বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর ঘটনায় দুই কারা কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত দেয়। এ ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পি এম ইমরুল কায়েস খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন বগুড়া জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. হোসেনুজ্জামান ও সর্বপ্রধান কারারক্ষী ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। এ ছাড়া কারারক্ষী দুলাল মিয়া, আবদুল মতিন ও আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কারাগার থেকে গ্রেপ্তারের পর চারজনের বিরুদ্ধে ডেপুটি জেলার মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় আগামীকাল শুক্রবার (২৮ জুন) তাদের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হতে পারে।
পালানোর পর গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিরা হলেন, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৩৮), বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ইসমাইল শেখ চাঁদ মিয়ার ছেলে ফরিদ শেখ (২৮) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ও বিএনপি সমর্থিত কাহালু পৌর মেয়র আবদুল মান্নান ওরফে ভাটা মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩১)।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলা কারাগারের পূর্ব-উত্তর কোণে তিনটি কনডেম সেল রয়েছে। সেখানে ১৩ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিকে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে উল্লিখিত চারজন সুরক্ষিত জেলের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদর দিয়ে রশি বানিয়ে ছাদে উঠেন। তাদের গায়ে কয়েদির কোনো পোশাক ছিল না। এরপর তারা ওই রশি বেয়ে উঁচু প্রাচীর থেকে নেমে পাশেই করতোয়া নদীর সেতু পার হয়। তারা কাছের চেলোপাড়ার চাষিবাজার এলাকায় একসঙ্গে হন। রাত সাড়ে ৪টার দিকে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে সদর থানা-পুলিশ গোপনে খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।