মা রাশিদা বেগম ছেলেকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক রাসেল ও তার স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা আত্নহত্যার করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রফিক খন্দকার/অমিয়/

ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম
ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে পুশইন
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে আটজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করে।

আটকদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও চারজন নারী।

আটকরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার ফায়েজ (২৮), খুলনার ডোমরা গ্রামের মো. আজিম সরদার (২৫), একই এলাকার আজিম উদ্দিনের স্ত্রী মিম খাতুন (১৯), ঠাকুরগাঁও জেলার বেলদহী এলাকার রুস্তম আলী (৪৪), রাজশাহীর চকমুক্তাপুর গ্রামের মো. মোফাজ্জেল হোসেন (৩৫), রাজশাহীর হরিদেবপুর গ্রামের গোবর্ধন দাসের স্ত্রী দুখী দাস (৫৫), নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চনরানীপুর গ্রামের আতিকুর রহমানের মেয়ে রত্না আক্তার নুপুর (২২), বাগেরহাটের পিছি বারইখালী এলাকার ইব্রাহিমের স্ত্রী নাদিরা খাতুন (৩৭)।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আটকরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তারা ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য তাদেরকে ভারতীয় পুলিশ বিভিন্ন সময় আটক করে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীয় জেলে রেখেছিল। পরে বিএসএফ তাদের চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে।

তিনি আরও জানান, ভোরে ১৯৯ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের ২০০ গজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি করার সময় হোসেনভিটা এলাকা থেকে বিজিবি তাদের আটক করে। আটকদের ব্যাপারে বিস্তারিত নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান অধিনায়ক।

এর আগে ২৬ মে সকালে গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভিষণ সীমান্ত দিয়ে ১৭ বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ।

আসাদুল্লাহ/অমিয়/

ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৪০ পিএম
ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ২২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ।

সোমবার (২ জুন) রাত ৩টার দিকে তাদের পুশইন করা হয়।

ময়মনসিংহ ৩৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের নায়েক মো. ইজ্জত আলী খবরের কাগজকে বলেন, রাত তিনটার দিকে হালুয়াঘাটের সূর্যপুর ক্যাম্পের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১০ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। এ সময় বিজিবির নজরে আসলে তাদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের হালুয়াঘাট থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বিজিবি ৩১ ব্যাটালিয়নের সিইও মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাত তিনটার দিকে ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া বিওপি এলাকা দিয়ে ১২ জনকে পুশইন করা হয়। পরে তাদের আটক করে বিজিবি। আটকদের মধ্যে তিনজন নারী, আটজন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনার এক পরিবারের আটজন ও নড়াইলের এক পরিবারের চারজন রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান তারা। গুজরাটে তারা বিভিন্ন দোকানে কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। তবে হুট করেই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে গুজরাট পুলিশ। কিছুদিন আটকে রেখে সোমবার রাতে মুন্সিপাড়া বিওপি এলাকায় দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।

তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান বিজিবি ৩১ ব্যাটালিয়নের সিইও মো. কামরুজ্জামান।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

বাসাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও ২ ছেলে নিহত

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১১:০২ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১১:১২ এএম
বাসাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও ২ ছেলে নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়ায় ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, শেরপুর সদর উপজেলার আমজাদ হোসেন ও তার দুই ছেলে আতুল ও অতুল।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন দুর্ঘটনার বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, ঢাকা থেকে ঈদ উপলক্ষে তারা শেরপুরে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে করটিয়া এলাকায় তারা নাস্তা করতে বিরতি দেন। এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক মাক্রোবাসে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে আমজাদ হোসেন ও তার দুই ছেলে অতুল ও আতুল মারা যান।

মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

জুয়েল রানা/অমিয়/

বায়েজিদ লিংক রোড়ের একপাশ বন্ধ পাঁচ দিন ধরে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:২৫ এএম
বায়েজিদ লিংক রোড়ের একপাশ বন্ধ পাঁচ দিন ধরে
বায়েজিদ লিংক রোড়। খবরের কাগজ

পাহাড়ধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড় পাঁচ দিন ধরে একপাশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ওই সড়কে থেমে থেমে যানজট হচ্ছে। উল্টো পথে গাড়ি চলায় দেখা দিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। তবে তেমন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

সোমবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বায়েজিদ লিংক রোড়ে এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির সামনে ফৌজদারহাটমুখী লেনে কয়েকটি সিমেন্টের বার দেওয়া হয়েছে। সেখান অংশ থেকে স্পেক্টা কনস্ট্রাকশনের একটি রিসোর্ট সংলগ্ন ইউটার্ন পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে উভয় পাশের সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, ট্রাক, বাসসহ সব ধরনের যানবাহন একই লেন অর্থাৎ বায়েজিদমুখী লেন দিয়ে চলাচল করছে। ফলে রাতের বেলায় এক ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মুখোমুখি সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কেননা সেখানে পার্শ্ববর্তী ছিন্নমূল এলাকার শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টো পথে চলাচল করে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘আমাদের অটোরিকশাগুলো পার্শ্ববর্তী এলাকা ছিন্নমূলে চলাচল করে। আমরা এক নম্বর এলাকা দিয়ে ছিন্নমূলের ভেতরের সড়কে চলে যাই। একপাশ দিয়ে উভয় লেনের গাড়ি চলাচল করায় আমাদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেক সময় রাতের বেলায় বড় গাড়ি বিকল হয়ে থাকে সড়কের ওপর। আবার অনেক বাইকার দ্রুতগতিতে গাড়ি চালান এই রোডে। কিছু দিন পরপর এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম বলেন, ‘ছিন্নমূলের সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো উল্টো পথে আসে। তারা যে সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে, সেখানে কোনো ইউটার্ন রাখা হয়নি। এ জন্য তারা দূরের ইউটার্ন দিয়ে না এসে উল্টো পথে গাড়ি চালায়। যাত্রীরা বললেও শুনে না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চালকরা কথা বলতে রাজি হননি।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদ বিন আনোয়ার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে সড়কটির একপাশ পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে খুলে দেওয়া হবে।’