পাবনায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময় রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক ও একটি ক্লিনিকের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সড়কের নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা হলো- পাবনা পৌর সদরের শালগাড়িয়া থানাপাড়া মহল্লার ডা. শোভন সরকার (২৮) ও নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শালগাড়িয়া ইংলিশ রোড মহল্লার জীবন আলী (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকার জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য নিউ মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশের পর চিকিৎসকের সহকারী ওই গৃহবধূকে আল্ট্রাসনোগ্রামের জন্য প্রস্তুত করে। এ সময় শোভন সরকার তার সহকারীকে বাইরে চলে যেতে বলেন।
ডা. শোভন আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নামে ভুক্তভোগীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং অশালীন আচরণ করে। পরে বাধ্য হয়ে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন। ভুক্তভোগীর স্বামী অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য এসব করেছে বলে জানান।
ভুক্তভোগীর স্বামী ঘটনার প্রতিবাদ করলে সেখানে উপস্থিত নাজমুল হোসেন (২৭) নামের এক যুবক তাকে মারতে উদ্যত হয় ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ক্লিনিক মালিক জীবন আলী সেখানে গিয়ে বলেন, ‘ডাক্তার কোনো অন্যায় কাজ করেননি, আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে এমনটা করতে হয়।’
তখন ক্লিনিক মালিক জীবন ও নাজমুল ভুক্তভোগীর স্বামীকে ক্লিনিক থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং না গেলে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে ভুক্তভোগী ও তার স্বামী পাবনা সদর থানায় গিয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ক্লিনিক থেকে ডা. শোভন ও ক্লিনিক মালিক জীবনকে গ্রেপ্তার করেন। আরেক আসামি নাজমুল পলাতক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আটকদের রবিবার (৭ জুলাই) আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
পার্থ হাসান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/