চট্টগ্রামে কলেজের এক শিক্ষার্থীকে (১৯) ধর্ষণ মামলায় একই কলেজের পিয়ন মোশাররফ হোসেন মানিককে (৩০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে নগরীর চকবাজার থানা পুলিশ এক দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে গত ৩০ জুন ফেনী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে এবং তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়।
ওই পিয়ন অস্থায়ীভাবে কাজ করতেন কলেজে।
অভিযুক্ত মানিক ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর জাফর মাস্টারের পুরাতন বাড়ির তোফায়েল আহমদের ছেলে।
এর আগে গত ২৭ জুন ভুক্তভোগী ওই পরীক্ষার্থী নগরীর চকবাজার থানায় মামলা করেন। ওই সময় নানা কারণে ঘটনাটি অগোচরে থেকে গেলেও রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী চকবাজার থানায় গত ২৯ জুন করা মামলায় উল্লেখ করেন, এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনতে ২৭ জুন কলেজে যান তিনি। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার শৌচাগারের সামনে এক বন্ধুসহ তাকে (ছাত্রী) দেখতে পান কলেজের পিয়ন মোশাররফ হোসেন।
এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর পরিবারকে দুজনের বিষয়ে প্রকাশ করে দেবেন বলে হুমকি দেন। আর এতে ভীত হয়ে পড়েন ছাত্রীটি। পরে ছাত্রীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার সঙ্গে জুটে যান তিনি। এরপর একটি অটোরিকশা করে যাওয়ার পথে কৌশলে নগরের স্টেশনরোড এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে মোশাররফ।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর খবরের কাগজকে বলেন, একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার আসামি মোশাররফ হোসেনকে গত ৩০ জুন ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা তাকে বরখাস্ত করেছি এবং তার বেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছি। এটি দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কোনো অপরাধীর ঠাঁই আমাদের কলেজে হবে না।’
মনির/ইসরাত চৈতী/অমিয়/