ঢাকা ৩ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেটে বন্যা দুশ্চিন্তায় ২২ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৮ এএম
দুশ্চিন্তায় ২২ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী
অন্তঃসত্ত্বা রেশমি বেগমকে মাতৃত্বকালীন পরামর্শ দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের পরিবারকল্যাণ সহকারী প্রতিমা পাল। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের রেলওয়ে কলোনি থেকে তোলা/ ছবি: মামুন হোসেন

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা রেশমি বেগম (২২) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঈদুল আজহার দিন তার ঘরে বন্যার পানি ঢোকে। তখন বাইরে হাঁটু সমান পানি। আশপাশের বেশির ভাগ মানুষ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। কিন্তু রেশমি যাননি। কারণ এই শারীরিক অবস্থায় তিনি হাঁটু পানি দিয়ে যেতে পারবেন না। তার ওপর চার বছরের একটি ছেলেও আছে তার।

পানির মধ্যে ঘরেই থেকে যান তিনি। রেশমি বেগম বলেন, ‘সাত মাস (গর্ভাবস্থা) চলছে আমার। ঘর ছাড়ার সাহস পাইনি। ঈদের দিন থেকে ঘরে পানি। এই পানির মধ্যেই দৈনন্দিন কাজ করি। পায়ে ঘা হয়ে গিয়েছিল। তিন দিন হয় এক রুমের পানি কমেছে। কিন্তু বাকি দুই রুমে এখনো পানি আছে। স্বামী বাইরে থেকে বালতি দিয়ে খাবার ও গোসলের পানি ঘরে এনে দেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে যেতে পারছি না। পরিবার পরিকল্পনার দিদি এসে খোঁজ খবর নিয়ে যান।’ 

এই রেলওয়ে কলোনিতে রেশমির মতো অন্তঃসত্ত্বা নারী আছেন আরও চারজন। তাদেরও একই অবস্থা। এই কলোনিতে আছেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রিমা বেগম (২৭)। গর্ভকালীন তৃতীয় ধাপে আছেন তিনি। যেকোনো সময় তার প্রসব ব্যথা উঠতে পারে। রিমা বলেন, ‘তিন দিন আগেও একবার শরীর অনেক খারাপ হয়। ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুব জরুরি ছিল। কিন্তু সারা কলোনি পানির নিচে। রাস্তায়ও পানি। অনেক কষ্টে ডাক্তার দেখিয়ে এসেছি। ডাক্তার বলেছেন ডেলিভারির তারিখ সামনের মাসে। কিন্তু এই মাসেও প্রসব ব্যথা উঠতে পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তায়ও পানি। তাই অনেক চিন্তায় আছি।’ 

বন্যার কারণে রেশমি ও রিমার মতো ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তায় আছেন সিলেটের ২২ হাজার ৭৭৩ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী। তৃতীয় দফা বন্যায় দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি থাকায় তারা একদিকে যেমন সুপেয় পানি, পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ঘর থেকে দূরবর্তী শৌচাগার, ঘরের ভেতর ও বাইরের মাটি পিচ্ছিল হওয়াসহ পরিবেশগত নানা সমস্যায় তারা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, কিন্তু ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রেলওয়ে কলোনিতে এখনো হাঁটু পানি। রবিবার সরজমিনে দেখা হয় ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পরিবারকল্যাণ সহকারী প্রতিমা পালের সঙ্গে। এলাকা ভিজিট করতে গিয়ে তিনি হাঁটু পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছিলেন। প্রতীমা পাল বলেন, ‘আমার দায়িত্বে ১২টি গ্রাম আছে। এই গ্রামগুলোতে বর্তমানে ৫৫ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী আছেন। বন্যা পরিস্থিতির কারণে তারা এখন সবচেয়ে বেশি সংকটে আছেন। বাড়িতে পানি থাকায় কিছু নারী নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। কারণ সেখানে মানুষজন অনেক গাদাগাদি করে থাকছেন। গর্ভবতী নারীদের থাকার মতো সুব্যবস্থা নেই।’ 

প্রতিমা উদ্বেগের সঙ্গে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তায়ও পানি। সেখানে যাওয়া ওই নারীদের জন্য অনেক কষ্টের। গত বৃহস্পতিবার রাতে লুনা আক্তার (২৬) নামে একজনের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে পানির কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া যায়নি। পরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে রাত তিনটায় ডেলিভারি করানো হয়।

