ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাবাকে খুঁজে পেতে পথে পথে ঘুরছেন নড়াইলের রূপা

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
বাবাকে খুঁজে পেতে পথে পথে ঘুরছেন নড়াইলের রূপা
ছবি : খবরের কাগজ

‘বাবার চেহারা আবছা আবছা মনে আছে, পরিষ্কার মনে নাই। বাবার কথা যখন কেউ জিজ্ঞেস করেন তখন কলিজাটা ফাইটা যায়। সব সময় বাবার কথা মনে পড়ে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে খুঁজতে বের হতে পারিনি। ইদানিং বাবার কথা খুব বেশি মনে পড়ছিল। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে বাবার প্রসঙ্গ ওঠলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মুখে কটু কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমি তো জারজ সন্তান নই। আমারতো বাবা আছে। বাবা কতো বছর আমাদের সঙ্গে ছিলেন, আমার নানা বাড়ি এলাকায় থেকে ব্যবসা করেছেন। কত মানুষ চেনে তাকে। বাবাকে খুঁজতে এই প্রথম চাটমোহরে এসেছি।’ 

কথাগুলো বলতে বলতে বার বার কান্নায় ভেঙে পরেন নড়াইল থেকে আসা রূপা খাতুন (২৫)। 

রূপা চাটমোহরের বিভিন্ন এলাকায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন তার বাবাকে। গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে চাটমোহর উপজেলা গেট এলাকায় দেখা যায় মেয়েটিকে।

রুপা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম নুর ইসলাম মোল্লা।

রুপা বলেন, ‘মা-মামাদের কাছে শুনেছি প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে তার বাবা চাটমোহরের নুর ইসলাম মোল্লা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার শুক্ত গ্রামে যান। শুক্ত গ্রামের গফফার আলী নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক স্থাপন করে তার আশ্রয়ে বসবাস শুরু করেন। দুই-তিন বছর গফফার আলীর বাড়িতে বসবাস করেন নুর ইসলাম মোল্লা। গফফার আলীর বাড়িতে বসবাস করার সময় ছোট কালিয়া গ্রামের আলতাব মোল্লার মেয়ে রহিমা বেগমকে (রুপার মা) বিয়ে করেন। বিয়ের পর আলতাব মোল্লার বাড়িতে স্ত্রীসহ বসবাস করতে থাকেন। এলাকায় একটি কাঁচামালের (সবজি) দোকান দেন তিনি। বড় কালিয়া এলাকায় ছয় শতাংশ জমি কেনেন।’ 

নুর ইসলাম মোল্লা এবং রহিমা বেগমের সংসারে রুপা খাতুন এবং নুরজাহান নামে দুই মেয়ের জন্ম হয়। ভালই কাটছিল তাদের দিন। শুক্ত গ্রাম ছোট কালিয়া ও বড় কালিয়া এলাকায় ১৪-১৫ বছর বসবাসের পর রুপার যখন চার বছর এমন সময় একদিন বাঁধাকপি বিক্রি করতে খুলনায় যান নুর ইসলাম মোল্লা। এটি প্রায় ২০ বছর আগের কথা। বাঁধাকপি বিক্রির পর আর বাড়িতে ফেরেননি নুর ইসলাম। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর করেও তার মা, মামারা সন্ধান পাননি তার বাবার।

অভিমানে রহিমা বেগমও কখনও স্বামীকে খুঁজতে আসেননি চাটমোহরে। তারা শুধু এটুকু শুনেছেন- নুর ইসলাম মোল্লার বাড়ি চাটমোহরের দিয়ার বা দিয়ারা নামক কোনো গ্রামে। রহিমা বেগম তার মেয়ে রুপা ও নুরজাহানকে নিয়ে ভাইয়ের আশ্রয়ে রয়েছেন। দুই মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন।

রুপা বলেন, ‘বাবার বয়স এখন ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হবে। পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চির মতো লম্বা। মুখে ছোট ছোট হালকা দাড়ি ছিল। বাবার কোনো ছবিও নেই তাদের কাছে। বাবা আমার মা, মামাকে চাটমোহরে বাড়ি বলেছে এটা সত্য না মিথ্যা তাও আমাদের জানা নেই। বাবা বেঁচে আছেন না মরে গেছেন তাও আমরা জানি না। যতদুর শুনেছি আমার দাদার নাম আব্দুল মোল্লা। বাবাকে খুঁজে না পেলে মনে হচ্ছে আমিই মরে যাব।’ 

