ঢাকা ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
English

এমপিকে ভিজিএফের ভাগ দিতে না চাওয়ায় চেয়ারম্যানকে মারপিটের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
এমপিকে ভিজিএফের ভাগ দিতে না চাওয়ায় চেয়ারম্যানকে মারপিটের অভিযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থ ও গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত চালের ৫০ ভাগ অনুসারীদের মাধ্যমে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর আসনের এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে। দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানানোয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ ওরফে দুলালকে প্রকাশ্যে ইউপি ভবন চত্বরে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে এমপির অনুসারীদের বিরুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন চত্বরে ঘটে এই ঘটনা।

ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা। কর্মসূচি থেকে অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। 

অভিযুক্ত এমপির দাবি, ‘গত ঈদুল ফিতরের তালিকা দিয়ে এবারও চাল বিতরণের প্রস্তুতি চলছিল। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ওই চেয়ারম্যান তাকে জানান, প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সুপারিশসহ সরকারি বিধিমোতাবেক তালিকা করা হবে। কিন্তু নিজেদের তালিকায় ওই চাল বিতরণের চেষ্টা চলছে এমন বিষয় জানার পর তার প্রতিনিধি আতিক মাস্টারসহ কয়েকজন বিষয়টি জানতে চান। ওই সময় চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে কথা বলে এবং একপর্যায়ে ওই মাস্টারকে লাথি মারেন। এরপর পরিকল্পিতভাবে নিজ রুমে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে অপবাদ দেন।’

ইউপি চেয়ারম্যান এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এমপিকে ভাগ না দিতে চাওয়ায় প্রকাশ্যে ওই হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটায় এমপি অনুসারীরা যার ভিডিও ফুটেজও রয়েছে। তিনি ওই ঘটনায় মামলা করেছেন দাবি করে অনতিবিলম্বে সব হামলাকারীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ইউপি কার্যালয়ে অতি দরিদ্র ৩৪১ জনকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কার্যক্রম ছিল। ওই চাল দেওয়ার জন্য তিনি পরিষদে পৌঁছার পর অভিযুক্তরা তাকে ঈদ উপহারের অর্ধেক চাল এমপিকে দিতে হবে বলে জানান। তাতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে পাইপ ও ইট দিয়ে আঘাতের পাশাপাশি কিল ঘুসি মেরে আহত করে।

মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন আতিক মাস্টার, সিরাজ, রানা, ওয়াজেদ আলী, আরিফ, জীবন গাজী, ইমরান, রাজীবসহ আরও কয়েকজন।

ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশরা জানায়, হঠাৎ এমপির লোকজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জেরে একপর্যায়ে রুমে ঢুকে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে চেয়ার দিয়ে টেবিলের কাঁচ ভেঙে ফেলে ও চেয়ার ভাঙচুর করে। তারা চেয়ারম্যানকে উপর্যুপরি কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। এ সময় চেয়ারম্যানের চিৎকারে সবাই এগিয়ে এলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত চলে যায়। 

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হলেও অভিযুক্তদের মেবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আযম খান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।

নড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
নড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত আবু সিদ্দিক ঢালী

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে আবু সিদ্দিক ঢালী (৫৫) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে চান্দনী ছৈয়াল বাড়ির সামনে তার ওপর হামলা হয়। নিহতের পরিবারে অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতেই তার মৃতু হয়েছে। নিহত আবু সিদ্দিক ঢালী উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনী এলাকার সফিজদ্দির ঢালীর ছেলে।

নড়িয়া থানা পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু সিদ্দিক ঢালী দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার ছোট ভাই জুলহাস ঢালী ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি। এলাকায় তার সঙ্গে মিন্টু ছৈয়াল নামে এক ব্যক্তির বিরোধ চলছিল। মিন্টু ছৈয়াল সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল হকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার রাতে আবু সিদ্দিক ঢালী বাড়ি ফেরার পথে মিন্টু ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিলেও সেখান থেকেও তাকে টেনে তুলে আবারও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. আশিক মাহমুদ।

রাজিব হোসেন রাজন/মাহফুজ

 

সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় জাহিদ হাসান শাওন মৃধা (৪৪) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে মহাসড়কের সোনাখালী আবাদী সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকাগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত মোটরসাইকেল চালক লক্ষীপুর জেলার সদর থানার বিজয়নগর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। দুর্ঘটনার পরপরই বাস নিয়ে চালক পালিয়ে যান। কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের সোনাখালী এলাকার আবাদী সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে জাহিদ হাসান শাওন মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। এ সময় অজ্ঞাতনামা একটি বাস পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, বাসটিকে শনাক্ত কিংবা বাসের চালক বা হেলপার কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

