ঢাকা ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

উখিয়ায় অস্ত্রসহ আরসার গান কমান্ডার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
উখিয়ায় অস্ত্রসহ আরসার গান কমান্ডার গ্রেপ্তার
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্প থেকে অস্ত্র-গুলিসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালুভেশন আর্মির (আরসা) এক গান কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাব ১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। 

গ্রেপ্তার মো. জাকারিয়া (৩২) বালুখালী ক্যাম্প ১০-এর এফ/১৭ ব্লকের মৃত আলী জোহরের ছেলে। 

লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উখিয়ার ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার কতিপয় সদস্য নাশকতার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে অস্ত্র নিয়ে এসেছে। এ সূত্র ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আরসা সন্ত্রাসী মো. জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকারিয়া জানায়, সে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিলিং মিশনে অংশ নিতো। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে, কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র পালংখালী ইউনিয়নের ঘাঁটি বিলে লুকিয়ে রেখেছে। পরে সেখান থেকে মায়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত একটি জি-৩ রাইফেল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।’ 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/জোবাইদা/

মধ্যরাতে মেঘনায় ইলিশ ধরতে নামবে জেলেরা

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১২:০৪ এএম
মধ্যরাতে মেঘনায় ইলিশ ধরতে নামবে জেলেরা
অভয়াশ্রম শেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে চাঁদপুরের মেঘনা পাড়ের জেলেরা। ছবি: খবরের কাগজ

জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের অভয়াশ্রম শেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে চাঁদপুরের মেঘনা পাড়ের হাজার হাজার জেলে। জাল ও নৌকা মেরামত করার কাজে এখন তাদের ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাতে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নামবে জেলেরা। ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন জেলে ও মৎস্য বিভাগ। কিছু জেলের অভিযোগ নিষেধাজ্ঞার সময়ে অসাধু জেলেরা কারেন্টজাল ব্যবহার করে জাটকা নিধন করেছে।

সরেজমিন সদর উপজেলার আনন্দবাজার, শহরের টিলাবাড়ি, পুরাণ বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, মধ্য বাখরপুর, বহরিয়া ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকার জেলে পাড়ায় দেখাগেছে অধিকাংশ জেলে তাদের নৌকা মেরামত ও জাল প্রস্তুত করার কাজ করছে। মেঘনা সংযুক্ত খালগুলোতে জেলেদের শত শত নৌকা। ভোর থেকেই মাছ ধরার সরঞ্জাম প্রস্তুত কাজ করছে। দীর্ঘ দুই মাস অবসর সময় কাটানোর পর আবারও জেলে পাড়া সরগরম হয়ে উঠেছে।

সদরের আনন্দ বাজার এলাকার জেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, এবছর জাটকা রক্ষায় যে অভিযান দিয়েছে, তাতে আমাদের মহল্লার শত শত জেলে বেকার হয়ে পড়ে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে আমরা নদীতে নামেনি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মাসে ৪০ কেজি চাল সহায়তায় সংসার চালোনা খুবই কঠিন।

দোকানঘর এলাকার জেলে সেলিম মিয়া বলেন, জাটকা বড় হওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা দিলেও এক শ্রেণির জেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাটকা নিধন করেছে এবং গোপনে বিক্রি করেছে। আমরা নিষেধাজ্ঞা মেনেছি এবং জাল প্রস্তুত করছি ইলিশ ধরার জন্য।

মধ্য বাখরপুর এলাকার জেলে শাহজাহান মিজি বলেন, দুই মাসের অভিযান পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা ঋণ নিয়ে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে জাল নৌকা প্রস্তুত করেছি। নদীতে নামলে বুঝা যাবে ইলিশ পাওয়া যায় কিনা। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।

একই এলাকার জেলে আজাদ খান বলেন, ‘‘তিন লাখ খরচ কইরা নাও ঠিক করছি। নদীতে নামমু, যদি ইলিশ পাই, তাইলে কিস্তিুও দিতে পারমু এবং খাইয়া বাঁচমু।”

ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের আরেক জেলে মুসলিম মিজি বলেন, ‘‘দুই মাস খুবই কষ্ট কইরা চলছি, রোজগার ছিল না। ১০ টাকার জায়গায় ১ টাকা খরচ করছি। আল্লাহর ওপর ভরসা রাইক্কা নদীতে নামমু। যদি আল্লাহ দেয়।”

সদরের মৎস্যজীবী নেতা তছলিম ব্যাপারী বলেন, ইলিশ পাওয়ার আশায় জেলেরা নদীতে নামবে এবং সেই হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা এসব জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির জন্য চেষ্টা করছি এবং উপকরণ দেয়া হচ্ছে। ইলিশ পাওয়া না পাওয়া হচ্ছে প্রাকৃতিক বিষয়।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় আমরা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। জেলার নিবন্ধিত প্রায় ৪৩ জেলের প্রত্যেককে ৪ মাস ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের নদীতে নামতে দেয়া হয়নি। আশা করি জেলেরা তাদের কাঙ্খিত ইলিশ পাবে।

উল্লেখ্য, ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সরকার। এই সময় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিলো।

ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ/এমএ/

শামীম ওসমানের ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
শামীম ওসমানের ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়নসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়নসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সুষ্ঠুভাবে গ্রেপ্তারের স্বার্থে বাকিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশ করা হলে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আসামিরা পালিয়ে যেতে পারেন।’ 

শুনানিতে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম ট্রাইব্যুনালকে জানান, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তাতে শামীম ওসমানের ছেলে অয়নসহ আটজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।’  

 