রুপা তার বাবাকে খুঁজে পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। 

পার্থ হাসান/জোবাইদা/অমিয়/

ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
ঈদে মিলাদুন্নবীর জলসে মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি : খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী জলসে মিছিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মীর আরিফ মিলন (৫২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১০-১২টি দোকানপাট ও ঘর ভাঙচুর এবং এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিলন উপজেলার ছয়সূতি এলাকার মৃত মীর জাবু মিয়ার ছেলে।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলিয়ারচরের ছয়সূতির প্রতাপনাথ বাজার এলাকার সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজার আয়োজিত মাহফিলে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সোমবার সকালে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে সুন্নি সমর্থক ও ইমাম-উলামাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইমাম-উলামা পরিষদের সমর্থক মীর আরিফ মিলন নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কুলিয়ারচর ইমাম-উলামা পরিষদের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিন রহমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কয়েক দফা কথা বলেছি। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিরাতুন্নবী মাহফিল বন্ধ রাখি। কিন্তু তাদের ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসের মিছিল করতে দেয়। তারা আমাদের এক ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন। তারা হুসাইয়নিয়া মাদ্রাসা ও কেন্দ্রীয় মসজিদে বেদাতিরা হামলা ও ভাঙচুর করেছে।’ 

সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজারের খাদেম সৈয়দ ফয়জুল আলম বলেন, ‘গতকাল গিয়াস উদ্দিন তাহেরী হুজুরকে দিয়ে একটি মাহফিল করানোর কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মাহফিল আয়োজন বন্ধ করে দেয়। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা মিছিল বের করি। তারা আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়ে মাজারসহ ৮-১০টি ঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আহলে সুন্নতে জামায়েত একটি মিছিল ছিল। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ইমাম-উলামা পরিষদের লোকদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিল গেলে সে সময় মিছিল থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী মসজিদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়লে দু’পক্ষের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইমাম-উলামা পরিষদের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’

সালমান/ 

 

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিফতাহুল জন্নাত (১০) ওই এলাকার জমির উদ্দিনের মেয়ে এবং সানজিদা হোছাইন ইমু (৮) নবী হোছাইনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। জন্নাত কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ও ইমু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। 

এদিকে স্থানীয় সিকদারপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মওলানা ফুরকান উদ্দিন জানান, জন্নাত ও ইমু সকালে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে উঠানে খেলছিল। খেলার ছলে সবার অজান্তে পুকুরে ডুবে যায় তারা। পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন তারা। তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তারা। এ সময় আহাদ জামান (৬) নামের এক শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে শিশুটি।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

সালমান/

 

ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের
আলমগীর শেখ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের যুবক আলমগীর শেখ (৩৫) ভারতে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভে কথা বলার অভিযোগে তাকে আটক করে ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
 
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রবিবার রাত ৮টায় ভারতে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

আলমগীর শেখ পাটগ্রাম পৌর শহরের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যটন ভিসায় ভারত যান আলমগীর হোসেন। ভারতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। পরে বিষয়টি নিরাপত্তা আধিকারিকদের নজরে আসে। পরে আলমগীরকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে আটক করা হয়। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে তার ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। 

আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রার তাজমহলে গিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন।’

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ায় ৪৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল হয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হওয়ায় লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ওইদিন বেলা ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৯টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মোট ১৭টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

আসাদ জামান/জোবাইদা/অমিয়/

সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক
৪৮ বিজিবির অভিযানে আটক ভারতীয় মহিষ ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের চালান। ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মহিষ ও পৃথক অভিযানে ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিজিবি এ অভিযান পরিচালনা করে।

পরের দিন রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪৮ বিজিবির অধীন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা ব্রিজের সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করা হয়। 

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবির আওতাধীন শ্রীপুর এবং বাংলাবাজার বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১৬৬ পিস ভারতীয় স্মার্ট মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে­ এবং সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৬টি ভারতীয় মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের টের পেয়ে মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।

জোবাইদা/অমিয়/