ইমরান হোসেন/সুমন/ 

রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
অভিযুক্তের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে ছাত্রদল নেতার গুলিতে মামুন ভূইয়া নামে এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় অভিযুক্তের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা সিলেট মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন নিহতের স্বজন, বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।

এর আগে, গত ১০ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন খোকাকে যুবদল নেতা বাদল ভুইয়ার লোকজন ও এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি ও হাত-পা ভেঙে দেয়। সাব্বির হোসেন খোকাকে ছাড়াতে গিয়ে যুবদল নেতা বাদল ভুঁইয়া গ্রুপ ও ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবু গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ব্যবসায়ী মামুন ভূইয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মামুন মিয়া যুবদল নেতা বাদল ভুইয়ার ভাই। 

এ ঘটনায় বাদল ভুইয়া বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া গণপিটুনির শিকার সাব্বির হোসেন খোকাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হত্যার ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সংবাদ সম্মেলন
ছাত্রদল নেতার গুলিতে ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।

শুক্রবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ছবি: খবরের কাগজ

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী মামুন ভূইয়া। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একটি চক্র আমাকে হেয় করতে ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবুর আমি সম্পর্কে চাচা হই বলে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ায় এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালায়। জাহিদুল ইসলাম বাবু আমাদের গ্রামের ছেলে, আমার ভাতিজা নয়। 

মো. রুবেল শিকদার/মাহফুজ

 

সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি ‘কোম্পানিকা সেতু’ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি ‘কোম্পানিকা সেতু’ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ‘সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’র উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক কবি শাহেদ কায়েসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মিজানুর রহমান মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কবি রহমান মুজিব, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বী সোহেল, সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, সংস্কৃতিকর্মী ও ব্যাংকার মতিউর রহমান, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি আসমা আখতারী, অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমেদ প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাখ্খার সাগর, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মোয়াজ্জেনুল হক, ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এরশাদ হুসাইন অন্য, নির্বাহী সদস্য রোকেয়া আক্তার বেবী, শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন ও সংগঠক খাদিজা আক্তার।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইমরান হোসেন, রাসেল আহমেদ ও ইসকান্দার আলী আলভী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোনারগাঁয়ের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধশালী। প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল এ সোনারগাঁ। দেশ-বিদেশে সোনারগাঁয়ের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এ অঞ্চলে বহু প্রত্মসম্পদ রয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানিকা সেতু একটি প্রাচীন প্রত্নসম্পদ। বর্তমানে এটি অযত্নে, অবহেলায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অবিলম্বে এ প্রত্মসম্পদকে সংস্কার ও সুরক্ষার দাবি জানান বক্তারা।

 

খাগড়াছড়িতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
ছবি: খবরের কাগজ

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সরকারি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জুঁই (ছদ্মনাম)। বয়স কেবল ১৫ বছর ৯ মাস। অথচ আগামী সোমবার (১৬ জুন) তার বিয়ে এবং রবিবার (১৫ জুন) গায়ে হলুদের দিন ধার্য্য। সব আয়োজনও চূড়ান্ত প্রায়। অতিথিদের নিমন্ত্রণের পালাও শেষ। বর ও কনে উভয়ের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর গঞ্জপাড়া এলাকায়।

বরের বাড়িতে সাজানো হচ্ছে প্যান্ডেল। বর ইদুল হাসান (২৯) চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাটে সবজির ব্যবসা করেন। কনের প্রাপ্ত বয়স না হলেও দুই পরিবার সম্মত হয়েছিল এই বিয়েতে। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়। 

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে গোপন সূত্রে জানতে পেরে তিনি সদর থানা পুলিশের সহায়তায় জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুস্মিতা খীসাকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর গঞ্জপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে দেখা যায়, বর ও কনের বাড়ি পাশাপাশি। বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। রান্নার সরঞ্জাম এসে গেছে, বাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে বিয়ের কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। জন্মসনদ ঘেঁটে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতির সত্যতা পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

কনে জুঁই জানায়, সে এই বিয়ে করতে চায় না। তার আরও পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছে। বর ও কনের পরিবার নিজেদের ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না বলে মুচলেকা দেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বর ও কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।

সুজন চন্দ্র রায় বলেন, 'নিজের অপরাধ স্বীকার করায় প্রাথমিকভাবে উভয় পরিবারকে সতর্ক করে মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন জুঁইকে (ছদ্মনাম) প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে দিতে না পারেন সেজন্য স্থানীয় গণমান্য, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছে।'

রাজু/রিফাত/