
ভারতীয় পাহাড়ি ঢল আর একটানা ভারী বৃষ্টির কারণে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী উব্দাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কলমাকান্দা উপজেলার আটটি ইউনিয়নে অন্তত ৬৫টি গ্ৰাম প্লাবিত হয়েছে। তা ছাড়া প্লাবিত হয়েছে নেত্রকোনা সদর ও পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলও।
এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক মানুষ। গবাদিপশু নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। কাঁচা সড়কে কাঁদা সৃষ্টি হয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। পানি উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মাঠে।
বাউসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সামছুল হক জানান, বারহাট্টা উপজেলার কংস নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি গ্ৰামের নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। বাউসী ও রায়পুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্ৰামে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে রূপগঞ্জ বাজারের তাতিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রও তলিয়ে যাবে। তবে পার্শ্ববর্তী বাউসী অর্দ্ধচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
কলমাকান্দার ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান জানান, পাহাড়ি ঢল আর একটানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার অন্তত ৭/৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বরখাস্ত, হোগলা ও সদর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে বেশি। তবে প্রস্তুত আছে আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে ২০/২৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খেয়াল রাখা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান জানান, উব্দাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে হাওর অঞ্চলে খলিয়াজুরীর ধনু নদীর পানিও বাড়ছে। বাড়ছে দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর পানি।
জেলা প্রশাসক মো. শাহেদ পারভেজ জানান, জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা, হাওর অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের জন্য সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে। নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, ঔষধপত্র দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছে। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য সবার সহানুভূতি ও তথ্য নিশ্চিতকরণে এগিয়ে আসা উচিত।
বিজয় চন্দ্র দাস/সাদিয়া নাহার/অমিয়/