সিলেটের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসের তথ্য অনুযায়ী সিলেটের ১৩ উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা নারী আছেন ২২ হাজার ৭৭৩ জন। এর মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় আছেন ১০৯৯, গোয়াইনঘাটে ৩৫৯৫, জকিগঞ্জে ১৫০৯, জৈন্তাপুরে ১৮৭৭, বালাগঞ্জে ৮০৯, গোলাপগঞ্জে ১৮৮৬, সিলেট সদরে আছেন ২৭৬৬, বিয়ানীবাজারে ৮৯১, কানাইঘাটে ২০৬১, বিশ্বনাথে ১৯১১, কোম্পানীগঞ্জে ১৬১৬, দক্ষিণ সুরমায় ১৪৯৬ ও ওসমানীনগর উপজেলায় আছেন ১২৫৭ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী। 

বন্যাকালে সবচেয়ে বেশি সংকটে আছেন সিলেটের সীমান্তবর্তী ৬টি উপজেলার গর্ভবতী নারীরা। কারণ ভারতের পাহাড়ি ঢলে সবার আগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার উপজেলার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। তখন পানির পরিমাণ ও স্রোত খুব বেশি থাকে। তখন সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই সেসব এলাকার গর্ভবতী নারীরা আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও গর্ভকালীন সেবা পেতে প্রচুর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

গত ৬ জুলাই জকিগঞ্জের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে এক নারী গর্ভকালীন জটিলতায় পড়েন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিমের সহযোগিতায় ওই নারীকে নৌকায় করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওষুধ দিয়ে আবার আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা হয়।

বন্যায় ঘর তলিয়ে যাওয়ায় স্ত্রী আফসানা বেগমকে নিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বাড়ুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন বাড়ুদা গ্রামের কুনু আহমদ। গত ২ জুলাই আফসানা বেগমের প্রসব ব্যথা উঠলে আশ্রয়কেন্দ্রের অন্যদের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরে নবজাতকের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে তাকে দেখতে যান বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামীম।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক তপন কান্তি ঘোষ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বন্যার সময় গর্ভবতী নারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। কিন্তু আমরা আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তিনজনের একটি টিম আছে আমাদের। তারা গিয়ে সেখানে সেবা দিচ্ছেন। তারপর যারা সেবাকর্মী আছেন তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য সেবা দিচ্ছেন। আমাদের কেন্দ্রে একটি হটলাইন নম্বর আছে, সেখান যারা কল দিচ্ছেন তাদেরকে সেবা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ১৩৬টি মেডিকেল টিম ফিল্ডে কাজ করছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে মেডিকেল টিমের নম্বর দেওয়া আছে। কোনো খবর পেলেই মেডিকেল টিম সেখানে গিয়ে সেবা দিয়ে আসে।’ 

নতুন মায়েদের জন্য এই সময়টা একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, ‘একজন নারী যখন প্রথম মা হন তখন তার মাতৃত্বটা বুঝতেই অনেক সময় লাগে। এর মধ্যে সঠিক পুষ্টির একটি ব্যাপার থাকে। বন্যার মতো এই ধরনের সংকটকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পাওয়া যায় না। এ জন্য আমাদের মেডিকেল টিম গর্ভবতী নারীদেরকে বিনামূল্যে আয়রন, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সরবরাহ করছেন। আমাদের প্রতিটি কেন্দ্রেই এই ওষুধগুলো দেওয়া হচ্ছে।’

সাবেক এমপি বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০০ পিএম
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ এএম
সাবেক এমপি বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
মঈন উদ্দিন খান বাদল

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের সাবেক কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদলের কবরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সেলিনা খান। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। 

সেখানে তিনি লেখেন, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী আজ দুপুরে গাড়ি নিয়ে এসে মঈন উদ্দিন খান বাদলের পৈতৃক ভিটার কবরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। ...এখন কবরেও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।’ 

পোস্টে তিনি একাধিক ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে দেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কবরের ওপর আগুন জ্বলছে। তা ছাড়া ভাঙচুরের চিহ্ন রয়েছে কবরে। 

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন সেলিনা খান। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতকারী কবরে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘটনার সত্যতাও পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলমান।’  

মঈন উদ্দিন খান বাদল ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর সারোয়াতলীতে। সেখানেই তাকে কবর দেওয়া হয়।  

