ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘চোখের সামনেই নদী গিলে খাইছে ৫০ বছরের দোকান’

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১১:২৭ এএম
‘চোখের সামনেই নদী গিলে খাইছে ৫০ বছরের দোকান’
ছবি: খবরের কাগজ

‘বছরের পর বছর ধরে কাজ করে আইতাছি এই দোকানেই। চোখের সামনেই ৫০ বছরের সেই দোকান নদী গিলে খাইছে। এহন কই যামু এই বয়সে। কি কইরয়া খামু। পেটও তো বাঁচাইতে অইবো।’ 

পদ্মা শাখা নদীর ভাঙনে নিজের দোকানঘর হারিয়ে এসব কথা বলেই আক্ষেপ করছিলেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড় বাজারের কামার বৃদ্ধ সুনীল মণ্ডল (৭৫)। 

তিনি জানান, কিশোর বয়সেই বাবার হাত ধরে এ পেশায় আসেন। বাবার মৃত্যুর পর ৫০ বছর ধরে তার রেখে যাওয়া দোকানে লোহার সঙ্গে হাতুড়ি পেটানোর কাজ করে আসছেন।

গেল দুদিনের পদ্মা শাখা নদীর ভাঙনে দীঘিরপাড় বাজারের কামার সুনীল মণ্ডলের মতোই আরও পাঁচ কামার দোকান হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙন শুরু হয়। শুক্রবারও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এই দুদিনে ভাঙনে বাজারের অন্তত ১৫টি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো ওই বাজার পুরোটাই এখন ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙনের তীব্রতায় অনেকেই দোকানঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে দীঘিরপাড় বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্রোতের তীব্রতায় শাখা নদীর তীরের মাটি ভেঙে পড়ছে। বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে বাজারের তীরঘেঁষা দোকানপাটের ভিটেমাটি পড়ছে নদীর বুকে। 
বাজারের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকের ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভাঙনের চিত্র চোখে পড়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভাঙনের মুখে বাজারের কামারপট্টির ৭টি দোকানঘর, ২টি পাটের আড়ত, ২টি সারের দোকান ও ৪টি মুদি দোকান নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন কামার গৌতম মণ্ডল, দিলীপ মণ্ডল, অনীল মণ্ডল, সুনীল মণ্ডল, শ্যামল মণ্ডল, উত্তম মণ্ডল ও কালু মণ্ডল। 

এ ছাড়া ভাঙনে অলি বেপারী ও আলমাছ বেপারীর পাটের আড়ত এবং নজির হালদারের ২টি সারের দোকান বিলীন হয়ে গেছে। আরও দোকান হারিয়েছেন চার মুদি দোকানি।

এদিকে, ভাঙন প্রতিরোধে চলমান স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণেই এ ভাঙনের কবলে পড়েছেন বলে অভিযোগ বাজারের ব্যবসায়ীদের। 

তারা জানান, আড়াই যুগ ধরেই পদ্মা ও পদ্মার শাখা নদীতে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন চলছে। ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় বছর দুয়েক আগে। 

জানা গেছে, জেলার লৌহজং উপজেলার খড়িয়া থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড় বাজার পর্যন্ত পদ্মাতীরে ৪৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মে মাসে। দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণে কয়েকটি ভাগে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে দীঘিরপাড় বাজারঘেঁষে বাঁধ নির্মাণ করছে সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স কোম্পানি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলে ও ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কথা রয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

দীঘিরপাড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাইজুদ্দিন বেপারি বলেন, ‘বর্ষা এলেই এখানে ভাঙন দেখা দেয়। অথচ শুষ্ক মৌসুমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টুকিটাকি করে বাঁধ নির্মাণ কাজ করে আসছে। আমরা এক মাসে আগেও অনুরোধ করেছি ব্লক ফেলে এখানে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য। আমাদের কথা কর্ণপাতই করেনি। আজকের মধ্যে যদি জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলা হয় তাতেও বাজারটি রক্ষা পাবে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিরিয়ার্সের ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত আমাদের কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে। কাজেই যথাসময়েই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। আকস্মিক ভাঙন ঠেকাতে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।’ 

মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আর্থিক বরাদ্দ দিতে না পারার পাশাপাশি কিছু সমস্যার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে বর্তমানে আকস্মিক ভাঙন ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটিকে জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ট্রলারে রাখা আছে। তীব্র স্রোতের কারণে জিও ব্যাগ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ঝিনাইদহে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
ঝিনাইদহে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপায় ভাটই বাজার সংলগ্ন তামাক সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- শৈলকুপার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাইলমারী গ্রামের মৃত বাবর আলী মন্ডলের ছেলে মোস্তফা মন্ডল (৪৩), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৩৮) ও তাদের ছেলে মাহিম (৮)।

আরাপপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস খবরের কাগজকে জানান, ট্রাকের চালক পলাতক। ট্রাক আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মাহফুজুর/পপি/

তালতলীতে ছাত্রীকে দিয়ে পা চাটানোর অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
তালতলীতে ছাত্রীকে দিয়ে পা চাটানোর অভিযোগ
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান

বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে দিয়ে পা চাটানো এবং ময়লা খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ কাজ করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে উপজেলার লাউপাড়া এলাকায় অবস্থিত মারকাজুল কুরআন আরবি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মাদরাসাটির ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে পড়া না পারায় স্যার তাকে একা রুমে ডেকে নেন। পরে ভয় দেখিয়ে নিজের পা চাটান ও মাটির ময়লা খাওয়ান।’

তবে, অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি মেয়েটিকে শুধু ভয় দেখিয়েছি। ময়লা খাওয়াইনি বা পা চাটাইনি।’

ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের অমানবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, ‘এটি সরাসরি শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করা যায়। শিশু আইন ২০১৩-এর ৭, ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন আচরণ শুধু শিক্ষকতার অপমান নয় সমাজেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহিউদ্দিন অপু/অমিয়/

৫৪ গরুর পাহারায় দুই জার্মান শেফার্ড

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
৫৪ গরুর পাহারায় দুই জার্মান শেফার্ড
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভায় একটি গবাদিপশুর খামারে অর্ধশশতাধিক গরুর পাহারা দেয়ে দুটি জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুর। চোর থেকে গবাদিপশু রক্ষায় এই কুকুর দুটি পাহারাদার হিসেবে খামারের প্রধান ফটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি অনেকটা শখের বশে হলেও এটি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।

২০১৭ সালে শখের বশে ব্যবসায়ী জামাল হোছাইন ও জহির হোছাইন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের চরপাড়া গ্রামে ‘হোছাইন ডেইরি এন্ড এগ্রো’ নামে একটি গবাদিপশুর খামার গড়ে তোলেন। এর কয়েক বছর পর চোরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় তারা খামারে দুটি জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুর নিয়ে আসেন। সেই থেকে কুকুর দুটি খামারের পাহারাদার।

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এই খামারে বিভিন্ন জাতের ৫৪টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। ওই খামারে থাকা প্রতিটি গরুর মূল্য সর্বনিম্ন এক লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। বুধবার পর্যন্ত ১৪টি গরু বিক্রি হয়েছে। আর বাকি ৪০টি গরু।

সরেজমিনে দেখা যায়, জার্মান শেফার্ড দুটিকে খামারের প্রধান ফটকের পাশে লোহার খাঁচায় রাখা হয়েছে। কোনো অপরিচিত ব্যক্তি খামারের প্রধান ফটক অতিক্রম করার চেষ্টা করলেই কুকুর দুটি তৎপর হয়ে উঠে। যতক্ষণ পর্যন্ত খামারের মালিক বা কর্মচারীরা এগিয়ে না আসেন ততক্ষণ পর্যন্ত কুকুর দুটি আক্রমণাত্মক আচরণ করতে থাকে। ফলে খামারের নিরাপত্তা নিয়ে তেমন একটা চিন্তা করতে হয় না।

খামারের তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহেদ বলেন, আমাদের মালিক শখের বশে খামারটি শুরু করার পর চোরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুর দুটিকে খামারের নিরাপত্তার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। সারাবছর এ খামারে অর্ধশতাধিক গরু লালন-পালন করা হয়। কুকুর দুটি এই গরুগুলোর পাহারাদার হিসেবে কাজ করে। দিনে কিংবা রাতে, অপরিচিত কোনো ব্যক্তিকে খামারে প্রবেশ করতে দেখলেই কুকুর দুটি হইচই শুরু করে দেয়। কুকুরগুলোর জন্য খামারের নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ খামারে কর্মরতরা অনেক বিশ্বস্ত। তবে তারা সারাদিন কাজকর্ম করে ক্লান্ত হয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। তখন চোরের দল এসে যদি গরু চুরি করে নিয়ে যায় তাহলে অনেক বেশি লোকসানের মুখে পড়তে হবে। কিন্তু কুকুর রাতে সহজে ঘুমায় না। আর ঘুমিয়ে গেলেও কোনো শব্দ পেলে জেগে যায়। এতে চুরি হওয়ার সম্ভাবনা একদম নেই বললেই চলে। তারই প্রেক্ষিতে কুকুর দুটিকে খামারে পাহাড়াদার হিসেবে রাখা হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, চোরের উৎপাত ঠেকাতে গবাদিপশুর খামার পাহাড়ায় কুকুর রাখা এটি অবশ্যই ভালো একটি পরিকল্পনা। এক্ষেত্রে প্রথমে কুকুরকে অবশ্যই জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। তবে কুকুরের আকস্মিক আক্রমণে কোনো ব্যক্তি যদি আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে এর দায় অবশ্যই খামারের মালিককে নিতে হবে।

অমিয়/

শ্রীপুরে পিকআপের ধাক্কায় সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
শ্রীপুরে পিকআপের ধাক্কায় সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত
নিহত আসাদুজ্জামান রাজিব

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত আসাদুজ্জামান রাজিব (৪০) ময়মনসিংহের পাগলা থানার মধ্যলামকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও পাঁচবাগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

তিনি শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি বহুজাতিক কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে রঙিলা বাজার থেকে এমসি বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান রাজিব। পথিমধ্যে আদিব ডাইং কারখানার সামনে পৌঁছামাত্রই পেছন থেকে একটি পিকআপ রাজিবের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় পিকআপের চালক নাঈমকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, পিকআপ জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পলাশ প্রধান/অমিয়/

দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলে ধীরগতি

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলে ধীরগতি
ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার অংশে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে ধীর গতিতে যানবাহনগুলো চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই এই মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে শহীদনগর, গৌরীপুর মোড়, ইলিয়াটগঞ্জ পর্যন্ত যানবাহনের এ চাপ দেখা গেছে।

তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোথাও যানজট সৃষ্টি হয়নি বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ।

এদিকে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ মোকাবিলার পাশাপাশি যানজট নিরসনে মহাসড়কের বলদাখাল, গৌরীপুর মোড় বাসস্ট্যান্ড অংশের একাধিক পয়েন্টে সেনাবাহিনী, র‍্যার ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

র‍্যাব-১১ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের লাইফলাইন হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এই সড়কের যানবাহন যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সেজন্য সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ, র‍্যাব কাজ করে যাচ্ছে। এই সড়ক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। 

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদ খান চৌধুরী জানান, ঈদযাত্রায় মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। সেনাবাহিনী, র‍্যাব-১১ ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে যেন শেষ মুহূর্তে ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি না হয়।

লিটন সরকার/অমিয়/