সংস্কার শেষে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিন: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
সংস্কার শেষে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিন: মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনি দয়া করে তাড়াতাড়ি করেন। তাড়াতাড়ি করলে জনগণ ভোট দিয়ে তার নিজস্ব সরকার গঠন করতে পারবে। আপনি যতই বলেন আপনাকে তো আর পাবলিক ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে নাই। পাবলিক চায় তার লোকটাকে সে নির্বাচিত করবে। ভোট সে দিতে চায়। ওই ব্যবস্থাটা একটু তাড়াতাড়ি করেন। আমরা স্বাধীন একটা বিচার ব্যবস্থা চাই। সরকারের কথা শুনে বিচারক যাতে রায় না দেয় সে ব্যবস্থা আমরা চাই। আমরা আবারও বলছি ড. ইউনূস, আপনি তাড়াতাড়ি নির্বাচনটা শেষ করেন, দেরি না করে সংস্কারগুলো শেষ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভারতকে বারবার বলছি হাসিনাকে ফেরত দাও। এখানে তার বিচার করা হবে। এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে হাসিনার এদেশের মানুষের প্রতি কোনো দয়া-মায়া নাই। যদি থাকতো তাহলে এভাবে সে পালিয়ে যেত না। আমার নেত্রী খালেদা জিয়া তো পালায়নি।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুন্সির হাটে গণসংযোগ কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনি লক্ষ্মীরহাটে গণসংযোগকালে বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি কেউ নৌকা কেউ ধানের শীষ বানাচ্ছি। ভাগ করছি। এই ভাগ করাটাই ভয়ঙ্কর। আমরাই ভাগ করে রাখছি হিন্দু আর মুসলমান। আমরা আমাদের স্বার্থে হিন্দু-মুসলমান ভাগ করছি। আমরা আমাদের স্বার্থেই খ্রিস্টানদেরকে ভাগ করেছি, বৌদ্ধদেরকে ভাগ করেছি। অথচ আমরা শত শত বছর ধরে কিন্তু একসঙ্গে বাস করি। 

নবীন হাসান/মাহফুজ 

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাহিত্য সংসদ মঞ্চ, কাঁদলেন কবি-সাহিত্যিকরা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাহিত্য সংসদ মঞ্চ, কাঁদলেন কবি-সাহিত্যিকরা
ছবি: খবরের কাগজ

সাহিত্যিকদের গড়ে তোলা একটি মঞ্চ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদের এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে লেখকদের কাঁদতে দেখা যায়। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন উদ্যানে এটি উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ওই উদ্যানে অবস্থিত বিজয়ী পিঠা ঘরসহ আরও কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। 

জানা গেছে, ইজারা না দিয়ে স্থাপনা গড়ে তোলায় বুলডোজার দিয়ে মঞ্চটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকদের অনেকেই কাঁদছিলেন। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

কবি শামীম আশরাফ বলেন, ১৯৮৩ সালে ময়মনসিংহে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সাহিত্য সংসদ মঞ্চ নামের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। জেলার কবি-সাহিত্যিকরা এখানে বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছিল। এটা ভাঙা মানে আমাদের মন ভাঙা, আমাদের সাহিত্যের সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া, সংস্কৃতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘মঞ্চটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদী কথা, কবিতা ও গান হবে। ময়মনসিংহের সব কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিপ্রেমীরা এতে উপস্থিত থাকবেন।

উচ্ছেদ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সাহিত্য সংসদ মঞ্চ এবং বিজয়ী পিঠা ঘরসহ ৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ গুলোর বৈধ কাগজপত্র নেই। তাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

 

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন ও মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন ও মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর
লটকন ও পাতক্ষীর। ছবি: সংগৃহীত

অমৃত সাগর কলার পর এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে নরসিংদীর জনপ্রিয় ফল লটকন। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীরও জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসকের হাতে জিআই পণ্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ তুলে দেওয়া হয়।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক রাশেদ হোসেন চৌধুরীর হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। লটকনকে নিবন্ধিত ঘোষণা করায় আনন্দ প্রকাশ করেছে নরসিংদীর প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ। এর আগে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি) সহযোগিতায় ২০২৩ সালেই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিল নরসিংদী জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ পর্যালোচনার পর নরসিংদীর লটকনকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই ফলটি নরসিংদী জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী ফলের পাশাপাশি স্বাদে-গন্ধে ও পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় সর্বস্তরের মানুষের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এই ফল। এর আগে গত বছর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর। এটি এ জেলার প্রথম কোনো জিআই পণ্য। বুধবার বিকেলে ফরেন সার্ভিসে একাডেমিতে ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও নিবন্ধনকৃত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ প্রদান’ অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের হাতে নিবন্ধন সনদটি তুলে দেওয়া হয়। ‘জেলা প্রশাসক মুন্সীগঞ্জ’ এই সনদের স্বত্বাধিকারী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান।

জেলা প্রশাসন জানায়, বহু প্রজন্ম ধরে স্থানীয় কারিগরদের নিপুণ হাতে তৈরি এই সুস্বাদু মিষ্টি মুন্সীগঞ্জবাসীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে। দুধ, সামান্য হলুদ গুঁড়া ও চিনি দিয়ে প্রস্তুতকৃত পাতক্ষীরের স্বাদ, গন্ধ ও গুণগত বৈশিষ্ট্য একে দেশের অন্যান্য মিষ্টান্ন থেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এই পণ্যের মান ও স্বাতন্ত্র্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেল, যা স্থানীয় উৎপাদকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মত প্রকাশ করেন।