সালমান/

কিশোরগঞ্জে ৪ দাবিতে শিল্পীদের গণজমায়েত

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
কিশোরগঞ্জে ৪ দাবিতে শিল্পীদের গণজমায়েত
৪ দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীরা। ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, একগুঁয়ে ও দুর্নীতিবাজ জেলা কালচারাল অফিসারের অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জে শিল্পীদের গণজমায়েত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শহরের সৈয়দ নজরুল চত্বরে জেলার সর্বস্তরের শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীরা জমায়েত হন। শতাধিক শিল্পী জমায়েত হয়ে কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন, পথনাটক, বক্তৃতায় অংশ নেন এবং কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

দুপুরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং তাদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেন।

তাদের দাবিগুলো হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, একগুঁয়ে ও দুর্নীতিবাজ কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের অপসারণ এবং তার দুর্নীতির জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত কাজ সম্পাদন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বার্থে আন্দোলনকারীদের একজনকে সমন্বয়ক/প্রতিনিধি হিসেবে রেখে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন। পুরোনো সব সদস্যপদ বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত শিল্পীদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং শিল্পকলার গত দুই বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ।

আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক ইফতেখার হোসেন সাকিব বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে আমরা কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের শিল্পীদের নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু কালচারাল অফিসার নানাভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দমে যাবার পাত্র নই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাবি পূরণে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে গড়িমসি করে, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।’

এ বিষয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, তিনি শিল্পকলার ডিজিকে বিষয়গুলো অবগত করবেন এবং এসব দাবি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

তাসলিমা মিতু/সালমান/

 

গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড : স্থানীয় এমপিসহ ১৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড : স্থানীয় এমপিসহ ১৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গোপালগঞ্জ সদর থানা

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদারকে হত্যার ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১ হাজার ৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও আজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ঘটনার পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। 

সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম ছাড়াও অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি নাজমা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজম।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরের সঙ্গে বাদীর স্বামী শওকত আলী দিদার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়ায় দোলা পেট্রলপাম্পের সামনে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। এ সময় শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে লাশ রাস্তার পাশে ঢালে রেখে যান।

ওসি আরও জানান, ঘটনার পর মামলা না হলেও এরই মধ্যে ১২ জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারে এদের কারও নাম থাকলে তাকে এই মামলার আসামি হিসেবে গণ্য করা হবে।

সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মায়ানমারের ২ নাগরিক আটক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মায়ানমারের ২ নাগরিক আটক
জব্দ করা স্বর্ণ, টাকা ও মোবাইল ফোন। ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফে সাড়ে ১০ কেজি স্বর্ণালংকার ও বার এবং নগদ টাকাসহ মায়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় ১০টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন, মায়ানমারে মংডু শহরের বাসিন্দার মো. হাফিজুর রহমান (২৮) ও মো. আনোয়ার (৩০)।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) আওতাধীন টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম দিকে পৌরসভা অলিয়াবাদ এলাকার এক বাড়িতে লুকায়িত রয়েছে এমন খবরে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের দুইটি ব্যাগসহ মায়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করা হয়।

পরে দুটি ব্যাগ থেকে সাড়ে ১০ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি টাকা, আড়াই লাখ মায়ানমারের মুদ্রা এবং ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। 

এসব স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, নগদ টাকা এবং মায়ানমারের মুদ্রা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারি শাখায়) জমা রাখা হবে এবং আটক দুইজনকে স্বর্ণ চোরাচালানের নিয়মিত মামলার করে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

ট্রাকে বালুচাপা দেওয়া ২ কোটি টাকার ভারতীয় কাপড় জব্দ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
ট্রাকে বালুচাপা দেওয়া ২ কোটি টাকার ভারতীয় কাপড় জব্দ
সিলেটের কানাইঘাটে বিজিবির অভিযানে জব্দ করা দুই কোটি টাকার ভারতীয় কাপড়। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেট অঞ্চলে সীমান্তে চোরাচালানবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার ভারতীয় কাপড়ের চালান। কানাইঘাটের সুরইঘাটে একটি বালুভর্তি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে এই ভারতীয় কাপড় জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। 

জানা গেছে, ওই স্থান দিয়ে বালুভর্তি একটি ট্রাক যাওয়ার সময় বিজিবির টহলদল ট্রাকটিকে চ্যালেঞ্জ করে থামায়। পরে ট্রাকটি তল্লাশি করে বালুর নিচে রাখা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, ধুতি, থান কাপড় এবং অন্যান্য মালামাল জব্দ করে।

উদ্ধার মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এসব মালামাল তামাবিল শুল্ক অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

জোবাইদা/অমিয়/