ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

নেত্রকোণার ৩ উপজেলায় বন্যা

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ২০ জুন ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
নেত্রকোণার ৩ উপজেলায় বন্যা
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতীয় পাহাড়ি ঢল আর একটানা ভারী বৃষ্টির কারণে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী উব্দাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কলমাকান্দা উপজেলার আটটি ইউনিয়নে অন্তত ৬৫টি গ্ৰাম প্লাবিত হয়েছে। তা ছাড়া প্লাবিত হয়েছে নেত্রকোনা সদর ও পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলও। 

এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক মানুষ। গবাদিপশু নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। কাঁচা সড়কে কাঁদা সৃষ্টি হয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। পানি উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মাঠে। 

বাউসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সামছুল হক জানান, বারহাট্টা উপজেলার কংস নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি গ্ৰামের নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। বাউসী ও রায়পুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্ৰামে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে রূপগঞ্জ বাজারের তাতিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রও তলিয়ে যাবে। তবে পার্শ্ববর্তী বাউসী অর্দ্ধচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

কলমাকান্দার ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান জানান, পাহাড়ি ঢল আর একটানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার অন্তত ৭/৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বরখাস্ত, হোগলা ও সদর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে বেশি। তবে প্রস্তুত আছে আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে ২০/২৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খেয়াল রাখা হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান জানান, উব্দাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে হাওর অঞ্চলে খলিয়াজুরীর ধনু নদীর পানিও বাড়ছে। বাড়ছে দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর পানি।

জেলা প্রশাসক মো. শাহেদ পারভেজ জানান, জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা, হাওর অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্তদের জন্য সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে। নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, ঔষধপত্র দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছে। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য সবার সহানুভূতি ও তথ্য নিশ্চিতকরণে এগিয়ে আসা উচিত।

বিজয় চন্দ্র দাস/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

মুন্সীগঞ্জে আম পাড়তে গিয়ে কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
মুন্সীগঞ্জে আম পাড়তে গিয়ে কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ জেলারেল হাসপাতাল। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জ সদরের বজ্রযোগিনী এলাকায় গাছ থেকে আম পাড়তে গিয়ে পলাশ শেখ (২২) নামে এক কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় রাকা ইন্ডাস্ট্রি নামের একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। 

পলাশ স্থানীয় শুয়াপাড়া এলাকার নাজিম শেখের ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন পলাশ। দুপুরে কারখানা থেকে খবর আসে সেখানে গাছ থেকে আম পাড়তে গিয়ে অসতর্কতাবশত কারখানার টিনের শেদ ভেঙে পড়ে যান তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম খবরের কাগজকে  বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

মঈনিুদ্দীন/পপি/

চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
ভারতে চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় বিজিবি। ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী।

জানা যায়, বর্তমানে দেশে চামড়ার বাজার মূল্য তুলনামূলক কম। অনেক সময় কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারেন না। সরকারি দামে ক্রয়-বিক্রয়ে সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন এ সময়টায় চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকবে। সে জন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ জানান, পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৫৫০ থেকে ৬০০ এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছাগলের চামড়ার দাম প্রতি পিস ১০০ টাকা।

অপরদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১০০০ রুপি এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ১২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বেনাপোলের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা থাকে সেসব এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেমন- গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী ও গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল লতিফা ইয়াসিন এতিম খানার শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, ‘এলাকার মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করে থাকেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার খুবই কম।’

লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি চেকপোস্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। যাতে কেউ ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে। ঈদ উপলক্ষে টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা আমাদের সৈনিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়াও যেকোনো ধরনের অপরাধ রুখতে বিজিবি সবসময় সীমান্তে সোচ্চার রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সতর্ক আদেশ বহাল থাকবে।

নজরুল ইসলাম/সুমন

গ্রামবাসীর হাতে আটক বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
গ্রামবাসীর হাতে আটক বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিল বিজিবি
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএসএফ সদস্য গণেশ মূর্তি। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক গণেশ মূর্তি (৪৩) নামে এক বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দিয়েছে বিজিবি।

বুধবার (৪ জুন) ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার জোহরপুর-টেক সীমান্তে দিয়ে বিএসএফের ওই সদস্য অনুপ্রবেশ করেন।

নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, ‘ভোরে জোহরপুর সীমান্ত দিয়ে এক বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের ভেতরে চলে আসেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা তাকে হেফাজতে নেন।’

বিজিবির ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী নারায়ণপুরের সাতরশিয়া নামক স্থান থেকে ৭১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের নুরপুর ক্যাম্পের সিনিয়র কনস্টেবল গণেশ মূর্তি নামে এক সদস্যকে মদ্যপ অবস্থায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রামবাসী আটক করে। পরে বিজিবির সদস্যরা গ্রামবাসীর কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে সকাল সাড়ে ১১ দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়।

অবৈধ অনুপ্রবেশের ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়েছে বলেও জানান কর্নেল মাহমুদ রিংকু।

আসাদুল্লাহ/সুমন/

ঈদযাত্রা ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বাড়ছে গাড়ির চাপ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বাড়ছে গাড়ির চাপ
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বাড়ছে গাড়ির চাপ। বুধবার (৪ জুন) ভোর থেকে এই মহাসড়কে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। অনেকে বাসে সিট না পেয়ে ট্রাক বা পিকআপে বাড়ি যাচ্ছেন।

সড়কপথে ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ভোরে যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকল হওয়ায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরানোর পর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

ভোর থেকে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন ঘরমুখো মানুষ। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। উত্তরের ঘরমুখো মানুষ বলছেন, ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন যাত্রীরা।

সকাল থেকে মহাসড়কে গণপরিবহনের চেয়ে ট্রাক ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন না পেয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে খোলা ট্রাকে করে গন্তব্য পৌঁছাতে দেখা গেছে যাত্রীদের। অনেকেই গরুবাহী ফিরতি ট্রাকেও বাড়ি ফিরছেন।

বেলা ১১টায় মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এ সময় তিনি বলেন, ঘরমুখো মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইলকোর্ট বসানো হয়েছে। পরিবহন কর্তৃপক্ষ যাতে বাড়তি ভাড়া না নিতে পারে সেজন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

বাসচালকরা বলছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়। তাই কিছুটা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। আর যানবাহনের চাপ বাড়লেও বর্তমানে সড়কের অবস্থা স্বাভাবিক।

যমুনা সেতুর পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ আহমেদ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই। মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে দুই কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর বিপরীতে ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৬৫৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৫০ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উপর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেই জন্য দুইটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় আছে।সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে, যেন মানুষ নিবিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে যানজট নেই। মানুষ যেন নিবিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জুয়েল রানা/অমিয়/

পঞ্চগড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কলেজছাত্রসহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
পঞ্চগড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কলেজছাত্রসহ ৩ জনের মৃত্যু
পঞ্চগড়

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় ভুট্টাখেতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কলেজছাত্রসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) সকালে এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃতরা হলেন- বেংহারি পাড়ার সফিউল ইসলামের ছেলে রব্বানী (৩৫), লিয়াকত আলীর ছেলে শাহীন ইসলাম (৪৫) এবং কলেজছাত্র জামেদুল ইসলাম।

তারা ১৪ জনের একটি দল ফকিরের হাট এলাকায় চুক্তিভিত্তিক একটি ভুট্টাখেতে কাজ করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজের সময় খেতে বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তার পড়ে ছিল। তখন লাইনে বিদ্যুৎ না থাকলেও, হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলে কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জামিদুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে অর্নাস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আহত রব্বানী, শাহীন এবং শাহীনের ভাই জয় ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়া হলে পথে রব্বানী ও শাহীন মারা যান। গুরুতর আহত জয় ইসলামকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত জয় বলেন, “বিদ্যুতের তারটি মাটিতে পড়ে ছিল। তখন বিদ্যুৎ ছিল না। হঠাৎ আমার পা ঝিনঝিন করতে থাকে, বুঝতে পারি আমরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে দৌড় দেই। পরে বিদ্যুৎ অফিসে বারবার ফোন দিই, কিন্তু তারা ফোন ধরেনি। পরে আরও কয়েকজন ফোন দিলে বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়।”

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবুল কাশেম জানান, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে দুইজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুরে পাঠানো হয়েছে।”

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

রনি মিয়াজী/অমিয়/